অনেকে বলে বর্তমানে মুসলিমদের দুরাবস্থার জন্য ইসলাম দায়ি। মুসলিমরা সারে চৌদ্দশ বছর আগের আদর্শ মেনে চলে তাই তারা পিছিয়ে। এবং ইসলামের মতো গোঁড়া বর্বর রীতিনীতি মেনে তারা বিশ্ববাসীর জন্য সন্ত্রাসবাদী।
আসলে কিন্তু তা নয়। কারণ মুসলিমদের বেশিরভাগই আজ ধর্মের প্রতি উদাসীন। বেশির ভাগ মুসলিম নামাজ পড়েনা। অথচ, মুসলিম এবং কাফেরের মধ্যেকার পার্থক্যই হল নামাজ। নামাজেরই যদি এই অবস্থা হয় তবে বাকি গুলোর কি হবে তা সহজেই অনুমেয়।
মুসলিমদের দুরাবস্থার প্রধান কারন ইসলাম না মানা, ইসলাম থেকে দূরে সরে যাওয়া। মুসলিমরা যতদিন ইসলামকে সঠিকভাবে মেনে চলেছে ততদিন তারা সবক্ষেত্রেই ভালো অবস্থায় ছিল। ইতিহাস তার সাক্ষী।
যাইহোক, ড. বিলাল ফিলিপ্সের একটা কথা আমার খুব ভালো লাগে। কয়েকটা বাক্যেই তিনি অনেক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'ইসলাম সেটা নয় যেটা মুসলিমরা করে। ইসলাম সেটা যেটা মুসলিমদের কড়া উচিত'।
এটা নিয়ে অনেক বিস্তারিত আলোচনা করা যায়। আমি শুধু দুটা পয়েন্ট বলছি। মুসলিমদের মধ্যে শিক্ষার হার অনেক কম। শিক্ষার প্রতি গুরুত্বও হিন্দু বা খৃষ্টানদের তুলনায় কম। আমাদের এখানে গরীব হিন্দুরাও ছেলে মেয়েকে যেভাবে হোক পড়াশোনা করায়। কিন্তু অনেক ধনী মুসলিমদের মধ্যেও তেমনটা দেখিনি। অথচ ইসলামে বলা হয়েছে, 'প্রত্যেক নর এবং নারীর জন্য জ্ঞানার্জন ফরজ' (ইবনে মাজাহ)। এবার ভেবে দেখুন, মুসলিমরা যদি গোঁড়া হত তবে, যে করেই হোক ছেলে মেয়ে্র জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করত। তাই না?
মহান আল্লাহ বলেন, 'পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করো না, আল্লাহ বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের ভালোবাসেন না’ [আল কুর’আন ২৮/৭৭]। যদি মুসলিমরা গোড়া মুসলিম হতো তবে কি সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম করত? ভোটের সময় ধোঁকা গণতন্ত্রের জন্য কি বোমাবাজি করত? আমাদের মতো মুসলিমদেরও গলা ফাটাতে হতো না এই বলে যে, ভাই! জিহাদ আর সন্ত্রাসবাদ এক নয়।
এরকম ভাবে অনেক অনেক বলা যায়। আজ একটা পোষ্ট শেয়ার করেছি - বিশ্বনবীর আদর্শ জীবন। ওই পোষ্ট পড়লে দেখবেন মুহাম্মাদ (সা.) যেমন ছিলেন এবং যেসব নির্দেশ দিয়েছেন তার সাথে খুব কম মুসলিমেরই সাদৃস্য আছে। বেশিরভাগই তার উলটো। তাহলে কি বোঝা যাচ্ছে? মুসলিমরা ইসলাম মেনে নয় না মেনেই দুরাবস্থার শিকার।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩১