somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের জন্য সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন ব্যবস্থা কেমন হতে পারে? - পর্ব-২

০১ লা জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথম পর্বের লিংক। বাংলাদেশের জন্য সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন ব্যবস্থা কেমন হতে পারে - পর্ব-১

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনে সাংসদগণের সংসদীয় এলাকা কীভাবে বণ্টন বা নির্ধারিত হবে?

সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা proportional representation পদ্ধতিতে নির্বাচনের ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যদের জন্য নির্দিষ্ট ভৌগোলিক সংসদীয় এলাকা (constituency) সাধারণত থাকে না। এই ব্যবস্থায় ভোট প্রদান হয় দলকে — ব্যক্তিকে নয় — এবং প্রতিটি দল মোট যত ভোট পায়, সে অনুযায়ী তাদের জন্য আসন বরাদ্দ হয়।

যদি বাংলাদেশে ভবিষ্যতে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি চালু করা হয়, তাহলে কীভাবে সাংসদ নির্বাচিত হবেন সে বিষয়টি সংস্কার কমিশন হয়ত আলোচনা করবে, কিংবা অলরেডি আলোচনা করে স্থির করে ফেলেছেন, তবে আমি অনলাইনে এ ব্যাপারে কিছু পাই নি। সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচন পদ্ধতির উপর পোস্ট লিখতে গিয়ে বেশ কিছু আর্টিকেল ও উইকিপিডিয়া পড়তে হয়েছিল। সেই জ্ঞান ও চ্যাটজিপিটি থেকে আহড়িত কিছু তথ্যের আলোকে সাংসদ নির্বাচন পদ্ধতির উপর সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।

১। জাতীয় ভিত্তিতে প্রতিনিধিত্ব (Single National Constituency):

ক। পুরো দেশ একক নির্বাচনী এলাকা হিসেবে ধরা হয়।

খ। দলগুলো তাদের প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে নির্দিষ্টসংখ্যক আসন পায়।

গ। নির্বাচিত সদস্যদের নির্দিষ্ট কোনো আসন বা এলাকার সঙ্গে সরাসরি সংযোগ থাকে না।

ঘ। তবে দল চাইলে সাংগঠনিকভাবে সদস্যদের একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে দায়িত্ব দিতে পারে।

২। আঞ্চলিক ভিত্তিতে দলভিত্তিক এলাকা বণ্টন (Multi-member Constituencies):

ক। দেশকে কয়েকটি বড় অঞ্চলে ভাগ করে (যেমন বিভাগভিত্তিক), প্রতিটি অঞ্চল থেকে নির্দিষ্টসংখ্যক সাংসদ নির্বাচন করা হয়।

খ। একেকটি দল তাদের প্রাপ্ত ভোট অনুযায়ী ওই অঞ্চলের আসন ভাগ করে নেয়।

গ। এই পদ্ধতিতে একটি সাংসদ তার নির্বাচনী এলাকার সঙ্গে কিছুটা হলেও যুক্ত থাকেন।

৩। সংসদে আসার পর দায়িত্ব ভাগ (Post-election Allocation):

ক। দলীয়ভাবে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের সংসদে আসার পরে বিভিন্ন জেলার দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়।

খ। এটি প্রশাসনিক বা সাংগঠনিক কাজে সহায়তা করে, কিন্তু সাংবিধানিকভাবে তারা ওই এলাকার নির্বাচিত প্রতিনিধি নন।

৪। নির্বাচনের আগেই প্রার্থীদের এলাকাভিত্তিক মনোয়ন ঠিক করে রাখা। এটা উপরোল্লিখত ২ নম্বর পদ্ধতির সম্প্রসারিত রূপ, তবে জটিল প্রক্রিয়া। দলগুলো তাদের নিজ নিজ সংসদীয় এলাকার জন্য প্রচলিত পদ্ধতিতে প্রার্থী মনোনীত করবে। প্রতিটা দলেরই নিজস্ব অ্যাসেসমেন্ট থাকে, কোন এলাকায় দলের গ্রহণযোগ্যতা বা জনপ্রিয়তা কেমন, দলের সর্বোচ্চ ভোট পাবার সম্ভাবনা কেমন। তদানুযায়ী এলাকাভিত্তিক সর্বোচ্চ ভোট পাবার সম্ভাব্যতার বিবেচনায় ৩০০ সংসদীয় আসনের জন্য ৩০০ জনের একটা প্রায়োরিটি লিস্ট তৈরি করবে। ধরুন, বিএনপি ১৫৩ আসন পেলো। ১৫৩জন সাংসদ কারা হবেন? দলগুলো তাদের শীর্ষ দলীয় পদের জন্য হয়ত আগেই বেশকিছু আসন নির্ধারণ করে রাখবে। পরের আসনগুলো কাদের নামে হবে? আগেই বলেছি, এটা একটা জটিল প্রক্রিয়া হবে। যে-আসনে দলটি সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছে, সে আসনের মনোনীত প্রার্থীই হবেন প্রথম সাংসদ। উল্লেখ্য, এ পদ্ধতিতে অবশ্যই সংসদীয় আসন ভিত্তিক ফলাফল গণনা করতে হবে (যা অবশ্য সব পদ্ধতিতেই করা হয়)। এরপর যে-আসনে দলটি ২য় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছে, সে আসনের মনোনীত প্রার্থী হবেন পরের সাংসদ। এভাবে ১৫৩ নাম্বার পর্যন্ত সাংসদ নির্বাচন করতে হবে।


খলিল মাহ্‌মুদ
০১ জুলাই ২০২৫


বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনগুলোতে বিভিন্ন দলের প্রাপ্ত আসন এবং সংখ্যানুপাতে প্রাপ্য আসন

এবার আপনারা দেখুন, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত যত নির্বাচন হয়েছে (২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ ছাড়া), তাতে বিভিন্ন দল কতটি আসন পেয়েছে এবং যদি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন হতো, তাহলে তারা কতটি আসন পেতো। নির্বাচনের ফলাফল উইকিপিডিয়া থেকে নেয়া হয়েছে, তবে, সংখ্যানুপাতিক ক্যালকুলেশন আমার নিজের করা। ক্যালকুলেশনে কোনো ভুল থাকলে দয়া করে জানানোর অনুরোধ থাকলো। উল্লেখ্য, এ তথ্যগুলো এবং কিছু কন্টেন্ট আমার আগের পোস্ট থেকে পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে।


*১৯৭৩ সালের সাধারণ নির্বাচন (১ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন)*

আওয়ামী লীগ। ভোট ৭৩.২০%। আসন ২৯৩। জনসংখ্যার অনুপাতে প্রাপ্য আসন ২১৯
ন্যাপ মুজাফফর। ভোট ৮.৩২%। আসন – ০। জনসংখ্যার অনুপাতে প্রাপ্য ২৫
জাসদ। ভোট ৬.৫২%। আসন – ১। জনসংখ্যার অনুপাতে প্রাপ্য ২০


*১৯৭৯ সালের সাধারণ নির্বাচন (২য় জাতীয় সংসদ নির্বাচন)*

বিএনপি। ভোট ৪১.১৭%। আসন-২০৭। সংখ্যানুপাতে আসন প্রাপ্য – ১২৪
আওয়ামী লীগ। ভোট ২৪.৫৬%। আসন ৩৯। সংখ্যানুপাতে আসন প্রাপ্য – ৭৪
মুসলিম লীগ। ভোট ১০.০৭%, আসন ২০। জনসংখ্যার অনুপাতে প্রাপ্য – ৩০


*১৯৮৬ সালের সাধারণ নির্বাচন (৩য় জাতীয় সংসদ নির্বাচন)*

জাতীয় পার্টি। ভোট ৪২.৩৪%। আসন ১৫৩। সংখ্যানুপাতে প্রাপ্য আসন – ১২৭
আওয়ামী লীগ। ভোট ২৬.১৬%। আসন ৭৬। সংখ্যানুপাতে প্রাপ্য আসন – ৭৮
জামায়াতে ইসলামী। ভোট ৪.৬১%। আসন ১০। সংখ্যানুপাতে প্রাপ্য আসন – ১৪


*১৯৮৮ সালের সাধারণ নির্বাচন (৪র্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন)*

জাতীয় পার্টি। ভোট ৬৮.৪৪%। আসন ২৫১। সংখ্যানুপাতে প্রাপ্য আসন-২০৫।
সম্মিলিত বিরোধী দল। ভোট ১২.৬৩%। আসন ১৯। সংখ্যানুপাতে প্রাপ্য আসন-৩৮।
বাংলাদেশ ফ্রিডম পার্টি। ভোট ৩.২৯%। আসন ২। সংখ্যানুপাতে প্রাপ্য আসন- ১০।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (সিরাজ)। ভোট ১.২%। আসন ২। সংখ্যানুপাতে প্রাপ্য আসন- ৪।


*১৯৯১ নির্বাচন (৫ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন)*

বিএনপি : প্রাপ্ত ভোট ৩০.৮১%, আসন-১৪০। সংখ্যানুপাতে আসন প্রাপ্য : ৯২
আওয়ামী লীগ : প্রাপ্ত ভোট ৩০.০৮%, আসন ৮৮। সংখ্যানুপাতে প্রাপ্য : ৯১
জামায়াতে ইসলামী : প্রাপ্ত ভোট ১২.১৩%, আসন ১৮। সংখ্যানুপাতে প্রাপ্য : ৩৬
জাতীয় পার্টি : প্রাপ্ত ভোট ১১.৯২%, আসন ৩৫। সংখ্যানুপাতে প্রাপ্য : ৩৫


*১৯৯৬ নির্বাচন (৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন)*

আওয়ামী লীগ : প্রাপ্ত ভোট ৩৭.৪৪%, আসন ১৪৬। সংখ্যানুপাতে প্রাপ্য : ১১২
বিএনপি : প্রাপ্ত ভোট ৩৩.৬১%, আসন-১১৬। সংখ্যানুপাতে আসন প্রাপ্য : ১০০
জাতীয় পার্টি প্রাপ্ত : ভোট ১৬.৪%, আসন ৩২। সংখ্যানুপাতে প্রাপ্য : ৪৯
জামায়াতে ইসলামী : প্রাপ্ত ভোট ৮.১৬%, আসন ৩। সংখ্যানুপাতে প্রাপ্য : ২৪


*২০০১ নির্বাচন (৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন)*

বিএনপি : প্রাপ্ত ভোট ৪০.৯৭%, আসন-১৯৩। সংখ্যানুপাতে আসন প্রাপ্য : ১২২
আওয়ামী লীগ : প্রাপ্ত ভোট ৪০.১৩%, আসন ৬২। সংখ্যানুপাতে প্রাপ্য : ১২০
জামায়াতে ইসলামী : প্রাপ্ত ভোট ৪.২৮%, আসন ১৭। সংখ্যানুপাতে প্রাপ্য : ১২
জাতীয় পার্টি : প্রাপ্ত ভোট ১.১২%, আসন ৪। সংখ্যানুপাতে প্রাপ্য : ৩


*২০০৮ নির্বাচন (৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন)*

আওয়ামী লীগ : প্রাপ্ত ভোট ৪৮.০৪%, আসন ২৩০। সংখ্যানুপাতে প্রাপ্য : ১৪৪
বিএনপি প্রাপ্ত : ভোট ৩২.৫%, আসন-৩০। সংখ্যানুপাতে আসন প্রাপ্য : ৯৭
জামায়াতে ইসলামী : প্রাপ্ত ভোট ৪.৭%, আসন ২। সংখ্যানুপাতে প্রাপ্য : ১৪
জাতীয় পার্টি : প্রাপ্ত ভোট ০.২৫%, আসন ১। সংখ্যানুপাতে প্রাপ্য : ১-


উপরের নির্বাচনী ফলাফল থেকে দেখা যাচ্ছে, ২০০১ ছাড়া বাকি নির্বাচনগুলোতে জামায়াতে ইসলামী প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে কম সংখ্যক আসন পেয়েছে। এজন্যই তারা সংখ্যার অনুপাতে আসন সংখ্যা চায় বলে ধারণা করা যায়। কিন্তু ব্যাপারটা এমন না যে, সংখ্যার অনুপাতে প্রতিনিধি নির্বাচন করলেই জামায়াতে ইসলামী সংখ্যাগরিষ্ঠা পেয়ে যাবে।

আবার দেখুন ২০০৮-এর নির্বাচন। আওয়ামী লীগ প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে অনেক বেশি আসন লাভ করেছে, অন্যদিকে বিএনপি প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে আসন পেয়েছে অনেক কম। দুটির মধ্যে একটা সমন্বয় বা ভারসাম্য সৃষ্টির জন্য মিশ্র পদ্ধতির প্রচলন করা যেতে পারে।

নামসর্বস্ব দলগুলো যাতে অযৌক্তিকভাবে কোনো আসনের অধিকারী না হয়ে পড়ে সেজন্য জামানত বায়েজাপ্ত করার মতো একটা শর্ত জুড়ে দিতে হবে, যেমন, সাংসদ নির্বাচিত হবার জন্য দলকে ন্যূনতম ১% ভোট পেতে হবে। এই ন্যূনতম সংখ্যাটা সকল দলের সম্মিলিত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে হওয়া বাঞ্ছনীয়।

উপরের রেকর্ড থেকে দেখা যায় যে, কোনো দল বা ব্যক্তি যদি তুমুল জনপ্রিয়তা লাভে সমর্থ হন, তাহলে সেই দল বা ব্যক্তি ৯০% আসন বা ভোটে বিজয়ী হতে পারেন। ১৯৭০ ও ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগ এবং ১৯৭৯ সালে বিএনপি দুই-তৃতীয়াংশ আসন লাভ করেছিল। ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যানুপাত হিসাবেও দুই-তৃতীয়াংশ আসন লাভ করে (১৯৭০-এর জনসংখ্যার হিসাব খুঁজে পাই নি)।

১৯৭৭ ও ১৯৮৫ সালের হ্যাঁ/না গণভোটের ফলাফল থেকে ধারণা করা যায় যে, বাংলাদেশে সর্বোচ্চ ৯৮.৯% ভোট পাওয়াও সম্ভব, যার ফলে সংসদে একটা দল প্রায় শতভাগ বা শতভাগের কাছাকাছি আসনের অধিকারী হতে পারে।

এবার সারমর্মে আসি। একটা দল বা ব্যক্তি দুই-তৃতীয়াংশ আসন লাভ করতে পারে, এমনকি শতভাগ বা শতভাগের কাছাকাছি আসন বা ভোটও লাভ করতে পারে নিম্নলিখিত দুটি ক্ষেত্রে :

ক। যখন তাদের জনপ্রিয়তা ও কর্মদক্ষতা আকাশচুম্বী হয়।

খ। যখন বন্দুকের ক্ষমতা তাদের কুক্ষীগত থাকে।

*শুধু সংখ্যার অনুপাতেই যদি প্রতিনিধি নির্বাচিত হয় - ব্যাপক গবেষণার দরকার*

শুধু সংখ্যার অনুপাতেই যদি প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়, তাহলে হুট করে সেই পদ্ধতি অবলম্বন করা বাঞ্ছনীয় হবে না। তার জন্য ব্যাপক গবেষণার প্রয়োজন পড়বে, যাতে অন্তর্ভুক্ত থাকা প্রয়োজন :

ক। *আসনসংখ্যা কত হবে? ৩০০, নাকি অন্যকিছু?* ৪৬০টি উপজেলা থেকে ৪৬০টি, ৬৪টি জেলাশহর থেকে থানা কিংবা বর্তমান সংসদীয় আসনসংখ্যা (এটা আমার জানা নেই) নেয়া যেতে পারে। সব মিলিয়ে আসনসংখ্যা ৫০০ হতে পারে।

খ। *দলভিত্তিক হবে, নাকি ব্যক্তি-ভিত্তিক হবে?* অর্থাৎ, ব্যালট পেপারে কি দলের প্রতীক থাকবে, নাকি প্রার্থীদের নাম থাকবে, সেটা আগেই নির্ধারণ করে নিতে হবে।

গ। *একটি আসনের জন্য কোনো দলকে ন্যূনতম কত ভোট পেতে হবে, তারও একটা সংখ্যা,* কিংবা সার্বজনীন ফর্মুলা প্রণয়ন করতে হবে।


তবে, বর্তমান নির্বাচন পদ্ধতি বাদ দিয়ে নতুন একটা নির্বাচন পদ্ধতি গ্রহণ করার আগে ব্যাপক গবেষণার প্রয়োজন পড়বে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। বর্তমান ব্যবস্থার নেগেটিভ সাইডগুলো কী কী, নতুন পদ্ধতিতে সেগুলো দূর করা সম্ভব হবে কিনা, নাকি নতুন পদ্ধতি জটিল হবে, মানুষ বুঝতে পারবে না, প্রকৃত জনমতের প্রতিফলন ঘটবে না, এসবের চুলচেরা ও চুলছেঁড়া বিশ্লেষণ করতে হবে (যে কাজ করতে যেয়ে রাগে-ক্ষোভে মাথার চুল ছিঁড়তে হয়, তার নাম চুলছেঁড়া। আমার শব্দ :) )

*যুগান্তকারী পদ্ধতিই কি নবযুগ সৃষ্টি করতে পারবে?*

আমরা যে-পদ্ধতিই গ্রহণ করি না কেন, জনগণ ভোটকেন্দ্রে যেয়ে নিরাপদে নিজের ভোট দিতে পারলো কিনা, এরকম একটা অবাধ ও প্রতিকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা না গেলে পৃথিবীর শুদ্ধতম নির্বাচন পদ্ধতি দিয়েও আমাদের কোনো কাজ হবে না; আগের রাতে ভোট হয়ে গেলে, ত্রাস সৃষ্টি করে ভোটারগণকে বাসা থেকে বেরোতে বাধা দিলে, সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা না গেলে যে-কোনো নির্বাচনই ব্যর্থ ও প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন হিসাবে ইতিহাসে কালিমালিপ্ত থাকবে, যেমন ২০১৪, ২০১৮, ২০২৪-এর নির্বাচন (কেউ কেউ ২০০৮-এর নির্বাচনের কথাও বলেন)। অর্থাৎ, যদি শেখ হাসিনার ২০১৪, ২০১৮ বা ২০২৪-এর নির্বাচনের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে বর্তমান ‘ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট’, কিংবা ‘সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন’ – সব পদ্ধতির ফলাফল একই হবে। এজন্য, একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা নিশ্চিত করাই হলো একটা বিশুদ্ধ নির্বাচনের পূর্বশর্ত।

যে-কোনো ভুল সাদরে ও ধন্যবাদের সাথে গৃহীত হবে।

খলিল মাহ্‌মুদ
০৩ জানুয়ারি ২০২৫
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:২৪
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিএনপি তথা তারেক রহমান কেন বলছেন না......

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৩ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:৩৮



জামাত, গৃহপালিত জাতীয়পার্টি, পতিত ও নিষিদ্ধ ঘোষিত আম্লিগ এবং বিএনপি এই চারটি রাজনৈতিক দলই বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল। অন্য যে আরো ৩০/৪০ দল আছে সেগুলো বলতে গেলে প্যাডে পোস্টারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রেম-বিবাহ সমাচার !:#P

লিখেছেন আরোগ্য, ১৩ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৩০




১. আমার এক আত্মীয় ভাই প্রেম বিবাহ করে। ওগো জোড়া পুরা "রাব্ব নে বানাদি জোড়ি", মাশা-আল্লাহ! ভাইও গুন্ডা, ভাবির বাপও গুন্ডা। ভাইয়ের পরিবার বিয়াতে রাজি না দেইখা ইতিহাসের পাতায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ৬০ টাকা নিয়ে চট্টগ্রাম এসেছিলেন, আজ ৪৫টি কাচ্চি রেস্টুরেন্টের মালিক[/sb

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৩ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৫২





শাহাবুদ্দীন তালুকদার ২০০১ সালে বাবার দেওয়া ৬০ টাকা নিয়ে বরিশাল থেকে চট্টগ্রাম এসেছিলেন কাজের সন্ধানে। তখন বয়স মাত্র ১৫/১৬ বছর।সেই শাহাবুদ্দীন তালুকদার এখন সমগ্র চট্টগ্রাম বিভাগে প্রসিদ্ধ ৪৫টি কাচ্চি বিরিয়ানির... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপিকে ধুয়ে নিজেদের গা মুছছে এনসিপি!

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ৯:২৫


আহ্, কী দিনকাল পড়লো! রাজনৈতিক দলগুলো যেন একেকটা কমেডি থিয়েটার খুলে বসেছে। আর সাম্প্রতিক সময়ে 'জাতীয় নাগরিক পার্টি' (এনসিপি) নামের নতুন দলটির কাণ্ডকারখানা দেখলে মনে হয়, তারা যেন আমাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

১২.৫ লিটার সিলিন্ডারে ৮লিটার গ্যাস, বাকিটা বাতাস আর পানি

লিখেছেন অপলক , ১৪ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ২:৫১



একটা ম্যাজিক স্টিক দরকার। আমার তো নেই। তাই স্রোতের বিপরীতে গিয়ে লিখতে বসলাম। টপিকস হল: দেশে কি আছে , কি পাচ্ছি, কতটা ফাঁকিবাজি।



দেশে শাসক বদলেছে, শাসন ব্যবস্থা বদলায়নি:
---... ...বাকিটুকু পড়ুন

×