somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

“ আমাদের স্কুল জীবন ”

১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




কি বলা যায় এটাকে ??? বন্ধুত্ব, ভালোবাসা নাকি হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসের কোন ছেঁড়া পাতা ? প্রশ্নটির সাথে ঠিক এরকম যেন কিছু চিহ্ন থেকেই যায় । “???” এই চিহ্নটি দেখলেই মনে হয় যেন তিন গোয়েন্দার কোন রহস্যময় প্লটে চলে গেছি । কিন্তু নাহ, তা নয় । এটি গোয়েন্দা কাহিনী না হলেও হুমায়ূন আহমেদের ছেঁড়া পাতা হলেও হতে পারতো । কিন্তু তা না হয়েই বরং বাস্তবেই এই অবাস্তব ঘটনাটা ঘটে গেল । যাই হোক, এত প্যাঁচাল না পেরে আসল ঘটনায় প্রবেশ করি ।

এটি ৬ জনের গল্প । এভাবে না বলে বলা যাক ৬ বান্ধবীর গল্প । প্রথমেই ৬ জনের নামটা বলা যাক । শুভ্রা , সুরভি , জবা , তিন্নি , মিলি আর আমি , রাখি ।

আমাদের এক হওয়ার জন্য সবচেয়ে কঠিন একটা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হল । আর তা হল এডমিশন টেস্ট । আরে না না, যা ভাবছ তা না । ওটা ছিল ক্লাস ৬ এর এডমিশন । তবে যে ক্লাসের হোক না কেন এডমিশন বলে কথা । যথানিয়মে আমরা ৪ জন এডমিশন দিয়ে টিকে গেলাম । ৪ জন বলছি, কেননা তিন্নি আর মিলি আমাদের সাথে এডমিশন দেয়নি । ওরা পরে শর্টকাট এক্সাম দিয়ে ক্লাস ৬ এ এডমিট হল ।

আমাদের গ্রুপ ছিল “সি” । আর রোল .................. কি বলব, সবগুলো ১০০ এর উপরে । কেউ জিজ্ঞেস করলে বলতাম নতুন স্কুল তো তাই এত পিছে । আর মনে মনে বলতাম কেন বাপু , আমার রোল নিয়া তোমার এত মাথা ব্যথা কেন :/ । ভাগ্যিস , মানুষ মুখের কথাটাই শোনে; মনেরটা না ।

ক্লাস ৬ এ আমার সাথে তিন্নি বাদে আর কারো খুব ভালো সম্পর্ক ছিল বলে মনে পরে না । ১ম টার্মের পর দেখা গেল মিলিটা চরম জিনিয়াস পাবলিক । এক্কেবারে ফার্স্ট বলে ছক্কা মারার মতো করে ২য় হয়ে গেল । তখন টিচাররা বলতে লাগলেন এই “সি” গ্রুপ থেকে ভবিষ্যতে অনেক রত্ন বের হবে । কে জানত তার মধ্যে আমরাও থাকব ??????

ক্লাস ৬ এ আমাদের সম্পর্কের কোন পরিবর্তন হল না । যে দা-কুমড়া ছিলাম সেই দা-কুমড়াই রইলাম ।

ক্লাস ৬ এর শেষে ঘটলো এক বেদনাদায়ক ঘটনা । সেই যে তিন্নি যার সাথে সবার সহজ একটা সম্পর্ক ছিল , সে হুট করে ঢাকার পানে ছুটল । ও চলে যাওয়ার পর টুকরো টুকরো স্মৃতি তাড়া করতো আমাদের ।

যতই কষ্ট থাকনা কেন আমাদের পড়াশোনা তো আর আমাদের পিছু ছাড়ল না । ক্লাস ৭ এ উঠলাম । এবার একটু প্রমোশন হল, ঠাঁই পেলাম সেকশন “এ” তে । আমাদের ক্লাস টিচার ছিলেন রশিদ স্যার । স্যার ছিলেন অনেক লম্বা । মাঝে মাঝে ভাবতাম স্যারকে দেখতে হলে আমার ঘাড়টাই বাঁকা হয়ে যাবে । কেননা ওই ক্লাসে আমি ছিলাম সবচেয়ে খাটো । ছিলাম বলি কেন , এখনো আছি ...............:P

ভয় ছিল ঘাড় বাঁকা হয়ে গেলে সবাই না আমাকে ঘেনটি বাঁকা রাখি বলা শুরু করে । কিন্তু না, বহাল তবিয়তে আমার পিতৃ-প্রদত্ত নামটি টিকে থাকে । ক্লাস ৭ এ উঠে আমি “আকাশ থেকে পড়া” আর “মাটি ফুঁড়ে বের হওয়া” নামক ২টা বাক্যাংশ শিখলাম । কেননা মিস তিন্নি ঢাকা থেকে আমাদের টানে আবার আমাদের মাঝেই ফিরে এলো । কি সৌভাগ্য !!! আমাদের সবার সম্পর্কের কিছুতা উন্নত হল এই ক্লাসে ।

ক্লাস ৮ এ স্কলারশিপ এর জন্য মনোনীত হলাম । এই ক্লাসে এসে আমাদের সম্পর্কের উন্নতি আকাশ ছোঁয়ার মতই হল, কিন্তু কোন একটা কারণে ছুঁল না । আর এই সম্পর্কের উন্নতি – অবনতির মাঝেও আমাদের জীবনের প্রাত্যাহিক ঘটনা কিন্তু ঘটেই চলেছে ।

আমার সাথে শুভ্রা আর জবার সম্পর্কটা আস্তে আস্তে সহজ হয়ে আসলো । কারণটা হল তিন গোয়েন্দা । কি মিল !!! দেখ, তিন গোয়েন্দার সাথে সাথে আমরা তিন জনও এক হতে লাগলাম । কিন্তু কথা হল , আমি কিন্তু তিন গোয়েন্দার নয় বরং মাসুদ রানার প্রেমে পড়লাম । আর যাকে বাকি ৫ জন কখনই তেমন পছন্দ করতে পারেনি । কিন্তু কোন এক অজ্ঞাত কারণে ওরা সবাই পছন্দ করলো বটে,তবে আমার ভালোবাসার মানুষটিকে নয়; অন্য কাউকে । সে যাই হোক এই ঘটনাটি যথাসময়ে যথাস্থানে বলব।


৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আজ রমনায় ঘুড়ির 'কৃষ্ণচূড়া আড্ডা'

লিখেছেন নীলসাধু, ১৮ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬




আজ বিকাল ৪টার পর হতে আমরা ঘুড়ি রা আছি রমনায়, ঢাকা ক্লাবের পর যে রমনার গেট সেটা দিয়ে প্রবেশ করলেই আমাদের পাওয়া যাবে।
নিমন্ত্রণ রইলো সবার।
এলে দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×