এলাকার সবচেয়ে বড় মোরগটিকে প্রায়ই আশেপাশে দু চার জন গার্লফ্রেন্ড নিয়ে ঘুরাঘুরি করতে দেখা যায়। এইতো সেদিনও দেখলাম - এক বালির ডিবির উপর চারটি মুরগি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি।
মুরগিদের মধ্যেও এক ধরণের লয়ালিটি কাজ করে। সেদিন উঠতি বয়সী এক যুবক মোরগ তার চরিতার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে এক মুরগিকে ধাওয়া করছিলো। মুরগিটির গগনবিদারী চিৎকারে তখন আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠছিলো। বাংলা সিনেমার মতন সে যেন বলছিলো - বাঁচাও ! বাঁচাও !
ঠিক সেই মুহূর্তে বড় মোরগটি এসে যুবক মোরগটিকে তাড়িয়ে দিলো। সাথে সাথেই তাড়া খাওয়া মুরগিটি পাছা নিচু করে বসে পড়লো আর বড় মোরগটি তার জৈবিক কর্মটি সম্পাদন করলো। আঃ কি লয়ালিটি।
উপরোক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে মুরগিদের সমাজ ব্যবস্থা আমাকে বেশ ভাবিয়ে তুলেছে। আমি ভাবছি - যেখানে দলনেতা মোরগটি একসাথে ৪/৫ জন সঙ্গী নিয়ে অবলীলায় ঘুরে বেড়াচ্ছে - সেখানে একজন যুবক মোরগের কোনো যৌন স্বাধীনতা নেই !