
অতীত এবং বর্তমানে বিদ্যুৎ সমস্যায় আমরা বিভিন্নভাবে জর্জরিত। এই সমস্যা সমাধানে জনগনের সাথে সরকারের অংশগ্রহণমূলক সহযোগিতা হতে পারে একটি সঠিক পদক্ষেপ।
বর্তমান সময়ে যেসব গ্রামে বিদ্যুৎ অপ্রতুল, সেসব এলাকার অনেক কৃষক সোলার সিস্টেমের সাহায্যে উচ্চশক্তির সেচ পাম্প দিয়ে পানি উত্তোলন করে।
আবার রাজধানীসহ বিভিন্ন শহর অঞ্চলে অনেক কলকারখানাতেও সোলার ব্যবহার হচ্ছে। এছাড়া অনেক বাসা বাড়ীতেও সোলার সিস্টেম আছে।
এখন প্রশ্ন হলো, কৃষক, কলকারখানা বা বাসা বাড়ীতে থাকলে দেশ বা সাধারণ জনগনের কী ?
শুধু কলকারখানা ছাড়া উল্লেখিত ৩ শ্রেণীর সোলার কিছু সময় বা কিছু দিন চলে। যেমন কৃষকের ৩০ দিন পানি তুলতে হয় না। আবার বাসা বাড়িতে ব্যাটারী চার্জ হওয়ার পর সোলারের তেমন প্রয়োজন নাই।
যা করা যেতে পারে
১। সরকারি উৎসাহে দেশের সব কলকারখানায় সোলার সিস্টেম ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা। এক্ষেত্রে মেইন গ্রীড থেকে তার যত এনার্জি লাগতো তার চেয়ে কম লাগবে।
২। সরকারি ভর্তুকি সাপেক্ষে দেশের সব হাইরাইজ বিল্ডিংসহ সাধারণ জনগনকে সোলার ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা। ব্যবহারের পর অতিরিক্ত উৎপাদিত ডিসি বিদ্যুৎ মিটারের মাধ্যমে মেইন গ্রীডে যাবে। মাস শেষে বিদ্যুৎ গ্রহণ এবং মেইন গ্রীডে সরবরাহ করা বিদ্যুতের হিসাব যোগ-বিয়োগ করা হবে।
৩। জনগনের কাছ থেকে সরকার সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে বিদ্যুৎ গ্রহণের নীতিমালা তৈরী করতে হবে।
প্রতিটি সোলার প্যানেলের ওয়ারেন্টি থাকে ২৫ বছর। তারমানে শুধু প্রথমে সেটআপের সময় টাকা (সরকার+জনগন) খরচ করলে অনেকদিন পর্যন্ত ফ্রি বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটা সম্ভাবনা তৈরী হতে পারে।
ছবি
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



