somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পুচকিশ দের জন্য ফিজিক্স, না বুঝলে হাত তুলো মাগার আঙ্গুল মুখে দিবার পারবা না! পড়নের বয়সসীমা ৫ হইততে ১৪ বছর!

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৬:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পুচকি পুলাপান যখন হা কইরা আকাশে চাইয়া থাকে তখন মনে হয় মুখে একখান ললিপপ ঢুকাই দেই: এইটা ছিলো আমার গেন্ধাকালের শখ। তখন হয়তো জিগাইতে পারেন গেন্ধাকালে আমি কি আছিলাম? এইডা অবশ্য গুড কুশ্চেন উইথআউট এনসার!

ইদানিং রাস্তা ঘাটে যখন পুচকা পুলাপান ললিপপ মুখে দিয়া হা কইরা থাকে তখন মনে হয় এইগুলানরে ফিজিক্স বুঝাই, তাও আবার কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স! দুঃখ লাগে ব্লগে আইলে বিজ্ঞান নিয়া পুলপানের পোস্ট দেখলে কান্না আসে। তাই নিজের কান্না থামাইতে আরেকখান প্রজেক্ট হাতে নিলাম যার স্লোগান হইলো,


" প্রাথমিক শিক্ষায় কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স পড়ানো হোউক!"



স্ট্রিং থিওরী!

পদার্থবিজ্ঞানের সব কিছুই গনিতের ভাষায় প্রকাশ করা হয় যার সাথে বাস্তবতাকে মিলিয়ে সুন্দর ফলাফলে আসা যায় স্ট্রিং থিওরী সেরকমই একটা গানিতিক ব্যাখ্যা যার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা ধইরাই নিছে জগতের সবকিছুই এই মান্ঞ্চু দিয়া ব্যাখ্যা করন সম্ভব!

হাতে এক ডিম লাইট নিয়া ফাটায়া ফেলান দেখবেন চিকনা এক খান সূতা। এই চিকনা সূতার নাম ফিলামেন্ট। বাত্তী জ্বলনের কারিশমা হইলো দুই ডান্ডার মাঝখান দিয়া কারেন্ট যাইবার চায় যখন নেগেটিভ পজিটিভ হাই ভোল্টেজের এই চিকনা ফিলামে্ন্টের দুই প্রান্তে লাগানো হয়। কিন্তু কইলেই তো হওন যায় না, কারন ঐ চিকনার এমুন শক্তি যে বিদ্যুৎ প্রবাহে বাধা দেয়। ফলে চিকনার দুই কান এমুন গরম হয় যে গরমে সে লাল্টু হইয়া যায়।

যাই হোউক বিজ্ঞানীরা মনে করে এই সমগ্র মহাবিশ্ব আসলে কিছু কম্পনশীল এমুন ফিলামেন্টের মতো এনার্জীর সমস্টি! কুটিকালে তুমরা হয়তো ভাববা একখান আম ভাংলে দুই টুকরা। তারপর ভাংতে ভাংতে পামু অনু পরমানু। সেগুলান ভাংলে প্রোটন আর ইলেক্ট্রন আর চামচা নিউট্রন, মাঝে মাঝে পজিট্রন সেগুলান ভাংলে পাওন যাইবো গ্লুওনের ভিতরে কোয়ার্ক আর কোয়ার্ক ভাংলে হইবো শক্তি আর শক্তি। এই শক্তি বা ইংলিশে কইলে এনার্জি দিয়াই হইলো মহাবিশ্বের গঠন। তাই এই শক্তিগুলানরে যদি কম্পনশীল সূতলী ধইরা নেই আর এই শক্তিগুলানরে যদি গ্রাভিটি বা অভিকর্ষ দিয়া একত্র হিসাবে ধইরা নেওন যায় তাইলে সোজা বাংলায় কওন যায় ইহা দিয়াই মহাবিশ্বের গঠন প্রকরন। আর ইহাই হইলো স্ট্রিং থিওরী।

তবে এইটা এখনও ফাইনালাইজ করন যায় নাই, কারন কোনো বিজ্ঞানী সেরম কোনো ম্যাথমেটিক্যাল মডেল দিয়া ইহা একিভূত করতে পারে নাই। কেন পারে নাই সেটা নিয়া সোজা বাংলা বিস্তর আলাপ হবে পরে! অখন একখান গান শুনো!

জিপুর বিষাদী আকাশ!

কেমনে ইহা দিয়া সব ব্যাখ্যা করন যাইবো?

আসলে স্ট্রিং থিওরী নিয়া কাজ করে তাহারাই যারা আসলে পার্টিক্যাল ফিজিক্স নিয়া কাজ করে। একটু আগেই তুমি ভাবতাছিলাম এইসব অনুপরমানূ কেমনে একে অপরকে আকর?ষন কইরা একখান আম হইছে। আবার এইসব অনু পরমানুর ভিতর দেখবা ইলেক্ট্রন প্রোটনের মাজরা তারপর হইলো কোয়ার্কের গ্যান্জ্ঞাম তারপর হইলো এই এনার্জীর সূতলি। এইখানে অবশ্য একখান কথা কইতে হয় সেইটা হইলো মাত্রা ইংলিশে কইলে ডাইমেনশন। ডাইমেনশন কি সেইটা চোখে দেখা জামানার সাথে তুলনা করলে দেখবা আমার হাতের বেতে দেখা ইহার দৈর্ঘ আর প্রস্হ আছে আর উচ্চতা যেইটা দিয়া তুমার পিঠে লাগাইলে ঐটার সাইজ হইবো এছাড়া আরো একখান ব্যাপার আছে সেইটা হইলো এইটা যেই সময়ে আছে সেই সময়ে ইহার দৈর্ঘ্য প্রস্হ উচ্চতা মানে স্পেস টাইম কনটিনাম। এইতে তুমি লাইনে আইসা গেছো ৪র্থ ডাইমেনশনের দুনিয়ায়। যাই হোউক এমুন কইরা দেখবা আরো অনেক ডাইমেনশন পিয়াজের পাতার মতো একে অপরের সাথে লাগিয়া আছে যে গুলা এই শক্তির সূতলীর সাথে কমপ্যাক্ট মানে লাইগা আছে।
কখনো কি দেখছো রাস্টায় তিনতারের কারেন্ট ঠিক করতে গিয়া মিস্ত্রী হঠাৎ বুইঝা না বুইঝা বইলা বসে ফেজ গেছে গা, এমুনি এইখানে ফেজ এমপ্লিচুডও আছে তবে তা সরাসরি না একটু ঘুরাই পেচাই। যেগুলান আরো বড় হইলে পড়া লেখা করলে জানবার পারবা।

যাই হোউক এই যে কমপ্যাক্ট নেস মানে পিঠাপিঠি লাগানী ইহাকে কোয়ান্টাম ফিল্ড থিওরী দিয়া ব্যখ্যা করা যায়। আসলে এই কোয়ান্টাম থিোরীর কাজই হলো এই কোয়ান্টাম লেভেলের এনার্জির কুন কুন অবস্হায় একটা একটার সাথে ঘুর প্যাচ উপর নীচ কইরা লাগালাগি কইরা কত সময়ের জন্য এই সব পার্টক্যাল গঠন করে তা নিয়া কাজ করে।
তবে এসবের লাগালাগির পইচনে বিজ্ঞানীরা যাকে মূলত হিসাবের খাতায় রাখতে চায় সেইটা হইলো গ্রাভিটি যেইটারে ব্যাখ্যার জন্য কোয়ান্টাম গ্রাভিটি ব্যাভার করা হয়। আস্তে আস্তে এইসব টার্ম আরও স হজ ভাবে ব্যাখ্যা করুম।

স্ট্রিং থিওরীর চাবিগুলি!

১) এই সূত্রানুসারে এই মহাবিশ্বের প্রতিটা বস্তুই গঠিত হইছে এই কম্পনশীল এনার্জীর সূতলি দিয়া!
২) স্ট্রিং থিওরীর কামই হইলো জেনারেল রিলিটিভিটির গ্রাভিটিরে কোয়ান্টাম ফিজিক্সের ভিতর ঢুকানো। অনেকেই বইলা থাকেন মাইক্রো ওয়ার্ল্ডের নিয়ম ম্যাক্রো ওয়ার্ল্ডে খাটে না, এইটার কথাকে উৎড়ানোর জন্যই!
৩) এই থিওরীর কামই হইলো জগতের সব মৌলিক শক্তিগুলানরে এক করনের রাস্তা বাইর করা!
৪) এই থিওরীর আরেকটা কাজ হলো বোসন আর ফারমিওনের মধ্যে একটা নতুন কানেকশন (সুপার সিমেট্রি: পরে বিস্তারিত) বের করা!
৫) এই থিওরী অনুসারে আরও অনেক নতুন ডাইমেনশনের ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বানী করা যা পর্যবেক্ষনের রেন্জে নাই!

সূতলি আর মাত্রাগুলান

মনে হয় ৭০ দশক, যাই হোউক ভূল হইলেও কিছু আসে যায় না তখন ধরা হইছিলো এইসব এনার্জির সূতলিগুলানের সব গুলানই এক ডাইমেশনের মানে মাত্রার। অখন এক খান কথা কই মাত্রাগুলান সেইটা নিয়া আমার উপরের বেতের বাড়ির উদাহরন খান ভালো কইরা পইড়া দেখো, ডরাইয়ো না উহার প্রাকটিক্যাল করামু না!

এই সূতলি গুলান দুইরকরমের একখান হইলো আবদ্ধ আরেকখান হইলো খোলা। এক খান খোলা সূতলি হইলো এই এনার্জীর সূতলি শেষ হইবো কেউ কারো স্পর্শ না কইরাই। আবদ্ধটা হইলো তারা একটা লুপ তৈয়ার করবো যার কোনো খোলা প্রান্ত নাই! এগুলান মূলত টাইপ ১ সূতলি যেগুলান মূলত ৫ রকমের ইনটারেকশন বা মিথস্ক্রিয়ায় মিলিত হয়। আসলে এইসব এনার্জীর সূতলির মিথস্ক্রয়াতেই তো কিছু না কিছু কোয়াকর্কের দিকে আগাইবো? যদিও আমি যত স হজে কইলাম এইটা যদি কোনো পার্টক্যাল ফিজিক্সের লোক দেখে আমার গুতাইয়া উল্টা ঢ্যাব ঢ্যাবি ছুটাইবো!

যাই হোউক সচিত্র দেখি


উপরে ছবিতে দেখা যাইতেছে কিছু কিছু সুতলীর তালাক হইয়া গেছে অন্যখানে কিছু কিছু ফের বিয়া করছে। তারে মানে দেখা যাইতেছে আবদ্ধ সূতলি ছাড়া স্ট্রিং থিওরী কাম করবার পারে না! যারা তালাক দেয় তারা থিওরী ছাড়া!

আর ইহাতেও প্রমান করে এই আবদ্ধ সূতলি গুলানের প্রপোর্টিজ আছে আর কিছু বানাইতে পারে যেইটার উপর ভিত্তি কইরাই বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করে এইটা দিয়া এই গ্রাভিটি বা অভিকর্ষ মাধ্যাকর্য তাংফাং যেইটা কও সেইটা ব্যখ্যা করন যাইবো!আসলে এর মাধ্যমেই গ্রাভিটি আর পার্টক্যালের চাল চরিত্র কেমুন হইবো সেইটা কইয়া দেওন যাইবো জ্যোতিষগো মতন!
মাগার অনে ভাবান চিন্তা কইরা দেখা গেলো আরও দুয়েকটা জিনিস ছাড়া চিন্তা ভাবনা আগান যায় না আর সেই দুয়েকটা জিনিস হইলো ব্রেন অথবা মাত্রা অথবা মেমব্রেন অথবা স্তর (যে যেইটা বইলা খুশি হন)।
এখন কথা কইতে পারে এই স্ট্রিং গুলান এই স্তরে কেমনে আটকা?

নীচের ফটুক দেখো:



(চলবো)

রেফারেন্সের লিংক পরে দিমুনে....এক স্যার মেইল করছে সে আপলোড করলে তার লিংক স হ পাইয়া যাইবেন!

সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:১৫
৩৯টি মন্তব্য ৩৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে না পারার কষ্টটা সমালোচনার কোন বিষয়বস্তু নয়

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৬

গতকালের একটি ভাইরাল খবর হচ্ছে কয়েক মিনিটের জন্য বিসিএস পরীক্ষা দেয়া হলো না ২০ প্রার্থীর !! অনেক প্রার্থীর কান্নাকাটির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান এর নিয়ামানুবর্তিতার জ্ঞান বিতরনের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×