ইহুদি ধর্মে নারীকে “পুরূষের প্রতারক” বলে অভিহিত করা হয়েছে। তবে অনেকে মন্তব্য করতে পারে " ইহুদি না হয়ে আপনার এইসব লেখা উচিৎ হয় নি "।
সে যাই হোক , Old Testament এর ভাষ্যমতে আদমের স্বর্গ থেকে বহিস্কৃত হওয়া মানবজাতির পক্ষে অভিশাপ বিশেষ এবং এ অভিশাপের মূল কারণ হচ্ছে নারী অর্থাৎ আদমের স্ত্রী হাওয়া (Eve)| এজন্য স্ত্রীলোক ইহুদি সমাজে চিরলাঞ্ছিত এবং জাতীয় অভিশাপ, ধ্বংস ও পতনের কারণ বলে মনে করা হত। এজন্য পুরুষ সবসময়ই নারীর উপর প্রভূত্ব দাবী করার স্বাভাবিক অধিকারি। এ অধিকার আদমকে হাওয়া কর্তৃক নিষিদ্ধ ফল খাওয়ানোর শাস্তি বিশেষ। যদ্দিন নারী বেচেঁ থাকবে ততদিনই এ শাস্তি তাকে ভোগ করতে হবে। ইহুদি সমাজে নারীকে চাকরাণীর পর্যায়ে নামিয়ে দেয়া হয়েছিল। অবশ্য অনেকের আপত্তি থাকতে পারে যে আজকালকার ইহুদীরা তা করে না। কারণ অধিকাংশ ইহুদিরাই এখন নাস্তিক তাই ধর্ম নিয়ে তারা অতটা মাথা ঘামাননা। তাতে অবশ্য নারীদের জন্য ভালই হয়েছে। মূল প্রসঙ্গে ফিরে আসি, ইহুদি সমাজে বাপ নিজ কন্যাকে নগদ মূল্যে বিক্রি করতে পারত। মেয়ে কখনো পিতার সম্পত্তি থেকে ভাগ পেতো না। অবশ্য পরে নবি মুহাম্মদ সেই আইনের পরিবর্তন করে পিতৃ সম্পত্তিতে নারীদের অংশ বরাদ্দ করেন , ঈশ্বরের নির্দেশনা অনুযায়ী। অবশ্য এতে অনেক ইহুদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে মুহাম্মদের সাথে ঘোরতর শত্রুতা আরম্ভ করেছিল। যাই হোক, তা এখানে অপ্রাসঙ্গিক।
“ফিতুম” নামক এক ইহুদি বাদশা আইন জারি করেছিল “ যে মেয়েকেই বিয়ে দেয়া হবে স্বামীর ঘরে যাওয়ার আগে তাকে বাধ্যতামূলকভাবে এক রাত্রি তার কাছে যাপন করতে হবে।” বাদশার ফরমান অনুযায়ী-ই মেয়েরা তা করতো । জনৈক ইহুদি পণ্ডিত মন্তব্য করেছিলেন
“মৃত্যু, নরক, বিষ, সর্প, আগুন এর কোনটিই নারী অপেক্ষা খারাপ ও মারাত্মক নয়”
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুন, ২০০৯ ভোর ৪:৫২