somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সূর্যের প্রেম প্রেম অভিজ্ঞতা ও বন্ধুদের প্রেম করা

২০ শে মে, ২০২০ রাত ১:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


সকাল আটটা বেজে পঞ্চাশ মিনিট বাইরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে মাঝে মাঝে দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছিল। এর মাঝেই এক জন শিক্ষক এলেন শ্রেনী কক্ষে। ইলেক্ট্রিসিটি চলে গেছে অনেক আগেই কিন্তু শিক্ষক মহাশয় সেই জিনিস, সে সাথে করে তিন চারটা মোমবাতি নিয়ে এসেছে। একটা ব্লাক বোর্ডের কাছে বাকি তিনটা ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন টেবিলে সেট করে দিয়েছে। তিনি এসেই বললেন আজ থেকে বছর বিশেক আগের কথা, আমাদের নির্মল স্যার নদী সাতরে এসে ক্লাস নিত সপ্তাহে তিন দিন, সে কোনদিন ক্লাসে দেরি করে আসেনি। শিক্ষক শ্রেনী কক্ষে এসে পড়ালে বা ময়াজ্র গল্প করলে বসে থাকতে ইচ্ছা হয় কিন্তু শিক্ষক নজিবুল্লাহ শ্রেনী কক্ষে পঞ্চাশ মিনিটের পয়তাল্লিশ মিনিট যাই আজে বাজে গল্প করে এবং পাঁচ মিনিট হাতে থাকতেই সে বলে এই দেখ দেখি কান্ড পড়ানোর কথা ভুলেই গেছি। এই নাটক্ম দেখে আসছে সূর্য ও তার বন্ধুরা গত এক বছর ধরে কেবল পড়ানোর কথা এলেই যত সমস্যা বাদবাকি সব ঠিক আছে।
একটা মোমনবাতি সূর্যের টেবিলের উপর রেখে গেছে নজিবুল্লাহ, সূর্য কিছুক্ষন পর পর ফু দিয়ে নিভিয়ে দিচ্ছে আর বলছে বাইরে থেকে বাতাস এসে নিভিয়ে দিচ্ছে নজিবুল্লাহ কম যান না ম্যাচের কাঠিতে ঘষা দিয়ে আবার জালিয়ে দিচ্ছে, জানালা বন্ধ করে দিচ্ছে। শিক্ষক নজিবুল্লাহ সূর্যকে এসে বলল তুমি বেরিয়ে যাও অন্তত আমাকে ক্লাস নিতে দাও। সূর্য বলল স্যার গত এক বছর ধরে পয়তাল্লিশ মিনিট করে নির্মল স্যারের সাতারের গল্প শুনে আসছি । নজিবুল্লাহ শিক্ষক কি যেন বলতে যাচ্ছিলেন কিন্তু বিকট শব্দে বিদ্যুৎ চমকানি তা একদম বসিয়ে দিল সেই সাথে দমকা বাতাস দড়াম করে দরজা বন্ধ করে দিল, মোমবাতিও নিভে গেল। ছেলে মেয়েরা ভয়ে বাইরে বেরিয়ে এল পাশ দিয়ে সিনিয়র শিক্ষক যাচ্ছিলেন তিনি নজিবুল্লাহ সাহেবকে বললেন কি ব্যাপার হচ্ছেটা কি এত ঝড় জলের মাঝেও কি জ্ঞান বিতরণ করে বেড়াচ্ছেন? নজিবুল্লাহ মিন মিনিয়ে বলল না আসলে ওদের সাথে একটু গল্প করছিলাম। জানালার পাশে বসা ছেলে মেয়েরা ভিজে একাকার ছেলেরা সামলে নিয়েছে কিন্তু কিছু মেয়ের সাদা জামা ভিজে সব কিছু যেন উকি দিচ্ছে।

শিক্ষক নজিবুল্লাহ চলে গেলে মোমবাতির অবশিষ্টাং দিয়ে একটা টেবিলের দখল নিয়ে সূর্য,জ্ঞানী, হয়রান আলী ও দাদা মিলে তাস খেলেতে বসেছে। মোমবাতির সামান্য আলো রুমের মধ্যকার অন্ধকারকে আরো প্রকট করে তুলছে ধীরে ধীরে। প্রেমিক প্রেমিকারা কেউ জানালার ধারে কেউ বা রুমের কোনা কানচিতে আশ্রয় নিয়ে উষ্ণতা বিনিময় করছে আর তা থেকে চকাশ চকাশ শব্দ ভেসে আসছে। মাঝে মধ্যে বিদ্যুতের ঝলকানিতে যা দেখা যাচ্ছে তা বর্ননাতীত। সূর্য বলল আসলে প্রেম বলে কিছু নেই সবই মোহ। জ্ঞানী বলল বিশ্ববিদ্যালয় কেবল জ্ঞান বিতরণ করে না, মন কে বড় বানায়, ভালবাসতে শেখায়। হয়রান বলল বাল করতে শেখায় তা না হলে আমি ২৯ বার প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হতে হয় না । এশুনে দাদা বলল আরে তুইতো প্রস্তাব দিয়েছিস আর আমিতো প্র প্র প্রস্তাব ও দিতে পারিনি। হয়রান বলল যে যাই বলুক না কেন পরাজয়ে ডরে না বীর। জ্ঞানী এক ইঞ্জিনিয়ার মেয়ের সাথে প্রেম জাতীয় কিছু একটা করে বলে বলেছে একদিন। সূর্য প্রেমে বিশ্বাসী না, ওর মতে সুন্দরী নারীদেহ ভোগ করার বাসনা থেকেই তার প্রতি প্রেম নামক মোহের জন্ম হয় যার নাম আধুনিক মানুষ দিয়েছে ভালবাসা। এ নিয়ে বন্ধুদের মাঝে বেশ দুর্নামা আছে সূর্যের তা নিয়ে অবশ্য ও মাথা ঘামায় না। সূর্য নিজে কোন প্রেম করে না তবে মাঝে মধ্যে কিছু মেয়ে কে সংগ দেয় চুক্তি ভিত্তিতে। এ নিয়ে কেউ কিছু বললে বলে ও বলে আমার এ ধরনের কার্যালাপ হল শরীর প্রেম মন গবেষণার চলমান পরীক্ষা।

বাইরে বের হয়ে চায়ের দোকানে বসে ড্যাম সিগারেট গায়ের জোর দিয়ে সূর্য আর জ্ঞানী মিলে সাথে তেতো চা দাদা বসে ট্রেড মার্ক সিংগাড়া আর হয়রান আলী বসে আছে সিগারেট বাকিতে মানে অর্ধপোড়া সিগারেট নিয়ে নেবার তালে। মূলত সবাই বসে কিভাবে প্রেম নামক জিনিসের উপর জয় পাওয়া যায় তার উপর গবেষনা করছে। হয়রান আলী বলল পরিচয়ের কয়দিনের মধ্যে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়া যায় সেটা একটা গবেষনার বিষয় হবার দাবি রাখে। সূর্য বলল আরে কাম হলে এক দিনেই হয় না হলে একশত দিনেও হয় না। সূর্য বলল কি দরকার প্রেমের ইতিহাস বলে প্রেমিকাকে একটা চুমু খেতে গেলেও হাজার হাজার টাকা ব্যয় হয়ে যায় ও টাকা দিয়ে শ শ সিগারেট হয়ে যায়। দাদা বলল তুই আছিস কেবল সিগারেট আর চায়ে প্রেম এর আলাদা একটা মর্ম আছে সেটা বোঝার বয়স এখনো হয়নি।
জ্ঞানী বলল প্রেম জাতীয় কিছু একটা করতে মনে হয় আমাকে কুয়েট যেতে হবে কেউ কি যাবি আমার সাথে আমি আর একা পারছিনা। হয়রান আর সূর্য বলল আচ্ছা যাব তা কবে যেতে হবে। জ্ঞানী বলল আগামীকাল ভোরে সূর্যদয়ের আগে, ওর খুব ইচ্ছা হয়েছে সূর্যদয় দেখবে আমাকে সাথে নিয়ে। সূর্য সব শুনে বলল আচ্ছা আমি রাজি তবে দুপুরের খাবার আর যাতায়াত ভাড়া এবং দিনের প্যাকেজ বাবদ দুশ টাকা নগদ দিতে হবে কিন্তু, জ্ঞানী উপায়ন্তর না দেখে বলল আমি রাজি। আকাশ আবার মুখ কালা করে কান্না করতে শুরু করে দিয়েছে সাথে রাগী রাগী চিৎকার তো আছেই। আশেপাশের ডোবা নালা সব কিছু ভরে উঠেছে, ব্যাঙের দল সুর ডাকছে। সিগারেটের সাথে সিদ্ধির মিশ্রন খেয়ে সূর্য ঝিমাচ্ছে আর বৃষ্টির ভেজা গন্ধ উপভোগ করছে সাথে আছে জ্ঞানী। দাদা আর হয়রান আলী ওদের কথিত পছন্দের মেয়েদের দেখতে ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সূর্যের ফোনের পর্দায় তানিয়ার ফোন পেয়ে লাফিয়ে উঠল কারন তানিয়া ওর কাছে মূর্তিমান আতংক কারন ওর আজব সব দাবি দাওয়া আর তা পুরনের একমাত্র জায়গা যেন সূর্য। ওদের দীর্ঘ দিনের পরিচয় তানিয়ার প্রেম আছে অন্য জায়গায় অবশ্য তা কতটুকু সত্য এক মাত্র তানিয়ায় জানে। ফোনে সূর্য অকে বলল তুই দেরি না করে বর্ষার ভেতর একটা রিকশা নিয়ে চলে আয় আজ আমি তোকে নিয়ে মন ভরে ঘুরব আর বৃষ্টি চা খাব। সূর্য আলামত ভাল না দেখে জ্ঞানীকে বলল কেন যে আজ তোর ডেটিং এর দিন হল না। সূর্য জানে ও যদি না যায় তাহলে তানিয়া চলে আসবে তাই অগত্য একটা রিকশা নিয়ে তানিয়ার হলের সামনে এসে দাড়ালো। তানিয়া খুব সুন্দর করে সেজেছে আকাশী রঙের শিফণ শাড়ি, নীলচে ব্লাউজ সাথে গাড় লালচে লিপস্টিক। বর্ষার ঠান্ডা বাতাসে গায়ে কাটা দিয়ে উঠছে তানিয়া রিকশায় উঠেই ঝুকে বলল এই গাধা ওঠ সূর্য হা করে হিমালয়ের দিকে তাকিয়ে আছে এই দেখে তানিয়া বলল পরে দেখিস আগে ওঠ বর্ষা চলে গেলে সব মিস হয়ে যাবে। যা হোক সূর্য ও তানিয়া রিকশায় চরে বসল। তীব্র বর্ষায় বাতাসে তানিয়া খুব কায়দা করে শাড়ি ঠিক রেখেছে কিন্তু বর্ষায় ভিজে একাকার। তানিয়া বলল আমাই প্রেম করিনা কিন্তু প্রেমের অয়াবেগ কেমন হয় অনুভূতি কেমন হয় বা ছেলেবন্ধুকে নিয়ে কিভাবে ঘুরতে হয় সেটার একটা অভিজ্ঞতা আমার দরকার তাই আজ এ বর্ষাস্নাত দিনে তোকে নিয়ে বের হওয়া গাধা, এখন একটু প্রেমিক প্রেমিক অভিনয় কর। ক্যাম্পাস থেকে অনেকটা সামনে এসে একটা ভাংগা চায়ের দোকানের সামনে রিকশা থামল। সূর্য আর তানিয়া চায়ের অর্ড়ার দিয়ে কাঁপছে ঠক ঠক করে চা আসার পর তানিয়া বলল দেখ আজ আমরা চা খাব বর্ষার মধ্যে দাঁড়িয়ে। সূর্য বলল তা কি করে হয়, তানিয়া ভরা বর্ষার মধ্যে বাইরে এসে চায়ের কাপে চুমুক দিতে লাগল তাতে বৃষ্টির পানি আর চা এক হয়ে তানিয়ার পেটে যাচ্ছে। সূর্য আর এক কাপ গরম চা নিয়ে বর্ষার মধ্যে চুমুক দিতে লাগল সাথে অনেক কষ্ট করে সিগারেট ফুকছে। তানিয়া আকাশের দিকে তাকিয়ে হাসছে শাড়ী লেপ্টে শরীরের সাথে মিশে শরীরের প্রতিটা ভাজ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে সূর্য প্রচন্ড্র ঠান্ডার মাঝেও গরম অনুভব করল। কেন যেন মনে হল প্রেম আসলে করাই লাগে কিছু কারনে কিছু সময় প্রেমিকাকে নিজের মত করে পাবার জন্য। প্রক্সিতে আর যায় হোক প্রেমিকার উষ্ণ চুম্মন জোটে না। চায়ের দোকানের খালা পাশে বসা আর এক খালাকে বলল শহরের মাইয়া পোলা মনে কই সারা জীবন বৃষ্টিতে ভেজবার পারে নাই তাই ভিজতে নিছে শরম বরম বাদ দিয়ে। পাশে বসা খালা বলল যৌবন বড় আজব জিনিস গো কিছু মানে না ওই বয়সে আমিও কত কিছু করেছি বলে চোখ টিপলো। সুর্য দেখল তানিয়া হাটু সমান কাদায় দাঁড়িয়ে আছে আর বলছে এই আমার পা আটকে গেছে তুলতে পারছিনা আমাকে উঠিয়ে নে। সূর্য দেখল এর সাথে কথা বলা বৃথা এদিকে বর্ষা আরো বাড়ছে তাই কাদায় নেমে তানিয়াকে শক্তভাবে ধরে টান দিয়ে উঠিয়ে নিয়ে চলে এল। রিকশাওয়ালা বসে বসে সিগারেট ফুকছিল আর গুনগুনিয়ে গান গাচ্ছিল অবশ্য এছাড়া আর কোন কাজ তার ছিল না। সূর্য বলল মামা চল এবার, বর্ষা যেন আরো জেকে বসেছে রাস্তার উপর দিয়ে তীব্র স্রোত বয়ে যাচ্ছে দুই একটা মাছ রাস্তার এপার থেকে ওপারে যাতায়াত করছে আর ছেলে মেয়েরা দল বেধে মাছ শিকারের জন্য ওঁত পেতে আছে। তানিয়া যা দেখে তা ওর করা লাগে, সে বায়না ধরল সেও একটা মাছ ধরবে। সূর্য আর ও মিলে হাচড়ে কামড়ে একটা মাছে ধরে আবার ছেড়ে দিয়ে রিকশায় উঠে বসল। সূর্যের ঘড়ি অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গেছে কিন্তু অভ্যাসবশত সূর্য মাঝে মধ্যেই ঘড়ি দেখছে ও আন্দাজ করল দুপুর বারোটা বাজবে। ঘন্টা দুয়েক বর্ষায় ভিজে সূর্য একেবারে কাক হয়ে গেছে তানিয়া ঠিক উল্টো বর্ষার পানিতে ভিজে প্রস্ফুটিত পদ্মের ন্যয় ফুটে উঠেছে। সূর্য মনে মনে ভাবল আর যাই হোক এর সাথে দীর্ঘ প্রেম বা বিয়ের মত সম্পর্ক স্থাপন করা চলে না। রিকাশায় ফিরে আসার সময় তানিয়া কারন ছাড়ায় মাঝে মাঝে ওকে জড়িয়ে ধরছে সূর্য বলল তুই ঠিক আছিস তো উত্তরে তানিয়া বলল পুরুষের স্পর্শ নিচ্ছি আর কিছুই না। ক্যাম্পাসে এসে দেখে অসংখ্য ছেলে মেয়ে বর্ষায় ভিজে ভিজে প্রেম করছে। তানিয়াকে ওর হলের কাছে পৌঁছানোর ঠিক আগে সূর্যের মাথাটা ধরে ওর ঠোট সূর্যের ঠোটের সাথে মিলিয়ে উষ্ণতা বিনিময় করে বলল তুই শালা একটা গাড়ল। উত্তরে সূর্য বলল সকাল থেকে সিগারেট ছাড়া কিছু খাইনি সাথে বর্ষার পানি আর কয়েককাপ চা খিধেই পেট চো চো করছে একটা চুমুই কিছু হবে না আরো কিছু দিতে হবে। তানিয়া রিকশা থেকে না নেমে আবারো ওকে চুমু দিতে শুরু করলে সূর্য বলল এই তু কি পাগল হয়ে গেছিস নাকি নেমে পড় দ্রুত। একরকম তানিয়ার কবল থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে সূর্য চায়ের টঙয়ের দিকে রয়না হল। তানিয়া বলল আমি চেঞ্জ করে আসছি এক সাথে খাব আজ। সূর্য এসে দেখে জ্ঞানী বসে জ্ঞান বিতরণ করছে মহাকাশ সম্পর্কে যদিও সে বিষয়ে তার জ্ঞান খুবই সীমিত। সূর্য এস বলল অনেক হয়েছে এখন আয় তোদের বর্ষা চা খাওয়ানো শেখা । সূর্যের দেখাদেখি অনেক বর্ষা চা খেতে শুরু করল কিছুক্ষন পর তানিয়া এসে বলল চল চল খাওয়া দাওয়া করে আসি পাছে দেরি করে লেট হয়ে বিলম্ব হয়ে গেলে কিছুই পাব না। খাওয়া খরচ সব তানিয়ায় দিল আর তাতে চার পাচজন পেট পুরে খেয়ে নিল। সূর্য বলল আমি আর চলতে পারব না তোরা যা কিন্তু পড়েছো মোগলের হাতে খানা খেতে হবে এক সাথে কি আর করা কোন রকমে হলে যেয়ে শুকনো জামা কাপড় পরে নিয়ে আবার নিচে চলে আসল সাথে বাতাস ভরা বালিশটা আনতে ভুল করল না। পরিচিত চায়ের টঙয়ে বসে সবাই আড্ডা দিচ্ছে আর সূর্য নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে। পাক্কা দুই ঘন্টা ঘুমিয়ে পার করে দেবার পর যখন চোখ মেললো তখন দেখল ওকে ঘিরে অসংখ্য মানুষ সবাই উৎসুক চোখে ওকে দেখছে। ও আবিষ্কার করল সব কিছু ঠিক আছে কিন্তু সমস্যা হল ওর শরীরে কাপড়ের সামান্য অংশই বাকি আছ, হাতে পায়ে কয়লার কালি দিয়ে আকা ছবি। যা হোক ভরা আড্ডায় ঘুম দেবার কাফফারা হিসাবে সবাইকে ক্ষমা করে দিল। হাত মুখ ধুয়ে এসে বাদর গ্রপের কাছ থেকে নিজের জামা কাপড় চেয়ে নিয়ে গরম সিংগাড়া খেতে শুরু করল। তানিয়া হয়রান আলিকে বলছে তুই যদি চাস তাহলে এবার আমিই তোর হয়ে প্রস্তাব দিব সুমিকে দেখিস ঠিকই হয়ে যাবে। সূর্য আর দাদা বলল ভালই হবেরে হয়রান তর আর বালিশ লাগবে না। হয়রান আলী বলল কেন কেন বালিশ লাগবে না কেন? তানিয়া দাদা আর সূর্যের দিকে তাকিয়ে বলল তোরা আর মানুষ হবি না। তানিয়া হয়রান আলীর দিকে তাকিয়ে বলল এ কারনেই তোর প্রেম হয় না বুঝলাম, হয়রান আলী মাথা ঝাকিয়ে বলল হুম। কিছুক্ষন পর হয়রান আলী বলল কি কারন ? সবাই এবার আর হাসি ধরে রাখতে না পেরে হো হো করে হাসতে লাগল।

জ্ঞানী বলল প্রেম করবে কিন্তু কোন প্রমান রাখবে না তা কি হয় নাকি? প্রেম প্রেম খেলা এর নাম প্রেম না কিন্তু কি করি বল ওই যে আজব একটা নেশা, না এবার একটা কিছু করতে হবে। তানিয়া বলল আমি আর হয়রান জুটি সেজে ছবি তোলার ফাকে তদের একটা ছবি নিয়ে নিব চিন্তা করিস না। জ্ঞানী মনে মনে প্রমাদ গুনল কারন এরা দুজন এক হয়ে বসলে বিনা মেঘে বজ্রপাত থেকে শুরু করে গাছের তাজা ডাল ও মাথার পরে ভেঙ্গে পড়ে মাঝে মাঝে। পরদিন ভর চারটায় সবাই এক জায়গায় তানিয়ার জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। হয়রান আলী বলল ও আসবে না কিন্তু সূর্য জানে তানিয়া আসবেই। জ্ঞানী বার বার ঘড়ি দেখছে সূর্য বিরক্ত হয়ে বলল এই এ কি অলিম্পিকের খেলা নাকি যে সেকেন্ড ধরে পৌছাতে হবে। তানিয়া হাঁপাতে হাঁপাতে এসে বলল আরে বলিস না পুরে পাঁচশত টাকার একটা নোট গেট ম্যান মামাকে ঘুষ দিয়ে তারপর এলাম। সূর্য বলল তোকে যদি বিয়ে করি তাহলে তোর বড়লোক বাপের কথা মাথায় রেখেই করব। হয়রান আর দাদা অটো রিকশা নিয়ে নিয়ে আসল এর পর সবাই মিলে রওনা দিল। হয়রান আলীকে সূর্য বলল তুই মাস খানেক তানিয়ার কাছে প্রশিক্ষন নে কিভাবে মেয়েদের সাথে কথা বলতে হয় তারপর মাঠের খেলায় নাম তবেই গোল দিতে পারবি। হয়রান আলী একটু খেকিয়ে উঠল ওকে থামিয়ে দিয়ে দাদা বলল এই তো কিছুদিন আগে রাখি নামের অপূর্ব সুন্দরী একটা মেয়েকে নিয়ে সারাদিন ঘুরে আসার পরদিন মেয়ে বলে দিল আর যাই হোক হয়রানের সাথে প্রেম চলে না। পরে নানা মাধ্যমে জানা গেছে হয়রান আলী সারাদিন রাখিকে নিউটন এর ফিজিক্স, ডারইউনের ইভোলুয়েশন থিওরি সহ নানা জিনিস বুঝিয়েছে প্রপোজ করার নামে। তানিয়াও কম না এক ছেলে ওকে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ার পর ছেলেকে বলেছিল আচ্ছা বাসর রাতে তুমি কি করবে। ছেলেটি নিজেকে চরম প্রেমিক প্রমান করার জন্য বলেছিল আমি সারা রাত তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে কাটিয়ে দিব। তানিয়া বলেছিল এমন অপদার্থ ছেলের আমার দরকার নেই যে নতুন বউকে আদর না করে নপুংসকের মত চেয়ে থাকবে সারা রাত।

এই হল ওদের কান্ড কারখানা কে করবে প্রেম ওদের সাথে।

সময় ভোর পাঁচটা বিশ জ্ঞানী রিদিতার হলের সামনে দাঁড়িয়ে আছে হাতে এক গুচ্ছ নীল গোলাপ। হ্যা অবাক হবার কিছু নেই নীল রঙ দিয়ে সাদা গোলাপ কে নীল করে নিয়ে এসেছে। দেখাতে হবে তোমাকে অনেক ভালবাসি। রিদিতা এসেই বলল এখন কটা বাজে সূর্য তো উঠে গেছে কি হবে এখন। জ্ঞানী থতমতিয়ে বলল সূর্য তো আমার সাথেই আছে। রিদিতা কি বুঝল কে জানে পরক্ষনেই বলল আমি জানি চল এখন বসে সূর্য দেখি আর একটু প্রেম করি ঘন্টা খানেক পর তো আবার কিছুক্ষণের জন্য খালাতো ভাই সাজতে হবে। এদিকে হয়রান আর তানিয়া কিছুক্ষন পর ক্যামেরা নিয়ে ঘুর ঘুর করতে লাগল। রিদিতা ওদের দেখেই বলল আরে আরে এই ছেলেকে কোথায় যেন দেখেছি, জ্ঞানী বলল এই হল তোমার সমস্যা সবাইকে চেনা চেনা লাগে তোমার ডাক্তার দেখানো উচিত। লে ঠ্যালা এক চোট ঝগড়া হয়ে গেল। হয়রান পারুক না পারুক তানিয়া কিন্তু ছবি তুলে নিয়েছে ক্লিক ক্লিক করে। তানিয়া ভাল করেই জানে হয়রান কে বেশি সুযোগ দিলে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে দিতে পারে তাই সে বলল দেখ আমি সূর্যকে পছন্দ করি কিন্তু ভালবাসি না, আমার পছন্দ কালো বিদেশী ছেলে। হয়রান বলল আমার চুল তো কোকড়া আবার আমি দেখতেই লম্বা তাহলে আমিই তো বিদেশীর মত উত্তরে তানিয়া বলল তুই তো নিগ্রোদের জাত ভাই তুই বিদেশী হবি কি করে। এদিকে সূর্য বসে বসে প্রেম কাননে চা সিগারেট ফুকছে। কিছুক্ষন পর জ্ঞানী এসে বলল কি রে কি করিস ? চল নাস্তা করে আসি। সূর্য বলল এর মধ্যে হয়ে গেল? জ্ঞানী বলল না হাফ টাইম কোন গোল দিতে পারিনি পরের হাফে দেখা যাবে। ওরা দুজন রিদিতাকে সংগে নিয়ে ক্যাফেতে বসে নাস্তা করছে আর কেউ রিদিতার কাছে ওদের পরিচয় জানতে চাইলে রিদিতা বলছে এর নাম জ্ঞানী আমার খালাতো ভাই আর এ হল সূর্য জ্ঞানীর বন্ধু। সুর্যের এক বন্ধু রিদিতার কাছে জানতে চাইলে সে একই কথা বলে দিল সূর্য চোখ ইশারায় বন্ধুকে যা বলার বলে দিল। হয়রান আলী কিন্তু তানিয়াকে প্টিয়ে ফেলার তালে আছে কিন্তু তানিয়া যে সে চিজ না হয়রান কে তা বোঝাবে কে। হয়রান আলী ওর মনের জমে থাকা সব দুঃখের কথা তানিয়াকে বলতে লাগল। হয়রান বলল জানিস ইথার নামে এক মেয়েকে ভাল লেগেছিল কিন্তু মেয়েটার দাঁত বিশ্রী রকমের উঁচা ছিল কিন্তু আমার ভালবাসার কাছে কোন বাঁধা হয়ে দাড়াইনি চেহারা। বিশ্বাস কর চুমু খেতে গেলে কি রকমের সমস্যা হয় দাঁত বিশ্রী রকমের উচু হলে, আমি দুই বেলা না খেয়ে হাজার দশেক টাকা যোগাড় করেছিলাম তাদের চিকিৎসা করাবার জন্য কিন্তু মাইরি দেখ আমার সাথে প্রেম হল না, প্রেম হল ওই হাটখুড়ো ইরেশের সাথে, আমাকে বলল তুমি পাহাড়ের মত আমি মরেই যাব ভবিষ্যতে তোমার ভারে। না না আমি পারব না তোমার ওজন নিতে, প্রেম করব না আমি তোমার সাথে। আমার দোষ কি বল? আমি একশত কেজির উপর মোটা এই যা। এই মোটার জন্য শালা কলকাতায় ট্রেনে ট্রেনে ঘুরলাম সব মেয়েই বলে দাদা একটু সামলে কেউ বলে না এই তোমার নাম কি? তানিয়া বলল মোটা কমলেই পারিস ? হয়রান আলী বলল কি করব বল সকালে পনেরটা রুটি পাঁচটা ডিম না খেলে যে হয় না, দুপুরে সাত আট প্লেট ভাত ডাল মাছ, রাতে তো আছেই। তানিয়া দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে বলল সব কিছু বাদ দিয়ে কেবল খেয়ে যা প্রেম করা লাগবে না।
রিদিতা একটা ছেলের সাথে কথা বলছে আর সূর্য কে জ্ঞানী বলছে ব্যাপারটা হল রিদিতা চাই না কেউ ওদের প্রেম আছে তা জেনে ফেলুক এই জন্যে খালাতো ভাই বলে চালিয়ে দিয়েছে এর বেশী কিছু না। এদিকে সূর্যের বন্ধু এক ফাকে এসে জানিয়ে দিয়েছে যে নানা সময় নানা রকমের ছেলে আসে রিদিতার সাথে এরকম ভোরে সূর্য দেখার জন্য আর রিদিতা তাদের মামাতো, চাচাতো, ফুপাতো, খালাতো, এলাকার ভাই, বড় ভাই, ছোট ভাই, আংকেল বলে পরিচয় করিয়ে দেয়। সুর্য যা বোঝার বুঝে গেছে ও জ্ঞানীকে বলল অনেক তো হল এবার বল রিদিতার সাথে কি কিছু হয়েছে না প্রেম প্রেম খেলা না শরীরী প্রেম। জ্ঞানী কোন কথা বলল না শুধু বলল দোস্ত ঝামেলায় আছি বুঝতে পারছিনা কি করব। সুর্য বলল তুই পরের হাফে পারলে গোল দিয়ে আয় পরের ফিনিশিং আমি দেব। জ্ঞানী রিদিতার সাথে প্রেম কাননে চলে গেল। ওরা পাশাপাশি বসে আছে মাঝে মধ্যে খুব রোমান্টিক হয়ে যাচ্ছে আবার মাঝে মধ্যে ঝগড়া পাতি করছে। বাদরের মত কিছু ছেলে পুলে প্রাচীর টপকে ওদের দিকে তাকিয়ে ফিক করে হেসে দিচ্ছে। এখানে প্রেম ট্রেম করতে হলে চোখ বন্ধ করে করতে হয়। সূর্য চিন্তা রিদিতা সম্পর্কে খোজ খবর নিয়ে যতটুকু জানল তা হল মেয়েটার মধ্যে কিছু একটা সমস্যা আছে কিন্তু এখনো বড় ধরনের কোন গড়বড় হয়নি। নানা পদের ভাই ব্রাদারের সাথে এক দুই বার করে দুই এক ঘন্টা সময় কাটিয়েছে কিন্তু গত তিন বছর কিন্তু জ্ঞানীর সাথে নিয়মিত দেখা করে যাচ্ছে। কিন্তু সমস্যাটা যে কোথায় তা কিছুতেই বুঝে পাচ্ছে না। সিগারেট ফুকছে আর তিতা চা খাচ্ছে কড়কড়িয়ে। হুট করে মনে হল জ্ঞানী যেমন মানুষের উপর পরীক্ষা চালায় তেমনি রিদিতা ওর সাথে সাধারন মানুষের পার্থক্য বের করে বেড়াচ্ছেনাতো?

সময় যে কিভাবে চলে যায় তা আসলে বোঝা খুবই কষ্টকর। কুয়েটে এসেই দাদা গায়েব হয়ে গেছে। দাদা এদিক ওদিক ঘুরে ফিরে সুবিধা না করতে পেরে চায়ের দোকানদার মহিলার সাথে গল্পে মেতে উঠেছে। চা বিক্রেতা মহিলা ওকে শোনাচ্ছে ছেলে মেয়েদের চা খেতে খেতে করা প্রেমের গল্প আর দাদা খুব মনোযোগ সহকারে শুনছে আর কি সব যেন নোট করছে। সূর্য এসে দাদাকে এই অবস্থায় দেখে বলল এই হল ভাল ছাত্রদের অবস্থা, সব কিছুই নোট করে রাখতে হয়। দাদা বলল একদম বাস্তব গল্পরে মামা একদম বাস্তব এক বিন্দু ও মিথ্যা না। চাচীর কথার পনের শতাং যদি ঠিক হয় তাহলে এবার প্রেম হবেই আমার কেউ ঠেকাতে পারবে না। এই শুনে সূর্য বলল চল দুপুরে খাবি খালি পেটে তোর মাথা খারাপ হয়ে গেছে। যাবার সময় বলল চাচী চাচা কই এখানে থাকে না অন্য চাচীর সাথে। চাচী বিরস নয়নে বলল বাবারে আমারে ছাইড়া গেছে বছর দুই আগে। সূর্য বলল দাদা চাচীর নিজেই নিজেরটা ঠিক করতে পারছে না বাকিটা বুঝে নে।
সুর্য বলল কিছু ব্যাপার আছে যেটা বাইরে থেকে দেখেওতে এক রকম হলেও প্রতিটি মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা এবং প্রত্যকে মানুষ আলাদা আলাদা ভাবে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখে যদিও সাধারন চোখে সব এক রকম মনে হয়। প্রতিটা জুটির মধ্যে হাসি আছে, কান্না আছে , আছে রাগ বিরাগ মান অভিমান ভাল মন্দ কত কিছু। বাইওরে থেকে আমরা কেবল হাসি, আনন্দ আর অভিনয় দেখি কিন্তু এ অভিনয় প্রতিটা জুটির আলাদা রকমের। দাদা বলল আমি অত বুঝি না রে কেবল বুঝি একটা প্রেম করতে পারলাম না

দুপুরে সবাই খাওয়া দাওয়া সারল। হয়রান আর তানিয়া আলাদা খেল পাছে রিদিতা বুঝে ফেলে অরা সব এক দলে। খাওয়া দাওয়া শেষে সূর্য বলল সত্যি বলতে কি আমার খালাতো, মামাতো, চাচাতো বোনেরা প্রায় আসে আমার সাথে দেখা করতে আমি ভেবেছিলাম এরকম আজব থিওরি নিয়ে কেবল আমিই কাজ করি যাক অবশেষে তোমাকে পেলাম একই গবেষণা করছে। রিদিতা কি বলবে কিছু বুঝে উঠতে পারছে না। সূর্য বলল সময় থাকতে সব ঠিক করে নিতে না পারলে পরে আর হবে না গ্যাস ঝালাই করলেও ভেঙ্গে যাবে বলে উঠে চলে গেল।

ওরা সবাই আলাদাভাবে কুয়েটের বাইরে এসে আবার অটো রিকশায় রওনা দিল। হয়রান এর কাছ থেকে ক্যামেরা নিয়ে ছবি দেখার সময় সবাই হেসেই অস্থির। রিকশা থামিয়ে রাস্তার পাশে নেমে সবাই হাসছে আর হাসছে হাসবে না কেন? ক্যামেরায় যে ছবি উঠেছে তাতে দেখা যাচ্ছে রিদিতা জ্ঞানীর টাকে চুমু দিচ্ছে আর জ্ঞানী একটা কবিতার বই মুখের সামনে ধরে আছে। দাদা নিজের ক্যাম্পাসে এসে চাচীর থিওরি কাজে লাগাতে নেমে পড়ল কোমর বেধে এর মাঝে জনা দশেক মেয়েকে চা খেতে যাবার জন্য বলেছে একজন নিমরাজি বাকিরা ল্যাং মেরে দিয়েছে। এদিকে তানিয়া হয়রান আলীকে তাড়িয়ে দিয়েছে বলেছে ও একটা গাড়ল টাইপের ছাত্র তা না হলে ম্যাডামের দিকে বদ নজরে তাকায়। সূর্য এসব দেখে হাসতে হাসতে আপন মনে বলে প্রেম লীলা বোঝা বড় দায় এ আমাদের দ্বারা হবে না।

সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০২০ রাত ১:৪০
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস-পরীক্ষার হলে দেরিঃ পক্ষ বনাম বিপক্ষ

লিখেছেন BM Khalid Hasan, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



বর্তমানের হট টপিক হলো, “১ মিনিট দেরি করে বিসিএস পরীক্ষার হলে ঢুকতে না পেরে পরীক্ষার্থীর স্বপ্ন ভঙ্গ।” প্রচন্ড কান্নারত অবস্থায় তাদের ছবি ও ভিডিও দেখা যাচ্ছে। কারণ সারাজীবন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

×