বস সমবয়সী হওয়ার কারণে বেশ ফ্রেন্ডলি সম্পর্ক ।এক ছুটির দিন লং ড্রাইভ থেকে ফিরছিলাম।বাসার কাছাকাছি এসে গেলাম।সামনে সামান্য যায়গা। রং সাইড দিয়ে ঢুকলে একদম বাসার সামনে কিন্তু ঘুরে আসতে হলে প্রায় আধমাইল দূরের সিগনাল দিয়ে ঘুরে আসতে হবে । তাই বস রং সাইড দিয়েই ঢুকিয়ে দিলেন গাড়ি । হঠাৎ একজন সাইকেল আরোহী এসে পড়ায় সাইকেলে ধাক্কা। সামান্য ঘটনা। সাইকেলওয়ালা যেহেতু বাংলাদেশী আমি নিজেই বললাম,ভাই এখন পুলিশ কল করে কি লাভ ?
থানায় গেলে আপনার সাইকেলের জরিমানা দিবে আর এক্ষুনি আমরা দিয়ে দিচ্ছি । সাইকেলের দাম বড়জোর ১৫০ রিয়াল হবে । কিন্তু বস ২০০রিয়াল দেশী ভাইটাকে দিয়ে গাড়িতে উঠব আমরা এমন সময় ৯৯৯ এর গাড়ি হাজির। দেশী ভাইয়ের সাইকেলের অবস্থা দেখেই বুঝে গেল ঘটনা কি ।
বস আ্যারাবিয়ান। সো আমি চুপ করে আছি । বস পুলিশকে ঘটনা খুলে বলতেই পুলিশ দেশী ভাইকে জিজ্ঞাসা করল, ' তোমাকে কি জোর করে আপোষ করতে বাধ্য করা হয়েছে নাকি তুমি নিজ থেকেই করেছ ?'
বাংলাদেশী ভাইটা বলল,আমি স্ব ইচ্চায় আপোষ করেছি । এরপর পুলিশ বাংলাদেশী ভাইকে চলে যেতে বলে আমার বসের ড্রাইভিং লাইসেন্স,ন্যাশনাল কার্ড নিয়ে জরিমানা করে দিল। জরিমানা করে দিয়ে পুলিশ চলে যেতেই বসকে জিজ্ঞাসা করলাম, ''আমরা তো মিটমাট করেছি এরপরও জরিমানা কেন?''
বসের উওর,আমরা মিটমাট করেছি ঐ বাংলাদেশী সাইলকেল আরোহী ছেলেটার সাথে । কিন্তু আমাদের তো আইনের সাথে মিটমাট হয়নি । সুযোগও নেই । কারণ আমি রং সাইড দিয়ে এসেছি ।
২..
প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় ছাত্রলীগের দুই নেতা ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে রং সাইড দিয়ে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। এ সময় ঢাকা মেট্রোপলিটনের এক ম্যাজিস্ট্রেট এবং আইন মন্ত্রণালয়ের তিন সচিবকে বহনকারী গাড়ির (ঢাকা মেট্রো চ-৪১৪৭৯৬) সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেল ধাক্কা লাগে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে ছাত্রলীগের ৩০-৪০ জন নেতা-কর্মী প্রেসক্লাবের সামনে থাকা কর্মকর্তাদের বহনকারী গাড়ি আটকে দেন। তারা পুলিশের ম্যাজিস্ট্রেট এবং তিন সচিবকে লক্ষ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
এ ঘটনায় পুলিশকে নির্বাক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।(বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম )
এরপরের ঘটনা পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেট, সচিব ও ছাত্রলীগের কয়েকজন প্রতিনিধিকে সঙ্গে নিয়ে আলোচনার জন্য শাহাবাগ থানায় নিয়ে গিয়ে আপোষের ঘটনা ঘটে এবং ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম ফারুক বলেন, “চালকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সেটা সমাধান হয়েছে।”
৩..
ছাত্রলীগ বড়ই নিষ্পাপ দল,ছাত্রলীগের ছেলেরা কোন কুকর্ম করেনা ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে প্রায় এমন বক্তব্য শোনা যায়।তাই ' পবিত্র ছাত্রলীগ 'নিয়ে কিছু বলার নেই ।
' পুলিশ আগের চেয়ে অনেক ভাল ' মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষন ও করলাম না রংসাইড দিয়ে মোটর সাইকেল চালানোর অপরাধে ছাত্রলীগ ক্যাড়ারদের গ্রেফতার না করে থানায় নিয়ে আপোষ করার জন্য।
একজন ম্যাজিষ্টেট এভাবে ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীদের সাথে আপোষ করে নিজের শিক্ষাকে বিসর্জন দেবার পরও কিছু লিখলাম না।কারণ,ঐ ম্যাজিষ্টেটের বউ বাচ্ছা আছে । একজন নুর হোসেন কিংবা প্রতিবাদী আইজউদ্দীন কতজনইবা হতে পারে ।
তাই উপসংহার টানলাম ''হায়!সেলুকাস কি বিচিএ এই বাংলাদেশের পুলিশ,ম্যাজিষ্টেট''
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুলাই, ২০১২ রাত ৯:৪১