খবর এইখানে
এবং এইখানে
সাংসদদের গাড়ি আমদানি সংক্রান্ত নতুন আইনে ১১ ধরনের বিলাসবহুল গাড়ির আমদানির ওপরে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এগুলো হল মার্সিডিজ বেঞ্জ, লেক্সাস, হামার, বিএমডব্লিউ, পোরশে, ফেরারি, ক্যাডিলাক, রোলস রয়েস, জাগুয়ার, করভেট ও অডি কোম্পানির গাড়ি। ফলে সাংসদেরা এখন ল্যান্ডক্রুজার, টয়োটা প্রাডো, মিৎসুবিশি পাজেরো ইত্যাদি সস্তা গাড়ি আমদানি করতে বাধ্য হচ্ছেন যেগুলোর দাম মাত্র ৫০/৬০ লাখ টাকা। এ বিষয়ে প্রথম আলো লিখেছে -
"শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি আমদানির প্রক্রিয়ায় সাংসদদের ঝোঁক টয়োটা ল্যান্ড ত্রুজারের দিকে। শুল্কমুক্ত ডিজেলচালিত চার হাজার সিসির এ গাড়ির দাম পড়বে ৫০ থেকে ৫৫ লাখ টাকা। আর ৪৪০ শতাংশ শুল্ক দিয়ে এ গাড়ি কিনলে এর দাম পড়ে প্রায় তিন কোটি টাকা। সাড়ে চার হাজার সিসির একটি শুল্কমুক্ত গাড়ির দাম ৫০ থেকে ৫৮ লাখের মধ্যে হলেও এর ওপর শুল্কহার ৮৩০ শতাংশ। ফলে শুল্কসহ এ ধরনের একটি গাড়ির দাম প্রায় পাঁচ কোটি টাকা।
সাংসদদের দ্বিতীয় পছন্দের তালিকায় আছে টয়োটা প্রাডো। দুই হাজার ৭০০ থেকে তিন হাজার সিসির বিভিন্ন মডেলের এসব গাড়ির শুল্ক ছাড়া দাম গড়ে ৩৫ থেকে ৪৮ লাখ টাকা। আর শুল্কসহ পেট্রলচালিত এসব গাড়ির দাম দেড় কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। পছন্দের তালিকায় আরও আছে তিন হাজার সিসির মিতসুবিসি পাজেরো। শুল্কমুক্ত এ গাড়ির গড় দাম পড়বে ৫০ লাখের মধ্যে। আর শুল্কসহ দুই কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।"
আপনারা নিশ্চয়ই জানেন এই দেশে সাংসদ হওয়ার জন্যে একজনকে কত টাকা খরচ করতে হয়। এত কষ্ট করে সাংসদ হবার পরে তারা যখন দেখেন তারা রোলস রয়েসে চড়তে পারছেন না তখন তাদের মানসিক অবস্থার কথা একবার ভেবে দেখুন। তাই সরকারের কাছে দাবি জানাই সাংসদেরা যেন সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে একটি করে ল্যাম্বোরগিনি কিংবা ফেরারি পান। আমরা না হয় পতঙ্গ বিশেষ, আমরা লোকাল বাসে বাদুড়ঝোলা হয়ে গেলেও কিছু এসে যায় না। কিন্তু দেবতাতুল্য সাংসদেরা যখন সস্তা গাড়িতে চড়তে বাধ্য হন তখন আমাদের সম্মান কোথায় যায়?
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৪৪