এ সরকার নিশ্চিত ব্যর্থ হতে যাচ্ছে। দ্রব্যমুল্যের ঊর্ধগতি, শেয়ার বাজার কেলেংকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না গ্রহণ, যোগ্য লোকদের সংস্কারপন্থী বলে দূরে ঠেলে রাখা, কতিপয় মন্ত্রীর চরম ব্যর্থতা সত্ত্বেও তাদের পেছনে প্রধানমন্ত্রীর বিস্ময়কর ব্যাকিং, দলে অনেক সুন্দর মানুষ থাকা সত্ত্বেও সাহারা-কামরুলদের মুখ টিভিতে প্রতিদিন জনগণকে দেখতে বাধ্য করা, জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনগণের মতামত উপেক্ষা করে তুঘলকি কায়দায় সিধান্ত গ্রহণ করে তা জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়া(যেমন, ডে লাইট সেভিং, তত্তাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন বিভাজন), আত্নসম্মান বিকানো বিস্ময় জাগানিয়া ভারত প্রীতি(বিনে পয়সায় ট্রানজিট দেয়া, টিপাইমুখবাধ নিয়ে প্রতিবাদ করা তো দূরের কথা এ ব্যাপারে কথা বলতেই পানিসম্পদ মন্ত্রী, দীপুমণিদের নতুন বউয়ের মত লজ্জায়নুইয়ে পড়াভাব), এবং সবার উপরে সরকারী চাকুরীকে নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি। কিন্তু এ সরকারের ব্যর্থতার ফলস্বরূপ নেগেটিভ ভোটে আবার যদি চার-দলীয় দল ক্ষমতায় আসে তাহলে দ্রব্যমুল্যের দাম কমবে না ঠিকই, শেয়ার বাজার কেলেংকারীদের বিচার হবে না ঠিকই, ভারতীয় অন্যায়ের যথাযথ প্রতিবাদ হবে না ঠিকই, বিদ্যুৎ ও সার ও আবাসস্থলের সুরক্ষা চাইলে ত্রিশাল, কানসাট, দিনাজপুরের ফুলবাড়িয়ার মত গুলি মিলবে ঠিকই, কিন্তু সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার যেটা হবে তা হলো আবারো সারাদেশে তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় সেই ভয়ংকর তালেবানী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। অফিস-আদালতে-সিনেমা হল-মেলা-সমাবেশ-রাস্তা-ঘাটে আবারো তালেবানী স্টাইলে একের পর এক বোমা হামলায় সাধারণ মানুষ, সাবেক মন্ত্রী, বিচারক মারা যেতে থাকবে আর সরকার প্রধান বলতে থাকবে দেশে জঙ্গি বলতে কিছু নেই এগুলো সব বিরোধীদল ও প্রথম আলোর অপপ্রচার।শেষে একদিন জঙ্গি আর তালেবান নিধনের ধোয়া তুলে ভারত আর আমেরিকা মিলে আফগানিস্তানের মত এ দেশে এসে ঘাটি গেঁড়ে হামলা চালাবে। সুতরাং এ সরকার ব্যর্থ হলেও তাই রাগে-ক্ষোভে জঙ্গি আর তালেবানী শক্তি্র পৃষ্ঠপোষক জামাত-বিএনপিকে মোটেও ক্ষমতায় আনা ঠিক হবেনা। আবার এ সরকারকেও পর পর ২ টার্ম ভোট দেয়াও ঠিক হবে না। ভালো হত বিএনপি যদি জঙ্গি আলবদর রাজাকারদের দলকে বাদ দিয়ে এককভাবে নির্বাচন করত। তাহলে আওয়ামীলীগের অনেক সাপোরটারই তাদের ভোট নিশিন্তে বিএনপিকে দিত। কিন্তু বিএনপি জঙ্গি রাজাকার আলবদরদের দলকে কোনোদিন ছাড়বে না। আত্নার বন্ধন তাদের।তাহলে উপায় কি? উপায় হচ্ছে তৃতীয় কোনো দলকে ভোট দিতে হবে। কিন্তু তৃতীয় উপযুক্ত দল পাওয়া যাবে কোথায়? এক্ষেত্রে জাতীয় পারটি হতে পারে তৃতীয় উপযুক্ত দল। যদিও এরশাদের অনেক বয়স হয়েছে---বার্ধ্যক্য মানুষের করমশক্তি ও সৃজনশীলতানাশক। তবুও আওয়ামীলীগ ও জামাত-বিএনপিকে শিক্ষা দেয়ার জন্য এবার এরশাদের দলকে ভোট দেয়া উচিত। যারা এরশাদের বহুপ্রেম বা একাধিক বিয়ের কথা বলবেন তাদের বলব, ক্লিনটনের নারীঘটিত কেলেংকারীর ইতিহাস আছে, বুশের নাই। কিন্তু তা সত্বেও ইতিহাস স্বাক্ষী, বুশ অপেক্ষা ক্লিনটনের দ্বারা পৃথিবীর মানুষের অনেক কম ক্ষতি হয়েছে।
আওয়ামীলীগ ব্যর্থ হচ্ছে তাই বলে জামাত-বিএনপিকে ক্ষমতায় আনা ঠিক হবে না।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
মিশন: কাঁসার থালা–বাটি
বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।