somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আয়না কথন…

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :







“:আষাঢ়ের সকালগুলোর কেমন যেন অদ্ভুত মাদকতা থাকে।হঠাতই কখন যে ঘোর লাগা কালো অন্ধকারে চার-পাশটা ঢেকে যায়,আর চারপাশটাকে মায়ায় জড়ানো নিস্তদ্ধতার বন্ধনে বন্দী করে ফেলে ঠিক ধরাই যায় না।”

:কারো কাছে এই অবস্থাটা দিনের পূর্বাভাস হলেও কারো কাছে সম্ভবত আকাশ ভরা সিক্ত ভালবাসার হাতছানি।ঐ যে আয়নার দিকে গভীরভাবে তাকিয়ে চোখে গাঢ় করে কাজল পড়ছে যে আপুটি,তার সম্ভবত সে রকম কোন ব্যাপার থাকতে পারে।”

:শহুরে ব্যস্ততার সুতীব্র প্লাবনটা ইতো মধ্যে তাদের শুরু হয়ে গেছে।মানবিক প্রতিশ্রুতিগুলোকে চোখের গাঢ় কাজলে পরে নেয়ার কি অদ্ভুত এক প্রতিযোগিতা তাদের মাঝে।।”

কফির ক্যানটা বিন বক্সে ফেলে আবারো চেয়ার এসে বসলো আনতারা।ল্যাপির মিনটরে চোখ রেখে আবারো মনযোগ দিয়ে পড়তে শুরু করলো লেখাগুলো।।



ভার্সিটি জীবনের প্রথমদিকে সকাল-সকাল কমনরুমে আয়নার পাশে বসে চা খেতে খেতে আয়নার সামনে দাড়ানো নানান মানুষের নানান ধরণের অভিব্যক্তি মাখা মুখশ্রী দেখার অদ্ভুত এক স্বভাব পেয়ে বসেছিল আনতারাকে।যেখানে প্রত্যেকেই আয়নায় তাদের নিজেদের খুঁজে বেড়ায়।।

শুধু তাই না অদ্ভুত সেই অভিব্যক্তিগুলো দেখার সাথে সাথে মনের আঙিনায় ভেসে ওঠা ভাবনার ফুলঝুরিগুলোও মুঠোফোনের স্মৃতি ভান্ডারে টুকে নিতেও একদম ভুলে যেত না আনতারা!!
সম্ভবত ভাংচুর করে ফেলা ঘুমটা ঠেলে সকাল আটটার ক্লাসটাকে জয় করে নেয়ার জন্য অন্য কোন উপায়ও জানা ছিল না তার।।

বহুদিনের পুরোনো টুকরো সব মন কথার ঝুলিটাতে আজ আবারো হানা দিতে মন চাইলো আনতারার।আপাতত বিশাল একটা বোঝা মাথা থেকে সরে গেছে মাস্টার্সেরর ফার্স্ট সেমিস্টারটা শেষ হওয়ার পর।তাই আজ অবেলায় পুরোনো ঠাসবুনুনি প্রশ্ন জালের ঝুলিটাতে আবারো হানা দেয়ার ইচ্ছে জাগলো তার।।



“:আচ্ছা,আয়নার দিকে চোখ বড় বড় করে নিজের আইলাইনার দেয়া চোখটার দিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা আপুটার কি নিজেকে আজকে বেশ সুন্দর লাগছে..?? আচ্ছা,সুন্দরতার মানেটা কি..??এই গাঢ় করে কাজল পরা নাকি মোটে করে টেনে দেয়া সেই আইলাইনার..??

:পছন্দের মানুষগুলোর সাথী হতে চাইলেই কি নিজেকে এই সব বাড়তি জিনিসের সাথে জড়িয়ে নিতে হয় নাকি এই বাড়তি জিনিসগুলো তাদের জীবনেরই অংশ??

:তবে, বাড়তি জিনিসগুলোর কি তাদের জন্য নাকি তারা এই সব বাড়তি জিনিসের জন্য,যে ভাবে এই সবের মাঝে হারিয়ে যায় তারা…চিনায় দায় হয়ে দাড়ায়.!!

:আয়নার সামনে দাড়িয়ে কি অদ্ভুত ভাবেই না তারা তাদের বাহিক্যতাগুলোকে রাঙিয়ে নিতে প্রাণান্তকর চেষ্টায় রত..আচ্ছা তাদের কখনো ভেতরের আমি’টাকে এমন কিছু দিয়ে রাঙিয়ে দিতে মন চায় না.. এমন ভাবে নিজের ভেতরটাকে রাঙিয়ে আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে দেখতে ইচ্ছে হয় না..???

আচ্ছা,ভেতরটাকে রঙিন করার কি কোন প্রসাধনী পাওয়া যায়..তবে আজই সে রকম কিছু একটা কিনে নিতাম।।”

বহুদিন আগে লেখা নিজের শেষ শব্দগুলো পড়ে আনমনেই হেসে ফেললো আনতারা। কত অদ্ভুত জিনিসই না মাথায় ঘোরাঘোরি করত সেই সময়।মাত্র টিনেজ পেরোনো মনটার জটিলতা বা প্রশ্নগুলো কি আসলেই খুব সহজ ছিল।মোটেই না সম্ভবত…!!



ছোট মামা সব সময় বলতেন একবার ভার্সিটিতে উঠে নে..দেখবি এর পর, কেউ আর খবরই নিচ্ছে না..কেউ পাত্তাই দিবে না!!মামা, আসলেই ঠিক ছিলেন!! হঠাত করেই কিভাবে যেন আশ-পাশের মানুষগুলো হাতটা ছেড়ে দেয়!!

বয়সটারও সে কি অদ্ভুত দো-টান।

না ,সেই টিনেজ বয়সের অদ্ভুত সব জেদে ডুবে থাকা যায়,না পারা যায় অপরিপক্ব মনটাকে সাথে নিয়ে চার-পাশটার সাথে পাল্লা দিতে।



মনের সায়রে জেগে ওঠা নতুন নতুন সব প্রশ্নজালে সে যেন মাকড়সার ন্যায় সেই জটিল জালচক্রে নিজেই আটকে পরে।।

পরিবারের সব বান্ধকতা ছেড়ে সে সম্ভবত এই প্রথম নিজের চোখে আশ-পাশটা পড়তে শুরু করে। তবে শঙ্কার জায়গাটা এখানেই টিনেজ বয়সের মত কেউ আর তার পথ চলার সাথী হয় না..তার নিজেকেই স্ব-উদ্যাগে রাস্তাটা চিনে নিতে হয়..মনের হাজার সব প্রশ্নের উত্তর নিজেকেই খুজে নিতে হয়।।

এক চিলতে তৃপ্তির হাসি আপনাআপনিই জেগে ওঠলো আনতারার ঠোঁটে পুরোনো সব ভাবনাগুলোর নতুন এই স্বতন্ত্র রূপে জেগে ওঠতে দেখে।

হ্যা,সে তো পেরেছে তার জীবনের অত্যন্ত গুরুর্তপূর্ণ প্রশ্নগুলো উত্তর খুঁজে নিতে।।

উত্তরগুলো খুব বেশি গোছানো না হলেও খুব বেশি অস্পষ্টও না তার কাছে।।



সম্ভবত আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজের ভেতরটাকে দেখার মত দুঃসাহস মানুষের কোন কালেই তৈরি হবে না…তাই সম্ভবত এই রকম কোন ব্যবস্থা আদৌ তেরি হয় নি।।

পৃথিবীটা তখন সম্ভবত আরো অনেক বেশি জটিল আর কঠিন হয়ে দাড়াত।জীবনের এত সব জটিল ধাঁধাও তখন আর তৈরি হত না।জীবনের এত বর্ণিল রঙ তখন শুধু এক ফিকে রঙের আধারেই লুকিয়ে থাকতো।।

এই না পারাটাই রাব্বুল আলামীনের প্রজ্ঞার পরিব্যাপ্তি আর অসীম জ্ঞান সত্তার বলয়ে ঢুকার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় মানুষের অনাদিকাল ধরে ছুটে চলার প্রেরণা জুগিয়েছে।এ যেন অদেখার মাঝে দিব্যতার উচ্ছল প্রকাশ প্রক্রিয়া।তাই তো মানুষকেই শুধু খুজে নিতে হয় তার অনুভূতিশীলতার প্রখরতার মাঝে।।



আর তাই একই সাথে ছুটে চলার এই পথচলায় নিজের অনুভব আর অনুভূতির মাঝে ভেতরটাকে খুজে নিয়ে স্বতন্ত্র সত্তায় আত্মপ্রকাশের নামই সম্ভবত নিজেকে আবিষ্কার করা।এটাই সম্ভবত জীবনের তরে দুঃসাহসিকতা।।

আর দুঃসাহসিকতার জন্ম যে আজন্মই দুষ্প্রাপ্য এবং তা অনাদিকাল ধরেই।তাই সম্ভবত সবাই সহজেই সুলভ আর সস্তায় জীবনকে জড়িয়ে নিতেই সবচেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।।

তাই,আজকের এই বিশাল জ্ঞান নিকেতনের অজস্র এই বইগুলোর মধ্যে বসে আনতারা খুব ভালোভাবে অনুধাবন করতে পারে, আয়নার সামনে নিজদের বাহ্যিকতাকে মেলে ধরা মানুষগুলোর ঠুনকো সব মানবিক বিশ্বাসগুলো।।



এরা প্রত্যকেই ধোয়াশা এক ধুম্রজালের নানান অমূলক আর অলীক সামাজিক পরিকাঠামোয় বন্ধী হয়েই জীবন যাপন করে,যেখানে ব্যক্তিসত্তার কোন উন্মেষই কখনো ঘটে না।

যার ফলাফল স্বরূপ,নিজের সৌন্দর্যতার কিম্ভূতকিমাকার আদলেই তারা সবচেয়ে বেশি সুখী এবং বিশ্বাসী।

কিন্তু সময়ের ভাঁজে সেই সব লৌকিকতাগুলো নিমেষেই সৌন্দর্যতা হারিয়ে শূন্যতায় আর্বিভূত হয়।।



জীবনের এই গৌণ সত্তায় মানুষগুলো সম্ভবত কখনোই আর নিজের পরিপূর্ণ রূপে আর্বিভূত হতে পারে না…শুধু থেকে যায়, এক বাকল বা খোলস সর্বস্ব সত্তার পরিকাঠামো হয়ে।যেখানে মানবিক অধিকার,অনুভূতি,চিন্তাশীলতা,করণীয়তা সবই ডুবে যায় সেই গৌণ সত্তার কাছে।।

আপাত দৃষ্টিতে এই ক্ষেত্রে পুরুষ এবং সমাজের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা থাকলেও, পুরোটি দায় সম্ভবত পুরুষ বা সমাজের না।।

যুগ যুগ ধরে নানান রূপে,নানান প্রকাশভঙ্গিমায় নারীর মধ্যে বেড়ে ওঠা এই গৌণ সত্তাগুলো যে কি ভয়ংকরভাবে তাদের মধ্যে ছেয়ে গেছে আর তাদের আষ্টেপৃষ্ঠে বেধে ফেলেছে,তা সম্ভবত ক্ষুদ্র চোখে দেখার সুযোগ নেই ।।

১০

যে বিশ্বাসগুলোয় নারী নিজেকে যতটা না মানুষ হিসেবে দেখে তার চেয়ে অনেক বেশি ‘নারী’।।
নারী হিসেবে নিজেকে দেখার মাঝে কোন সমস্যা না, সমস্যা সম্ভবত নিজেকে সবার আগে ‘মানুষ’ হিসেবে ভাবতে না পারাটায়।।

এই ভাবতে না পারাটার পিছনের কারণটাই বা কি..??

সম্ভবত নিজেকে ‘মানুষ’ হিসেবে ভাবতে’শিখতে’ না পারাটা।।

নারীত্বের মহিমাগুলো এই পঙ্গুত্বক ভাবনার আন্তরালে মুখ থুবড়ে পরে সংকীর্ণ সব সামাজিক আচার নিষ্ঠতায় জড়িয়ে নিজের ভেতরগত অন্তঃসার শূন্যতাকে বারবার উন্মুক্ত করেছে।।

১১

আশার কথা এখানেই যে ,সময়ের এই বিস্তর পরিক্রমায় সব নারী এই ঘূর্ণিপাকে হারিয়ে যায় নি।।

অনাদিকাল ধরে ‘মানুষ’ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠীত করার দূর্বিনীত ইচ্ছেটা আমৃত্যু জারি রেখেই তাদের পথ চলতে হয়েছে।।

ইতিহাস তো বলে,পঙ্কিল সেই ক্ষুদ্রতার শেকল ভেঙ্গে বেরিয়ে আসতে পেরেছিল সামান্য কিছু নারী..যারা তাদের ‘মনুষ্যত্ব’ সত্তার ডাকে বরাবারই সাড়া দিতে পেরেছে।।

নিজেকে ‘মানুষ’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার অভিপ্রায়ে দিন-রাত অবারিত ধাবমান থেকেছে।।

কালান্তরের ঘূর্ণিপাকের আর্বতে এই ‘মনুষ্য’ প্রকাশ ভঙ্গিতে বেশ পার্থক্যে দেখা গেলেও তাদের অর্ন্তনিহিত সুপ্ত প্রাণের অভিপ্রায় বরাবরই একই ছিল।।

১২

ইতিহাস এও স্বাক্ষী দেয়, সামাজিক বাধাঁর সীমার বাধঁন ডিঙিয়ে আলোকময় সেই পথে নারীর সেই অক্লান্ত ছুটে চলা অস্ত-দিগন্ত-বনান্ত রাঙ্গায়ে পথে পথে ছড়িয়েছে অবারিত আবির গুলাল।।

সামাজ আর প্রকৃতির সাথে নারী-পুরুষের লড়াইটা বরাবরই ভিন্ন…তবে নারীর এই যাত্রায় পরিবার আর সমাজের ঠুনকো পরিকাঠামোর সাথে রয়েছে নিজের মানবিক সত্তার ক্ষুদ্রতাগুলোর সাথে প্রতিনিয়ত পেরে ওঠার অব্যর্থ প্রচেষ্টা।।

আর এই পথের বিপদসংকুলতার মাত্রা আরও বেশি বৃহত্তরাকারে ধরা দেয়,কারণ এই চলার পথে নারীর সেই ‘আলোকিত মনুষ্য’ সত্তাটি ছাড়া আর কোন অবলম্বনই যে সাথে থাকে না।।

১৩

মনিটর’টা থেকে চোখ নামিয়ে কখন যে আপন ভাবনায় ডুব দিয়েছিল আনতারা,তা সে নিজেই বুঝতে পারে নি।।

লাইব্রেরির লনটা থেকে বের হয়ে খোলা সবুজ আঙ্গিনাটার দিকে হাটতে শুরু করলো আনতারা।।

যুদ্ধটাগুলো কোন সময়ই সহজ হয় না..যুদ্ধগুলো শুধু ভিন্ন ভিন্ন রূপে সামনে এসে দাড়ায় মাত্র।।

আনতারা’কেও প্রতিনিয়ত নিজেকে সবার আগে’মানুষ’ হিসেবে ভাবতে এবং এই বিশ্বাসের ওপর অবিচল থাকতে প্রাণান্তকর চেষ্টা করতে হয়েছে।।

তাই একই সাথে আনতারাও প্রতিনিয়ত বাবা’র মেয়ে হবার আগে বাবা’র সন্তান হতে চেয়েছে।।

১৪

পাশের সবুজ ছায়াটার দিকে তাকাতেই আনতারার মনটা হারিয়ে যেতে চাইলো ফেলে আসা পুরোনো বিশাল সেই জলজ সবুজ অঙ্গনে!!

সবুজপত্রদের অবারিত মেলবন্ধনের মাঝে সেই পাহাড়িয়া পথটায়।যার পা ছুঁয়ে দিচ্ছিলো কূল কূল স্বরে বয়ে চলা সেই পাহাড়ি লেক।।

অতলন্ত নিস্তদ্ধতায় অবুঝ মনের ইচ্ছাগুলো যেখানে ঝর্ণায় রূপ নিয়ে ঝরে পরতে চায়।ইন্দ্রজালের পাতার বাশির সুরটা যেখানে পাহাড় -লেকের সাথে জলকেলির মধ্যে দিয়ে প্রতিধ্বনিত হতে থাকে।।

চিলেকোঠা দুপুরে সম্পানগুলো যেখানে লেকের পানিগুলোর সাথে আন্তরিক আলাপন জুড়ে দেয়।।

জীবনের জোয়ারগুলো যেখানটায় শব্দহীনতায় মুখর হয়ে বিবাদ প্রেমের রহস্য তৈরি করে।জবজবে স্মৃতিরা যেথায় হারিয়ে গিয়ে ঐকান্তিক অনুভূতিতে কাদিয়ে তোলে।।

কি এক পরম সুখ বিষন্নতায় হাপুস-হুপুসভাবে কাদঁতে ইচ্ছে হতে পারে যে কারোরই ।সম্ভবত স্রষ্টার নিখুঁত শিল্প কারুকার্যতায় সকলেকেই হতবিহ্বল করে তোলে।।

১৫

কাপ্তাই বাঁধ আর লেকের সম্বন্ধয়ে কলরব মুখর নিঃস্তদ্ধ জনপদে আনতারাও একদিন হারিয়ে গিয়েছিল এমনই এক নিখাদ সবুজতায়।।

বাবার হাতটা ধরে হাটতে হাটতে কাপ্তাই বাধেঁর জলজ সবুজে হারিয়ে যাওয়া এমনই একটা পুরোনো দিন আজ হঠাতই জেগে ওঠেছে আনতারার মনসপটে।সবুজতার অপার মহীমা যেখানে দিনের আলোতেই দু’চোখ জুড়ে সপ্নীল ক্ষণের অবতারণা করে।।

পরিবারের ছোট সন্তান হবার অসংখ্য সব সংকটকে উপচে যে ভালো দিকটার দিকে না তাকালেই না তা সম্ভবত,সর্বশেষ উত্তাধিকারী হিসেবে বাবার হাত ধরে পথ চলার একমাত্র উত্তাধিকারীও সে একাই থাকে।।

আনতারার বাবার এক অদ্ভুত সুন্দর ব্যাপার ছিল,হুট করে বলা নেই,কওয়া নেই ,এই রকম কোন এক সবুজতার সফরে বেরিয়ে পরতেন প্রায়ই।।

আনতারা বেশ অবাকই হতো বাবার এই ধরণের হুট-হাট ঝটিকা সফরে…পরে অবশ্য সে উপলদ্ধি করতে পেরেছিল যে..

“সম্ভবত সিম্পলে মধ্যে গর্জিয়াস বাবারা এমনই হয়ে থাকে”!!






সর্বশেষ এডিট : ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:০০
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

সম্পর্ক

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২


আমারা সম্পর্কে বাঁচি সম্পর্কে জড়িয়ে জীবন কে সুখ বা দুঃখে বিলীন করি । সম্পর্ক আছে বলে জীবনে এত গল্প সৃষ্টি হয় । কিন্তু
কিছু সম্পর্কে আপনি থাকতে চাইলেও থাকতে পারবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×