
ইসলামে বিশ্বাসের উপাদান আছে মনোযোগিদের জন্য এবং অবিশ্বাসের উপাদান আছে অমনোযোগীদের জন্য। অমোনোযোগীরা যেন জান্নাতের পথে না চলে এ ব্যবস্থা সেজন্য।কারণ আল্লাহ তাঁর জান্নাত সৃষ্টি করেছেন মনোযোগীদের জন্য।অমনোযোগীদের জন্য তিনি চিরস্থায়ী ইবাদতের ব্যবস্থা রেখেছেন। এটা তারা স্বেচ্চায় গ্রহণ করবে যখন তারা দেখবে এটা না মেনে নিলে তাদেরকে চিরস্থায়ী জাহান্নামে জ্বলতে হবে। যারা চিরস্থায়ী ইবাদত কবুল করবে না তাদেরকে জাহান্নামে এক চুব দিলেই তারা চিরস্থায়ী ইবাদত কবুল করবে।আল্লাহর ইচ্ছা চিরস্থায়ী তাঁর ইবাদত চলুক। অমনোযোগীরা তাঁর সেই ইচ্ছা পূরণ করবে।
কেউ যা সে দেখছে তার প্রতি সে একটু মনোযোগী হলেই সে কিছুটা ঈমানদার হয়ে পড়ে। আর সামান্য ঈমান থাকলেও কেউ চিরস্থায়ী ইবাদতে আটকা পড়বে না। তারা কিছু কাল ইবাদত করেই এর থেকে মুক্তি পেয়ে জান্নাতে চলে যাবে।কেউ যা সে দেখছে তার প্রতি বেশী মনোযোগী হলে তার ঈমান ও আমল বেড়ে যায়। এরা সরাসরি জান্নাতে যাবে। তাতেও আটটা র্যাং কিং আছে। কারা ইবাদত করছে বা কারা ইবাদত করছে না তা’ দু’জন তাদের প্রত্যেকের কাঁধে বসে দেখছে। তারা সব কিছু আবার লিখেও রাখছে।স্বল্প সময়ের এ ইবাদতে অনন্তকালের জীবন মান নির্ধারিত হবে।
ইসলাম বিষয়ে অনেকে এটা কেন সেটা কেন প্রশ্ন করে। এসব আসলে ঈমানের পরীক্ষার জন্য। মনোযোগীরা আল্লাহ কেন কি করেন সেটা বুঝে। সেজন্য তারা অবান্তর প্রশ্ন করে না। তারা তাদের পরকাল গঠনে ব্যস্ত থাকে। অনন্ত কাল কোন ইবাদত না করে সব কিছু ফাও পেতে অনেকে ন্বল্পকাল ইবাদতে লিপ্ত। যাদেরকে বুঝালেও যারা বুঝে না তাদেরকে বুঝাতে গিয়ে মনোযোগীরা তাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে না। একটা লোককে দেখলাম নিজের এবং অন্যের অবিশ্বাস পাকাপোক্ত করতে অনেক পরিশ্রম করছে। মৃত্যু হলেই সে বুঝবে নিজেকে অনেক বেশী বুদ্ধিমান মনে করা সে আসলে কতটা বোকা ছিল।
অবিশ্বাসীরা তাদের অবিশ্বাস দূরিকরণে আল্লাহর সাক্ষাত কামনা করে। কিন্তু তাদের অবিশ্বাস দূরিকরণের উপায় হলো সে যা দেখছে, শুনছে বা অনুভব করছে সেসবের প্রতি মনোযোগ। কেউ তার অবিশ্বাস দূরিকরণের যোগ্যতা অর্জন করলে আল্লাহ তার অবিশ্বাস দূর করে তার বিশ্বাসী হওয়ার ব্যবস্থা করেন।সুতরাং কারো অবিশ্বাসের জন্য সে নিজে দায়ী। তাদের জন্য আফসোস করার দরকার নেই। কেউ ঈমানের যোগ্যতা লাভ করলে সে কিছুতেই ঈমান থেকে বঞ্চিত থাকে না। এ বিষয়ে আল্লাহর যথেষ্ট খেয়াল আছে। সবার অতি কাছে থেকেই তিনি সবার খেয়াল রাখেন। অমনোযোগী খুব ভালো মানুষ হলেও সে ঈমান প্রাপ্ত হয় না। আর মনোযোগী খুব মন্দ লোক হলেও তার ঈমানের ব্যবস্থা হয়ে যায়। তবে মন্দ হওয়ার কারণে সে র্যাং কিং এ পিছিয়ে পড়ে। কারো কোন কিছুতে আল্লাহর কোন লোকসান নাই। লোকসানের কাজ যে করে লোকসানটা একা তার হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:০১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




