somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাক বাহিনী, শান্তি কমিটি, রাজাকার, আল বদর, আল শামস এর গঠন ও কার্যপদ্ধতি

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মানুষ হিসাবে প্রত্যেকেরই কিছু দায়-দায়িত্ব থাকে। মুসলমান হিসাবে কিছু বাড়তি দায়িত্বও থাকে। আর সে বাড়তি দায়িত্বটা হল সত্যের পক্ষে সাক্ষী দেওয়া। ইসলামে এটিকে বলে শাহাদতে হক তথা সত্যের পক্ষে সাক্ষ্যদান।
আল্লাহতায়ালা বলেছেন,“বলুন,সত্য এসে গেছে মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। আর মিথ্যা তো বিলুপ্ত হওয়ার জন্যই।”-(সুরা বনি ইসরাইল,আয়াত ৮১)।

একজন মুসলমান হিসাবে কালেমা পাঠ করে আল্লাহ এবং তার রাসূলকে সত্য মানতে হয়। আর শুধু সত্য মানলেই হবে না। আল্লাহ এবং রাসূলের দেখানো পথও অনুসরণ করতে হবে। একজন মুসলমানের মধ্যে যদি সত্যবাদীতা না থাকে তাহলে সে কিভাবে নিজেকে মুসলমান দাবি করতে পারে?

কোন সত্যকে বিকৃত করা যেমন অপরাধ, তেমন সত্য লুকানোও অপরাধ। কিন্তু অত্যান্ত দু:খের ব্যাপার হলো এই যে আমাদের দেশে ইসলাম কে ঢাল হিসাবে ব্যাবহার করে কিছু মানুষ দেশের জন্ম লগ্ন থেকেই ধর্ম ব্যাবসা করে আসছে। ধর্মকে পুঁজি করে এরা সাধারণ মানুষকে বিভ্যান্ত করছে। ১৯৭১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত যখনই বাংলার আপামর জনগণ এই সব ধর্ম ব্যাবসায়ীদের বিরুদ্ধে গেছে এরা ধর্মের দোহায় দিয়ে অন্যায় ভাবে হত্যা আর নির্যাতনের্ পথ বেছে নিয়েছে। এদের মূল লক্ষ্য দেশের ক্ষমতা দখল করে মওদুদী শাসন ব্যাবস্থা চালূ করা। যাকে এরা সবসময় ইসলামের নামের সাথে জড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার কাজে লাগায়। ইসলাম, যার অর্থই শান্তি....এরকম একটি ধর্ম নিয়ে অশান্তিমূলক কাজ করার ফলে এই ঘৃণ্য নরকের কীটরা আজ সাধারণ মানুষের চোখে পিশাচ রূপে পরিচিত। আসুন জেনে নিই ইসলামের নামে ভন্ডামী করা পাক বাহিনী, শান্তি কমিটি, রাজাকার, আল বদর, আল শামস এবং ছাত্র সংঘ (বর্তমান ছাত্র শিবির) এর গনহত্যা ও নির্যাতনের কথা:

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্থানী সেনাবাহিনী জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নেতৃত্বে এবং এদেশীয় সহচর শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর, আলশামস এর মতো বাহিনির সহযোগীতায় ৩০ লক্ষ মানুষকে হত্যা করে। প্রায় সাড়ে চার লক্ষ বাঙালী নারীকে ধর্ষণ, নির্যাতন এবং হত্যা করা হয়। জার্মানীতে হিটলার বাহিনী ৬ বছরে ৬০ লক্ষ মানুষকে হত্যা করে। কিন্তু পাকিস্থানী হানাদাররা দেশীও বেঈমানদের সাথে নিয়ে মাত্র ৯ মাসে ৩০ লক্ষ মানুষকে হত্যা করে। তারা দেশকে মেধাশূণ্য করে দেওয়ার জন্য বেছে বেছে ডাক্তার, শিক্ষক, আইনজীবি, সাংবাদিক সহ বিভিন্ন পেশার বুদ্ধিজীবিদের হত্যা করে। এছাড়াও বাঙালী জাতিকে কলঙ্কিত এবং সমাজ ব্যাবস্থা ধ্বংস করার জন্য তারা ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য এবং কাপুরুষতামূলক পন্থা বেছে নেয়। এ থেকে পাকিস্থানী সেনাবাহিনী, রাজাকার, আলবদর, আলশামসের মতো বাহিনী গুলোর নৃশংসতা এবং ভয়াবহতা বুঝতে কারো নিশ্চয় বেগ পেতে হবে না?

এই সব হত্যাকান্ড, ধর্ষন আর নির্যাতনকে তারা ধর্মের দোহাই দিয়ে হালাল করতে চেয়েছিলো। ধর্মকে ব্যাবহার করে তারা বার বার তাদের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের পথে আগায় এটা ১৯৭১ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত বার বারই দেখা গেছে। ইসলাম শান্তির ধর্ম, অথচ এই ইসলামকে বর্ম হিসাবে ব্যাবহার করে তারা এই দেশে গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতনের মতো ঘুণ্য অপরাধ গুলো করেছিলো।

আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যারা গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন এর মতো মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে তারা কখনোই এদেশের মাটি ও মানুষের কাছে ক্ষমা চায়নি। পাকিস্থানী যুদ্ধাপরাধীরা বহাল তবিয়তে সারেন্ডার করে পাকিস্থান পালিয়েছে। পরবর্তীতে তারা এই বর্বোরোচিত হত্যাকান্ড ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পরও পাকিস্থান সরকার কতৃক পুরষ্কৃত হয়েছে! আর এদেশীয় রাজাকারদের কেউ দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলো অথবা আত্মগোপন করেছিলো। ১৯৭১ এর গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য পাকিস্থান সরকারকে বার বার ক্ষমা চাইতে বলা হলেও তারা নির্লজ্জের মতো প্রত্যাখান করেছে।

তবে ২৫ ডিসেম্বর, ২০০৭ এ কিছু সংখ্যক পাকিস্থানী সাংবাদিক এবং আইনজীবি একাত্তরের গণহত্যার জন্য পাকিস্থানের পক্ষ থেকে ক্ষমা চান।
সূত্র: memri.org

এদেশীয় রাজাকার, আলবদর, আলশামসরাও পরবর্তী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ফাঁক-ফোকর গলে এবং স্বাধীণতা বিরোধী-ক্ষমতালোভী কিছু রাজনীতিবদের প্রশ্রয়ে আবার বাংলাদেশে আসন গেড়েছে। দিন বদলের সাথে সাথে এদের দাপট এমন পর্যায়ে গেছে যে কেউ কেউ মন্ত্রী পর্যন্ত হয়েছিলো!

মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্থানী হানাদার এবং দেশীয় রাহজাকার, আলবদর, আলশামসের মতো বাহিনীর নৃশংসতা:


১. ১৯৭১ সালের ২৫ এবং ২৬ মার্চ পাকিস্থানী সেনাবাহিনী দেশীয় দোসরদের সহযোগীতায় “অপারেশন সার্চ লাইট” চালিয়ে শুধু মাত্র ঢাকাতেই ৫০০০০ হাজারেরও বেশী মানুষ হত্যা করা হয়। ৯ মাসে ৩০ লক্ষ নিরীহ নিরস্ত্র মানুষ হত্যা করা হয়।


২. সারাদেশে রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটির সদস্যদের হত্যা, লুঠ, বাড়ি ঘরে অগ্নি সংযোগ, ধর্ষণ, নির্যাতনের শিকার হয়ে কোটি কোটি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে। শত শত লাশ সঠিক ভাবে কবর দেওয়াও হয়নি। পুড়িয়ে ফেলা, মাটি চাপা দেওয়া, নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া সহ নানা ভাবে পাকিস্থানী বাহিনী ও তার দোররা তাদের অপরাধ চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।


৩. পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা বাংলাদেশকে মেধা শূণ্য করার জন্য ডাক্তার, শিক্ষক, আইনজীবি, সাংবাদিক, কবি, সাহিত্যিকদের হাত বেধে লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে। কাউকে কাউকে জবাই করেও হত্যা করা হয়।


৪. সাড়ে চার লক্ষ বাঙালী নারীকে ধর্ষণ, হত্যা এবং শারীরিক ভাবে নির্যাতন করা হয়। এদের ধর্ষণ আর নির্যাতনের বর্ণনা এতই নিষ্ঠুর যে সেটা লেখার যোগ্য নয়। বালিকা, কিশোরী, যুবতী, বিবাহিত-অবিবাহিত, বৃদ্ধা এমনকি প্রেগনেন্টদেরকেও ছাড় দেওয়া হয়নি! দেশ স্বাধীণ হওয়ার পর নির্যাতিত নারীদের যখন বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে উদ্ধার করা হয় তখন তাদের উপর নির্যাতনের ভয়াবহ রূপ দেখে পুরা বিশ্ব কেঁপে উঠেছিলো।

৫. তরুণ, যুবক, বৃদ্ধ এমনকি দুধের শিশুকে তারা আছাড় মেরে অথবা পা ধরে দুই ভাগ করে মেরে ফেলতো। বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা, পিটিয়ে হত্যা, পেট চিরে দেওয়া, জবাই করা ইত্যাদি ছিলো তাদের প্রিয় কৌশল!

বর্তমানে জামাত-শিবির এবং এদের পদলেহনকারী বিভিন্ন মিডিয়া যেমন নাস্তিক-আস্তিক এর প্রশ্ন তুলে পুরা জাতিকে বিভক্ত করছে একাত্তরে ঠিক সেভাবেই নিরীহ বাঙালীদেরকে “কাফির, মুরতাদ, নাস্তিক” দুর্নাম দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এটা তাদের অতি পুরনো কৌশল।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে নিরস্ত্র বাঙালীর বিরুদ্ধে পাকিস্থানী বাহিনীর সৈন্য সংখ্যা:
রেগুলার আর্মি: ৮০ হাজার
রেঞ্জার এবং মিলিশিয়া: ২৪ হাজার
সিভিলিয়ান ফোর্সেস: ২৪ হাজার
রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস: ৫০ হাজার (আনুমানিক)



পাকিস্থানী সেনা কর্মকর্তা:
চিফ মার্শাল ল অ্যাডমিনিস্ট্রেটর: লে. জে. টিক্কা খান (৬ মার্চ- আগস্ট ১৯৭১), লে. জে. এ এ কে নিয়াজী (আগস্ট-১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১)
উপদেষ্টা: মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী
চিফ অফ স্টাফ: ব্রিগেডিয়ার বক্তিয়ার সিদ্দিকী
রিজিওনাল চিফ: মেজর জেনারেল নাজির হোসেইন শাহ, মেজর জেনারেল এস এইচ আনসারী, মেজর জেনারেল রহিম খান

দেশীয় শান্তি কমিটি, রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস বাহিনী:
শান্তি কমিটি:
শান্তি কমিটি গঠন করা হয় ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে। এর আহ্বায়ক ছিলো “খাজা খায়রুদ্দিন” এবং উদ্যোক্তাদের মধ্যে ছিলেন গোলাম আযম, এ কিউ এম শাফিকুল ইসলাম, সায়েদ মাসুম। সারা দেশেই পাকিস্থানী দালালরা একের পর এক শান্তি কমিটি গঠন করে পাক বাহিনীকে সহায়তা করে। শান্তি কমিটি গঠন করা হতো পাকিস্থান সেনা বাহিনীর আস্থাভাজন লোকদের নিয়ে। মূলত ইসলাম এর নামধারী ভন্ড নেতারাই শান্তি কমিটির ধারক-বাহক ছিলো। এরা সুফী-আউলিয়াদের মতো দাড়ি টুপি পরে, মুখে ধর্মের নাম নিয়ে সহজেই পাকিস্থান সেনাবাহিনীর নিকট বন্ধু হওয়ার সুযোগ পায়।



রাজাকার:
রাজাকার বাহিনী সর্ব প্রথম গঠন করা হয় ১৯৭১ সালের মে মাসে খুলনায়। জুনে একে অর্ডিন্যান্স হিসাবে জারি করা হয়। এর আহ্বায়ক “এ কে এম ইউসুফ” এবং পরিচালক এ এস এম জহরুল হক। রাজাকার বাহিনী সরাসরি হত্যাকন্ডে অংশগ্রহণ করে। এদের ট্রেইনিং অত্যন্ত দুর্বল হলেও পাক বাহিনীর ছত্রছায়ায় এরা হত্যা, ধর্ষন, লুঠ, নির্যাতনের মতো অপরাধ গুলো করতে থাকে। এরা বহু মানুষের ঘরবাড়ি দখল করে নেয়, টাকা-পয়সা, গয়না, বাসন-পত্র কোন কিছুই বাদ পড়েনি এদের লুঠের তালিকা থেকে। এরা পাকিস্থানী বাহিনীর কাছে বাংলাদেশী নারীদের ধরে দিয়ে আসতো। পাকবাহিনীর পৈশাচিকতা শেষ হলে তারপর রাজাকাররা ঝাঁপিয়ে পড়তো সেই সব নির্যাতিত নারীর উপর। সারা দেশে প্রায় ৫০ হাজারের মতো রাজাকার ছিলো।
রাজাকারদের ৭ দিনের ট্রেইনিং দেওয়া হতো। এই ট্রেইনিং এ তাদেরকে লি-এনফিল্ড রাইফেল চালানো শেখানো হতো। তাদের মূল কাজ ছিলো নিরাপত্তা চেক করার নামে নিরীহ বাঙালিকে হত্যা এবং পাকিস্থানী বাহিনীকে পথ দেখানো। রাজাকার বাহিনী স্থানীয় শান্তি কমিটির অধীনে কাজ করতো।
সূত্র: genocidebangladesh.org

আল-বদর এবং আল-শামস:
আল-বদর মূলত ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সহায়তা দানকারী আধা-সামরিক বাহিনী। যার সৃষ্টি হয়েছিল পাকিস্তান রাষ্ট্রকে অখন্ড রাখার উদ্দেশ্যে জনমত গঠন করার জন্য। পূর্বাঞ্চলীয় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল নিয়াজীর পৃষ্ঠপোষকতায় এই বাহিনী গঠিত হয়েছিল। ইসলামিক ইতিহাসের বদর যুদ্ধকে আদর্শ করে এই বাহিনী গঠিত হলেও এদের মূলকাজ ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের পাকিস্তানী বাহিনীর হাতে তুলে দেয়া আর নারী ধর্ষণ এবং ধর্ষণে সহায়তা করা। মে মাসে রাজাকার বাহিনী গঠনের আগেই এপ্রিল মাসে গঠিত হয় আল বদর বাহিনী। আলি আহসান মুজাহিদ ছিলো আল বদর বাহিনীর প্রেসিডেন্ট। রাজাকার বাহিনী সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে, আর আল বদর বাহিনীর মূল কাজ ছিল সন্ত্রাস ও রাজনৈতিক গণহত্যার মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করা। সাধারণভাবে ধারণা করা হয় যে পাকিস্তান বিরোধী বুদ্ধজীবীদের হত্যা করাই ছিল এই বাহিনীর মূল লক্ষ্য। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান বাহিনীর পতনের পর এই বাহিনীর বিলুপ্তি ঘটে।
সূত্র: উইকি

আল-শামস পাকিস্তান সামরিক বাহিনী দ্বারা গঠিত আধা সামরিক মিলিশিয়া বাহিনী। এর সদস্য ছিল মূলত পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘ (বর্তমান ইসলামী ছাত্র শিবির) এর সদস্যরা। মতিউর রহমান নিজামী ছিলো ততকালীন ছাত্র সংঘের প্রধান। আল-শামস মুক্তিবাহিনীর সাথে লড়াই করা এবং বুদ্ধিজীবিদের হত্যার কাজে নিয়োজিত ছিলো। তবে হত্যাকান্ডে পারদর্শীতা থাকলেও যুদ্ধ ক্ষেত্রে এরা বেশীর ভাগ সময়ই পালিয়ে যেত।
সূত্র: উইকি

এই দুই বাহিনীকে হিটলারের এসএস বাহিনীর সাথে তুলনা করা যায়।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ৮০ হাজার পাক সেনার পক্ষে অপরিচিত একটি দেশে ইতিহাসের ন্যাক্কারজনক গনহত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতন চালানো সম্ভব হতো না। কিন্তু এদেশীয় শান্তি কমিটি, রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসের মতো বাহিনী গুলোর সহযোগীতা এবং প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণের কারণে এই গনহত্যা সম্ভব হয়েছে। স্বাধীনতার ৪২ বছর পর তরুণ প্রজন্মের ডাকে জাতি আজ আবার ঐক্যবদ্ধ। একাত্তরের সেই সব ঘৃণ্য অপরাধী এবং নরকের কীটদের ফাঁসি ছাড়া কোন বিকল্প শাস্তি জনগণ ভাবতেই পারছে না। প্রজন্ম চত্ত্বর শাহবাগে লাখ লাখ মানুষ প্রতিদিন স্লোগানে স্লোগানে রাজাকারদের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছে। আর জামাত-শিবির ফিরে গেছে তাদের ১৯৭১ এর রূপে। ধর্মের নামে মিথ্যাচার, ভুল ব্যাখ্যা আর হত্যাকান্ড দিয়ে তারা আবার মানুষকে বিভ্রান্ত করছে এবং জনমনে ত্রাসের সৃষ্টি করছে। এখনই এদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর উপযুক্ত সময়। ৪২ বছর ধরে যে কলঙ্ক আমরা বয়ে বেড়াচ্ছি তা দূর করতে হবেই। আসুন সবাই সত্য জানি, মিথ্যা বর্জন করি। ধর্মের নামে যারা মানুষের বিশ্বাস নিয়ে খেলে তাদেরকে শক্ত হাতে প্রতিরোধ করুন।

সকল রাজাকারের ফাঁসি চাই.....ফাঁসি ছাড়া বিকল্প নাই।



বিঃ দ্রঃ সঠিক তথ্য, সূত্র ও ছবি ছাড়া কেউ কোন প্রকার বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট/কমেন্ট করবেন না অথবা এধরণের পোস্ট/কমেন্টে বিভ্রান্ত হবেন না। কারো সাথে বিতর্ক করার জন্য এই পোস্ট দেওয়া হয়নি। সুতরাং তর্কের জন্য পোস্টের বিষয় বস্তু না পড়ে বা অর্ধেক পড়ে বা বিষয়বস্তুর বাইরে কোন মন্তব্য না করার জন্য অনুরোধ রইলো।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩৪
২৬টি মন্তব্য ২৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×