[ ২০০০ সালে আইসিসি'র সদস্যপদ পাওয়া ওমান ক্রিকেটে একরকম নতুন-ই বলা চলে। তার উপর তাদের দলে ওমানি প্ল্যায়ার হাতে গোনা কয়েকজন! কিন্তু এ বলে তারা ফেলনা না! ২০১৬ টি-২০ বিশ্বকাপের মূল বাছাই পর্বে খেলার যোগ্যতা তারা অর্জন করে নিয়েছে ইতিমধ্যে। বাংলাদেশ কে মূল পর্বে খেলতে হলে তাদের হারিয়ে আসতে হবে। তাদের কিছু খেলোয়ার কে তাই আগে আগেই পরিচয় করিয়ে দেয়ার চেষ্টা ]
আমির কালিমঃ
পাকিস্তানে জন্ম নেয়া ৩৪ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার অনুর্ধ্ব-১৯ পাকিস্তান দলে খেলে এসেছেন! ২০০৩ সালে চলে আসেন ওমানে। সেখানে এসে ওমান দলে ডাক পেতেও বেশ কাটখড় পোড়াতে হয় তাকে। যার কারনে পাকিস্তানের কোন সিনিয়র লেভেলে খেলেননি, সেই ওমান জাতিয় দলে ডাক পান ২০১০ সালে।
ডাক পেয়েই ২০১০ সালে এসিসি এলিট ট্রফি তে দুর্দান্ত পারফর্মেন্স করেন এবং দলকে তৃতীয় করার পেছনে অবদান রাখেন। তখন ছিলেন মূলত বাহাতি স্পিনার। ধীরে ধীরে ব্যাটের হাতটাও ভাল হতে শুরু করে। ২০১২ টি-২০ বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ার এ নিযে ভাল খেললেও দলকে সুবিধাজনক অবস্থানে নিতে পারেননি। ২০১৫ সালে অবশ্য তার পুনরাবৃত্তি ঘটেনি।
আন্তর্জাতিক টি-২০ তে তার ব্যাটিং গড় ৩৯!! স্ট্রাইক রেট ১২০+। ফার্স্ট ক্লাস এ দুর্দান্ত বোলিং করে আসলেও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে এখনো নিজেকে বোলিং এর মাধ্যমে তুলে ধরতে পারেননি। কিন্তু যে কোন সময়, বল কিংবা ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠার সামর্থ্য তার আছে।
মেহরান খানঃ
ওমানি এই ক্রিকেটার নিজের জাতিয়তায় ওমান দলে খেলা খেলোয়ারদের মধ্যে অন্যতম ! ডানহাতি এই ফাস্ট বোলার ওমানের বোলিং স্তম্ভ-ই বলা চলে!
৫টি আন্তর্জাতিক টি-২০ খেলে এই ক্রিকেটারের উইকেট সংখ্যা ৬টি, ইকোনমি রেট ৭ এর একটু উপরে। এছাড়াও ঘড়োয়া টি-২০ বোলিং ক্যারিয়ার ও তার বেশ সমৃদ্ধ।
সুলতান আহমেদঃ
ওমানের টি-২০ বিশ্বকাপের মূল বাছাইপর্বে খেলার পেছনের নায়ক তিনি! কোয়ালিফায়ার চলাকালে ওমান দলের অধিনায়ক ছিলেন পাকিস্তানের জন্ম নেয়া এই ক্রিকেটার।
২০০৫ সালে ওমানের জার্সি গায়ে অভিষেক হয় তার। ৩৮ বছর বয়সে ২০১৫ সালে অধিনায়ক রূপে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে অভিষেক হয় তার। তার ২০ ওভারের ক্রিকেটে স্ট্রাইক রেট ১৩৫+। ৭টি আন্তর্জাতিক টি-২০ খেলেছেন এপর্যন্ত, সংগৃহিত রান ৮৪। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার দলে মূলত উইকেট কিপার হিসেবে খেলে থাকেন।
জিশান মাকসুদঃ
এই ক্রিকেটারের জন্ম ওমানের মাটিতে! ওমানি ব্যাটসম্যান দের মধ্যে আন্তর্জাতিক টি-২০ তে তার স্ট্রাইক রেট সর্বোচ্চ! ১৫২.৬৩ স্ট্রাইক রেটে ৬ ম্যাচে তার সংগৃহিত রান ১১৬।
তার স্ট্রাইক রেট দেখেই বোঝা যায় তিনি কতটা ভয়ংকর হতে পারেন টি-২০'র জমানায়। বাহাতি এই ক্রিকেটারের ঘড়োয়া টি-২০ ক্যারিয়ার ও বেশ সমৃদ্ধ। এছাড়াও বাহাতি অর্থোডক্স স্পিনে ফেলতে পারেন ছোবল। ৬ টি আন্তর্জাতিক টি-২০ তে তার উইকেট প্রাপ্তি ৭টি। আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের মূল কোয়ালিফায়ার এ আয়ারল্যান্ড এবং হল্যান্ড এর মত স্পিনে আনকোরা দলদের বিপক্ষে তিনি হতে পারেন দলের তুরুপের-তাস।
মাত্রই গত বছরের মাঝামাঝিতে টি-২০ স্ট্যাটাস পায় ওমান। ওয়ানডে স্ট্যাটাস এখনো অধরা, কিন্তু তাদের উন্নতির ধারা বেশ প্রশংসনীয়। তারা ২০১৬ বিশ্বকাপের মূল বাছাইয়ে খেলবে সুপার টেনের জন্য! এশিয়ার ক্রিকেটের উন্নতির প্রতিভূ ওমান আরো এগিয়ে যাবে আমরা সে আশাই করবো
পূর্বের লেখাগুলি পড়তে চাইলে...
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০১