somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অভাবিত নাফাখুম!

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নাফাখুমের ব্যাপারে প্রথম পড়ি টিঙ্কু ভাইয়ের “দেশের পথে”র ফেসবুক পাতায়, তারপর ইউটিউবে দেশের পথে’র ভিডিও দেখি। অনেকেই একে বাংলাদেশের নায়াগ্রা বলছিলেন। আগ্রহ তাই ক্রমশ আকাঙ্খার চূড়ায় উঠে যাচ্ছিলো দিন দিন। তাই এবারের ঈদের পর বেশ লম্বা ছুটির সুযোগ নিয়ে কয়েক বন্ধু মিলে বেরিয়ে পরলাম।

ঈদ পরবর্তী সময়ে টিকিটের অপ্রতুলতার জন্যে ঢাকা – বান্দরবান কোন টিকিট পাইনি আমরা। আট জনের দলের জন্যে ঢাকা – চট্টগ্রাম এবং তারপর চট্টগ্রাম – বান্দরবান বাস ধরতে হলো আমাদের। দিনটি ছিল ৩ সেপ্টেম্বর’ ২০১১। পরের দিন অর্থাৎ ৪ তারিখ দুপুর ১২টায় বান্দরবান পৌঁছে দুপুর আড়াইটায় থানচির টিকিট কাটলাম। এর আগের ভ্রমণগুলোতে থানচি রুটে আমাদের দলের কেউই যাইনি। তাই নীলগিরি পাশ কাটানোর সাথে সাথে পাহাড়সাড়ির সৌন্দর্য্যের প্রতি বিস্ময়বোধ আমাদের গ্রাস করলো! নীলগিরির চূড়া থেকে দক্ষিণের অতিদূরবর্তী যে দীর্ঘ পাহাড়সাড়ি দেখা যায়, সেটা পেড়িয়ে গিয়ে থানচি উপজেলার শুরু। পথে একস্থানে পাহাড় ধ্বসের জন্যে বাস বদল করতে হলো; এরপর আরো প্রায় ঘন্টা দেড়েক চলার পর থানচি। মোট সময় লাগে ৫ ঘন্টা।

বাস থেকে নেমে সিমেন্ট বাধাই করা সিড়ি বেয়ে ধূসর থানচির পাড়। জনপ্রতি নৌকা পাড়াপাড় ৫ টাকা। নৌকা থেকে নামার সাথে সাথে স্থানীয় এক ছেলে জুটে গেল; নিজেকে সানন্দে আমাদের গাইড হবার জন্যে উপস্থাপন করলো। সে রেমাক্রি, নাফাখুম, আন্ধারমানিক বা এমন এলাকাগুলোতে ঘুরাতে নিয়ে যাবার জন্যে নানান কথা বলছিলো বিরতিহীন। তবে আমরা তার কথায় পুরোপুরি মেতে না গিয়ে থানচি বাজার বিজিবি ক্যাম্পে গেলাম; নাফাখুম যাবার জন্যে বা প্রথম রাতটি থানচি বাজারে কাটাবার জন্যে করণীয় পরামর্শের জন্যে।



এক্ষেত্রে প্রথমত আপনাকে আপনার গন্তব্যের সময় এবং দুরত্বের কথা উল্লেখ করে গাইড এবং প্রয়োজনে মাঝি/বোট ঠিক করতে হবে এবং গাইড ও মাঝির নাম সমেত আপনার পুরো দলের প্রত্যেক সদস্যের নাম, ঠিকানা এবং মোবাইল নম্বর দুটি কাগজে নথি করে যথাক্রমে বিজিবি ক্যাম্পে এবং থানচি থানায় জমা দিতে হবে। বিজিবি ক্যাম্পের অনুমতি সাপেক্ষে আপনি পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারবেন। তবে বিশেষ কোন অঘটন ছাড়া সব সময়ই ভ্রমণের অনুমতি পাওয়া যায়। বোট এবং গাইড ঠিক করার সময় সতর্ক থাকতে হবে কারণ এরা এদের ইচ্ছে মতোন ভাড়া হেঁকে বসে! রুমা বাজারে গাইড ভাড়া স্থানীয় আর্মি ক্যাম্প দ্বারা নির্ধারীত করা থাকলেও এখানে এখনো তা হয়নি। ১১/০৯/২০১১ তারিখে স্থানীয় গাইডদের দল, বিজিবি, পুলিশ এবং স্থানীয় ইউনিয়ন কর্তৃপক্ষের একটি সভার মাধ্যমে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তে আসবার কথা।
আমরা একজন গাইড ঠিক করলাম যে আমাদের রেমাক্রি পর্যন্ত নিয়ে যাবে। থানচি পৌছাবার পর আমাদের মতনই এক দল পর্যটক পেয়ে গেলাম, তারা সেদিনই নাফাখুম থেকে ফিরেছেন। তাদের দলনেতার পরামর্শে তাঁর পরিচিত দুজন মাঝিকে ঠিক করলাম। ঠিক হলো পরদিন সকালে রেমাক্রি রওনা দেবো; ঐ দিনই সন্ধ্যার মধ্যে থানচি ফিরবো। গাইড আমাদের নিয়ে গেল মূল ঘাটের পাশেই অবস্থিত একটি বোর্ডিং হাউসে। ৫০০ টাকার বিনিময়ে দুটি ঘর ভাড়া নিলাম। রাতের খাবার এখানকারই একটি হোটেলে সারলাম। রাতে ঘুমাবার আগে ঘাটে বসে সাঙ্গুর পাড়ে, চন্দ্রালোকে আড্ডা দিলাম বেশ।
মূল থানচি বাজার বেশ বড়। উত্তর-দক্ষিণে এর ব্যাপ্তি বেশি। বাজারে দুটি খাবার হোটেল আছে। চারপাশের দোকানিরা তাদের দোকানের সামনের অংশে পসরা সাজায় আর পেছনের অংশে বাস করে। কয়েকটি দোকানে সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকলেও রাতের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটানো হয় জেনারেটরের মাধ্যমে। জেনারেটরের মাধ্যমে রাত ১০-১০.৩০ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এই সময়ের মধ্যেই মোবাইল এবং ক্যামেরার ব্যাটারী চার্জ করে নিতে হবে। এখানে শুধুমাত্র টেলিটক এবং রবি’র নেটওয়ার্ক কাজ করে। থানচির আশেপাশে কিছুদূর গিয়ে রবি এবং তারপর আরো দূরে টেলিটকের নেটওয়ার্ক গায়েব হয়ে যায়। তাই আগে থেকেই সাবধান!



পরিকল্পনা মাফিক পরদিন সকাল ৮টায় আমরা বোটে করে রওনা দিলাম নাফাখুমের উদ্দেশ্যে। আগের রাত থেকেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিলো, বোট ছাড়ার পরপর সেটা বেড়ে যাচ্ছিলো ক্রমশ দক্ষিণে এগোতে এগোতে। যতো এগিয়ে যাচ্ছিলাম ততোই সরু হচ্ছিলো সাঙ্গু নদী। দুপাশের পাহাড়গাত্র কাছাকাছি চলে আসছিলো। একটু একটু করে সমুদ্র সমতল থেকে উপরের দিকে উঠেছিলাম আমরা। সাঙ্গুর প্রতিটি বাঁকে স্রোতের তীব্রতা আর শিলা ডিঙিয়ে আসা জলের ফেনিল ধারায় আমাদের মুগ্ধতা বেড়ে যাচ্ছিলো প্রতিনিয়ত! প্রায় দেড় ঘন্টা উজানে চলার পর আমরা তিন্দু ঘাটে পৌছলাম। বেশ প্রশস্ত একটি বাঁকে তিন্দু বাজার অবস্থিত। পাড়ে নেমে সিড়ি ভেঙে ২০-২৫ ফিট উপরে উঠতে হলো। এখানে আমরা থামবো মিনিট বিশের জন্যে। এখানে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা ছিলো তবে আমাদের পরিকল্পনা এখানে সাময়িক বিশ্রামের পর আবারো রেমাক্রির পথে যাত্রা করা।



বিশ্রামের পর আবারও উজানের দিকে রওনা দিলাম। বোট ছাড়ার মিনিট পনের পর বিপদজনক তিনটি বাঁক পেড়িয়ে “বড় পাথর” পৌছলাম। প্রচণ্ড স্রোতের বিপরীতে বিশাল বিশাল পাথরের পাশ কেটে উজানে যাওয়া বেশ উত্তেজনাকর এবং ঝুঁকিপূর্ণ! আমাদের দক্ষ মাঝি সেটা করছিলো অবলীলায়! “বড় পাথর” হলো সাঙ্গু নদীর এমন একটি স্থান যেখানে বাম পাশের (থানচি-রেমাক্রি পথে) প্রায় ৭৫০-৮০০ ফিট উঁচু পাহার থেকে বিশাল বিশাল পাথর খণ্ড ধ্বসে পড়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। এর মধ্যে সাঙ্গুর ওপর পতিত সবচেয়ে বড় পাথরটিকে স্থানীয়রা “রাজা পাথর” বলে ডাকে।





“বড় পাথর” পেড়িয়ে আরো ঘন্টাখানেকের পর প্রশস্ত রেমাক্রিখুমের সম্মুখে পৌছে গেলাম। এর পরই রেমাক্রি বাজার। আমরা রেমাক্রি ঘাটে নামলাম। আরো দুটো বোট আমাদের অতিক্রম করে চলে গেল সাঙ্গু ধরে আরো ভেতরে; ঐ পথে আন্ধারমানিক যাওয়া যায়। রেমাক্রি ঘাটেই আমাদের থানচি গাইডের পরিচিত একজন স্থানীয় গাইড পেলাম যে আমাদেরকে নাফাখুম নিয়ে যাবে। সেই গাইডকে অনুসরণ করে তাঁর বাসায় গিয়ে উঠলাম। এখানে বিশ্রাম নেব আধা ঘন্টা। বিজিবি এবং স্থানীয় হেডম্যানের চুক্তি অনুযায়ী স্থানীয় গাইড নিতে হবে এখান থেকে অন্যত্র যেতে হলে। কথা বলে নতুন এই গাইডের পারিশ্রমিক ৫০০ টাকা ঠিক হলো। এখানকার বিজিবি ক্যাম্পে আমাদের সবার নাম, ঠিকানা আর মোবাইল নাম্বার জমা দিয়ে, গাইডের ঘরে সবার মালামাল রেখে রওনা দিলাম।
এখান থেকে নাফাখুম পর্যন্ত পুরো পথটুকু হেঁটে যেতে হবে। শুরুতেই দুটো পাহাড় টপকাতে হলো। তারপর আরো মিনিট পনের হাঁটার পর নাফাখুমের জলধারার যে ঝিরি অর্থাৎ রেমাক্রি খাল, সেটা পার হতে হলো। পানি ঠান্ডা আর স্রোতও বেশ। ওখানে পানির গভীরতা পেট বরাবর ছিলো; পায়ের কাছাকাছি দেখা যায় না বলে সাবধানে, ধীরে ধীরে পেরিয়ে গেলাম আমরা। স্রোত বেশি হলে লাঠি বা দড়ির সাহায্য নিয়ে একে অপরের সাথে মানব বন্ধন তৈরি করে পার হওয়া যেতে পারে। সেই উদ্দেশ্যে রেমাক্রি বাজার থেকে বেশ লম্বা দড়ি কিনে নিয়েছিলাম। এরপর আবার হন্টন। ডানে-বায়ে সুউচ্চ পাহাড় রেখে আমরা হেঁটে যাচ্ছিলাম নদী উপত্যকা দিয়ে। কিছুক্ষণ পরপর থেমে দাড়াচ্ছিলাম আমি; নিশ্চুপ হয়ে দেখছিলাম চারপাশের অপার সৌন্দর্য্য। চারপাশে দারুন একটা নির্জনতা, শুধু মৃদু বাতাস আর খালের কুলকুল শব্দ।



আমাদের পথ একটু একটু করে কমে আসছিলো আর তার সাথে সাথে পথের প্রকৃতিও পালটে যাচ্ছিলো। কোথাও হাঁটছিলাম পাহাড়ের একদম শরীর ঘেঁষে যেখানে পা ফেলার জন্যে সামান্য ফাঁকা জায়গা আর অন্যপাশে খাঁদ নেমে গেছে ১৫-২০ ফিট নিচে বড় পাথর পড়ে থাকা খালে। কোথাও হাঁটছিলাম পিচ্ছিল পাথরের ওপর দিয়ে। আবার কখনো এগুতে হচ্ছিলো নদীর পাড় ঘেষে নুড়ি পাথর, বালু জমে থাকা পথ ধরে। এই ঝিড়িটা মোট তিন কিস্তিতে এপার-ওপার করতে হয়। তৃতীয় বারে পানি হলো বুক সমান আর তার সাথে প্রচন্ড স্রোত। পায়ের নিয়ে পিচ্ছিল উঁচু নিচু পাথর আরো কঠিন করে দেয় ব্যাপারটাকে।
দুইবার বিশ্রাম নিয়ে প্রায় আড়াই ঘন্টা হেঁটে নাফাখুমের কাছে পৌছলাম আমরা। সিকি মাইল দূর থেকেই নাফাখুমের জল পতনের শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম। অতি উত্তেজনাতেও সাবধানে হাটতে হচ্ছিলো কারণ এখানে পাথর বেশ পিচ্ছিল। যখন নাফাখুমের ৩০ ফিটের মধ্যে পৌছলাম তখন সবাই ক্লান্তি ভুলে হতবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলাম এই সৌন্দর্য্যের দিকে! আমরা বেশ পশ একটা সময়ে এখানে পৌছেছি; নাফাখুমের পানি শীতের জলস্বল্পতার দরুন কমে যায়নি আবার বৃষ্টিস্নাত হয়ে টইটুম্বুর হয়নি। বাম পাশ দিয়ে আরো কিছু দূর গিয়ে নাফাখুমের পেছনে পৌছে যাওয়া যায়। সেখান থেকে এর সৌন্দর্য্য একদম ভিন্ন রূপে পাওয়া যায়। বছর দেড়েক আগে আলোচনায় আসা এই ঝর্ণার কাছে খুব কম পরিমাণ পর্যটক এসেছে এর মধ্যে। ঘন্টা খানেক ছিলাম সেখানে, আসাধারণ একটা অভিজ্ঞতা নিয়ে আবার ফিরতি পথে রওনা দিলাম। এমন একটা বৃহৎ প্রাপ্তির পর অল্প চেনা পথটাও সহজ আর নখদর্পণে বলে মনে হচ্ছিলো!








থানচি বা নাফাখুমের পথে সম্ভাব্য খরচ এবং ব্যবস্থা এমন-

• ঢাকা – বান্দরবান
বাস; ৩০০-৪০০ টাকা; ৭-৯ ঘন্টা

• বান্দরবান – থানচি
বাস; ১৬৫ টাকা; ৫-৬ ঘন্টা
জীপ; ৪০০০-৫০০০ টাকা; ৪-৫ ঘন্টা

• সাঙ্গু নদী পারাপার; জনপ্রতি ৫ টাকা

• ঘর ভাড়া
প্রতি রুম; ২০০-৪০০ টাকা
প্রতি বেডিং; ৫০-৭০ টাকা প্রতি রাত

• খাবার
গড়পরতায় নাস্তা ৫০-৮০ টাকা; দুপুর এবং রাতের খাবার ৭০-১২০ টাকা। হোটেলে আগেই কথা বলে রাখা ভালো। এতে প্রাপ্তির উপর নির্ভর করে ইচ্ছে মতোন মাছ, মাংস, সবজি বা ডিমের ব্যাপারটি নিশ্চিত করা যায়।

• বোট
গন্তব্যের দূরত্বের উপর নির্ভর করে ৩০০০-৭০০০ টাকা ভাড়া; এক্ষেত্রে ভ্রমণ পরিকল্পনায় যদি তিন্দু বা রেমাক্রিতে রাত কাটাতে হয় তবে মাঝি/বোট আপনাদের সাথে থাকবে। সেটা বিবেচনায় রেখেই বোট ভাড়া করতে হয়। শীট মৌসুমে ঠ্যালা নৌকার জন্যে প্রতি দিনের জন্যে ভাড়া ১০০০ টাকা।

• তিন্দুতে থাকার ব্যবস্থা
এখানে মারমাদের বাস। এই আদিবাসীদের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা আছে। তবে যেই বাড়িতে আপনি থাকবেন, সেখানেই আপনাকে খাবার খেতে হবে। খাওয়ার খরচ তিন বেলায় ২০০ টাকা। এক্ষেত্রে থাকার জন্যে কোন খরচ দিতে হবে না। মোবাইল নেটওয়ার্ক আছে শুধুমাত্র টেলিটকের। মোবাইল চার্জ দেবার ব্যবস্থা আছে।

• রেমাক্রি
রেমাক্রি চেয়ারম্যানের নাম আফ্রো মং; তাঁর একটা রেস্ট হাউজ আছে এখানে, একটা পাহাড়ের মাথায়। এক রুমের ভাড়া ৫০০ টাকা, ১০-১২ জন থাকা যায়। রেমাক্রি বাজারে খাবার খরচ জনপ্রতি ৬০-৭০ টাকা। আগে থেকে কথা বলে দাম ঠিক করে নেয়া ভালো। গাইডের ভাড়া ৩০০-৫০০ টাকা।

শীতের সময় থানচি থেকে বোট ছাড়াও হেঁটে রেমাক্রি, নাফাখুম যাওয়া যায়। তখন থানচি থেকে তিন্দু পৌঁছতে ৬ ঘন্টা এবং তিন্দু থেকে রেমাক্রি পৌঁছতে আরো ৫ ঘন্টা সময় লাগে। “বড় পাথর” স্থানটি ভালো করে ঘুরে দেখা যায় কারণ তখন স্রোত খুব একটা থাকে না। রেমাক্রি থেকে নাফাখুম যেতে দুটো রুট আছে। একটা রেমাক্রি বাজারের আগে রেমাক্রিখুমের মুখ থেকে আর অন্যটা রেমাক্রি বাজার থেকে দুটো পাহাড় ডিঙিয়ে তারপর রেমাক্রি খালের পাড় ধরে। প্রথম ক্ষেত্রে রেমাক্রি খাল পেরোতে হবে চার বার দ্বিতীয় ক্ষেত্রে তিন বার। সময়ের পার্থক্যে ৩০-৪০ মিনিট বেশি লাগবে প্রথম রুটে।

এখানকার বেশ কিছু ভ্রমণ তথ্য একত্রিত করেছে বন্ধু ইজেল; ওকে অনেক অনেক ধন্যবাদ!
১২টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×