somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এক কেজি আলু:কেউ সিনেমা দেখে কেউবা বাজারে গিয়ে কাঁদে!

১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার সিনেমা দেখার অভ্যাস নাই। ইউটিউব দেখা হয়। সংবাদের ক্লিপ দেখা হয় ফেসবুকে। ফেসবুকে বেশি সময় দেয় আমাদের দেশের মানুষ। গড়ে দুই তিন ঘণ্টা! জরিপ তাই বলে। তিন মিনিটের ক্লিপ দেখতে বেশ ভালোই লাগে। স্ক্রল করলে পছন্দের শিরোনামে সংবাদ দেখা যায় সহজে। দীর্ঘ সময় ব্যয় করার সহ্য হারিয়ে গেছে আমাদের মাঝ থেকে। আগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকা হতো নির্দিষ্ট অনুষ্ঠান দেখার জন্য। এখন সবকিছু অতি সহজ হয়ে গেছে। মুজিব একটি জাতির রূপকার নামে বায়োপিক বানিয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত যৌথ প্রযোজনায়। বেশ প্রচার-প্রচারণা দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্মগুলোতে।

সিনেমা হলগুলো সাধারণত একটি ছবি এক সপ্তাহ চালায় বড়জোর দুই সপ্তাহ। এখনকার আধুনিক সিনেপ্লেক্স সিস্টেম ভিন্ন। বিদেশি ছবি প্রদর্শন করে। সাধারণ হলগুলো এখন গুটিয়ে ফেলছে ব্যবসা। অনলাইন ঘেঁটে দেখলাম সারা দেশে প্রায় দেড়শ মতো সিনেমা হল আছে। আমার জন্মস্থানে পনের মিনিটের দূরত্বে দুটি সিনেমা হল ছিল। একটি লাকি অন্যটি পূর্ণিমা। জানা গেল লাকি এখন হাফিজিয়া মাদ্রাসা! পূর্ণিমা ব্যবসা করছে। ইন্টারনেট দুনিয়া জীবন সহজ করে দিয়েছে। হলে গিয়ে ছবি দেখতে হয় না। চলতি মাসের মাঝামাঝি বাড়িতে গিয়ে দেখলাম রাস্তায় গাছে ও দেওয়ালে সিনেমার পোস্টার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন কেন্দ্রিক চলচ্চিত্র মুজিব একটি জাতির রূপকার। যদিও মাসের প্রথম সপ্তাহের শুরুতে জানা গিয়েছে ১৩ অক্টোবর ছবি মুক্তি পাবে। ছবিটি এখনও অনলাইলে আসেনি। ছবিটি দেখা উচিৎ বলে মনে করি। ভারতেও প্রদর্শিত হবে ছবিটি। সারা দেশের ১৫৩টি প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি উপভোগ করছেন দর্শকরা। বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন ভারতের খ্যাতিমান নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল। এর নির্মাণ ব্যয় ৮৩ কোটি টাকা। বাংলাদেশ মোট অর্থের ৫০ কোটি ও ভারত ৩৩ কোটি টাকা দিয়েছে। মজার বিষয় হচ্ছে-এ সিনেমায় আরিফিন শুভ, নুসরাত ইমরোজ তিশা ও জায়েদ খান অভিনয়ের জন্য মাত্র এক টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন। টাকা লেনদেন হয়েছে চেকের মাধ্যমে। গণমাধ্যমে নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন শিল্পীরা। জানিয়েছেন, এ সিনেমায় কাজ করতে পেরে তারা ধন্য।

এবার একটু সিনেমার বাইরে আসি। দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা যাক। দেশের ইস্যু অনেক। গণমাধ্যম বেশ ব্যস্ত। নিউজরুম গমগমে। শিফট চেঞ্জ, রোস্টার পরিবর্তন। ক্যামেরা ও বুম নিয়ে ব্যস্ত সংবাদকর্মীরা। দুপুরের খাবার বিকেলে বা সন্ধ্যায় খেতে হচ্ছে। ইস্যু অনেক। জাতীয় নির্বাচন, তত্ত্বাবধায়ক ইস্যু, নির্বাচন কমিশন, জামায়াতে ইসলামী, আমেরিকা রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, হেফাজত ইসলামী ও সমামনা দলের আন্দোলন। রিজার্ভ, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য, কূটনীতিক সম্পর্কসহ আরও কিছু। সরকারের মাথা ব্যথা জামায়াত নিয়ে! গেল ২৮ অক্টোবর নানান বাধা উপেক্ষা করে মতিঝিলে সমাবেশ করেছে। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করায় ডিবির হারুন তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন সেই সংবাদ এসেছে পত্রিকায়। শাপলা চত্বরে অবস্থান করে দখলে নিয়ে তাদের শক্তি জানান দিয়েছে। পুলিশ জামায়াত-শিবির মুখোমুখি অবস্থানে ছিল। যেকোনো বিনিময়ে সমাবেশ জামায়াত করবে আগেই ঘোষণা দিয়েছিল।

বাংলাদেশ কোনদিকে যাবে? ভবিষ্যৎ কী? দেশের প্রধান দুই দলের অনড় অবস্থান ও রাজনৈতিক ইস্যুতে বাজার ও দ্রব্যমূল্য ইস্যু দমে গেছে। পত্রিকার পাতায় নিত্যদিন বাজার দর থাকলেও টেলিভিশনের পর্দায় কম দেখা যায়। এত ইস্যুর ভিড়ে এটি আনা হয় না সংবাদের বরাদ্দ সময়ের মধ্যে। টিভিতে সেকেন্ড হিসাব করা হয় আর পত্রিকায় কলাম ও শব্দে। যারা আজকে বাজার করবেন বা গতকাল সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফেরার পথে বাজার করে নিয়ে এসেছেন তারা এক কেজি আলু কিনতে পঞ্চাশ টাকা দিয়েছেন। কেন এত দাম? উৎপাদন কম না রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ? আলু কি আমাদের আমদানি করতে হয় বিদেশ থেকে? পনের টাকায় আলু কেনা গেছে গত বছরের প্রথম দিকে এখন প্রায় চারগুণ দিয়ে কিনতে হচ্ছে! শীতকাল এসে গেছে প্রায়। শহরে শীতের দৃশ্য না দেখা গেলেও গ্রামে শীত পড়ে গেছে। আগাম শীতের সব্জি বাজারে এসেছে। প্রথমদিকে একটু দাম থাকে এটা স্বাভাবিক কিন্তু দামের মাত্রা যখন নাগালের বাইরে হয়? চলতি বছরের মাঝামাঝিতে টমেটো আশি টাকা ছিল, সপ্তাহে ও মাসে পাঁচ-দশ টাকা উঠানামা করেছে। এখন তা শতকের ঘরে! টমেটো কি আমদানি করতে হয়? ফুলকপি, বাঁধাকপি আর গাজর একশ দশ থেকে বিশ। যখন বাজারে যাই দেখি মানুষের হতাশার চিত্র। মানুষের মুখে বিরক্তির ছাপ। অভিশাপের বাক্য। গার্মেন্টস কর্মী সন্ধ্যায় বাসার ফেরার পথে দুই কেজি চাল নিয়ে যায়! তিরিশ টাকার পেঁয়াজ কিনে! ডিজিটাল পাল্লা তাই কাজিতে নয় মাপে টাকার হিসাবে কিনে। আমি কি জরিপ করেছি? প্রশ্ন আসতে পারে। না আমি নিজে দেখেছি। কথা বলেছি।

চা ছাড়া পুরুষ মানুষের জীবন চলে না। অফিসে কাজের ফাঁকে চা, দিন মজুররা কাজের ফাঁকে চা আর বিড়ি কিংবা বনরুটি সাথে এক পিস কলা। আগে এক কাপ কনডেন্স মিল্কের চা পাঁচ টাকায় পাওয়া যেত। এবছর তা বেড়ে দশ টাকায় ঠেকেছে। দশ টাকার নিচে বনরুটি মিলে না। যেসব পণ্যের দাম কমেনি তারা জনকল্যাণ বান্ধব ব্যবসায়ী ভাবলে ভুল হবে। পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। পটেটো চিপস এখনও দশ টাকায় আছে! পরিমাণ কমতে কমতে বারো গ্রামে ঠেকেছে। ২০১২-১৩ সালেও পরিমাণ ছিল তিরিশ গ্রাম তখন সাত টাকা মূল্য ছিল। গুড়া দুধের মিনি প্যাক পাওয়া যেত বিভিন্ন কোম্পানির। পনের গ্রাম দশ টাকা। অক্টোবরে মাঝামাঝিতে দশ টাকায় আট গ্রাম পাওয়া যায়।

ফেসবুকের ছোট ছোট ভিডিও ক্লিপে দেখা যায় বাজারের চিত্র। মানুষের হাহাকার। আফসোস আর দীর্ঘশ্বাস। কবে শেষ হবে পরিস্থিতি? কবে আসবে আগের চিত্র? এই প্রশ্ন মনে মনে। বাণিজ্য মন্ত্রী, খাদ্য মন্ত্রী ও কৃষি মন্ত্রী এখন শুধু রাজনৈতিক বক্তব্য দেন। বিপক্ষ দলকে হুমকি-ধমকি দেন। সংবিধানের ফতোয়া শেখান। বিএনপিকে রাজনীতি শেখান। যখন ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনা হলো তখন মন্ত্রী মালোশিয়া আর সচিব চীনে। মন্ত্রী দেশে দ্রুত আসলেন না বরং ঘোষণা দিলেন আমি পদত্যাগ করলে যদি দুর্ঘটনা আর না ঘটে তবে পদত্যাগ করতে রাজি। ফেসবুকে সরকার দলের নিয়ন্ত্রিত প্রচারকর্মী বা তাদের এজেন্টরা উন্নয়ন ও সাফল্যের খবর প্রচার করে। সেখানে দেখা যায় ২০০৬ সালের সাথে বর্তমানের উৎপাদনের তারতম্য পরিসংখ্যান করে। দামের পরিসংখ্যান কেন করে না তা জানি না। আবার প্রতিদিন মোবাইলে উন্নয়নের মেসেজ আসে। এখানেও আছে ২০০১ সাল ও আজকের দিনের পরিসংখ্যান।

লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে চরম বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি বিপদে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা। সংসার খরচ কয়েকগুণ বাড়লেও আয় বাড়েনি এক টাকাও। ফলে জীবনধারণ কঠিন হয়ে পড়ছে তাদের। আয়-ব্যয়ের হিসেব মেলাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরাও। স্ত্রীর দেওয়া ফর্দ অনুযায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে ঘুরতে হচ্ছে এক দোকান থেকে আরেক দোকান। মাছ মাংসের দোকানে গিয়ে আকাশচুম্বী দামে দেখে ফিরতে হচ্ছে শুধু সবজি নিয়ে। গরুর মাংস যেখানে মানুষ শুক্রবার তথা সপ্তাহিক বন্ধের দিন খেত সেখানে মাসেও কেনা হয় না। আয়ের সাথে ব্যয় মেলাতে অনেকেই খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয়েছেন এমন সংবাদও আসে পত্রিকায়।

‘পারছে না মধ্যবিত্ত’ এমন তথ্য জানতে চেয়ে গুগলে সার্চ দিতেই দেখি দুঃখের চিত্র। পত্রিকাগুলো শিরোনাম করেছে হারিয়ে যাচ্ছে মধ্যবিত্ত। আর সরকার বলছে অন্যকিছু। গতমাসে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম কবে দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের ইলিশ মাছ খেয়েছেন? কমেন্টে উত্তর আসেনি! কারণ কী? তাহলে কেউ খায়নি? ঢাকা মেইল গত বছরের নভেম্বরের চার তারিখ সংবাদের শিরোনাম করেছে ব্যয় মেটাতে চিড়েচ্যাপ্টা মধ্যবিত্ত। এই অক্টোবরের ১৪ তারিখ ইত্তেফাক শিরোনাম করেছে আগে নিম্নবিত্তরা কিনে খেতে পারতো না, এখন মধ্যবিত্তরা পারছে না। বেকায়দায় মধ্যবিত্ত এমন শিরোনাম করেছে নয়া শতাব্দী। গেল বছরের সেপ্টেম্বরের ২ তারিখ সময়ের আলো খবরের শিরোনাম করেছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের টিকে থাকতে গ্রামে যাত্রা। অথচ সরকার বলে থাকে আগে নুনভাত খেতে চেয়ে তুষ্ট থাকতো মানুষ আর এখন মাংস খাওয়ার বাসনা করে! এতে প্রমাণ হয় মানুষের আয় সক্ষমতা বেড়েছে।

অত্যধিক ব্যয়ে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর ঢাকায় থাকার স্বপ্ন ফিকে হয়ে আসছে। কর্মহীন, চাকরিতে বেতন না পাওয়া এবং বাড়ি ভাড়া পরিশোধের বিড়ম্বনাসহ নানা সমস্যার সঙ্গে লড়াই করে টিকতে না পেরে অনেকেই গ্রামে চলে যাচ্ছে। শহরের মায়া বিষাদে পরিণত হয়েছে। স্ত্রী-সন্তানের মুখে তিন বেলা ভাত তুলে দিতেই কষ্ট হয় অনেকের। গ্রামে থাকা বাবা-মার হক আদায়ে ও দায়িত্ববোধ থেকে টাকা পাঠাতে হয়। অনেকে নিজের পকেট খরচ বাদ দিয়ে টাকা দিচ্ছে বাবা-মাকে। এমন সংবাদ পড়লে উপলব্ধি করলে খারাপ লাগে। আমার মতো সাধারণ মানুষের খারাপ লাগলেও এলিট শ্রেণিদের কিছু না। তারা সুপার সপে মাস্টার কার্ডের ঘষায় টাকা পেমেন্ট করেন। আমার যদিও বাড়িতে টাকা পাঠাতে হয় না,বাবা নিজেই বিত্তশালী কিন্তু কামালের বাবা? হিমেলের বাবা কিংবা জামিলের বাবা? তারা অপেক্ষা করে।

বিআইডিএসের গেল বছরের জরিপে বলা হয়েছে, করোনায় এক কোটি ৬৪ লাখ মানুষ নতুন করে গরিব হয়েছে, দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছে। তাই এখন দেশে গরিব মানুষের সংখ্যা পাঁচ কোটির বেশি। সামনের দিনে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এই সঙ্কটের দায় কার? পৃথিবীর বাণিজ্য নীতি না অন্যকিছু? সরকার কেন বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না? বাণিজ্যমন্ত্রী কেন এনিয়ে স্পষ্ট কথা বলতে পারছেন না। তিনি বলেছেন ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙ্গা সম্ভব না!
মুজিব একটি জাতির রূপকার! ছবি নিয়ে রিভিও দিচ্ছি না। সোজা কথা বঙ্গবন্ধুর জীবন কাহিনী নিয়ে বানানো হয়েছে। সোজা কথা রাষ্ট্রের অর্থ দিয়ে বানানো হয়েছে চলচ্চিত্রটি। কিছু অসঙ্গতি আছে যুক্ত করা হয়েছে অতিরিক্ত গল্প! এমন নিউজ দেখলাম ইত্তেফাক মজো’তে তথা ডিজিটালে। নির্মাতা মীর সামসুল আলম সাক্ষতে একগাদা অসঙ্গতি তুলে এনেছেন। সেখানে অসঙ্গতি উঠে এসেছে। তিনি তুলে এনেছেন বাদ পড়া ও অতিরঞ্জিত বিষয়গুলো। পাঠকরা ফেসবুক ইত্তেফাকের ওয়ালে ঘুরে আসলে দেখতে পারবেন।

ফেসবুকে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া দেখলাম। কান্নার রুল বেশি। জীবনের গল্প দিয়ে সাজানো হয়েছে ছবিটি। কৈশোর,যৌবন, প্রাপ্তবয়স্ক সময়কালের গল্প ছিল এখানে। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন, রাজনীতি, জেলে বন্দি, পাকিস্তান থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফেরা, স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান ইত্যাদি বিষয় ঠাই করে নিয়েছে। একটি স্বাধীন দেশ, পতাকা ও মানচিত্র পাবার নেপথ্যে তার অবদান অনেক। দেশের রাজনীতিবিদরা বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ছবিটি দেখেছেন ঘটা করে। তারাও কেঁদেছেন দেখলাম। দক্ষিণ সিটির মেয়র তাপস চলচ্চিত্রটি দেখেছেন। টিভির পর্দায় তার প্রতিক্রিয়া দেখলাম। সংসদ সদস্যরা, সরকারি আমলারা ছবি দেখেছেন। তারা কেঁদেছেন। শেষ দৃশ্য দেখে চোখের নোনা জলে রুমাল ভিজিয়েছেন। ফেসবুকে শেষ দৃশ্য আমিও দেখেছি। বিপথগামী সেনাবাহিনীর কিছু কর্মকর্তা শেখ মুজিবের বুকে গুলি চালায়। সতেরটি বুলেট বিদ্ধ হয় বুক। শেষ হয় জাতির পথ নির্দেশকের অধ্যায়। এই কান্নায় যেন হারিয়ে না যায় খেটে খাওয়া নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের কান্না।



লেখাটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হওয়ার পর এখানে দেওয়া হয়েছে.।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪২
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×