somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পদার্থ বিজ্ঞান লইয়া এক অপদার্থের লিখন: প্রোটনের সাইজ কইমা গেছে, এইজন্য আমার রাইতের ঘুমও হারাম হইয়া গেছে, কই যাই!

১২ ই জুলাই, ২০১০ রাত ১১:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পয়লা খবর খান হুনেন:


প্রোটনের চার্জ রেডিয়াস কইমা গেছে! হে হে হে


ঘটনা রটনা নেইকো ফুলের বিছানা:

ঘটনা কিছু না, আসলে আমরা কি জানতাম, প্রোটন মানে একখান হইড্রোজেন-১ এটমের চার্জ রেডিয়াস জানতাম .৮৭০ ফেমটো মিটার (ফেমটোমিটার মানে হইলো দশমিকের ১৫ খানা শূন্য গুইনা গুইনা বসাইয়া তারপর মিটার লেখা। এখন এইটা কয় কয় বিলিয়ন মিলিয়ন ভাগ এইডা কইতে হইলে পাগল হইয়া যামু, ক্ষমা করেন)।
তো আগের যে সাইজখান আমরা জানতাম সেইটা অনেক হিসাব নিকাশ কইরা কোয়ান্টাম ইলেক্ট্রোডাইনামিক্সের সূত্র নিয়া পাকাইয়া বাইর করা হইছিলো, কিন্তু নতুন ল্যাম্ব শিফট পরীক্ষা অনুযায়ী শূন্যে কিছু তারতম্য হইছে।

অখন আসেন দেখি ঐ এক্সেপেরিমেন্ট এমুন কি জিনিস!

সুইজারল্যান্ডের পল শিয়ারার ইনস্টিউটে পল আর তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়া মিউওনিক হাইড্রোজেনের (মিউনিক ব্যাপারটা হইলো একখান অনুর ভিতরের একখান পার্টক্যালরে ওর নেগেটিভ কিন্তু সমান চার্জ বিশিষ্ট পার্টিক্যাল দিয়া সরাই দেয়া, ঐ সরানির পার্টিক্যালডাই মিউনিক) উপর এই ল্যাম্ব শিফট চালায়।এই মিউওনিক হাইড্রোজেনর ভেতরে ইলেক্ট্রনরে একখান মিউনিক ইলেক্ট্রন আইনা কানে ধইরা সরানো হইলো তয় এই মিউনওনিকটা আসলে ২০৭ গুণ ভারী আর আনস্ট্যাবল।এই মিউনিক পার্টক্যালের কারনে হাইড্রোজেন বাবাজী একটু ভালা কইরা ছুটোখাটো এ্যাটোমিক নাম্বার করায়ত্ত করে (যেমুন আমাগো গেরামের গম চোর চ্যায়ারম্যানের ছুটোখাটো ক্ষমতা আরকি) যার ফলে প্রোটন বাবাজীর সাথে আরেকটু ভালা কইরা ইন্টারেকশন (এই শব্দটার বাংলা ভুইলা গেছি) ঘটে। এর ফলে প্রোটনের গঠন টা প্রোবে ভালা কইরা ঠাহর করন যায়। এতক্ষন যা ঘটলো তা কিন্তু সবগুলানই ক্যালকুলেশন কইরা রাখা, কুনো কিছুর এদিক ওদিক নাই। তয় এইখানকার ক্যাকুলেশনে তবুও কিছু অনিশ্চয়তা থাইকা যায় যেগুলা এই এক্সপেরিমেন্টের জন্য একখান পান্জ্ঞা মারা চ্যালেন্জ্ঞ!
পিএসআইতে যেইটা করা হইছে সেইটা হইলো মিউনের একখান তেব্র সোর্স আগেই ঠিক কইরা রাখছে (যেমনটা করে আমাগো দেশের ঠোলারা মিথ্যা কেসের নকল সাক্ষ্মী!)।
মিউওনের পালসগুলান থাইমা যায় হাইড্রোজেন গ্যাসের ভেতরে, যার ফলে কেউ কেউ মিউনিক হাইড্রোজেন পয়দা কইরা ফেলায় যার মধ্যে অল্প কিছু অংশ দীর্ঘায়ুর অধিকারী (পিজিক্সের ভাষায় মেটাস্ট্যাবল- তয় এই আয়ুর দৈর্ঘ্য হইলো এক মাইক্রোসেকেন্ড দশমিকের পর গুনাগাথা তিনখান শূন্য)। এবং এই জীবদ্দশাতেই এই মিউওনিক হাইড্রোজেন পালস খুবই তীব্র আকারে লেজার পালসে নেয়া হয় (নীচের ফটুক দেখেন, আঙ্গুল ব্যাথা হইয়া গেলো হাত চালাইতে চালাইতে)।


আর যদি ভালা কইরা টিউন করা হয় তাইলে এই ল্যাম্ব শিফট দিয়া এই পালসটা তার মেটাস্ট্যাবল স্টেট থিকা আপার এনার্জি স্টেটে যাওনের ট্রানজিশনে পইড়া যায়।যেহেতু আপার স্টেট এনার্জী লেভেলে বেশীক্ষন থাকতে না পাইরা যখন ডিকে হইতে থাকে তখন প্রোটনের এক্সরে রেডিয়েশনের মাধ্যমে এই ট্রানজিশন খান খুব ভালো ভাবে ডিটেক্ট করন যায়।ন্যারো টাইম উইনডো ডিটেকশনের লাভ হইলো অন্যান্য (যেইটার দরকার নাই) ব্যাকগ্রাউন্ড রেডিয়েশন আর মিউনওন ডিকে থিকা এই পালস জেনারেটেড রেডিয়েশনের পার্থক্যটা আলাদা করন যায়।মিউওন হাইড্রোজেনের এই লেজার ফ্রিকোয়েন্সি বার বার টিউন কইরা আরো এ্যাকুরেট রেজাল্ট পাওন যায় যার মাধ্যমে এই ফোটনের সাইজ মাপন যায়।

আগে প্রোটনের সাইজ মাপনের লিগা প্রোটনের থিকা ইলেক্ট্রনের স্ক্যাটারিং দিয়া মাপন হইছিলো আর ইনডাইরেক্টলি এ্যাটোমিক হাইড্রোজেনের স্পেকট্রোস্কপি কইরা করা হইছিলো।ইলেক্ট্র্রন স্ক্যাটারিং দিয়া মাপা খুবই জটিল একখান বিষয়।

অখন নীচের ফটুক দেখেন আগের গুলানের সাথে এখনকার তফাত!


তয় এই বৈষম্যগুলানের সার্স এখনো বিজ্ঞানীগো ক্লিয়ার না। যদিও ইলেক্ট্রন স্ক্যাটারিং মেথড টা সবচেয়ে ডাইরেক্ট কিন্তু এনালাইজ খান খুবইজটিল এবং প্রশ্নবিদ্ধ। আর এই হাইড্রোজেন আর মিউওনিক হাইড্রোজেন স্পেক্ট্রোকপি তে অনেক বড় আর ডিটেইলড ক্যালকুলেশন দরকার যেইটা পল শিয়ারার আর তার সাঙ্গপাঙ্গ লগের গুলান খুব ভালো ভাবে ৩০ টার্মের প্রোটনের ট্রানজিশনাল ক্যালকুলেশন কইরা দেখাইছে। তবুও ইরোর থাকনের পসিবিলিট আছে।এই স্পেক্ট্রোস্কপি তে বিভিন্ন ধরনের ট্রানজিশনে নিয়া মাপন হইছে আর ডিবার্গের কনস্ট্যান্টরে মাথায় রাইখা প্রোটনের সাইজ মাপা হইছে। এখন তারপরও কইতে পারেন, গ্যান্জ্ঞাম আছে, তাইলে আমি কমু মাথা ঠান্ডা করেন কারন এখন এই ক্যালকুলেশনের ডাটা গুলান বিভিন্ন ইনস্টিউট আর কোলাইডারগুলাতে মাপন শুরু হইয়া গেছে। আপাতত দুয়েকটার রেজাল্ট পিজিটিভ বাকি গুলানের পেন্ডিং!

যাই হোউক, অখন এত কিছু পইড়া যদি কন প্রোটনের এইযে সাইজ মাপা হইলো এইটা কুন কোম্পানীর ফিতা লাগছে, তাইলে আমি কমু, ভাই হাতে একখান লাঠি লন, আর আমার মাথায় একখান বাড়ি দেন! আমি আর বাচবার চাই না!


ভালো থাকেন সকলে!


সরি সূত্র দিতে ভুইলা গেছিলাম। নেচার জার্নাল জুলাই ইস্যু।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:১৮
৪২টি মন্তব্য ৩৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×