somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অশিন হাতছানী

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অশনি হাতছানী

ফরিদা ইয়াসমিন জেসী

উনার নাম কোহিনুর। বয়সের মাপকাটিতে সম্মোধন করলে বলতে হবে কেবোল কোহিনুরই। কারন কোহিনুরের বয়স আমার থেকে পাঁচ বছরের ছোট। কিšতু আমি তা বলতে পারিনা কারন তিনি আমার দাদাজানের তৃত্বীয় পক্ষের ¯ত্রী। দাদাজানের ¯ত্রী হিসাবে কোহিনুরকে আমার দাদিজান ডাকারই কথা। কিšতু আমার কেমন যেন ঠোঁটের কাছে আটকে যায় শব্দটা, তাই কোহিনুর’বু বলে ডাকার অনুমতি নিয়েছি।

চার বেডরুম বিশিষ্ট বিশাল একটি বাড়িতে আমি দাদাজান ও কোহিনুর’বু এই তিনজন মানুষ বসবাস করি। দাদাজান খুব একটা হাঁটাহাঁটি করতে পারেনা, যা একটু লাঠিতে ভর দিয়ে এ ঘর থেকে ও ঘরে চলাফেরা। দাদাজানের বয়স ৭৫ বছর তিন মাস। আমার ২৭ আর কোহিনুর’বু র ২২।
গত বছর পৌষ মাসে দাদাজান দেশে গিয়ে বিয়ে করেন এবং সাত মাস পর তাকে লন্ডনে নিয়ে আসেন। আমি তখন এখানে একাই থাকতাম। দাদাজান আমাকে চোরাই পথে বেশ কিছু টাকার বিনিময়ে এদেশে নিয়ে আসেন। সে প্রায় ৪ বছর আগে। যেদিন দাদাজান তাঁর তৃত্বীয় পক্ষের ¯ত্রী কোহিনুরকে নিয়ে এদেশে আসেন, আমি এয়ারপোর্টে তাদের রিসিভ করতে গিয়ে রিতিমত অবাক হয়ে যাই। দাদাজান মাথাভর্তি শাদা চুল কালো করেছেন আর চোখে সুরমা লাগিয়ে বুকটা বেশ টান টান করে হাটার চেষ্টা করছেন। কিšতু হাতের লাঠির কারনে তার আয়েশী হাঁটাতে বেশ বেগ পেতে হচেছ। সাথের মানুষটি অর্থাৎ কোহিনুরকে এমন ভাবে হিজাব পরিয়ে পাশে পাশে নিয়ে আসছিলেন, আমি তার হিজাবের ভেতরের মানুষটিকে হাজার চেষ্টা করেও গোচরে আনতে পারিনি। যাইহোক, আমরা বাড়িতে পৌছার পর দাদা ও কোহিনুর’বুকে রেখে আমি নিজের ঘরে গিয়ে বিছানায় সটান গা এলিয়ে দেই এবং সাথে সাথে আমার চোখে নিদ্রা চলে আসে।
দীর্ঘ সময় পর দাদাজানের ডাকে চোখ খুলি। দাদাজান উনার ঘরে গিয়ে বুবুুকে দেখতে বলছেন।
আমি পাশের রুম থেকে দাদাজানের ঘরে ঢুকেই দেখি কোহিনুর বুবু দরজার দিকে পিছন ফিরে বসে আছে। কালো মেঘের মত এক রাশি চুল পিঠের উপর ছড়ানো। আমার পায়ের শব্দ পেয়ে পিছন দিকে ফিরে তাকান উনি।
আমি অপ্সরি দেখার মত আৎকে উঠি! ওরে বাপরে দাদাজানতো দেখি সারা বাঙলাদেশের শ্রেষ্ট সুন্দরীটিকে বেছে নিয়ে এসেছেন। কি যেনো নাম বলেছিলেন দাদাজান, ও হ্যাঁ মনে পড়েছে, কোহিনুর। আসলেইতো কোহিনুর, টাওয়ার অব লন্ডনে সুরক্ষিত চুরি করা ব্রিটেনিয়ার কোহিনুর। আমার দাদাজান ও সেই রকম একটি কোহিনুর যেন চুরি করে নিয়ে এসেছেন বাংলাদেশ থেকে।
হঠাৎ দাদাজান কাঁশি ঝাড়েন, অমন করে বসে রইলে কেনো? নাতি হলে হবে কি? বেগানা পর পুরুষ মাথায় কাপড় দাও। বিনা বাক্যে উনি মাথায় কাপড় তুলে দেন।
আমি একটি দৈনিক বাংলা পত্রিকায় টাইপ রাইটারের কাজ করি, কাজ শেষে বাসায় ফিরতে রাত হয়ে যায়, কখনও কখনও ঘড়ির কাঁটা একটায় ছুই ছুই করে। দাদাজান আমার ফিরবার আগেই ঘুমিয়ে পড়তেন, এখন কোহিনুর’বুকে নিয়ে আসবার পর ঘরের ভেতর আলো জ্বলছে টের পাই। রাতের নি¯তব্ধতা ভেদ করে কখনও কখনও উনাদের কথা আমার কান পর্যšত এসে পোঁছায়। একদিন দাদাজানকে বলতে শুনি-
- কোহিনুর কি ঘুমিয়ে পড়লে?
- না ঘুমাইনি, কিছু বলবেন?
- বাইরে কেমন ঝমঝম বৃষ্টি, টের পাচছ?
- হু,
- লšডনে বৃষ্টির শব্দ খুব একটা শুনবানা, এখানে বৃষ্টির কোন শব্দ নাই।
- বৃষ্টির শব্দ শুনে কি করবো?
- তাওতো ঠিক, বৃষ্টির শব্দ শুনলে কি হয়? তোমার ঘুম না আসলে একটা কথা বলি?
বেশতো বলুন।
- তোমাকে বিয়ে করলাম কি দেইখা, তুমি জানো?
- জ্বিনা, জানিনা।
- তুমি আমাদের টিউবয়েল থেকে পানি নেবার সময় বারান্দায় বসে তোমার কল চাপা দেখছিলাম হঠাৎ ধবল জোৎস্নার মত তোমার বুকটাতে আমার দৃষ্টি গিয়ে আটকে যায়, ভারি সুšদর তোমার বুকের গঠন।
- এসব কথা শুনতে ভাল লাগছে না, অন্য কথা বলুন।
কোহিনুর’বু জোরে একটি দীর্ঘ নি:শ¡াস ছাড়ে। সেটা আমি আমার ঘর থেকেও টের পাই। ভারি বৃষ্টির আমেজে দাদাজানের যৌবন হয়তো এিশ বছর পিছনে গিয়ে দাড়িয়েছে। কিšত উনার এই তপ্ত কথায় কিশরী কোহিনু রের গায়ে কেবল জ্বালাই ধরায়। কোন প্রতিক্রিয়া হবার কথা নয়। আমি দু আংগুলে কান চেপে ধরে ভাবি কালই আমাকে এ রুম বদলাতে হবে। এভাবে আড়ি পাতা নেহায়েত অন্যায়।
কোহিনুর’বুর সাথে আমার সাক্ষাৎ হয় সপাহ খানেক পর এক রোববারে, কারন উইক ডে’তে আমি সাধারনত অফিসেই লাঞ্চ করি। সেদিন দুপুরে খাবার খেতে বসে কোহিনুরবু’র দিকে তাকিয়ে আমি যেন চমকে উঠি! মাত্র একটি সপ্তাহ অথচ উনি কেমন রোগাটে হয়ে গেছেন, চোখের নীচে কালি, রাতে বুধহয় ভাল ঘুম হয়না। উনি শুধু খাবার নাড়াচাড়া করছেন মুখে দিচেছন না। দাদাজান আড়চোখে দু একবাব কোহিনুর’বুুকে ও আমাকে দেখেন। খাবার শেষ করে নিজের ঘরে যান। আমি হেসে দিয়ে কোহিনুরবু’কে বলি; ভেড়ির মাংসে কি বেশি গন্ধ? প্রথম প্রথম আমারও লাগতো এখন আর লাগেনা আপনি বরং সব্জি দিয়ে খান। আমার এ জাতীয় তিন চারটি কথার পর কোহিনুর’বু আমার দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলেন; কেবল ভাতের কারনেই যদি এরকম সংসারে এলাম তবে খাবারে এত অরুচী হবে কেনো, বলুনতো? আমি কি যেনো বলতে যাবো হঠাৎ দাদাজানের ডাকে কোহিনুর’বু উঠে দাড়ান। আমিও খাবার শেষ করে নিজের রুমে যাই।

আমি একটু গোবেচারা গোছের পুরুষ মানুষ। জীবনে কাউকে ধমক দিয়ে কথা বলার সাহস আমার হয়নি। নিজের উপর আমার কোন আত্মবিশ্বাস নেই। আমার চেহারার ধরন অনেকটা প্রাচীনকালের বন মানুষের মত। এদেশে কেউ গোফ রাখেনা কিšতু আমি রেখেছি কেননা আমার ধারনা আমার চেহারার সাথে গোফ আর একটু লম¡া গোছের চুল বেশ ম্যাচ করে । এরকম একটি মানুষের সাথে কোহিনুর’বুর মত অপরুপা এক যুবতী কেনো কথা বলতে এত আগ্রহী হবে আমি তা ভেবে পাইনা। তবে ব্যাপারটি আমি টের পাই তিনদিনের তিনটি ঘটনা থেকে।
প্রথমদিন; প্রায় একমাস পর একদিন কোহিনুর’বুর ভীষন জ্বর আসে। রাতে বাসায় ফিরে শুনি কোহিনুর’বু জ্বরের ঘোরে গোঙাচেছ, দাদাজান বললেন আমি যেন উনাকে ডাক্তারে নিয়ে যাই। পরদিন আমি ও কোহিনুর’বু ডাক্তারে যাবো বলে বের হই। গাড়ীতে আমার পাশে বসে কোহিনুর’বু শহরটিকে উৎসুক দৃষ্টি নিয়ে দেখে, লšডন আসার পর আজই প্রথম তার বাইরে আসা, কোহিনুর’বুর ভেতরের অবস্থাটা আমি উপলব্ধি করি তাই অনেকটা রা¯তা ঘুরিয়ে ডাক্তারে নিয়ে যাই। ডাক্তারে গিয়ে কোহিনুর’বু আমার খুব কাছ ঘেষে বসে, এতটাই কাছে যে, আমি তার গায়ের গন্ধ টের পাই। ফেরার পথে ষ্টিয়ারিং এর উপর রাখা আমার হাতের উপর মৃদু চাপ দিয়ে কোহিনুর’বু আমাকে বলে ঘরে যেতে ভাল লাগছে না, আমি যেন তাকে আরও একটু বাইরে বেড়িয়ে নিয়ে যাই? কোহিনুর’বুুর কথা রাখা সম্ভব হয়না। কেননা দাদাজানকে ভয় করছে, যদি সে দেরি করে ফেরার জন্য রাগ করে।

দি¡তীয় দিন; বেশ রাতে কাজ থেকে ফিরেছি, আমার রুমের দরজার কাছে যেতেই ভুত দেখার মত চমকে উঠি, আমার দরজার কাছাকাছি বারান্দায় দাড়িয়ে আছে কোহিনুর’বু, পায়ের শব্দ পেয়ে উদ্বিগ্ন কন্ঠে বলে; ¬- এসেছেন?
বুঝলাম কোহিনুর’বু এতক্ষন আমার অপেক্ষা করছিলো। আমি উল্টো প্রশ্ন করি;
- দাদাজান কি ঘুমিয়ে পড়েছে?
- না ঘুমাননি?
- তাহলে আপনি বারান্দায় একা? ঘুম আসছেনা?
- উনার পাশে শুতে আমার অসহ্য লাগছে।
কথাটার অšর্তনিহত মানে অতি সহজেই বুঝা যায়, তাই কিছু না বলে আমি নিজের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করি এবং বাতি নিভিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। এরপর কতক্ষন কোহিনুর’বু বারান্দায় দাড়িয়েছিলেন আমি জানিনা।

তৃতীয় দিন; একদিন দুপুর বেলা কাজের ফাঁকে শরীরে অস্বস্থিবোধ করলে, ম্যানেজারকে বলে বাসায় চলে আসি রেষ্ট নেবো বলে। বাসায় ফিরে আমার রুমে ঢুকে রিতিমত অবাক হই, কারন কোহিনুর’বু আমার বিছানায় শুয়ে ম্যাগাজিন পড়ছে, আমি রুমের মেঝেতে দাড়িয়ে আছি অথচ কোহিনুর’বু কোন নড়াচড়া করছে না। অবশেষে আমি ইচেছ করেই আমার হাতের কিছু কাগজ টেবিলের উপর জোরে শব্দ করে রাখি আমার উপস্থিতি বুঝাবার জন্যে। এবার ম্যাগাজিন মুখের উপর থেকে সরিয়ে কোহিনুর’বু বলে;
- ও আপনি? আজ দুপুরে এলেন যে? আবার কি চলে যাবেন?
- দাদাজান কোথায়?
- গোছল করছেন।
- দুপুরের খাবার শেষ?
- না খাওয়া হয়নি।
এরপর আমি আর কথা দীর্ঘ করতে প্রসংগ খুঁজে পাইনা, তাছাড়া কোহিনুর’বুু আগের মতই শুইয়ে আছে, তাই বারান্দায় যাবো বলে পা বাড়াই। পেছন থেকে কহিনুর’বু ডাক দেয় বসুননা গলপ করি। আমার নানা কারনে সংকোচ। তার মধ্যে দাদাজানকে দুঃখ দিতে চাইনা বলেই ভয়। যদি দাদাজান দেখে কহিনুর’বু আমার বিছানাতে শুেেয় আছে আর আমি তার মাথার কাছে বসে রুপকথার গলপ শুনাচিছ। তাহলে?
আপনার দাদাজান বলে এখানেও নাকি একটি নদী আছে? নদীটির নাম নাকি টেমস?
আমার অনিচছাতেও কোহিনুর’বু গলপ শুরু করতে চায়। হঠাৎ গোসল থেকে বেড়িয়ে দাদাজান কোহিনুর’বুুকে ডাকতেই দৌড়ে পালায়। ওর পালাবার কায়দা লক্ষ্য করে আমার ধারনা হয় হয়তো প্রায়ই সে আমার বিছানাতে এসে শুয়ে থাকে।

এ তিনদিনের ঘটনা আমাকে বেশ চিšিতত করে । এরপর হঠাৎ একদিন দাদাজান আমাকে ডেকে বলেন, বাদল তোর কোহিনুর’বুকে কিছু সময় বাইরে থেকে ঘুরিয়ে নিয়ে আয়, নদী দেখার ওর খুব শখ। কথাটা শুনা মাত্র কোহিনুর’বু তৈরী হয়ে এসে সামনে দাড়ায়। আমি দাদাজানকে লক্ষ্য করি, কি একটা অসহায় দৃষ্ঠি নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। এ দৃষ্ঠির অর্থ আমি বুঝতে পারি। মনে মনে বলি আমি অকৃতজ্ঞ নই দাদাজান, আপনি আমাকে বিশ¡াস করতে পারেন।
টেমসের পাশে ঝিরঝির বাতাসে হাঁটি আমরা দ’ুজন। আশে পাশে কালো সাাদাদের ভিড়, ছেলেমেয়েদের মধ্যে বিচিত্র আচরনে আমি বুঝতে পারি কোহিনুর’বু লজ্জা পাচেছ, আমারও খারাপ লাগছে। আমি হঠাৎ লক্ষ্য করি কোহিনুর’বু প্রায় আমার কাধ ঘেষাঘেষি করে হাঁটছে, কেউ দেখলে ধারনা করে নিতে পারবে যে সদ্য বিবাহিত বৌকে লšডন শহর ঘুরে দেখাচেছ কোন যুবক। দু একজন বাঙালি আমাদের দিকে আড়চোখে তাকাচেছ হয়তো ভাবছে - এতো দেখি বানরের গলায় মুক্তোর মালা।
নির্ধারিত সময় শেষে আমি কোহিনুর’বুকে নিয়ে বাসায় ফিরে আসি।
আমি লক্ষ্য করি ঘরের বাইরের আর ভেতরের কোহিনুর’বুর মধ্যে যেন বিরাট ফারাক। দাদাজানের হাতে পায়ে তেল মালিশ, সময়ে ওষুধ খাওয়ানো, পানের বাটা সাজানো, সবই করে তবুও কোথায় যেন ফাঁক। একদিন রাতে খাবার খেতে বসে দাদাজান গলপ তুলেন।
- কোহিনুর তুমি আজগরকেতো চেনো?
- কোন আজগর?
- আমাদের বিয়ের যে ঘটক ছিলো।
- হু, মনে পড়েছে।
- কাল ফোন করে জানতে চাইছিল লন্ডনে তুমি কেমন আছ?
- তাইতো কেমন আছি আমি? আচছা বাদদেন এসব, শুনতে ভাল লাগছেনা।
কোহিনুর’বু উঠে দাড়ায়। দাদাজান মুখটাতে যে আলোকচছটা এনে কথাগুলো বলছিল সেটা ধপ্ করে নিভে যায়। আমার বড় কষ্ঠ হতে থাকে দাদাজানের জন্যে।

একদিন একদিন করে প্রায় ছ’মাস পার হয়ে গেছে, আমরা তিনজন একই বাড়ীতে আছি অথচ বাড়ীটি যেন একটি শ্বশান ঘাট, কেউ কারো সাথে বুক খুলে কথা বলেনা বরং কোহিনুর’বু আসার আগে আমি ও দাদাজান অনেক গলপ গুজবে সময় কাটিয়েছি। কোহিনুর’বুর মেজাজ ধীরে ধীরে রুক্ষ লাগে আমার কাছে। প্রায়ই শুনি দাদাজান কিছু আনতে বললে বা করতে বললে সাফ জবাব দেয় পারবো না বলে।
আমি কোন সাহিত্যিক নই, একটা পত্রিকা অফিসের টাইপ রাইটার মাত্র। কোন কিছু লেখা আমার কলমে আসেনা কিন্তুু আজকাল প্রায়ই উপলিব্ধ করি কোহিনুর’বু যšত্রনাটা আমি যেনো চমৎকার একটা কাঠামোতে দাড় করতে পারবো কিংবা দাদাজানের অসহায়ত্ব আমার কবিতার মধ্যে প্রকাশ করতে পারবো। অথচ আমি তা বা¯তবে রুপ দিতে পারিনা। কারন আমার সাহস কম। যা বুঝি যা বিশ¡াস করি তাকে বা¯তবে উচচ স¡রে বলতে পারার মত মনের জোর আমার নেই।
কয়দিন ধরে টের পাই অন্ধকার রাতে কহিবু বাড়াšদার রেলিং ধরে দাড়িয়ে থাকে, কখনও কখনও কান্নার ফোঁপানিও টের পাই কিšতু আমি দরজা খুলিনা কারন আমি ভয় পাই যদি দরজা খোলা পেয়ে কোহিনুর’বু আমার বিছানায় এসে বসে এবং বলে চলুন না গলপ করি। ঘুম আসছেনা। তাহলে?
এরপর রাত আরো গভীর হতে থাকলে দাদাজানের লাঠির শব্দ ও ফিসফিস কথা আমার কানে আসে, - কহি বিছানায় আসো। বাইরে ঠাšডা বাতাস। লন্ডনের ঠাšডা বাতাস যদি একবার হাড়ে লাগে তাহলে তার কঠিন অসুখ হয়, আসো লক্ষি ভিতরে আস।
- আপনি যান ঘুমান, আপনার কথা শুনলে আমার গায়ে আরো আগুন জলে যায়।
এরপর ওদের কথাবার্তা কোন পর্যায় গিয়ে পৌছায় সে ভয়ে কানে আংগুল দিয়ে আমি ঘুমাতে চেষ্ঠা করি।
সময় পার হয় দ্রুত । কোহিনুর’বুর এ বাড়ীতে আসার প্রায় একবছর । সম¯ত বাড়ীটার মধ্যে একটা পরিবর্তন আসে, সবকিছুতে পরিপাটি গোছগাছের একটা ভাব, মাঝে মাঝে কোহিনুর’বু খুব সংসারি হয়ে উঠে। মনে মনে ভাবি যাক মেয়েটির যদি একটু সুমতি হয় দাদাজানের উপর। কয়দিনই আর বাঁচবে দাদাজান। সেদিন রাতে একটি ঘটনা ঘটে গেলো। গভীর রাতে আমি নাক ডেকে ঘুমাচিছ হঠাৎ দরজায় জোরে ধাককা টের পাই, দাদাজান উদি¡গ্ন গলায় ডাকছেন- বাদল ও বাদল দরজা খোল তোর কোহিনুর’বু জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে হাসপাতালে নিতে হবে।
আমি প্রায় দৌড়ে দাদাজানের ঘরে গিয়ে ঢুকি। কোহিনুর’বু বিছানার মাঝামাঝি চিৎ হয়ে শুয়ে আছে, দু একবার নাড়া দেই, কোন রকম সাড়া শব্দ নেই। দাদাজান দেরি না করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। আমি কোহিনুর’বুকে নিয়ে হাসপাতালে যাই ।
আমি ঠিক বুঝতে পারিনা হঠাৎ এভাবে জ্ঞান হারিয়ে ফেললো কেন? কোন ধরনের অসুখতো লক্ষ্য করিনি কোহিনুর’বুর মধ্যে। মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই কোহিনুর’বুর জ্ঞান ফিরে এলো। ডাক্তার কোহিনুর’বুকে বাসায় নিয়ে আসতে বলেন। আমি ডাক্তারকে প্রশ্ন করি, হঠাৎ উনি জ্ঞান হারালেন, কি কারনে?
ডাক্তার বলেন øায়ুর উত্বেজনা বা দুর্বলতার কারনে এরকমটি হতে পারে।
এরপর আমার আর কিছু জিজ্ঞেস করবার প্রয়োজন হয়না আমি কোহিনুর’বুকে বাসায় নিয়ে বাসায় আসার জন্য রওয়ানা দেই। কোহিনুর’বুকে পিছনের সিটে শুইয়ে আমি আনমনে গাড়ী চালাচিছ হঠাৎ কানে আসে কোহিনুর’বু ক্ষিন কন্ঠে আমাকে ডাকছে। আমি বলি
- কিছু বলছেন আমাকে?
- জ্বি, দেখুন না আমার গায়ে জ্বর কিনা?
আমি গাড়ীর স্টার্ট বন্ধ করি, পেছনের দরজায় দাড়িয়ে কোহিনুর’বুর কপালে হাত রাখি, নাহ শরীরতো ঠাšডা, জ্বর নেই। আমি আবার আমার সীটে আসবার জন্যে উঠতে চাইলে কোহিনুর’বু আমার হাতটা শক্ত করে চেপে ধরে তার কপালে। আমি কিছু বলতে যাবো এরমধ্যে কোহিনুর’বু তার হাতটি ধীরে ধীরে তার গাল ছুইয়ে বুকের মধ্যে নিয়ে বলে - বলুনতো আমার বুকটা এত কাপছে কেনো? আমি যেনো পাথর হয়ে যাই, এ অভিজ্ঞতায় কোন যুবক কি উত্তর করে আমার ধারনায় নেই। আমি ঠায় দাড়িয়ে থাকি, উপলব্ধি করি আমার হাতটি শক্তিহীন, এটি আর আমার হাত নয়।
আমার শক্তিহীন হাতটি কোহিনুর’বুর বুক থেকে সরাতে পারিনা, হঠাৎ টের পাই কোহিনুর’বুর ঠান্ডা হাতটিতে দ্রুত জ্বর নেমে আসছে, সেই জ্বর আমাকেও ক্রমশ আক্রাšত করে ফেলছে। একসময় হাতটিই যেনো আমি হয়ে যাই। হাতের প্রতিটি আংগুল যেনো আমার প্রতিবিম¡ হয়ে কথা বলে।
আমার গাড়ীটি একটা নির্জন রা¯তার পাশে দাড়ানো ছিল, রাতের গভীর নিকষ কালো অন্ধকার। তারপর কতক্ষন পর গাড়ি আবার ষ্টার্ট দিয়ে বাসায় ফিরি আমার তা মনে নেই।
কোহিনুর’বু ও আমি দরজায় নক করতেই দাদাজান দরজা খুলে দেন। সন্ধেহ নেই দাদাজান সারারাত দরজার কাছেই পায়চারি করেছেন। খোলা দরজা দিয়ে কোহিনুর’বু পিছলিয়ে নিজের রুমে যায়। আমিও পালাবার মত করে সামনে পা বাড়াতে যাবো হঠাৎ দাদাজান বলেন ডাক্তার কি বললো বাদল? হঠাৎ এরকম হলো কেনো? আমি অতর্কিতে বলি ডাক্তার বলেছে, স্নায়ুর উত্তেজনা.. আর কোন কথা না বাড়িয়ে আমি আলগোছে পালাই। কথাটি শুনে দাদাজান ঠায় দাড়িয়ে থাকে।
সেদিনের পর থেকে দাদাজান যেনো কেমন অন্যরকম হয়ে যায়। সারা দিন রাত বিছানায় শুয়ে থাকে, কখনও কখনও ঘরের রেডিওটারে পীঠ ঠেকিয়ে বসে থাকে। যদি কোহিনুর’বু বলে পিঠে কি ব্যাথা? একটু তেল মালিশ করে দেবো? দাদাজান ক্ষীন আর বিনয়ী সুরে উত্তর করে আমার জন্যে চিšতা করোনা তুমি বরঞ্চ একটু রেষ্ট নাও। দাদাজানের নিশচুপ ভাবমুর্তির কারন আমি ও কহি’বু জানি কিšতু কোহিনুর’বু আর আমার মেলামেশা দিন দিন বাড়তেই থাকে। সময় অসময়ে বাইরে যাই কেনাকাটা ও নানা কাজের অছিলায়।
এদিকে আমার মধ্যেও আমি একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করি, অফিসের কাজে মন বসেনা, আগে দাড়ি গোফ কামানোর বালাই ছিলোনা এখন রোজ কি­ন সেভ করি, কোহিনুর’বুকে না দেখে থাকতে পারিনা যেন।
দিন রাত্রি কোহিনুর’বু আর আমি অবললীলায় গলপ করি, কখনও কখনও কোহিনুর’বু হাসতে হাসতে আমার কাধে মাথা রাখে, কিংবা আমার গাল টিপে দেয়। এসবে আমি অভ্যস্থ হয়ে গেছি তাই আর বাধা দেইনা ।
এরও কিছুদিন পর দাদাজানের শরীর যখন আরো খারাপ হতে থাকে তখন আর উনি বিছানা ছেড়ে উঠতে পারেন না, এই সুযোগে কোহিনুর’বু গভীর রাতে চুপি চুপি বেড়াল পায়ে আমার ঘরে ঢুকে। আমি দু একবার ফিসফিসিয়ে নিষেধ করি তারপর আমারও যেন কি হয় আমিও বদলে যাই। দাদাজান তার রুম থেকে জোরে দু একটি কাঁশি দেন কিšতু তাতেও কোহিনুর’বু আমার বিছানা ছেড়ে উঠে না।
আমি দাদাজানের সামনে খুব একটা পড়তে চাইনা, কখনও কখনও সামনে গিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করলে দাদাজান চোখ বুজে উত্তর দেন, বুঝতে পারি আমার দিকে তাকাতে দাদাজানের কষ্ট হয় কিংবা ঘেন্না হয়।
এরপর একদিন দাদাজানের শরীর অতিমাত্রায় খারাপ হলে উনাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। ডাক্তাররা পরীক্ষা নিরিক্ষা করে আমাদের জানায় দাদাজানের লাংগ ক্যানসার। বেঁচে থাকার সময় বড় জোর সপ্তাহ তিনেক কিংবা তারও কম। আমি ও কোহিনুর’বু সারাক্ষন দাদাজানের কেবিনে বসে থাকি। কারন কখন কি হয়ে যায় বলাতো যায়না। দাদাজান আমাকে দেখিয়ে ডাক্তাদের বলেন ’হি ইজ মাই গ্র্যান্ড সান, কিšতু কোহিনুরের কথা কিছুই বলেননা। কখনো বলেননা যে, সি ইজ মাই ওয়াইফ, যে স¤পর্কের সুত্র ধরে কোহিনুরকে তিনি এদেশে এনেছিলেন তার কিছুই এখন আর অবশিষ্ট নেই সে কারনেই হয়তো দাদাজান তার স¤পর্কের কথা তুলেননা।
কখনও কখনও আমি ও কোহিনুর’বু দিনে বাসায় আসি খাবার খেতে কিংবা গোসল করে ফ্রেস হয়ে যাবো বলে। খালি বাড়ীটাতে আমরা ঢুকা মাত্রই যেন মাথার পোকারা তিরতির করে বেরিয়ে আসে। আমি কেহিনুর’বুর দিকে তাকাই, কেহিনুর’বু আমার হাত ধরে বিছানায় নিয়ে বসে।
একদিন আমরা যখন হাসপাতালে যাই দাদাকে দেখতে পায়ের শব্দ পেয়ে দাদাজান আমাদের দুজনের দিকে দু একবার তাকায়, তারপর আবার চোখ দুটি বন্ধ করে ফেলে। হয়তো মনে মনে বলে ’নিমক হারাম’!
কারন আমরা দুজনই দাদাজানের কৃপায় লন্ডনে এসেছি এবং -----।
ক্রমশ: দাদাজানের মুখের রং বদলে যায়, চোখ দ’ুটিতে ঘোলাটে একটা আবরন পড়তে থাকে, বুঝতে পারি দাদাজান মরে যাচেছ, আমার বুকটা হা হা কার করে উঠে। কিšতু কোহিনুর’বুর মধ্যে কোন প্রতিক্রিয়া দেখিনা। আমার কোন প্রয়োজনে কেবিনের বাইরে যাওয়া পড়লে কেহিনুর’বু ও আমার হাত ধরে চলে আসে অর্থাৎ এতটুকু সময়ও আমার সঙ্গ ছাড়তে চায়না।
এমনি করে কিছুদিন পর দাদাজানের মৃত্যু হয়, মৃত্যুকালে আমাদেরকে উনি কিছুই বলেননি শুধু চোখ খুলে তাকিয়েছিলেন। আমি আত্বীয়স্বজনদের মৃত্যুতে বরাবরই হাউমাউ করে কাঁদি, কিšতু হাসপাতালে ডাক্তাররা যখন দাদাজানের মুখের উপর সাদা চাদর তুলে দিচিছলো আমি ্িস্থর দৃষ্টি নিয়ে কেবল সেই কাপড়টির দিকে তাকিয়ে ছিলাম, কাদঁতে পারিনি।
মৃত্যুর পর দাদাজানের কবর দেশে হবে একথা দাদাজান আমাকে বলে রেখেছিলেন। আমি সে হিসেবেই ব্যবস্থা করে হাসপাতাল থেকে লাস রিলিজ করেছি। এবং আতী¡য় স্বজনের পরামর্শ অনুযায়ী কেবল একটি টিকিট করেছি লাশের সাথে আমি যাবো বলে। কেহিনুর’বু সকলকে অবাক করে দিয়ে হাউমাউ করে কেঁদে উঠে, কারন সেও যেতে চায় লাশের সাথে। আমি বুঝতে পারি কোহিনুর’বুর এ বিলাপ স্বামী হারাবার জন্যে নয়, কিংবা স্বামীর লাশ পাহারা দিয়ে দেশে যাবার কারনেও নয় কেহিনুর’রু কাঁদছে আমাকে ছাড়া থাকতে হবে বলে । অবশেষে ঠিক হয় আমরা দুজনেই যাবো দাদাজানের লাশের সাথে। রওনা দেবার কিছুসময় আগে মুরব্বীরা আমাকে বললেন, বাদল দেশে যখন যাচেছই, আবার কবে যাবে, শুনেছি তার বাবা মা বিয়ে ঠিক করে রেখেছে, কয়দিন বেশী থেকে বিয়েটা করেই এসো।
কথাটা শুনবার পর কেহিনুর’রবু আমার দিকে ভ্রু কুঞ্চিত করে তাকায়। এ যেন এক বিস্ময় তার কাছে। আমার দিকে না তাকিয়ে অন্য একজনকে প্রশ্ন করে
উনার বিয়ে? কথাটার সত্যতা যাচাই হবার পর কেহিনুর’বুর মুখে একরাজ্যের বিস্ময় নেমে আসে। এক অসহায় দৃষ্টি নিয়ে কেহিনুর’বু আমার দিকে তাকায়। কেহিনুর’বুর এই অসহায় দৃষ্টি আমার কাছে বড় পরিচিত মনে হয়, কারন যেদিন প্রথম কেহিনুর’বুকে নদী দেখাতে নিয়ে যাবো বলে বের হয়েছিলাম সেদিন দাদাজানের চোখেও আমি এ অসহায় দৃষ্টি দেখেছি। এর অর্থ ছিলো ’বাদল আমার বিশ¡াস ভঙ্গ করিসনা’। দাদাজানের সে বিশ¡াস আমি রাখিনি। সে অসহায়ত্ব আজ কেহিনুর’বুর দৃষ্টিতেও; আমি দেখছি আজও সেই একই কথা বলছে। আমি কেহিনুর’বুর সে দৃষ্টি থেকে চোখ নামিয়ে দুরের আকাশের দিকে তাকাই যেখানে ধবধবে সাদা মেঘেরা উড়ে বেড়াচেছ তাদের আপন মহিমায়।




সর্বশেষ এডিট : ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৩১
১৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস-পরীক্ষার হলে দেরিঃ পক্ষ বনাম বিপক্ষ

লিখেছেন BM Khalid Hasan, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



বর্তমানের হট টপিক হলো, “১ মিনিট দেরি করে বিসিএস পরীক্ষার হলে ঢুকতে না পেরে পরীক্ষার্থীর স্বপ্ন ভঙ্গ।” প্রচন্ড কান্নারত অবস্থায় তাদের ছবি ও ভিডিও দেখা যাচ্ছে। কারণ সারাজীবন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

×