somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করল সূর্য

২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বন্ধুদের কেউ কেউ ল্যাবের কাজ করে বিজ্ঞানী হবে বলে পণ করেছে কেউবা সার্ভে কাজ করবে আবার কেউবা পরবিবেশ গবেষণা করবে কিন্তু সূর্য কি করবে? সূর্য চেয়ে চেয়ে দেখল সবাই যার যার মত বিষয় বেছে নিয়ে যাচ্ছে কেউ কারো সাথে পরামর্শ করছে না। কারো বিষয় কারো সাথে মিলে যাচ্ছে কিন্তু তাতে কারো কোন ভ্রূক্ষেপ নেই, সূর্য বুঝল এই স্রোতে গা ভাসিয়ে দিলে বিপদে পড়া লাগবে পরে। সবার পছন্দ নামী দামী স্যার আর নামী দামী স্যাররাও চাই সব থেকে ভাল ছেলে মেয়েরা তাদের কাছে আসুক এর পিছনে যতটা না ভাল কাজ করানোর ইচ্ছা কাজ করে তার চেয়ে বেশি কাজ করে বিনা কষ্টে এবং বিনা পয়সায় একটা গবেষণা প্রবন্ধ হয়ে যায়। যদি নিয়ম থাকত যত খুশী ছাত্র ছাত্রী নেওয়া যাবে তাহলে কিছু স্যার মনে হয় ত্রিশ চল্লিশ জনের উপরে ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে নিত। আবার কিছু প্রফেসর কে দেখেছে যারা বছর এর পর বছর পার করার সুবাদে লেকচারার থেকে প্রফেসর হয়ে গিয়েছে কিন্তু এখনো জ্ঞান বুদ্ধির পরিধি খুব একটা বাড়েনি কিন্তু দেখার মত ব্যাপার হল যে তাদের গবেষণা প্রবন্ধের সংখ্যা ত্রিশ চল্লিশের কোঠায়। চল্লিশটা প্রকাশিত গবেষণা পত্র ভাল করে ঘাটলে দেখা যাবে এর মধ্যে ত্রিশ পয়ত্রিশটই বিভিন্ন বছরের বিভিন্ন ছাত্র বা ছাত্রীর জমা দেওয়া গবেষণা প্রবন্ধ এবং অধিকাংশই যেনতেন জার্নালে প্রকাশিত। প্রখ্যাত ও বিখ্যাত জার্নালে প্রকাশিত কর্মের সংখ্যা হাতেগোনা জনা কয়েক শিক্ষকের আছে। কিছু শিক্ষক আবার মেয়েদের ছাড়া গবেষণা করান না, তিন জনের দলে একজন ছেলে নেই তবে তা মুখ রক্ষার জন্য। সূর্যের যে পছন্দের শিক্ষক নেই ব্যাপারটা তেমন না এ শিক্ষক ও শিক্ষক করে সূর্য পছন্দের শিক্ষককে ওর সুপারভাইজার হতে বলল। শিক্ষক মহাশয় যেন আকাশ থেকে পড়লেন বললেন সেটা কিভাবে সম্ভব? সূর্য বলল কেন সম্ভব নয় ? শিক্ষক মহাশয় বলল না না বাপু তোমার সুপারভাইজার হওয়া যাবে না পরে আমাকেই গবেষণা প্রবন্ধ লিখে দেওয়া লাগবে। সুর্য হতাশ হয়ে রুম থেকে বের হয়ে চলে আসল।
২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসের সতের তারিখ সকাল থেকেই গুড়ি গুড়ি মাঝে মধ্যে দমকা বাতাসের এসে মুখে ঝাপটা দিচ্ছে সূর্য বারন্দায় একটা ভাঙ্গা চেয়ারে বসে রেলিঙয়ের উপর দুই পা ঝুলিয়ে বসে আসে। দাদা বলল ওহে আর কত বাতাস লাগাবে বাপু এখন ওঠ তা না হলে সব জমে পাথর হয়ে যাবে যে। শীতে যেখানে জ্ববুথবু অবস্থা সেখানে একটা হাফ প্যান্ট পরে অর্ধ রাত রেলিঙে পা ঝুলিয়ে বসে থাকা একটা বেসম্ভব ব্যাপার। দাদার কথার উত্তরে সূর্য বলল যদি জমে যায় তাহলে ঘা দিয়ে খসিয়ে দিও। শীতের দিনে কাজ কম তার উপর শুত্রবার। সূর্যের মাথায় ঘুরছে অন্য জিনিস আর তা হল কিভাবে গবেষণা পত্র তৈরি নামক যন্ত্রনা থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়।

কিন্তু গবেষণা পত্রের চিন্তা করবে করতে গেলেই মাথায় চলে আসছে গতকাল বিকালের কিছু স্মৃতি আর কিছু কথা বার্তা। তাসনুভা ও তিথি এর সাথে সম্পর্ক চুকে বুকে গেছে বহুদিন আগে। এমনিতে মেয়েদের সাথে মেলামেশা আছে হৈ হুল্লোড় আছে কিন্তু প্রেম বা রোমান্সের মত কোন ব্যাপার এখন আর ওর মধ্যে নেই কিন্তু এখনো মাঝে মধ্যে সেরকম সুন্দরী দেখলে বা মায়াবী চোখের কাউকে দেখলে বুকের মধ্যে আবার প্রেম উপচে ওঠে। সূর্য আগে থেকেই বিশ্বাস করে আগে দেখে ভাল লাগলে প্রেম করতে ইচ্ছা হয় মনের ব্যাপার আসে অনেক পরে।

গতকাল বিকালে ও ট্যাংরা কে সাথে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিল। ট্যাংরা হচ্ছে ওর খুব কাছের বন্ধু স্থানীয় মানুষ ক্যাম্পাসে আসে হলে থাকে আর এদিক সেদিক সবাইকে দেখে বেড়ায়। ও আর ট্যাংরা টুকু মিয়ার ঝুপড়িতে বসে চা খাচ্ছিল এমন সময় সবুজ শাড়ি আর কালো ব্লাউজ পরা একটা মেয়ে ওদের সামনে দিয়ে দোকানে এসে মিষ্টি কণ্ঠে বলল টুকু মিয়া একটা চা দেওয়া যাবে ? চিনি কম এক চিমটি লেবু সাথে হালকা লিকার। সূর্য অনুভব করল মিষ্টি একটা গন্ধ মেয়েটির শরীর থেকে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে সূর্য যেন আবেশিত হয়ে পড়ছে। ট্যাংরাকে বলল কে চিনিন নাকি সাথে সাথে ট্যাংরা বলল থাকিস তুই আর আমি জানব এখন কথা না বলে দেখ পরে খোজ নিতে পারব। মেয়েটির রুপের সাথে শরীরী সৌন্দার্য চারপাশের সবকিছুকে ঝপসা করে দিচ্ছে। আটোসাঁটও শরীরের উপর কালো ব্লাউজ কামড়ে বসে আসে যেন স্বর্গীয় দ্যুতি ঠিকরে বেরিয়ে আসছে সেখান থেকে, মেয়েটির হাটার সময় এক তাল লয় খেলে যাচ্ছে শরীরের, কাজল কালো চোখ সাথে কোমর পর্যন্ত চুল। সব মিলিয়ে অপরুপ রুপের পরী মানবী রুপে ধরণীতে নেমে এসেছে। মেয়েটি ফোনে কাউকএ বলছে প্রেম করার মত মানুষ পেলাম না। এমন একজন পুরুষ মানুষ পেলামনা যে আমাকে নিয়েই সময় পার করবে অন্য কারো দিকে তাকিয়ে দেখবে না। দোকানে ট্যাংরা সূর্য আর পরী মানবী ছাড়া আর কেউ নেই। সূর্য বলল মানুষ চোখ থাকলেও অনেক কিছু দেখতে পাই না আবার দেখেও না দেখার ভান করে। হীরা সে তো মাটির গভীরে থাকে যাদের ইচ্ছা আছে তারাই খেবল খুজে পাই। আপনার মত পরী মানবী দেখে আমি ও আমার বন্ধু অভিভূত আপনার রুপের প্রশংসা না করে পারছিনা। সাধারন সাথে আপনাকে সত্যিই অসাধারন লাগছে এর আগেও সবু শাড়ি কালো ব্লাউজ পরা মেয়ে দেখেছি তবে আপনার মত অপূর্ব মনে হয়নি। আপনি সাধারনের মাঝে অসাধারন তাই প্রশংসা না করে পারছি না। আপনার ইরানি ধাচের চুল বাঁধা সাথে হাতের কাপড়ের চুড়ি সব অসাধারন। মেয়েটি কে বা কোথাকার এসব যেন সূর্যের কাছে গৌণ হয়ে গেল। মেয়েটি শুধু বলল স্বর্গীয় দেবীরাও সুন্দর, আফ্রোদিতি, ভেনাস তো সুন্দর, পার্বতী অপরূপা কিন্তু এভাবে যদি আপনি ওদের সামনে ওদের প্রশংসা করেন তাহলে ওরাও লজ্জা পেয়ে সামনে থেকে চলে যাবে এই বলে মেয়েটি চায়ের দাম দিয়ে টুকুর ঝুপড়ি থেকে বের হয়ে গেল। ট্যাংরা বলল তুই কি একটা গাড়ল দুই দুই বার প্রেম এর চেষ্টা করলি কিন্তু কি হল? শুনেছি ন্যাড়া একবারই বেল তলা যায় কিন্তু আধুনিক যুগের ন্যাড়া যে মাথা ফাটার বেদনা ভুলে আবার বেল তলা যেতে আগ্রহী হয়ে ওঠে তা তোকে না দেখলে বোঝা যায় না। মেয়েটি কে ? কোথায় থাকে ? কি করে? কিছু না জেনেই সুন্দরের প্রশংসায় মেতে উঠেছে সাধে কি গাড়ল বলি। সূর্য কি যেন বলতে যাচ্ছিল, ট্যাংরা ওকে চুপ করিয়ে দিয়ে বলল দেখ দেখ মেয়েটা শিক্ষকদের বাসে উঠছে। সূর্যের মুখ দিয়ে কোন কথা বের হল না।

শীতের সকালে বসে বসে ভাবছে মানুষ ভাবে এক আর হয় আর এক তা না হলে গবেষণা প্রবন্ধ নিয়ে চাপে হাবুডুবু খাচ্ছে এর মধ্যে শিক্ষক গোছের একজনকে প্রায় প্রেম নিবেদন করে ফেলেছে এর ফলাফল যে কি হবে তা একমাত্র ভবিষ্যতেই বোঝা যাবে। এদিকে সূর্য ট্যাংরাকে শত অনুরোধ করেও ঘটনার ফাঁস হওয়া রোধ করতে পারল না। মুখ চাপা দিয়ে রুমে ফিরেই দাদার সামনে যেয়ে হাসতে শুরু করল সেই হাসি আর থামেনা, টানা ৫ মিনিট হেসে ট্যাংরা বলল মামা শালা একটা গাড়ল, আজ এক নতুন যোগদান করা শিক্ষককেই প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে এসেছে কিছু না জেনেই বলেই আবার হাসতে লাগল। দাদ বলল মেয়ে মানুষ সব সমান প্রেমের প্রস্তাবই তো দিয়েছে রেপ করার তো না। মেয়ে রানী হোক, রাজকুমারী হোক, বিজ্ঞানী হোক আর যাই হোক না কেন কোন ছেলেই তো তাদের বিয়ে করবে তাহলে ও প্রস্তাব দিয়ে তো ঠিক কাজ করেছে বলে দাদাও কিছুক্ষন হেসে নিল কারন ট্যাংরা অভিনয় করে দেখিয়েছে কিভাবে সূর্য রুপের প্রশংসা করেছিল। ট্যাংরা বলল তোরা সবাই সমান তোরা পারিস ও, যা প্রেম করেক গ্যা ম্যাড়ামের সাথে।

সূর্য সব কিছু পিছনে রেখে বলল মামা বল আগামী রবিবার একজন সুপারভাইজার কিভাবে খুজে বের করব। ট্যাংরা আর হয়রান আলী বসে ভাবছে কি করা যায়। হয়রান আলী বলল মামা একজন লেকচারার কে জানি যে কোন ছাত্র পাচ্ছে না তুই তার সাথে যোগাযোগ করতে পারিস। সূর্য বলল প্রথমে ভেবেছিলাম কোন এক প্রফেসর, তা হল না, এর পর ভাবলাম সহযোগী বা সহকারী, এখন তুই বলছিস লেকচারার এর থেকে বল দোস্ত তুই গবেষণা প্রবন্ধ বাদ দে। হয়রান আলী বলল আমার মাথায় এর থেকে ভাল কোন উপায় নেই আর এতে সুবিধা হবে ওই লেকচারার তোরে আর কি থিসিস করাবে বদলে তুই তাকে থিসিস করাতে পারবি, এই কথা শোনা মাত্র রুমের মধ্যে সবাই হেসে উঠল। কি যন্ত্রনা গবেষণা করার। দাদা তো ল্যাবের বিজ্ঞানী হবে শুনে জ্ঞানী বলল হুম ভাল হয়েছে ল্যাবে নাকি পিওর ইথানল পাওয়া যায় ভালই হবে। ট্যাংরা বলল তুই এক কাজ কর চেয়ারম্যানের কাছে যেয়ে বল কোর্স মোডিফিকেশন করতে হবে থিসিস এবং ননথিসিস ভাগ করে দিতে। সূর্য বলল যাক অনেক হয়েছে এবার তোরা তোদের কাজ কর আমি চললাম।

সূর্য অবশেষে একজন সুপারভাইজার পেয়েছে আর সে ওই যে হয়রান আলীর সেই লেকচারার, সূর্য প্রথমে ভেবেছিল গোবেচারা টাইপের হবে কিন্তু না লেকচারার আসলে নিরেট মূর্খ সাথে ঘাড়তেড়া টাইপের লোক। যখন কোন ছাত্র পাচ্ছিল না তখন সূর্য যাওয়া মাত্রই চা খাইয়ে বলেছিল আসলে আমার কোন পূর্ব অভিজ্ঞাতা নেই ছাত্র গাইড করার আর আমি ক্যাম্পাসে নতুন যা করার তুমি করে ফেল। কিন্তু আজ আচারন পুরো ১৮০ ডিগ্রী ঘুরে গেছে সূর্য রুমে আসতেই চোখের ইশারায় বসিয়ে জ্ঞান দেওয়া শুরু করল। শিক্ষক মহাশয় বলল দেখ আমি কাজ ছাড়া কিছু বুঝি না, আজে বাজে কোন জিনিস কিন্তু গ্রহন করিনা। ছাত্র জীবনে আমার রেকর্ড কিন্তু বরাবরই প্রথম দিকের। সূর্যের স্বভাব হচ্ছে মুখের উপর বলে দেওয়া তা কারো ভাল লাগুক বা না লাগুক। এবারো তার ব্যতিক্রম হল না সে বলল স্যার তাহলে এত পরে কেন লেকচারার হিসাবে যোগ দিলেন আপনার যে বয়স তাতে তো এখন আপনার সহযোগী বা সহকারী হবার কথা ছিল। শিক্ষক মহাশয় আর কথা না বাড়িয়ে গবেষণা প্রবন্ধের কাজ কিভাবে শুরু করা যায় তা নিয়ে আলোচনায় বসে গেল। ছাত্র শিক্ষক মিলে সিদ্ধান্তে উপনীত হল পরিবেশ এর সাথে সম্পর্কিত কিছু একটা করতে হবে এবং তথ্য সংগ্রহের স্থান হবে দেশের দক্ষিন অঞ্চল।
যা হোক বিষয় নির্ধারন এর পর সব শিক্ষকদের উপিস্থিতিতে প্রেজেন্টেশন দিতে হয় এক বলে সিনোপসিস প্রেজেন্টেশন। সূর্য ও লেকচারার মিলে কিছু একটা দাড় করিয়ে ফেলল। সূর্য আগেই যে বুঝেছিল তাই হল অনেক বন্ধু বান্ধবের বিষয় নাকচ হয়ে গেল রিপিটেশন এর জন্য। হয়রান আলীর একটা মজ্জাগত স্বভাব হল সুন্দরী মেয়েদের ন্যাংটা ছবি দেখা আর কাজ করা সে হোক থিসিসের হোক বা রিপোর্টের কাজ হোক বা সংঠনের কাজ হোক। থিসিসের কাজের সময় কোন ফাকে যে একটা অর্ধনগ্ন ছবি পাওয়ার পয়েন্ট এর মাঝে এসে গেছিলো তা বেচারার খেয়াল ছিল না ফলে যা হবার তাই হল প্রেজেন্টেশন এর মাঝপথে সবাই লজ্জাই রুম থেকে বের হয়ে গেল। এরকম অভিজ্ঞতা এর আগে কারো কখনো হয়নি কিন্তু হয়রান আলী নিরুত্তর সে কিন্তু কোন সরি টরি না বলে ছবি ডিলিট করে দিয়ে বাইরে এসে সবাইকে ডেকে নিয়ে আসল। শিক্ষক শিক্ষিকাদের বলল টেকনিক্যাল সমস্যা চলে গেছে আপনারা আসতে পারেন এখন। এর পর হয় সূর্য কে জিজ্ঞাসা করল এত কিছু রেখে পরিবেশ কেন ? সূর্য বলল বেশ বেশ বেশ পরিবেশ এই যে একটু আগে রুমের পরিবেশ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল ছাত্র-শিক্ষক-শিক্ষিকা-ছাত্রী সবাই ইকোসিস্টেম ছেড়ে বের হয়ে গিয়েছিলেন, পরিবেশ ঠিক হয়েছে আবার সবাই যার যার স্থানে ফিরে এসেছেন একারনে পরিবেশ হল সব থেকে গুরুত্বপূর্ন আর সে জন্যই আমি আর আমার সুপারভাইজার পরিবেশ সম্পর্কিত বিষয় আমাদের প্রধান বিবেচ্য বিষয় করেছি। যে উদাহরন সূর্য উপস্থাপন করল তাতে কারো মুখ দিয়ে আর কোন কথা বের হল না সূর্য তার ট্রেডমার্ক ভঙ্গিতে বলল এনি ওয়ান এলছ এনি ওয়ান এলছ এর পর প্রেজেন্টেশন শেষ করে নিজের জায়গায় ফিরে এল। সূর্য নির্ভয় থাকলেও লেকচারার মহাশয় কিন্তু কাজের অযুহাত দিয়ে সটকে পড়েছে আগেই পাছে সুপারভাইজার থাকার কারনে কোন সিনিয়র শিক্ষকের হাতে নাজেহাল হতে হয়। ট্যংরা, জ্ঞানী, দাদা নিজ নিজ জায়গা থেকে কাপিত করে দিয়ে এসেছে মানে ওদের বিষয় ফাইনাল। অনেক অনুরোধের পর ওরা হয়রান আলীকেও বিপদ মুক্ত করেছে। টুকু মিয়ার দোকানে সিগারেটের মেলা চলছে লেকচারার মহাশয় মানে নেজামুদ্দিন স্যার ফোন দিয়ে সূর্যকে বলল আমি বিষয়টা দেখে দিয়েছি বলেই এবারের মত তুমি থিসিস করার যোগ্যতা অর্জন করলে, তুমিতো কাজের ক অক্ষর ও করোনি সবতো আমি রেড়ি করে দিলাম ব্যস্ততার কারনে আসতে পারনি আজ যা হোক তুমি আগামীকাল দেখা করো। সূর্য বলল শালা একটা মাইনাস সি ক্লাসের থার্ডক্লাস লোক নিরেট মূর্খ মাথা ফাটিয়ে দিলেও একটা প্রশ্নের উত্তর বের হয় না আবার বলে কিনা আমিই প্রস্তুত করেছি।

সূর্য তিনদিন পর নেজামুদ্দিন মুন্সির রুমে গেল। রুমে যাওয়া মাত্রই নেজামুদ্দিন গর্জে উঠে বলল সিনোপসিস পার করে দিছি দেখে কি বেশি বাড় হয়েছে তাই না, গবেষণা প্রবন্ধ কিভাবে তৈরি কর আমার সাহায্য ছাড়া সেটা আমি দেখব। সূর্য শান্ত ভাবে বলল স্যার আপনি যেমন ব্যস্ততার জন্য ১ম প্রেজেন্টেশন এর দিন আসতেই পারেননি সেরকম আমিও ব্যস্ততার জন্য তিন দিন আসতে পারিনি আর ফ্রি হয়ে সকালেই চলে এলাম। নেজামুদ্দিন মুন্সি এবার চুপ করে গেল। সূর্য বলল রাগ কইরেইন না স্যার আপনার কাছে কেবল আমিই আছি যদি আমারে ফেল করাইয়্যাদেন তাহলে আপনার দুর্নাম হবে যে আপনি ভাল সুপারভাইজার না আর তা যদি একবার হয় তাহলে ভবিষ্যতে কেউ আপনার কাছে গবেষণা প্রবন্ধের জন্য আসবে না এবং না আসলে আপনি ভাল কোন প্রকাশনা করতে পারবেন না। এই কথা শুনে লেকচারার নেজামুদ্দিন এক্কেবারে চুপসে গেল।

বেশ কিছুদিন কেটে গেছে বলতে গেলে ২ মাস পার হয়ে গিয়েছে সূর্য তার গবেষণা পত্রের জন্য প্রথমে দেশের দক্ষিনের খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট এর কিছু জায়গা চষে ফেলল কিন্তু যে সমস্ত তথ্য দরকার তা পেল না। যেটুকু তথ্য পেল তাতে কাজ হবে কিনা সন্দেহ আছে। বেশ কিছুদিন চেষ্টা করে সূর্য গবেষণা পত্রের ভূমিকা লিখে এনেছে নেজামুদ্দিন খুটিয়ে খুটিয়ে দেখছে আর লাইনের পর লাইন কেটে দিচ্ছে আর বিশ্রী হাতের লেখাই কি সব লিখে দিচ্ছে আর সূর্য রাগে গজ গজ করছে। নেজামুদ্দিন আসলে গতদিনের শোধ তুলছে। যা হোক সূর্য কিছুদিন পর নেজামুদ্দিনের কারেকশন সহ নতুন করে ভূমিকা ও কাজের প্রনালী সম্পর্কে লিখে নিয়ে এল এবারো নেজামুদ্দিন সিব কেটে দিয়ে বলল কি সব লিখে এনেছো তুমি এর থেকে দ্বিতীয় শ্রেণীর বাচ্চাও ভালো লেখে। রাগ সামলাতে না পেরে সূর্য বলল তাহলে আমি চললাম আপনি দ্বিতীয় শ্রেণীর কাউকে ধরে আনেন। নেজামুদ্দিন মুন্সি পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বলল আরে একজনের রাগ অন্য জনের উপর পড়ে যায় কি যে করি। এরপর নেজামুদ্দিন সাহেব কথা না বাড়িয়ে বলল পড়ালেখা তো কিছু কর না রেজাল্ট ও তো ভাল না তা গত সব কয় টার্মের গড় ফলাফল কত? সূর্য বলল আল্লাহর ইচ্ছায় আর আপনার দয়ায় সিজিপিএ ৩ তিন দশমিক ৬ মানে ডিস্টিংশোনের খুব কাছে স্যার, এই কথা শুনে নেজমুদ্দিন বলল তাহলে এত শয়তানি করে বেড়াও কেন? সূর্য কোন কথা না বলে বলল স্যার আমার হাতে সময় কম তাহলে আগামীকাল দেখা হবে।

নেজামুদ্দিন গত পনের দিন ধরে সূর্য যা লিখে আনছে তাই কেটেকুটে দিচ্ছে আর মনে মনে এক স্বর্গীয় তুষ্টি লাভ করছে। মে মাসের দ্বিতীয় সকাল সূর্য খেটেখুটে কাজ করে নিয়ে যাচ্ছে নেজামুদ্দিন মুন্সির কাছে এই দেখে দাদা বলল কি আর হবে সেই তো কাটাকুটি। হয়রান আলী কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল সূর্য থামিয়ে দিয়ে বলল না না ঠিক আছে তুই দেখ আমি কিছু দেখেনি আমি কিছু দেখিনি। ব্যাপার হল কিছুদিন যাবত একটা বিদেশী মেয়ের অর্ধনগ্ন ছবি তে কি যেন খোজার চেষ্টায় ব্যস্ত রেখেছিল। আজ বুঝল ব্যাপারটা তা হল পুরো নগ্ন না বলে নিজেই ফটোশপে কাজ করে দেখার চেষ্টায় আছে। সূর্য বলল তা গবেষণা প্রবন্ধতে তোর বিষয় হওয়া উচিত ছিল পর্ন ছবি কিভাবে একজনের পড়ালেখার প্রেরণা হতে পারে, এই কথা শোনা মাত্র হয়রান আলী বলল দেখে তুই কিন্তু আমাকে অপমান করতে পারিস না আর আমার সুপারভাইজার তো আর কাটে না বলে হয়রান ওর কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিয়ে দিল। সূর্য বাইওরে বেরিয়ে একটা সিগারেট কষে টান দিয়ে মুন্সির গুষ্টি উদ্ধার করতে রওনা হল। মুন্সির রুমের উকি দিতেই দেখতে পেল বিভাগের এক সিনিয়র শিক্ষকের সাথে কাজ করছেন তিনি। সূর্য কে দেখেই বলল ভিতরে আস এরপর যা হল সেটা ইতিহাস। এক রুমে দুজন করে শিক্ষক বসেন সূর্য দেখল মোট চার জন শিক্ষক রয়েছে রুমের মধ্যে, নেজামুদ্দিন খুব মনযোগ দিয়ে দেখার ভান করে কাটতে আরম্ভ করল আর বাকি শিক্ষকদের শুনিয়ে বলল স্যার এরকম গাধা ছাত্র আমি এখনো পাইনি একটা লাইনও যদি ঠিক থাকে। সূর্য এরকম একটা সু্যোগের অপেক্ষায় ছিল। সূর্য বলল স্যার আল্লাহর দোহায় লাগে একটা লাইনও কাটবেন না, যদি একটা লাইনও কাটেন তাহলে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে। এই কথা শোনা মাত্র নেজামুদ্দিন লেকচারার লেকচার বন্ধ করে খেকিয়ে উঠে বলল ফাজলামি পাইছো অনেক হয়েছে গত কয়েক মাসে আর না। সূর্য বলল স্যার গত ২ মাস ধরে আপনে কাটেন আর দুই ছত্র করে লিখে দেন, মাঝে মধ্যে নিজের লেখা নিজেই কাটেন, এই পাঁচ পাতায় আমার একটা লাইনও নেই সব আপনার লেখা এজন্য বলেই আল্লাহর দোহাই আর কাটবেন না। নেজামুদ্দিন মুন্সির সমস্ত মুন্সিয়ানা যেন এক নিমিষে কর্পূরের মত উবে গেল। সূর্যকে একরকম গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দিল। বাইরে দাঁড়িয়ে সূর্য শুনতে পেল সিনিয়র শিক্ষক নেজামুদ্দিনকে ঝাড়ছে সমানে বলছে বিদেশ থেকে পড়ে গাধা হয়ে এসেছো, বিদেশের ল্যাবে নল পরিষ্কার করে বেড়ালেও পিএইচডি হয়, কি বলে গেল ছেলেটা। সূর্য বুঝল কাজ যা হবার হয়ে গেছে এখন কপালে যা আছে হবে।

কিছুদিন গবেষণা প্রবন্ধ রচনাকারী সূর্য ও লেকচারার নেজামুদ্দিনের মধ্যে মুখ দেখা দেখি বন্ধ। রুমের মধ্যকার ঝড় দমকা বাতাসের মত সারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল। নেজামুদ্দিন একরকম বাধ্য হয়েই সূর্যকে ডেকে পাঠালো কারন বিভাগীয় প্রধান একটা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে এই মর্মে যে আগামী ৭ কার্য দিবসের মধ্যে গবেষণা প্রবন্ধ রচনাকারী ছাত্র-ছাত্রীদের তাদের গবেষণা প্রবন্ধের ড্রাফট কপি জমা দিতে হবে আর কেউ যদি জমা দিতে ব্যর্থ হয় তাহলে শিক্ষার্থী ও সুপারভাইজার দুজনকেই জবাবদিহি করতে হবে। এদিকে সূর্য নিজের রুমের মধ্যে বসে গবেষণার প্রধান অংশ শেষ করে এনেছে, তথ্য উপাত্ত যেটুকু যোগাড় করেছিল তার আলোকে কম্পিউটারের মাধ্যমে হাইপোথিটিক্যাল তথ্য বানিয়ে একটা গবেষণা প্রবন্ধের সারাংশ ও উপসংহার বাদে সব কিছু লিখে ফেলেছে এবং দারুন একটা রেজাল্ট ডিসকাশন ও তৈরি করেছে। ওদিকে দাদা ল্যাবের কাজে না পারছে রেজাল্ট আনতে না পারছে দিন দুয়েকের মধ্যে ল্যাবে ক্যাক্টেরিয়ার কলোনী ফর্ম করতে পুরো পাগল হবার অবস্থা ওর। হয়রান আলীর সুপারভাইজার ভাল কিন্তু বাইরের বিভাগের একজন স্যার এর কাছে গিয়েছিল রিভিউয়ের জন্য, সেখানে যেয়ে পুরো লেজে গোবরে হয়ে গেছে। সূর্য ওর প্রায় সম্পূর্ন গবেষণা পত্র নিয়ে নেজামুদ্দিনের কাছে হাজির হল। নেজামুদ্দিন ওর সব সব কাজ দেখে বলল এত কাজ করলে কোন সময়, কিভাবে ডাটা সংগ্রহ কে রিপোর্ট লিখে দিল। নানা প্রশ্নে সূর্যকে জর্জারিত করে ফেলল নেজামুদ্দিন মুন্সি। সূর্য বলল স্যার আপনিতো আর পারলেন না আমিই শেষ করে দিছি এখন দয়া করে ফাইনাল প্রেজেন্টেশনের দিন পালাই যাইয়েন না। সূর্যকে নেজামুদ্দিন বলল তা সাতক্ষীরার থেকে কি তথ্য এনেছো দেখি আর কাল সকালে আমি তোমাকে নিয়ে সাতক্ষীরা যাব, যাদের থেকে তথ্য এনেছো তাদের সাথে কথা বলব।

সূর্য বুঝে গেছে ওকে এবার গবেষণা প্রবন্ধে ফেল করিয়ে দেওয়াই হচ্ছে নেজামুদ্দিনের মূল উদ্দেশ্য। সূর্যের মাথাই একটাই চিন্তা কিভাবে এই গাড়ল কে জব্দ করা যায়। যা আছে কপালে বিশ্বাস করে সূর্য কয়লার কাছ থেকে পুরাতন জুতা জোড়া চেয়ে নিল। ভর সকালে কালি দিয়ে ভিজিয়ে নিয়ে জুতার চেহারা ফেরানোর ব্যার্থ চেষ্টা করে তাই পরেই রওনা হল। সূর্য দেখল নেজামুদ্দিন সাদা শার্ট সাদা প্যান্ট আর কালো জুতা পরে দাঁড়িয়ে আছে। সূর্য কাছে যেতেই বলল আমরা বাসে করে যাব আর তুমি যাদের সাথে কথা বলেছো আমাকে তাদের বাড়ি নিয়ে যাবে আর যদি তোমার তথ্য মিথ্যা হয় তাহলে কি হবে তুমি বুঝতে পারছ। সূর্য বলল জ্বি স্যার। বাসে উঠে রওনা হবার পর সূর্য দেখল বাসে বসার জায়গা নেই, কোন রকমে একটা সিট যোগাড় করে নেজামুদ্দিনকে বসিয়ে দিল। নেজামুদ্দদিনের এক পা বাইরে সূর্য কায়দা করে দাদা প্যান্টে ওর জুতোর কালি পাচার করে দিল। বাসের ভিড় একটু কমতেই নেজামুদ্দিন চিৎকার বলল এই কে রে কে রে কে কে কে করল এই সর্বনাশ। আমার এই প্যান্টের কি হবে এখন বলেই পাশের যাত্রীর থেকে পানি নিয়ে সাদা প্যান্টে লাগানো মাত্রই কালো কালিতে প্যান্ট ভরে গেল। দেখার মত অবস্থা নেজামুদ্দিন স্যার বাজখাই কণ্ঠে বলল এই ড্রাইভার বাস থামাও এখনি, ড্রাইভার ভড়কে যেয়ে বাস থামানো মাত্র নেজামুদ্দিন মুন্সি লাফ দিয়ে নেমে গেল। প্যান্ট নষ্ট হবার ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি বলে সামনে কি আছে তা না দেখেই লাফ দিয়ে নামা মাত্রই এক হাটু কাদার মাঝে পড়ে গেল। সূর্য খুব ধীরে সুস্থে নেমে বলল স্যার কি অতিরিক্ত জামা কাপড় নিয়ে এসেছেন। নেজামুদ্দিন বলল চলো, ক্যাম্পাসে ফিরে যায় পরে দেখা যাবে। সূর্য আর তার লেকচারার সুপারভাইজার যখন ক্যাম্পাসে প্রবেশের সময় এমন ভাবে তাকিয়ে আছে যেন চিড়িয়াখানার প্রানী দেখছে। সূর্য বলল স্যার আমি চললাম কাল গবেষণা প্রবন্ধ নিয়ে হাজির হব। নেজামুদ্দিন অনেক চেষ্টা করেও যখন সূর্যকে আটকাতে পারছেনা তখন বলল একটা ছবি পরিবর্তন করতে হবে। সূর্য দেখল মাটিতে লবনের আস্তরণের ছবিটা অস্পষ্ট এটাকে নেজাম মুন্সি পরিবর্তন করতে বলেছে। সূর্য টুকু মিয়ার দোকানে বেশ কিছদিন যায় না। আজ মাথায় একটা চাপ নিয়ে এসেছে এবং বসে চা খাচ্ছে আর তখনই দেখল সেই মেয়েটা বসে আছে। সূর্য আগের দিন না বুঝে অনেক কথা বলেছে তাই আজ মেয়েটার মানে তরুনী শিক্ষিকার দিকে তাকাচ্ছে না মাথা নিচু করে লবন দিয়ে নুডুলস খাচ্ছিল কিন্তু শিক্ষিকার রুপের কাছে আবারো আনমনা হয়ে গেলে। নুডুলস খাওয়া বাদ দিয়ে কাদা মাটিতে লবন ছিটাচ্ছে টুকু মিয়া বলল ভাই লবন যে শেষ করে দিচ্ছেন কে শোনে কার কথা সূর্য লবন ছিটিয়ে আধা কেজি লবন শেষ করে দিল। পরে যখন হুশ হল তখন দেখল মাটিতে লবন এমন ভাবে পড়ে আছে যেন সল্টিফিকেশন হয়ে গেছে, ও দেরি না করে মোবাইলে ছবি তুলে নিয়ে দ্রুত পায়ে হেটে হলে চলে এল। টুকুর দোকানের মাটি আর লবনের ছবি দিয়ে অস্পষ্ট ছবিটা পরিবর্তন করে দিয়ে ভাবল নাম না জানা পরী মানবীর জন্যই আজ অসাধ্য সাধন হয়েছে। পরের দিন নেজামুদ্দিন ছবি দেখে বলল এত সুন্দর ছবি এত সল্প সময়ে কিভাবে পেলে? সূর্য বলল মোটর সাইকেল ভাড়া করে নিয়ে যেয়ে তুলে নিয়ে এসেছি এখন ফাইনাল ড্রাফটে সই করে দেন আমি জমা দিয়ে দেব বিভাগীয় প্রধানের কাছে তার সই এর জন্য। নেজামুদ্দিন লেকচারার সই করে দিল।

প্রেজন্টেশন শুরু হয়েছে মাত্র নেজামুদ্দিন উঠে বলতে শুরু করেছে স্যার এই ছেলে……… বিভাগীয় প্রধান নেজামুদ্দিন মুন্সিকে থামিয়ে দিয়ে বলল ওর বিষয় বস্তু আমি পড়ে দেখেছি আমার কাছে মনে হয়েছে ওর বিষয়টা সবার থেকে আলাদা। নেজামুদ্দিন বলল স্যার স্যার আমার একটা কথা ছিল…… বিভাগীয় প্রধান আবার বলল বুঝেছি তো তুমি খুব ভাল সুপারভাইজ করেছো এখন বস। সূর্য ঠিক মত গবেষণা প্রবন্ধ জমা দিয়ে পাশ করে গেছে এর পর নেজামুদ্দিনের সাথে কোন যোগাযোগ নেই। হঠাৎ একদিন নেজামুদ্দিন লেকচারার ওকে ফোন দিয়ে বলল সূর্য একটা মধ্যম সারির জার্নালে গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত করেছি। সূর্য ফোন রেখে হাসতে হাসতে নিজের পথে চলতে লাগল।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস-পরীক্ষার হলে দেরিঃ পক্ষ বনাম বিপক্ষ

লিখেছেন BM Khalid Hasan, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



বর্তমানের হট টপিক হলো, “১ মিনিট দেরি করে বিসিএস পরীক্ষার হলে ঢুকতে না পেরে পরীক্ষার্থীর স্বপ্ন ভঙ্গ।” প্রচন্ড কান্নারত অবস্থায় তাদের ছবি ও ভিডিও দেখা যাচ্ছে। কারণ সারাজীবন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

×