“ঠাকুর” বলতে খুব ছোটবেলায় বুঝতাম-
দেব-দেবী; যেমন-
দূর্গাপুজোতে প্রতিমা-দর্শণে যাবার সময়
বলা হত-“ঠাকুর দেখতে যাচ্ছি”!
সেই ছোট্টবেলাতে আরেকটা নাম খুব শুনতাম-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর; মা বলত “রবিঠাকুর”।
আমার কাছে কোন তফাত ছিলনা-
দেব-দেবী আর রবিঠাকুরের মাঝে;
স্নিগ্ধ কোমল আর পবিত্র দৃষ্টি নিয়ে
শুশ্রুমণ্ডিত “রবি”কে দেখে আমার কখনোই মনে হয়নি
উনি আর দেবতারা ভিন্ন জগতের হতে পারেন!!
শৈশব, কৈশোর পেরিয়েছি আজ-
ঐ ঠাকুরকে বুকের মধ্যে নিয়ে;
যত বড় হয়েছি, দেব-দেবীর ধারণাটা আস্তে আস্তে
প্রচ্ছন্ন হয়েছে;কিন্তু অদ্ভুতভাবে-
“রবিঠাকুর” প্রকট হয়ে উঠেছেন!
যতবার আঘাত পাই,যতবার কাঁদি
ততবার ফিরে যাই ঐ ঠাকুরের কাছে, তাঁর সৃষ্টির মাঝে!
আর অলৌকিক আলোকময় ঐ জগত থেকে
যখন বেরিয়ে আসি,তখন বুঝি-
আমার সারা জগতজুড়ে “রবি”র কিরণ;
যার মঙ্গলস্পর্শে উধাও হয়েছে-
আমার কষ্টের প্রলেপ!
প্রেমিকাকে প্রেমিকা, বন্ধুকে বন্ধু,
মাকে মা আর মানুষকে মানুষ ব’লে চিনতে শিখেছি-
“রবি”র চোখে, “রবি”র সৃষ্টির জগতে দু’চোখে মিলিয়ে...!
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রবিঠাকুর...প্রণমি তোমায়!!