শকুনের দল ঝাঁক বেঁধে ওই বলনা কী যে খাস?
ও যে আমার তাজা কলিজা, নহে ফেলানীর লাশ।
ফেলানীর গায়ে সবুজ জামা, মাঝে মাঝে লাল
কোণা,
চৌষট্টি টা টুকরো কাপড়, সাতটি সুতোয় বোনা।
এই জামাটা সম্বল আমার একাত্তর টাকা মূল্য,
বায়ান্নটা সিলাই আছে, হীরা মানিকের তুল্য।
ফেলানী আমার আদরের ধন, সহজ সরল মেয়ে,
কত যে খুশি হৃদয়ে ওর এই জামাটা পেয়ে।
কাল সকালে কই গেল সে বললো ‘বাবা আসি’,
ওরে ফেলানী আমার, এলি না তো আর, নয়ন
জলে ভাসি।
আজ সকালে খবর পেলাম বর্ডারে তোর লাশ,
পড়ে আছে হেথা যেথায় জানি চিল শকুনের বাস।
ঝুলে আছে তারে হৃদয় বিদারে, কেমনে কথা বলি,
কাঁদতে নারি অশ্রুও যেন কোথায় গেল চলি..!
ফেলানীর মা ভোর হলে আজো,
ফেলানীরে ডাকে ভুলে,
ফেলানী আমার ওঠেনা তো আর, যায়না তো
ইসকুলে।
গভীর রাতে ঘুমের ঘোরেও ফেলানী বলে
সে ডাকে,
আমার কোনো ভাষা নেই রে শান্ত্বনা দেই
তাঁকে।
জানি নেইকো বিচার গরীবের তরে, আদালতে
হয় নাটক,
দোষীরা সব বিচারক আর নির্দোষীরাই আটক।
চাইনা বিচার রক্ত যে চাই, চাইযে তাজা খুন,
চোখ দুটো আর ভেজে না তো, চোখে যে
আগুন।
ক্ষমা করিস মা, তোর কবরে, দেইনি আজো মাটি,
আমি যে আজো চিল শকুনের কবরের বাঁশ কাটি।