somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চিরকুটঃ বহুগামী চিত্র

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শুধু মাত্র রাজধানী ঢাকাতেই দুই কোটি লোকের বাস। প্রতিদিন কমপক্ষে দেড় কোটি লোক রাস্তায় বের হন। অল্প কিছু মানুষ প্রতিদিন কয়েকশ লোকের জীবনের হুমকি হয়ে আছে। তারা ছিনতাই করছে। মানুষ মারছে। যাদের সংখ্যা খুবই কম। মাত্র গুটি কতক লোক প্রতিদিন রাস্তার পাশে দাড়িয়ে হিসু করেই চলেছে। তাদের হিসুর দুগর্ন্ধ আর জীবানুতে ভরে উঠছে আকাশ। দেশে ষোল কোটি মানুষ। তার মধ্যে প্রায় পাচ কোটি নারী। হাতে গোনা কতক ধর্ষকের কাছে জিম্মি হয়ে আছে। সুযোগ পেলেই বসিয়ে দিচ্ছে তাদের বিষাক্ত থাবা। এই পর্যন্ত কারো বিকার নেই। দুর্ঘটনা ঘটে গেলে দুচার কথা বলেই শেষ করে দিচ্ছে। তাদের কাছে এই গুলো খুবই স্বাভাবিক ঘটনা।

অথচ এই অতিস্ট মেয়েরা নিজেদের রক্ষা আপ্রান চেস্টা করে যাচ্ছে। রাস্তায় বের হলে মেয়েদের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকা মানুষের চোখের অভাব হয়না। যার কাপড় যত ছোট তা দিকে চোখ তত বেশী। এইটা অতি স্বাভাবিক একটা ঘটনা। কিন্তু এই তাকিয়ে থাকাটা অনেক মেয়ের কাছেই অস্বস্তিকর। এই থেকে মুক্তি পেতে কেউ প্রতিবাদ করে। কিন্তু যারা জানে প্রতিদিন হাজারো চোখের সাথে যুদ্ধ করা সম্ভব নয়। তখন তারা তাদের পোশাক পরিবর্তন করে। তারা তাদের ইচ্ছে মত নিজেদের পরিপাটি পোশাকে আবদ্ধ করে। এতে কারো কোন অসুবিধা হয়না। তাদের নিজেদেরও স্বাভাবিক কাজ কর্মে অসুবিধা হয় না। উপরন্তু অনাকাংখিত বিব্রতকর দৃষ্টি থেকে রক্ষা পায়। কিন্তু তাতে অসুবিধা হয় সেই উৎসুখ চোখ গুলোর। যারা এদের দেখে বিকৃত আনন্দে ব্যস্ত থাকে। আর অসুবিধা হয় এক শ্রেনীর শুশীলদের। শুরু হয় পরামর্শ দেয়া,কাপড় খোল। ছোট কাপড় পড়ো। সৌর্ন্দয দেখানোর জিনিস। সুতরাং দেখাও। কেউ কিছু বললে প্রতিবাদ করো। প্রয়োজনে যুদ্ধ করো। কিন্তু বাস্তবতা হলো এই যুদ্ধে মেয়েদের একাই লড়তে হয়। যখন হেরে যায় সুশীলদের একজনকেও পাশে পাওয়া যায়না। বিচারতো দুরের কথা বরং মিনমিন করে বলবে, যা হবার তা হয়ে গেছে আসো আন্দোলন করি।

অধিকাংশ পুরুষের মধ্যেই বহুগামীতা বাস করে কিন্তু সবাই সাধারনত সাহসী হয়না। তবে প্রথম শ্রেনীর পুরুষরা বহুগামীতার জন্যে একাধিক বিয়ে করে তারা সাহসী এবং দায়িত্ববান। অর্থ এবং সময় দিতে তারা প্রস্তুত। দ্বিতীয় শ্রেণীর পুরুষরা অর্থ আর সময় দিতে চায় কিন্তু দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষমতা নেই এবং সাহসও নেই তারা প্রেম করে অথবা পরকিয়া প্রেম করে। তৃতীয় শ্রেনীর পুরুষরা অর্থ দিতে চাইলেও সময় দিতে পারেনা বা চায়না তারা পতিতালয়ে যায়। একটা শ্রেনী আছে যারা বহুগামীতা চায় সম্পুর্ন বিনা মুল্যে। এর জন্য তারা কোন কিছুই ব্যয় করতে রাজী নয়। এদের চতুর্থ শ্রেনীতে ফেলা যায়। এরা হলো ধর্ষক। এরা আবার দুই ভাগে বিভক্ত। এদের একদল সরাসরি ধর্ষন কাজে অংশ নেয়। এদেরকে সবাই ঘৃনা করে। সবাই দেখতেও পায়। কিন্তু এদেরই জমজ ভাইদের সহজে কেউ দেখেনা। কারন এরা মুখোশ পরে থাকে। তবে সমাজে তারা নারীবাদী বা সুশীল বা প্রগতিশীল নামে পরিচিত। এরা প্রগতির নাম করে মেয়েদের কাপড় খুলতে শুরু করে। এদের হাতে প্রতারিত হয়ে ধর্ষিত হয় সহজ সরল মেয়েরা। বিভিন্ন অযুহাতে বিভিন্ন কায়দায় বিভিন্ন প্রলোভনে নারী সঙ্গ উপভোগ করে। নারীবাদী পুরুষরা আবার তার সহযোগী হিসেবে নারীদেরকেও পায়। যারা কিনা তার মতই বহুগামী। লক্ষ্য করলে দেখা যায় কেবল মাত্র এই চতুর্থ শ্রেনীর নিকৃষ্ট বহুগামীরাই প্রথম শ্রেনীর বহুগামীদের সমালোচনা করে।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৮
৮টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×