হুজুর আকরাম (সাঃ) এর জন্ম দিবস নিয়ে সবসময় বিতর্ক আছে।
এসব কথায় যাচ্ছি না কারন
কখন নবীজী (সাঃ) জন্ম গ্রহন করেছেন, উনি কিসের তৈরি ছিলেন এসব নিয়ে অযথা বিভ্রান্তি তৈরি করা কি আদৌ প্রয়োজনীয়? নাকি উদ্দেশ্যমুলক?
নবী করীম (সাঃ) আমাদের কি আদর্শ শিক্ষা দিয়েছেন একটু দেখিঃ
১। হজরত আবু দারদা (রাদিঃ) হতে বর্ণিত আছে হুজুর আকরাম (সাঃ) এরশাদ করেন, কোন ব্যক্তি যদি অন্য কারো দ্বারা শারিরিক কষ্ট পায়, অতঃপর তাকে মাফ করে দেয়, তবে আল্লাহ তায়ালা তার একটি মর্যাদা বুলন্দ করেন এবং একটি গোনাহ মাফ করে দেন। (তিরমিযী)
২। হজরত আবু হোরায়রা (রাদিঃ) হতে বর্ণিত আছে হুজুর আকরাম (সাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি মুসলমানের বিক্রয়ক্রিত জিনিস ফেরত নিতে রাজী হয়ে যায় আল্লাহ তায়ালা তার ত্রুটি বিচ্যুতি মাফ করে দেন।
(আবু দাউদ)
৩। হজরত আনাস (রাযীঃ) হতে বর্ণিত আছে হুজুর আকরাম (সাঃ) এরশাদ করেন, হে আমার প্রিয় বেটা, যখন তুমি আপন ঘরে প্রবেশ কর তখন ঘর ওয়ালাদের সালাম দাও। ইহা তোমার এবং ঘরওয়ালাদের জন্য বরকতের কারন হবে। (তিরমিযী)
৪। হজরত আয়েশা (রাযীঃ) হতে বর্ণিত আছে হুজুর আকরাম (সাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি কন্যা সন্তানদের কোন ব্যাপারে জিম্মাদারি গ্রহন করল এবং তাদের সাথে ভাল ব্যবহার করল তবে এই কন্যাগণ তার জন্য দোজখের আগুন থেকে নাজাতের উছিলা হয়ে যাবে। (বোখারী)
৫। হাদিসের সারসংক্ষেপঃ হজরত আবু হোরায়রা (রাদিঃ) হতে বর্ণিত আছে হুজুর আকরাম (সাঃ) আমাকে পাঁচটি এরশাদ করেন,
> হারাম হইতে বাঁচিয়া থাক, তুমি সকলের চাইতে বড় ঈবাদতকারী হইয়া যাইবে।
> আল্লাহ তায়ালা তোমাকে যা কিছু দিয়েছেন তার উপর রাজি থাক, তুমি সবচেয়ে বড় ধনী হইয়া যাইবে।
> প্রতিবেশীর সাথে ভাল আচরন কর, তুমি মুমিন হইয়া যাইবে।
> যাহা নিজের জন্য পছন্দ কর উহাই অন্যদের জন্যও পছন্দ কর, তুমি পূর্ণ মুসলমান হইয়া যাইবে।
> বেশি হাসিও না, কারন বেশি হাসা দিলকে মুর্দা বানাইয়া দেয়।
(তিরমিযী)
বন্ধুরা দেখুন কত সুন্দর সুন্দর হাদিস। পোস্ট দীর্ঘ হয়ে যাবে বিধায় বেশি লিখলাম না। কি আসে যায় হুজুর আকরাম (সাঃ) মাটি নাকি নূরের তৈরি না জানলে, কি আসে যায় মিলাদ কিয়াম আর ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) অথবা সিরাতুন্নবী (সাঃ) পালন করলে আর নাইবা করলে? নবীজী (সাঃ) কি এসব শিক্ষা দিয়েছিলেন সাহাবায়ে কেরাম (রাযীঃ) দের, নাকি ঈমান, আমল এবং মনুষ্যত্ব শিক্ষা দিয়েছিলেন?
হাশরের ময়দানে আল্লাহ তায়ালার কাছে আমার হিসাব দিতে হবে ঈমান এবং আমল এর। কোন মুসলমানকে কষ্ট দিয়েছি, অন্যায়ভাবে কোন অমুসলিমের হক নষ্ট করেছি তো জীবনের সমস্ত আমল নষ্ট হয়ে যাবে।
যদি সত্যিই হুজুর আকরাম (সাঃ) কে ভালবাসি তবে আসুন এখনই নিয়্যত করি আজ থেকে অন্তত উপরোক্ত একটি সুন্নতের অনুসরণ শুরু করব এবং জীবনে কখনও আর ছাড়বনা ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে আমল করার তৌফিক দান করুন, আমীন।