somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সিগারেটের ইতিহাস

২৮ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সিগারেট আজকের দিনে কারো কাছে ফ্যাশন তো কারো কাছে চরম বিরক্তিকর। তরুন, যুবক, বৃদ্ধ এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে কিশোররাও সিগারেটের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। সিগারেটের পক্ষে-বিপক্ষে নানা যুক্তি থাকলেও সিগারেট যে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এটা আজ সর্বজনস্বীকৃত। তবে আজ সিগারেটের ভালো-মন্দ নিয়ে নতুন কোন বিতর্ক করবো না।

আমি নিজেই একজন চেইন স্মোকার। ভাত খেতে ভুলে গেলেও সিগারেট ভুল হয় না। তো আজ সিগারেট টানতে টানতে হঠাৎ মনে হলো সিগারেট কিভাবে আমাদের জীবনে প্রবেশ করলো! এর ইতিহাসটা কি? সেই স্কুল জীবন থেকে লুকিয়ে-চুরিয়ে সিগারেট খাওয়া ধরেছি। আজ এত গুলো বছর এর সাথে দিন পার করছি, অথচ ইতিহাস জানি না! মানতে পারলাম না ব্যাপারটা। তাই গুগল মামাকে প্রশ্ন করলাম। বাংলায় সিগারেটের ইতিহাস বিষয়ক তেমন কোন তথ্য নাই দেখে হতাশ হলাম। উইকিতে কে যেন দিয়ে রেখেছে,



সিগারেট (ইংরেজি ভাষা: Cigarette) একটি পণ্য যা ধূমপানের জন্য গ্রহণ করা হয়। তামাক পাতা সুন্দর করে কেটে পরিশোধন করার পর তার সাথে আনুষঙ্গিক কয়েকটি উপাদান মিশিয়ে কাগজে মোড়ানো সিলিন্ডারের ভিতর পুড়ে সিগারেট তৈরি করা হয়। একটি প্রতিরূপ সিগারেটের সিলিন্ডারের দৈর্ঘ্য ১২০ মিলিমিটার এবং ব্যাস ১০ মিলিমিটার। সিগারেটের এক প্রান্তে আগুন জ্বালিয়ে অন্য প্রান্তে মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে হয়। যে প্রান্তে মুখ দিতে হয় সে প্রান্তে সচরাচর বিশেষ ফিল্টার থাকে। সিগারেট হোল্ডার দিয়েও অনেকে ধূমপান করে থাকেন। সিগারেট বলতে সাধারণত তামাকের তৈরি সিগারেট বোঝানো হলেও বিশেষভাবে এটি যেকোন ধরণের উপাদানকে নির্দেশ করে। যেমন, গাঁজা দিয়েও সিগারেট তৈরি হতে পারে।

সিগারেটের মত একটা জিনিস নিয়ে উইকিতে বাংলায় এত ছোট নিবন্ধ দেখে খুব অবাক লাগলো! আর এটা পড়ে মনে হলো সিগারেট কি, কিভাবে খেতে হয়, কি থাকে এর ভেতর সেটা বোঝানো নিয়েই ব্যস্ত! আর শেষের লাইনটা পড়ে তো মেজাজই খারাপ হয়ে গেল!

যাক, উইকির কথা বাদ দেন। অন্যান্য জায়গায় সিগারেট সম্পর্কে যা পেলাম সেটা নিয়ে লিখি।

প্রায় ৮০০০ বছর আগে পৃথিবীতে তামাকের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। আর ৬০০০ বছর আগে থেকে মধ্য আমেরিকায় তামাকের চাষ শুরু হয়।



তামাক প্রথমদিকে মূলত ঔষধ হিসাবে ব্যবহার করা হতো। খ্রীষ্টপূর্ব ১০০০ শতাব্দীর দিকে মায়ান সভ্যতার মানুষেরা ধূমপান এবং তামাক পাতা চিবানো শুরু করে। মায়ানরা তামাক পাতার সাথে বিভিন্ন ভেষজ এবং গাছগাছড়া যোগ করে অসুস্থ্য এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করতো। প্রাচীন গুহাচিত্র থেকে জানা যায় মায়ান পুরোহিতরা ধূমপান করতো এবং এটা তাদের কাছে বিশেষ অর্থ বহন করতো। তাদের বিশ্বাস ছিলো ধূমপানের মাধ্যমে আত্মাদের সাথে যোগাযোগ করা যায়। পরবর্তীতে মায়ানরা পুরা আমেরিকায় ছড়িয়ে যায় এবং সেই সাথে তামাক গাছকেও ছড়িয়ে দেয় আমেরিকা জুড়ে।

ইউরোপিয়ানদের মধ্যে বিখ্যাত নাবিক এবং আবিষ্কারক ক্রিস্টোফার কলম্বাসই প্রথম তামাক গাছ দেখেন। ১৪৪২ সালে কলম্বাস যখন সান সালভাদরে গিয়ে পৌঁছান তখন সেখানকার আদিবাসীরা মনে করেছিলো কলম্বাস ঈশ্বর প্রেরিত স্বর্গীয় জীব! তারা কলম্বাসকে উপহার স্বরূপ কাঠের তৈরি যুদ্ধাস্ত্র, বন্য ফলমূল এবং শুকনো তামাক পাতা দিয়েছিলো। অন্যান্য উপহার গুলো নিলেও কলম্বাস ধূমপান না করে তামাক পাতা গুলো ফেলে দিয়েছিলো।



ঠিক ঐ বছরই আরেকজন ইউরোপিয়ান রডরিগো ডি যেরেয (Rodrigo de Jerez) কিউবায় গিয়ে পৌঁছান এবং ইউরোপিয়ান হিসাবে তিনিই প্রথম ধূমপান করেছিলেন। রডরিগো ডি যেরেয ছিলেন স্পেনের নাগরিক। পরবর্তীতে স্পেনে ফিরে গিয়ে তিনি জনসম্মুখে ধূমপান করে মানুষজনকে চমকে দিতেন। এক জন মানুষের নাক এবং মুখ দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে এটা দেখে সাধারন মানুষ ভড়কে যেত। একটা সময় অনেকেই ভাবতে শুরু করে যে রডরিগো ডি যেরেযের উপর শয়তান ভর করেছে। তাই রডরিগোকে ৭ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়! কারাগারে রডরিগোর সাথে থেকে অনেকেই ধূমপান শুরু করেন।

১৫৩০: এই সময়ে ইউরোপিয়ানরা ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে বৃহৎ আকারে তামাক চাষ শুরু করে। উৎপাদিত তামাক আবার ইউরোপে নিয়ে যাওয়া হতো।
১৫৭১: মোনার্দেস নামের একজন স্প্যানিশ ডাক্তার বিশ্বাস করতেন যে ধূমপান ৩৬ ধরনের অসুখ নিরাময় করে। যেমন: দাঁতের ব্যাথা, নখের প্রদাহ, সর্দি জ্বর এমনকি ক্যান্সার! তবে এটা শুধুই ছিলো তার একান্ত বিশ্বাস।
১৬০০: স্যার ওয়াল্টার রিলি ইংল্যান্ডের রানী প্রথম এলিজাবেথকে ধূমপান করার একটা পাইপ উপহার স্বরুপ দেন। ধূমপান করার পর রানী অসুস্থ্য হয়ে গিয়েছিলো এবং মনে করেছিলো তাকে বিষ দেওয়া হয়েছে! স্যার রিলি আমেরিকায় ভার্জিনিয়ার গভর্নর রালফ লেনের মাধ্যমে পাইপের সাথে পরিচিত হন। ব্রিটিশ কলোনী ভার্জিনিয়া পুরা ইংল্যান্ডের জন্য তামাকের একটা উৎকৃষ্ট উৎস ছিলো।
১৬০৪: ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম জেমস সর্ব প্রথম তামাকের উপর উচ্চহারে ট্যাক্স আরোপ করেন। ধীরে ধীরে ইংল্যান্ডের লোকজন ধূমপানে আকৃষ্ট হয়ে পড়ে এবং ইংল্যান্ডে ব্যাপক আকারে তামাক আমদানী শুরু হয়। সেই সময় মানুষ ভাবতো ধূমপান স্বাস্থ্যের উন্নতি করে!
১৬৬৫: ইটন পাবলিক স্কুলে প্লেগ আক্রান্ত ছেলেদেরকে শক্তি বৃদ্ধির জন্য ধূমপান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো! এক ছাত্র ধূমপান করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলো, যার ফলস্বরুপ তাকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিলো!

তামাক এবং পাইপের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকে। একসময় জন্ম হয় সিগারেটের। সিগারেট আস্তে আস্তে সবার কাছে গ্রহনযোগ্য হয়ে উঠে।
১৮১৫: সিগারেট ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়। এমনকি দি হাউস অফ পার্লামেন্টেও সিগারেট খাওয়ার জন্য আলাদ রুম করা হয়।
১৮২৮: নিকোটিনের পিওর ফর্ম আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানীরা। কিছুদিনের মধ্যেই সবাই বুঝতে পারে এটা মারাত্মক বিষ!
১৮৫২: এই সময় থেকেই ধূমপান করার সুবিধার্থে ম্যাচ বা দিয়াশলাই এর প্রচলন হয়।
১৮৫৬: ক্রিমিয়ান যুদ্ধ ফেরত সৈন্যরা তুর্কি থেকে সিগারেট নিয়ে আসে। সৈনিকদের মাঝে সিগারেট অনে জনপ্রিয় হয়ে পড়ে। অলসতা এবং বিষাদ দূর করার জন্য তখন সৈন্যদেরকে নিয়মিত সিগারেট সরবরাহ করা হতো।
১৮৬৫: আমেরিকার নর্থ ক্যারোলিনার ওয়াশিংটন ডিউক নামের এক ব্যাক্তি প্রথম সিগারেট রোল করে বিক্রি করা শুরু করে।
১৮৮৩: জেমস বনস্যাক প্রথম সিগারেট রোল করার মেশিন আবিষ্কার করেন। এই মেশিন দিয়ে দিনে ১০০০ সিগারেট তৈরী করা যেত। বনস্যাক একটা সিগারেট কোম্পানী শুরু করেন যার নাম ছিলো আমেরিকান টোবাকো কোম্পানী। বনস্যাকের মেশিন সিগারেট শিল্পে বিপ্লবের সূচনা করে। তামাক চাষ এবং সিগারেট প্রস্তুত প্রক্রিয়ার উন্নতির সাথে সাথে সিগারেট ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
১৯০৮: শিশু আইনের কারনে ১৬ বছরের নিচে যাদের বয়স তাদের কাছে সিগারেট বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়।
১৯১৬: প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের সময় আর্মিদের রেশনের সাথে সিগারেটও যুক্ত করা হয়।

প্রথম দিকে শুধু পুরুষরাই ধূমপান করলেও ধীরে ধীরে সিগারেটের প্রতি নারীরাও আকৃষ্ট পড়ে।



১৯২৫: এই সময়ের দিকেই সিগারেট প্রস্তুতকারকরা ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য নতুন ভোক্তা খুঁজতে শুরু করে। বিজ্ঞাপন এবং হলিউডের সিনেমার মাধ্যমে তারা নারীদেরকে সিগারেটের প্রতি আকৃষ্ট করে। জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে একটা প্রজন্ম সিগারেটে আকৃষ্ট হয়ে পড়ে এবং তখন সিগারেটের ক্ষতিকারক দিক গুলো সম্পর্কে কোন সাবধান বাণীও প্রচার করা হতো না।
১৯৩৯-১৯৪৫: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট তামাককে সংরক্ষিত শস্য হিসাবে ঘোষণা করেন। কারন তখন সৈন্যরা এত বেশী ধূমপন করতো যে যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনে তামাক সংকট দেখা দিয়েছিলো!
১৯৪৭: সিগারেটের ট্যাক্স ৪৩% বৃদ্ধি করা হয়। মূল্য বৃদ্ধির ফলে ১৪% ব্রিটিশ নাগরিক ধূমপান ছেড়ে দেন।

সিগারেটের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলছিলো। তাই এর ক্ষতিকারক দিক গুলো সম্পর্কে সচেতনতা তৈরীর জন্য প্রচারনা শুরু হয়।

১৯৫০: সিগারেটের ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে প্রথম প্রচারনা শুরু হয়। এই সময়ই ধূমপান এবং ফুসফুসের ক্যান্সারে মধ্যে সম্পর্ক আবিষ্কার করা হয়। ড. ওয়াইন্ডার এবং ড. গ্রাহাম একটি গবেষনায় দেখান যে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত ৯৫% মানুষই ২৫ বছর বা তার বেশী সময় ধরে ধূমপানে আসক্ত।
১৯৫৮: স্যালফোর্ড নামের এক ব্যাক্তি প্রথম ধূমপান আসক্তি দূর করার জন্য ক্লিনিক খোলেন।
১৯৬৪: আমেরিকান ডাক্তাররা অভিযোগ করেন ধূমপান ফুসফুসের ক্যান্সারের জন্য দায়ী। এর ফলে টিভি এবং রেডিওতে সিগারেটের প্রচারনা নিষিদ্ধ করা হয়। এছাড়াও সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে স্বাস্থ্য সচেতনতা মূলক কথা লেখা বাধ্যতামূলক করা হয়।
১৯৬৮: লেটুসপাতা দিয়ে তৈরী এক প্রকার সিগারেট আবিষ্কার করা হয়। যেটা সম্পূর্ণভাবে নিকোটিনমুক্ত ছিলো। কিন্তু জনপ্রিয়তা লাভে ব্যার্থ হয়।
১৯৬৯: দি রেডিও টাইমস সিগারেটের বিজ্ঞাপন প্রচারনা বন্ধ করে দেয়।
১৯৭১: ইউরোপ-আমেরিকায় পাবলিক পরিবহন এবং সিনেমা হলে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়।

এভাবেই ধীরে ধীরে সিগারেটের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ শুরু হয়। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়তে থাকে।
১৯৮০: স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক প্রচারনা ধূমপান সম্পর্কে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে শুরু করে। এছাড়াও ট্যাক্স বৃদ্ধির কারনে সিগারেটের দামও বেড়ে যায় যা সিগারেটের অগ্রগামীতা কিছুটা হলেও রোধ করে।
১৯৮২: ব্রিটিশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েসন সরকারকে সিগারেটের সকল প্রকার বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করার জন্য বলে।
১৯৮৪: ইংল্যান্ডে জাতীয়ভাবে মার্চে নো স্মোকিং দিবস পালন শুরু হয়।
১৯৮৮: আমেরিকান আদালত এক সিগারেট কোম্পানীকে রোজ সিপোলন নামক এক ব্যাক্তির পরিবারকে ক্ষতিপূরন দেওয়ার নির্দেশ দেয়। রোজ সিপোলন ঐ কোম্পানীর সিগারেট খেয়ে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলো।
১৯৯২: এই বছর ধূমপানকে মৃত্যুর কারন হিসাবে ডেথ সার্টিফিকেটে লেখার অনুমোদন দেওয়া হয়।
১৯৯৬: ব্রিটিশ উপদ্বীপ গুলোর মধ্যে গার্নসের রাজ্যে প্রথম সিগারেটের সকল প্রকার বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করা হয়।
১৯৯৯: ব্রিটিশ সরকার গার্নসেকে অনুসরন করে সিগারেটের সকল প্রকার প্রচারনা নিষিদ্ধ করে।
২০০৩: সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে বড় বড় করে ওয়ার্নিং লেখা শুরু হয়। যেমন: Smoking is highly addictive, don’t start!
২০০৪: আয়ারল্যান্ড বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে জনসম্মুখে এবং কর্মক্ষেত্রে ধূমপান নিষিদ্ধ ঘোষনা করে।
এভাবেই ধীরে ধীরে বিশ্বের অন্যান্য দেশও ধূমপান রোধ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করে। আমাদের দেশেও প্রকাশ্য স্থানে ধূমপান না করার জন্য আইন আছে। কিন্তু সেই আইন এখন পযন্ত কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ!

এখন সিগারেট প্রস্তুতকারকদের প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা সিগারেটের ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে নিত্য নতুন আবিষ্কার করছেন এবং এটা এন প্রমাণিত যে সিগারেট মৃত্যু ঘটায়। উন্নত দেশ গুলোতে ক্রমশই মানুষজন ধূমপান ছেড়ে দিচ্ছে। কিন্তু দু:খের বিষয় হলো আমাদের মতো দেশ গুলোতে ধূমপানের হার ক্রমশই বেড়ে চলেছে। এর পেছনে মূলত দায়ী যথাযথ আইনের অভাব এবং যে টুকু আইন আছে তার নিষ্ক্রিয়তা।

সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরন: ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য শুধু ক্ষতিকরই নয়, ধূমপান মৃত্যু ঘটায়।

সূত্র: Guernsey Adolescent Smoke Free Project, Wikipedia.


[এই পোস্টটি লিখার সময় কয়টা যে সিগারেট খাইলাম মনে করতে পারছি না :P ]
৪৫টি মন্তব্য ৪৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×