somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমরা এখনও ঐক্যবদ্ধ হতে পারলাম না !!!!

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রতিবাদী মানুষ হিসেবে আসিফের সুনাম দীর্ঘদিনের। প্লেব্যাক সিঙ্গারদের সম্মানীর সমন্বয়হীনতার অভিযোগ করে অনেক আগেই প্লেব্যাক ছেড়ে দেয়ার ঘোষণায় আলোচিত হন তারকা এই গায়ক। তার এই প্রতীকী প্রতিবাদের প্রশংসা সবাই করলেও আসিফ এখনও তার পথে কোনো সহযোদ্ধা পাননি। এরপর সঙ্গীত জগতের ঐক্যের অভাবের কথা উল্লেখ করে গান ছাড়ারও ঘোষণা দেন। তাতেও তিনি কাউকে পাশে পাননি। তবে তার এই প্রতিবাদ সাধারণের মনে দাগ কেটেছে। সম্প্রতি তিনি আবারও প্রতিবাদী হয়ে উঠেছেন ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি চিহ্নিত কিছু মানুষের অতি অনুরাগ আর দেশের সংস্কৃতিসেবীদের (?) শাহরুখপ্রীতি দেখে। আসিফ সরাসরি বলেছেন, দেশপ্রেমের যে বুলি আওড়ান সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা তারা এখন চুপ কেন? সাম্প্রতিক এসব বিষয় নিয়েই আসিফের সঙ্গে কথা বলেছেন নবীন হোসেন

শাহরুখ খানের অনুষ্ঠানে শাকিব খান ও কুমার বিশ্বজিেক অংশ না নেয়ার অনুরোধ করেছেন আপনি। কোনো সাড়া পেয়েছেন?
আমি একা না। দুটি সংগঠন এই অনুরোধ করেছে। এর মধ্যে তরুণ সঙ্গীত শিল্পীদের একটি সংগঠনের উপদেষ্টা আমি। সংগঠন দুটি মানববন্ধনও করেছে। আমি সেই মানববন্ধন থেকে এই দুই তারকাকে অনুরোধ করেছি যাতে তারা এই অনুষ্ঠানে অংশ না নেন। শুনেছি শাকিব খান অংশ নেবেন না। এজন্য তাকে ধন্যবাদ। তবে কুমার বিশ্বজিতের কোনো মন্তব্য পাইনি।
কেন এমন অনুরোধ করলেন?
ভারতীয় সংস্কৃতি আমাদের রন্দ্রে রন্দ্রে ঢুকে যাচ্ছে। আজ সঙ্গীতের যে বেহাল অবস্থা তাতে ভারতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসন সবচেয়ে বড় কারণ। হিন্দি গানের অডিও সিডি এখনও দেদারছে বিক্রি হচ্ছে, কিন্তু বাংলা গান গত কয়েক বছরে হাতে গোনা কয়েকটি ছাড়া হিট হয়নি। সবচেয়ে বড় কথা আমাদের দেশে অনেক বরেণ্য শিল্পী অর্থের অভাবে বিনা চিকিত্সায় ধুঁকছেন। তাদের চিকিত্সার খোঁজখবরও আমরা নিতে পারছি না। অথচ বিদেশি শিল্পীদের বেলায় কোটি কোটি টাকা লগ্নি করা হচ্ছে। এর কোনো প্রতিবাদ নেই। কারণ, আজও আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারিনি। মুখে সবাই দেশপ্রেমের কথা বলছি আর দেশীয় সংস্কৃতি রক্ষার জন্য নিজেকে উজাড় করে দেয়ার ঘোষণা দিচ্ছি। অথচ বিদেশি শিল্পী এলে তাদের জন্য নিজেদের বিকিয়ে দিয়ে এ দেশের পাশাপাশি সংস্কৃতি আর সভ্যতাকে অপমান করছি।
আপনার অবস্থান সম্পর্কে আরেকটু স্পষ্ট ধারণা দিন?
আসলে আমার অবস্থান ভারত বা শাহরুখ খানের বিরুদ্ধে নয়। শাহরুখ যোগ্যতম মানুষ হিসেবেই আন্তর্জাতিক খ্যাতি পেয়েছেন। সুতরাং তার বিরুদ্ধে আমি কিছু বলব না। যারা শাহরুখের অনুষ্ঠান আয়োজন করছেন কোটি টাকা খরচ করে, আর দেশের যারা এই অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন তাদের দেশপ্রেম নিয়ে আমার প্রশ্ন রয়েছে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনেক শিল্পী এখন মানবেতর জীবনযাপন করছেন, চিকিত্সা করাতে পারছেন না। তাদের জন্য কেউ কি কিছু করছেন? কেন আজম খানের মতো শিল্পীর চিকিত্সার জন্য অর্ধ কোটি টাকা জোগাড় করতে আমাদের এত কষ্ট হলো। কই, শাহরুখ খানের অনুষ্ঠানের জন্য কোটি কোটি টাকা জোগাড় করতে তো কারও বেগ পেতে হয়নি?
দুই দেশের সাংস্কৃতিক চুক্তি অনুযায়ী এমন অনুষ্ঠান হতেই পারে—
সাংস্কৃতিক চুক্তিতে আদান-প্রদানের বিষয়টি রয়েছে। অর্থাত্ এদেশে যেমন ভারতীয় শিল্পী, ছবি, গান আসবে তেমনি ভারতেও আমাদের ছবি, গান, শিল্পীরা যাবেন। যারা শাহরুখ খানকে এ দেশে এনেছেন তাদের বলুন ভারতে আমাদের দেশের শিল্পীদের নিয়ে একটি অনুষ্ঠান করতে। তারা এই আয়োজন করতে পারবেন না। কারণ, ওই দেশে আমাদের নিয়ে অনুষ্ঠান করার অনুমতিই সে দেশের সরকার দেবে না। তারপর আসবে লাভ-লোকসানের হিসাব। একটু খেয়াল করে দেখুন ভারতে এ দেশের কোনো চ্যানেলই চলতে দেয়া হচ্ছে না। অথচ আমাদের দেশে ভারতীয় চ্যানেলে ভর্তি। এই আমাদের দেশপ্রেম?
একজন শাকিব খান বা একজন কুমার বিশ্বজিত্ না গেলে কী এ অনুষ্ঠান থেমে থাকবে?
কখনোই না। অনুষ্ঠান বন্ধ করার জন্য আমরা এই দু’জনকে যোগ না দেয়ার অনুরোধ করিনি। আসলে এটা একটি প্রতীকী প্রতিবাদ। আমরা মিডিয়ার মানুষই যখন এক হতে পারছি না তখন গোটা জাতিকে কীভাবে এক করব?
ঐক্যের এই অভাব কেন?
ব্যক্তিস্বার্থ। আর কিছুই না। আমাদের দেশে এখন ব্যক্তিস্বার্থই বড় হয়ে গেছে। দেশ আর জাতির কথা কেউ ভাবছে না।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×