লৌহজং উপজেলার শিংহাটি গ্রামে দু’দিন আটকে রেখে দুই যুবলীগ কর্মী ধর্ষণ করেছে এক বোবা কিশোরীকে। বাক প্রতিবন্ধী এই কিশোরীকে শিংহাটি গ্রামের রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববতী একটি পরিত্যক্ত ঘরে দু’দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে শিপন বেপারী ও রাজু খান নামের দুই যুবলীগ কর্মী। সোমবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আহত ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে পুলিশ রাজু খানকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে বলে স্থানীয়দের একাধিক সূত্র জানায়। কিন্তু এ নিয়ে সারা দিন থানার ভেতরে বিভিন্ন নাটকীয়তা শেষে সোমবার রাতে লৌহজং থানায় ওসির কক্ষে আওয়ামী লীগ নেতাদের বৈঠক শেষে এ ঘটনায় কোন মামলা দায়ের না করে উল্টো হুমকি দিয়ে ধর্ষিতাকে তুলে দেয়া হয় তার পরিবারের কাছে। এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন লৌহজং থানার ওসি (তদন্ত) একেএম মাসুদ খান, কনকসার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মনির মাস্টার প্রমুখ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই বোবা মেয়েটি কনকসার গ্রামের জাহাঙ্গীর বেপারীর বাসায় গৃহ পরিচালিকার কাজ করত। কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিংহাটি গ্রামের রাস্তা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় এই যুবলীগ কর্মীরা। পার্শ্ববর্তী পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে দু’দিন আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ শেষে আহত অবস্থায় খিদিরপার রাস্তার পাশে ফেলে যায় পুলিশ ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে সোমবার সকালে। এ ঘটনা মুহূর্তের মধ্যে এলাকায় ছড়িয়ে পরলে তা ধামাচাপা দিতে ব্যস্ত হয়ে উঠেন কনকসার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতারা। ধর্ষক যুবলীগ কর্মী শিপন ও রাজুকে রক্ষা করতে সারাদিন কয়েক দফা দেন দরবার করেন তারা। এ ব্যাপারে থানায় যেন কোন মামলা না করা হয় সে জন্য ধর্ষিতার পরিবারকে দেখানো হয় ভয়ভীতি। এ নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মাঝে দেখা দিয়েছে চাপা ক্ষোভ। এ ব্যাপারে কনকসার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মনির মাস্টার বলেন, মেয়েটি অসহায় তার আসল বাড়ি ভোলা জেলায় এ জন্য পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের আলোচনাসাপেক্ষে তাকে তার মার কাছে ভোলা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার ভোলায় পৌঁছাতে যেন কোন সমস্যা না হয় সেজন্য তাকে কিছু যাতায়াত খরচ দেয়া হয়েছে। লৌহজং থানার ওসি (তদন্ত) একেএম মাসুদ খান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার ভোর রাতে খিদিরপাড়া একটি খাবার হোটেলের সামনে থেকে তাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে মেয়েটি ধর্ষিত হয়েছে কি না সেটা আমাদের জানা নেই। এলাকাবাসী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে মেয়েটিকে ভোলায় তার মায়ের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য নিকটাত্মীয়দের কাছে তুলে দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় কোন মামলা হয়নি।
সূত্র মানবজমিন
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:১৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




