পুরুষের বর্ণনায় নারীর সুন্দরীত্ব, যৌনাবেদনময়তা ফুটে ওঠে। ভিঞ্চি বা ফিদা হোসেনের নারীশিল্পকে দেখে বলে উঠি : বাহ্, কি শিল্পিত হাসি, স্নিগ্ধ চোখ! একজন পুরুষলেখক বা কবি 'স্ত্রী'লিঙ্গ, যুগল স্তন আর ভাঁজখোলা শরীরের নিখুঁত বর্ণনায় বরাবরই সোচ্চার ও পারদর্শী।
স্ত্রীরা পুরুষের মধ্যে কী খোঁজেন? তাঁদের বর্ণনায় পুরুষের প্রশস্ত বাহু, সাবলীল হাত, উন্নত শির এবং সুদৃঢ় ব্যক্তিত্বের প্রকাশই দেখতে পাই, যুগে যুগে। যদিও কেউ কেউ মৈথুনমত্ততা ও সম্ভোগে বিপুল তৃপ্তি বা অতৃপ্তির কথা সগর্বে স্বীকার করেছেন, লালসায় দেশান্তরিও হয়েছেন, তাঁদের লেখায় পুংযন্ত্রের সরস বর্ণনা সম্ভবত দেখা যায় নি;
তাহলে ব্যাপারটা কী দাঁড়ালো! পুরুষরা নারীদের লাবণ্যপিয়াসী; নারীরা সৌন্দর্য আর যৌনতার প্রতীক; পক্ষান্তরে, নারীরা একজন পুরুষের মধ্যে পৌরুষ আর ব্যক্তিত্ব খোঁজেন; নির্দ্বিধায় বলি, কাঠিন্যই পুরুষত্ব।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:২২