somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নাস্তিকদের ৩০০ টাকার বিজয় কিবোর্ড দিয়ে কি ইসলামের কিছু করা সম্ভব???

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তরুণ প্রজন্ম - নিজেদের অনেক স্বাধীন ভেবেছিলো। তারা ভেবেছিলো- এদেশ মুক্তচিন্তার জন্য উন্মুক্ত । এদেশে, জাফর ইকবাল স্যারদের মতো মানুষেরা এখনো বেচে আছে।আমরা চির উন্নত মম শির- এই কথাটিও হয়তো বিশ্বাস করেছিলো। তারা, অসঙ্কোচ প্রকাশের দুরন্ত সাহস দেখিয়েছিল।কিন্তু্‌ সরকারের মৌলবাদ তোষণ নীতি-- তাদেরকে আশাহত করেছে।তাদের কিবোর্ড আজকে খটাখট শব্দ করছে না।তারা শুধু দেখেই যাচ্ছে- বিপক্ষ শক্তির আস্ফালন।ব্লগেও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না।আজকে তারা স্বভাব বহির্ভূত আস্তিকতা প্রদর্শনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। হেফাজতের ইসলামের ভাইয়েরা জেনে রাখেন" আমরা আস্তিক না নাস্তিক- সেই পরীক্ষা আমরা আপনাদের কাছে দেবো না-->সৃষ্টিকর্তার কাছে দেবো।"

বছরটা ২০১৩।আমাদের মধ্যে একটা কথা প্রচলিত আছে - ১৩ হচ্ছে অশুভ ।বিদেশে এমন অনেক জায়গা আছে, যেখানে ১৩ নং কোন বাড়ি নেই।আপনি হাটতে হাটতে দেখবেন, প্রথমে ১২নং বাড়ি , তারপর ১৪ নং বাড়ি।এটা ঘটার পিছনে আছে এক আশ্চর্য কাহিনী - কাহিনীটা সঠিক মনে নেই। তবে যতদূর মনে আছে,তা থেকে বলা যায়, পৃথিবী চালাচ্ছিলেন ১২ দেবতা।এরই মধ্যে আরেকজন ১৩ নং দেবতা আসায় পৃথিবীতে নেমে আসল ভয়ঙ্কর বিশৃঙ্খলা।সেই থেকে ১৩ সংখ্যা অশুভ । আসলে, কেন ১৩ অশুভ এই প্রশ্নের হাজারো উত্তর আছে।
যাই হোক, বুঝাতে চাইলাম , ১৩ সংখ্যাটিকে পৃথিবীর অনেক দেশেই অশুভ মনে করা হয়।বর্তমান, আধুনিক পন্থি মানুষেরা এটাতে বিন্দুমাত্রও বিশ্বাস করে না। সেই হিসেবে, আমরা আমব্লগারগনও এইটাতে বিশ্বাস করি না। কিন্তু পরিস্থিতি এমনটাই দাঁড়িয়েছে যে-- এখন থেকে এই কুসংস্কার বিশ্বাস না করে উপায় নেই।স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশ যতগুলো ভয়ঙ্কর দুর্যোগ মোকাবেলা করেছে- - - তার মধ্যে বর্তমান দুর্যোগও উল্লেখযোগ্য। সেই হিসেবে ২০১৩ আমাদের জন্য ভয়ানক অশুভ।এখন দেখছি সেই কুসংস্কার না মেনে আর কোন উপায় নাই।/:)
লুণ্ঠিত বাকস্বাধীনতাঃ
আজ বাকস্বাধীনতার উপরে নির্মম হস্তক্ষেপের দৃষ্টান্ত নজিরবিহীন।১১টি ব্লগ ব্ল্যাক আউটে আছে। সামুতে যে লেখালেখি করছি - - এরও নিশ্চয়তা নেই।হয়তো , লেখা শেষ করার আগেই হয়তো দেখব সামু ব্ল্যাক আউটে চলে যাবে।স্বাধীনদেশে বাক স্বাধীনতার প্রতি এমন নগ্ন হস্তক্ষেপ এই প্রজন্ম আর দেখে নাই।তাই,এখনো আমাদের এইসব পোষ্টার দেখতে হয়।


বুকে জমা ---- দীর্ঘশ্বাস
কারাগারের গরাদে মাথা কুটে মরা আমার বাক স্বাধীনতা ।
শোষকের ভয়ে বিনীত- কাপুরুষের মতো --
জীবন যুদ্ধে পরাজিত আমরা।


৩০০ টাকার কিবোর্ড এবং অনান্যঃ

হেফাজতে ইসলামের ভাইদের বলছি-- আপনারা বলছেন, ইসলাম আজ বিপন্ন।হায়, এই কথাও আমাদের শুনতে হয়।ইসলাম কে বিলুপ্ত করার জন্য পৃথিবীতে শত শত কোটি টাকার বাজেট আছে। একশ্রেণীর মানুষ অবিরাম চেষ্টা করে যাচ্ছে - কিভাবে ইসলামকে বিলুপ্ত করা যায়। আপনি শুধু গুগলে অ্যান্টি ইসলাম লেখে সার্চ দেন। তাহলে, হাজার হাজার অ্যান্টি ইসলাম আর্টিকেল, ভিডিও, গান সবই পাবেন। ইসলামকে কলুষিত করার অবিরাম চেষ্টাও এরা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ইসলামের কিছুই হয়নি। ইসলাম অবিনশ্বর ধর্ম।পৃথিবীতে এমন কোন শক্তি নেই-- যা ইসলাম কে বিলুপ্ত করতে পারে। যদি, ইসলাম বিপন্ন হবার ধর্ম হত তাহলে-- আজকে ইসলাম নব্য নাস্তিকদের জন্য পড়ে থাকত না। অনেক আগেই, বিলুপ্ত হয়ে যেতো। পৃথিবীর অনেক পরাশক্তি যখন পারে নি-- তখন নব্য নাস্তিকরা কি করতে পারবে?
নাস্তিকদের ৩০০ টাকা বিজয় কিবোর্ড দিয়ে কি ইসলামের কিছু করা সম্ভব??? তাদের সাত বছরের ব্লগিং এর মূল্য যে কত কম - - - -তা সাতদিনের আন্দোলনের মাথায় গ্রেপ্তার হওয়া থেকেই বোঝা যায়। সরকার, তাদেরকে স্পেশাল শেলটার দিতেও সময় নেয় না্ - আবার ,জেলে নিতেও সময় নেয় না। সরকার আজ ব্লগকে কি পরিমাণে হেয় করেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাদের সাত দিনের আন্দোলনকে মূল্য দিতে যেয়ে ,তিল তিল করে সাত বছরের গড়ে তলা ব্লগকে একদম আস্তাকুড়ে ফেলে দেয়ার চেষ্টা চালালো।

৩০০ টাকার কিবোর্ড থেকে যে আউটপুট আসে-- সেটা অত্যন্ত সামান্য । সেটা দিয়ে কিছু করা সম্ভব না। আর, হেফাজতে ইসলাম সেটাকেই হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।এটা হয়তো তাদের একটা ইস্যু।তাই, ভাইদের বলছি, আপনারা নিজেদের বিচার বুদ্ধি দিয়ে বিষয়টাকে ভেবে দেখুন।কিছু, ফটকা ব্লগার গ্রেপ্তারের দাবিতে এতো বড় আন্দোলন হতে পারে না। এর পিছনে হয়তো কোন ......
আর, ইসলাম বিপন্ন। এই কথা বলা কতটুকু উচিত সে বিষয়ে আমাদের যথেষ্ট সন্দেহ আছে।

এই ছবি কি বিদেশি শক্তির দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য না?

তারা কি চায়??শুধু মাত্র ইসলাম রক্ষা,
তাহলে কেন শাহরিয়ার কবিররা কেন আক্রান্ত হয়?
“তোরা প্রজন্ম চত্বরের দালাল, আজ তোকে মেরে ফেলা হবে -- কেন এই কথা শুনতে হয়।”
কেন চট্টগ্রামের গণজাগরণ মঞ্চ ভাঙ্গা হয়?
কেন শাহবাগ ভাঙতে যাওয়া হয়?
কেন পতাকা ছিড়া হয়?
কেন শহিদ মিনার ভাঙ্গা হয় ?
বাংলাদেশের অস্তিত্ব নিয়ে কেন প্রশ্ন উঠে?
কেন দেশ বিরোধী স্লোগান শোনা যায়?

আজকের পরিস্থিতির জন্য_________________

আওয়ামীলীগ কে বলছিঃ
আপনারা অহেতুক বাড়াবাড়ি করেছেন।ফেসবুকে ইসলামি পোস্ট বা ছবি দিলে ছাগু ট্যাগ মারেন যারে তারে, । ছাগু ট্যাগ মারা আপনাদের চিরন্তন অভ্যাস। যুদ্ধাপরাধী বিচারের নামে যাচ্ছেতাই করেছেন। কেনো , আমাদের শাহবাগ সৃষ্টি করতে হল।আপনারা কি কাদের মোল্লার ডিরেক্ট ফাঁসি দিতে পারেন নি। নাকি, এর থেকে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চেয়েছিলেন।
বি এন পি কে বলছিঃ
ক্ষমতায় যাওয়াটাই শেষ কথা না।মীর জাফর, বিদেশি সহায়তায় ক্ষমতায় এসেছিলো। কিন্তু , থাকতে পারে নি। আপনারা জামাতের সহায়তায় ক্ষমতায় আসলে, একদিন জামাতই আপনাদের ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিবে। হিসেবে আপনাদের ভুল আছে।
জামাত কে বলছিঃ
আগাছা সময়মত ফেলে না দেওয়ায় সেটা এখন বটবৃক্ষের আকার ধারণ করেছে। জেনে রাখবেন বাড়াবাড়ি করা উচিত না। মনে রাখবেন__নিশ্চয়, আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না।
হেফাজতকে বলছিঃ
আপনারা ভুল পথে হাঁটছেন।

শেষ কথাঃআমি কোন রাজনৈতিক দল বা কোন মতামতের অনুসারী নই।আমার বিশ্বাস, এখনো দেশে এমন কোন মতবাদ নেই যার উপর সম্পূর্ণ না হোক কিছুমাত্র আস্থা রাখা যেতে পারে।



আফসোস।কেন এমনটা হল?।এর দায় দায়িত্ব কে নিবে। জানি কেউই নিবে না।একে অন্যের দোষারোপ করতেই থাকবে। আমরা আম জনতা প্রান ফুট ললিপপ খাবো। দেশ এভাবেই চলতে থাকবে।পরবর্তীতে অন্য সরকার আসলে তারা বলবে বিগত সরকার সব ধ্বংস করে দিয়েছে ।দেশ পুনুরুদ্ধার করতে হলে, অন্তত তাদেরকে কয়েক মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে হবে।

রবীন্দ্রনাথরা যুগে যুগে আবার আসবে-- আর দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলবে- হে বিধাতা ,তুমি বাঙ্গালিকে আর মানুষ করিলে না!!
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯
৪টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×