somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কাকতলীয়

২৭ শে মে, ২০১১ রাত ১১:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

--হ্যালো, সানি, আজকে ফ্রি আছিস???
--হুমমম......কেন??
--আমার সাথে ইস্টার্ন প্লাজায় চল, সেট কিনব। পারভেজও যাবে।
--আরে তাই নাকি!! টাকা ম্যানেজ করতে পারলি শেষ পর্যন্ত!
সানি একই সাথে অবাক ও খুশি হয়। জনি বেচারা অনেকদিন ধরে সেট কেনার জন্য ঘুরছে!
--অনেক কষ্টে, বহুত কাহিনী কইরে টাকা ম্যানেজ করলাম।
--আচ্ছা ঠিক আছে, তুই আর পারভেজ ১০ নম্বর দাড়া। আমি আসতেছি ২০মিনিটের মধ্যে।

জনি অনেকদিন ধরেই একটা মোবাইল সেট কেনার চেষ্টা করছে। ৫মাস আগে ওর আগের সেটটা ছিনতাই হয়ে যায়। এরপর ও বাসায় অনেক বলেছে একটা সেট কিনে দেয়ার জন্য। কিন্তু ওর আব্বা ওর কোন কথা শুনতে রাজি নন। একে তো প্রায় সব কয়টা পাবলিক ভার্সিটিতে পরীক্ষা দিয়েও কোথাও চান্স পায়নি। দ্বিতীয়বার আবার ট্রাই করবে বলে কথা দিলেও বই-খাতা ছুয়েও দেখে না। সারাদিন পিসি নিয়ে বসে থাকে।

--তোর আবার মোবাইলের কি দরকার?? সারাদিন তো বাসায়ই বইসে থাকিস।
--আরে বাসায় বসে থাকি বলেই তো বন্ধুদের সাথে কন্টাক্ট করার জন্য মোবাইল দরকার!
--আরে কিসের কন্টাক্ট!!! তোর সব বন্ধুরা কোথাও না কোথাও ভর্তি হয়ে গেল। তুই-ই খালি কোথাও চান্স পেলি না। আমার এত্ত এত্ত টাকাও নেই যে তোকে প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়াব! এইবার পরীক্ষাটা ভাল করে দে বাপ। কোথাও ভর্তি হ! তখন তোকে একটা দামী সেট কিনে দেব। কেমন?

জনি এরপর আর কথা বাড়ায় না। কিন্তু এখন ওর মোবাইল না হলে চলবেই না! কারন গত মাসে "বিশেষ" একজনের সাথে ওর পরিচয় হয়েছে। ওর ছোট মামার বিয়েতে। শিলা, ওর ছোট মামীর বোনের মেয়ে। প্রথম দেখাতেই প্রেম যাকে বলে! এইচএসসি ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে। বিয়ের দিনই ও শিলার মোবাইল নাম্বার ম্যানেজ করে ফেলেছিল। সাহসের অভাবে ওদের টিএন্ডটি থেকে ফোন দিতে পারেনি। মোবাইল ওকে কিনতেই হবে! এক্ষুনি!!!!!!!

অনেক কষ্টে ৭০০০ টাকা ম্যানেজ করেছে। ওর আম্মু নিজের জমানো ৩০০০ টাকা দিয়ে দিয়েছে। ওর নিজের জমানো ছিল ১৫০০ টাকা। আর ওর বৃদ্ধ দাদার কাছ থেকে এনেছে ২৫০০ টাকা। দাদুর পেনশনের টাকা থেকে অল্প অল্প করে টাকা জমান। সেখান থেকেই ২৫০০ টাকা দিয়েছেন তিনি।

জমানো সব টাকাই নিয়ে এসেছে ও। বেকার মানুষ, তাই বাসা থেকে এখন কোন হাতখরচই পায় না। এই ১৫০০ টাকাই ছিল সম্বল। এই টাকাও শেষ হয়ে গেল!! ধুররর........যা হবে দেখা যাবে। আগে মোবাইল কিনি--এসব সাত-পাচ ভাবতে ভাবতে জনি মিরপুর-১০ নম্বর মোড়ে চলে আসল। সানি আর পারভেজও চলে এল। সবাই মিলে বাসে উঠল ইস্টার্ন প্লাজার উদ্দেশ্যে.................................


--কিরে জনি, আর কত ঘুরাবি। রোজা রাইখে এত ঘুরাঘুরি করা যায় নাকি!!!
পারভেজ বিরক্তিবোধ করে। এমনিতে সব সময় চুপচাপ থাকে, কিন্তু এই রোযার দিনে অহেতুক ঘুরাঘুরি করতে ওর ভাল্লাগছে না। একটা মোবাইল কিন্তে এসে জনির এত ঘুরাঘুরি আর বাছাবাছিতে সানিও খানিকটা বিরক্ত। কিন্তু ও পারভেজের মত জনির মুখের উপর কিছু বলতে পারল না। বেচারা এত শখ করে একটা সেট কিনতে এসেছে!
--আর একটু দেখি দোস্ত। ২টা দোকান ঘুরে যদি ২০০ টাকা বাচাইতে পারি তাহলে তো তোদেরই লাভ। তোদের পেট ভইরে ইফতারী খাওয়াব। প্লিজ রাগ করিস না।
পারভেজ আর কথা বাড়ায় না। জনিও বুঝতে পারে বন্ধুদের মনের কথা। কিন্তু ও কি করবে! চায় একটা ভাল সেট, বেশি ফিচারওয়ালা, কিন্তু দাম হতে হবে ৬৫০০-৭০০০ এর মধ্যে। এসব ভাবতে ভাবতে দাড়ায় এক দোকানের কাচের ডিসপ্লের সামনে।

--বস, একটা ভাল সেট আছে, সেকেন্ড হ্যান্ড, অল্প ইউজ হইছে।
হঠাৎ করেই জনির পাশ থেকে এক ছেলে ওর উদ্দেশ্য কথাগুলো আস্তে করে বলে উঠে। ছেলেটিকে অনেক্ষন ধরেই দেখছে জনি। সেও ওদের মতই এ দোকান ও দোকান ঘুরছে। এর আগে ভাল করে দেখার প্রয়োজন মনে করেনি। এবার তাকাল ভাল করে। উচ্চতায় ওর সমানই প্রায়, বয়স হয়ত ওদের চেয়ে ২-৩ বছর বেশি হবে। ভদ্র পোষাক পড়া। সবুজ টি-শার্ট আর কালো প্যান্ট। টি-শার্টের উপরে বড় করে লিখা "GAP"।
--লাগবে বস?
--কি সেট?
জনি খানিকটা অনাগ্রহের সুরে বলে ওঠে। খুব একটা উৎসাহী নয় সে সেকেন্ডহ্যান্ড সেট কেনার ব্যপারে।
--নকিয়া এন৭০।
সেটের নাম শুনে জনির সামান্য যে উৎসাহটুকু ছিল তাও চলে যায়!! নতুন মডেলের দামী সেট। সেকেন্ডহ্যান্ড হলেও দশ-বারো হাজারের কমে তো দেবেই না!!
--দেখি সেটটা।
জনি বাধা দেয়ার আগেই সানি বলে উঠে। ও উৎসাহী। পারভেজ একপাশে চুপ-চাপ দাড়িয়ে ওদের কথা শুনছে।
পকেট থেকে সেটটা বের করে ছেলেটি। আসলেই কন্ডিশন বেশ ভাল। প্রায় নতুনের মতই লাগছে। জনি আর সেট দেখতে আগ্রহী হয় না। এই সেট বারো হাজারেও দেবে বলে মনে হয় না!
কিন্তু সানি খুটিয়ে খুটিয়ে সেট দেখতে থাকে। গান বাজায়, ছবি তোলে। সেটটা ওর মনে ধরেছে!
--কি বস, সেট পছন্দ হইছে না?
--হুমমম......ভালোই। তা কত নিবেন?
সানি কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছে।
--বস একদম অরিজিনাল সেট। বড় ভাই বাইরে থেকে আনছে। বেচতাম না, কিন্তু টাকার সমস্যায় পরছি, তাই বেচতেছি।
--ও আচ্ছা!
--আপনারা আমার ভাই-বেরাদারের মতই। আপনাদের কাছ থিকা বেশি নিমু না। আমারে ৯০০০ টাকা দিয়েন।
সানি-জনি দুইজনই খুব অবাক হয়। নকিয়া এন৭০ নতুন সেটের দাম ১৭০০০ এর কম না। আর এই ছেলের সেটটা তো খুব একটা পুরনোও না।
জনি আবার আগ্রহী হয়ে ওঠে। যদি দামাদামী করে ৭০০০ এ কিনতে পারে!!!
--ভাই আপনি তো বেশি চাচ্ছেন। সেকেন্ডহ্যান্ড সেট এত বেশি দিয়ে কেউ কিনে নাকি! এই দামে তো নতুন সেট পাওয়া যায়।
--কি কন বস! এই সেট এত কমে কেউ দিত না। টাকার দরকার বইলাই কমে ছাইড়া দিতেছি।
--আমি এত দিতে পারব না।আমার বাজেট এত না।
--ভাই এর কমে আর পারা যায় না। কিন্তু আপনাদের আমার ভাল লাগছে। আমার শখের জিনিসটা আপনার কাছে গেলে আমারই ভাল লাগবে। তা শুনি আপনার বাজেট কত।
--৬৫০০।
--নাহ ভাই, খামাখা সময় নষ্ট করাইলেন। এই দামে এই সেট পাইবেন জীবনেও??
--না পাইলে নাই!!
--৮৫০০ হইলে নিবেন??
--নাহ!!
--ঠিক আছে।
ছেলেটি চলে যায়। ওরা তিনজন একে-অন্যের দিকে তাকায়। কি করবে ভেবে পায় না।
--বাদ দে। চল আবার ঘুরা শুরু করি। ইফতারীর সময় প্রায় হয়ে এল। ইফতারীর আগেই সেট কিনতে হবে।
পারভেজ তাড়া লাগায়। ওরা আবার ঘুরা শুরু করে। কিন্তু সানি-জনি দুইজনেরই মন পড়ে আছে সেই সেটে!!!!

ঘুরতে ঘুরতে একটু পর আবার সেই ছেলেকে দেখতে পায় ওরা। ওদের দেখে ছেলেটি এগিয়ে আসে।
--বস, ৮০০০ টাকা দেন। নিয়া যান সেটটা।
কিছুক্ষন গুতোগুতির পর ছেলেটা ৭০০০ টাকায় রাজি হয়ে যায়। জনি তো আনন্দে আত্নহারা!! ও ভাবতেই পারেনি এই দামে এই রকম দামী একটা সেট পেয়ে যাবে!!

--বস এইখানে সেটটা দেয়া যাবে না। এখানে সেকেন্ডহ্যান্ড সেট কেনা-বেচা করতে দেখলে দোকানদাররা ক্ষেপে যায়। আমি ১০মিনিট পর মার্কেটের গেটের সামনে আসতেছি। আপনারা ওইখানে আসেন।
সেট কেনার আনন্দে অন্য কোন ভাবনা মাথায় আসে না জনির। ওরা তিনজন মার্কেটের গেটের সামনে রাস্তায় অপেক্ষা করতে থাকে।
ছেলেটি ১৫মিনিট পর হাজির হয়।
--বস টাকা দেন।
--সেট?
--দিতাছি। আগে টাকাটা গুইনা নেই। এখানে বেশিক্ষান দাড়ানো যাইব না।
--ঠিক আছে, এই নেন।
জনি ৭০০০ টাকা বের করে দেয়। ছেলেটি দ্রুততার সাথে টাকা গুনে নিয়ে পকেট থেকে সেটটা বের করে। জনির হাতে সেটা গুজে দিয়ে "আসি বস, আপনারাও এইখান থেকে চলে যান, দাড়াইয়েন না" বলেই খুব দ্রুতই ভিড়ের সাথে মিশে যায়।
জনি একটু অবাক হয়। তবে কি মনে করে ওরাও দ্রুততার সঙ্গেই অন্যদিকে চলে যায়।

এরি মধ্যে ইফতারীর সময় হয়ে যায়। ওরা একটি হোটেলে ঢুকে ইফতার করার জন্য। এরমধ্যে সেটটা আর দেখার সময় পায় না জনি।
ইফতারীর পর পাশের মসজীদ থেকে নামাজ পরে এসে আবার সেই হোটেলে বসে ওরা। চায়ের অর্ডার দিয়ে জনি পকেট থেকে সেটটা বের করে।
--কিরে সানি, মোবাইলটা অন হচ্ছে না কেন??
--তাই নাকি?? আমি তো তখন দেখলাম ফুল চার্জই ছিল। দেখি তো।
সানি সেটটা হাতে নিয়ে চমকে যায়। আগের ছেয়ে অনেক হাল্কা মনে হয় সেটটি। তখন হাতে নিয়ে বেশ ভারী মনে হয়েছিল। এরপর সেটটি ভাল করে দেখতে গিয়ে ওর মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরে!!
ওটা আসলে কোন সেট না। একটি নকিয়া এন৭০ সেটের কেসিং। কেসিং এর দুই পার্ট আঠা দিয়ে জোড়া লাগানো!!
--কিরে কি হইছে?? সেট অন হয়না কেন??
উদ্বিগ্ন জনি প্রশ্ন করে সানিকে।
--দোস্ত, আমরা তো ধরা খাইছি!
--মানে???!!
--এইটা তো সেটটা না। কেসিং!! দুই পার্ট আঠা দিয়ে জোড়া লাগানো!
--কি!!!!!!!!!!!
জনি পুরোপুরি বিমূঢ় হয়ে যায়। ওর মাথা একদম শূন্য হয়ে যায়!!
--কি করব এখন আমি???
পারভেজ আর জনিকে ওখানে বসিয়ে রেখে সানি এক দৌড়ে আবার ইস্টার্ন প্লাজায় চলে আসে ওই ছেলেটা যদি পাওয়া যায়-এই আশায়। কিন্তু অনেক তন্ন-তন্ন করে খুজেও ওকে পায়না সানি।
--কি করব এখন আমি???
--চিন্তা করিস না দোস্ত। যা হওয়ার হয়ে গেছে। এখন বাসায় চল।
জনিকে সান্তনা দেয়ার চেষ্টা করে সানি। ওর জন্যই এত গ্যাঞ্জাম। ও যদি অহেতুক এত আগ্রহ না দেখাতো..................

বাংলামটর থেকে একটা লোকাল বাসে উঠে ওরা। সানি-জনি সামনেই গেটের পাশে সিট পায়। পারভেজ পায় একদম পিছনে।

জনি জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকে। চোখ দিয়ে দুই-এক ফোটা পানি গড়িয়ে পরে..................

বাস ফার্মগেটে এসে লোক উঠানো-নামানো শুরু করে। রাত বাজে তখন ৮টা।
সানিও মন খারাপ করে বসে আছে। বাস যখন আস্তে আস্তে চলতে শুরু করে তখন একটি ছেলে দৌড়ে বাসে উঠে পরে। এবং সিট না পেয়ে দাড়ায় সানির পাশেই।
অন্যমনস্ক সানি হঠাৎ করে দেখে ওর পাশে দাড়ানো ছেলেটির গেঞ্জিতে বড় করে লিখা "GAP"। সেই ছেলেটির চেহারা সানি ভাল করে দেখনি। কিন্তু এটা ওর ঠিকই মনে আছে যে ওই ছেলের গেঞ্জিতেও লিখা ছিল "GAP"!!!! বাসে ভেতর আলো কম, তাই গেঞ্জির রং ভালোভাবে বোঝা না গেলেও "GAP" লেখাটি পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। "GAP" লিখা গেব্জি অনেকেই পরে। অনেক কমন। সানির নিজেরও আছে একটা ছাই কালারের। তবুও কিছুটা ইতস্তত করে সানি জনি কে ডাক দেয়।
--এই শোন, দেখত, এই ছেলেটা সেই মোবাইলওয়ালা ছেলেটা না??
সানি ফিসফিস করে বলে জনিকে। জনি এতক্ষন খেয়াল করেনি ছেলেটিকে। সানি বলার পর ভালো করে তাকায়।
বাসের ভেতর আলো কম। তবুও সেই ছেলেটির চেহারা জনি জীবনেও ভুলবে না! ওর ছেলেটিকে চিনতে ভুল হয় না।
--সানি, এই সেই ছেলে, এই সেই!!!!
চেচিয়ে ওঠে জনি!!

এরপরের ঘটনাগুলো খুব দ্রুত ঘটে যায়। ওই ছেলেটি কিছু বুঝে ওঠার আগেই সানি ওর কলার চেপে ধরে কয়েক ঘা লাগায়। ছেলেটি চেচাতে থাকে "আমি কি করছি ভাই, আমারে মারেন ক্যান" এই বলে। পরে ছেলেটি চিনতে পারে ওদেরকে, কিন্তু এমন ভান করতে থাকে যে ওদেরকে চেনে না, জীবনেও দেখে নাই!! সানি অন্ধের মত মারতে থাকে ওকে, আর জনির শুধু এক কথা "আমার টাকা দে"!! অন্যদিকে পারভেজ পিছন থেকে সামনে এসে বাসে অন্যদের মূল ঘটনা খুলে বলায় ব্যস্ত। বাস কিন্তু এদিকে চলছে, আগারগাও চলে এসেছে। আগারগাও মোড়ে সেদিন কোন কারনে কিছু পুলিশ দাড়িয়ে ছিল। তাদের দেখে বাস ড্রাইভার ওদের সবাইকে বাস থেকে নামিয়ে দেয়।

এতক্ষন শক্ত হয়ে থাকা ছেলেটি পুলিশ দেখে ঘাবড়ে যায়। সে সানিকে ফিসফিস করে বলে,"ভাই, আপনার টাকা ফেরত পাইলেই তো চলে?? পুলিশরে কিছু কইয়েন না ভাই, আমি টাকা দিয়া দিতাছি"। এদিকে জনি পুলিশদের কাছে গিয়ে সব খুলে বলে। সানি চোরটাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এবার শুরু হয় পুলিশী একশন!!! ২-৩ জন পুলিশ মিলে তাদের ডান্ডা দিয়ে সমানে পেটাতে থাকে ওকে। এক পুলিশ তো পেটাতে গিয়ে পা পিছলে পরেই গেলেন!!!! তার অবস্থা দেখে এত দুঃখের মাঝেও জনির হাসি পেল!

ছেলেটির পকেট ঘেটে ২টি কমদামী মোবাইল সেট আর মানিব্যাগ ঘেটে জনির ৭০০০ টাকা পাওয়া যায়। কিন্তু সেই নকিয়া এন৭০ আর পাওয়া যায়নি।
ওই মোবাইল সেট দুটোও সে অন্য এক ছেলের কাছ থেকে একই ভাবে চুরি করেছে। সানি ওই সেট দুটা তার আসল মালিককে ফিরিয়ে দিয়েছিল।

--চল জনি, সেট কিনতে যাই।
--আরে নাহ, আজকে আর কিভাবে,অনেক দেরী হয়ে গেছে। কালকে যাব।
--ওকে!

আগারগাও থেকে আবার ওরা বাসে ওঠে বাড়ি ফিরার উদ্দেশ্যে। জনি আবারো জানালার পাশে বসে। এবারো ওর চোখে পানি দেখা যায়। কিন্তু এটা আনন্দের কান্না............


এটা আজ থেকে চার বছর আগের ঘটনা। এটি ১০০% সত্য ঘটনা। তবে গল্পের প্রয়োজনে কিছু চরিত্র কাল্পনিক

পূর্বে অন্য ব্লগে প্রকাশিত
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৫১
১৭টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×