
গোপালগঞ্জের বীর শহিদের রক্ত বৃথা যাবে না। গোপালগঞ্জের প্রতিটি শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। তাদের প্রতি অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। শহীদ পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
গোপালগঞ্জ জেলার সকল মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বঙ্গবন্ধুর জন্মভূমির মানুষ প্রমাণ করেছে বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। আপনাদের এই সাহসিকতা বাংলাদেশের ৫৬ হাজার বর্গ মাইল এলাকায় সন্চারিত হবে। আগ্নেয়গিরির মতো জেগে উঠবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম। এই আগুন থেকে বাঁচার কোনো সুযোগ নেই জঙ্গি , রাজাকারের বাচ্চা তথাকথিত জুলাই সন্ত্রাসীদের।সমগ্র জাতির সাথে প্রতারণা করেছে এই টোকাই গ্যাং । সোশাল মিডিয়ায় মিথ্যা প্রচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার শাস্তি তাদের পেতেই হবে।
এরা সত্যিকার অর্থেই রাজাকারের বাচ্চা। দিবালোকের মতো সত্য কথা বলেছিলো শেখ হাসিনা। ওদের দাদা রাজাকার,বাবা রাজাকার,চাচা রাজাকার। অনেক কিছু করে তারা তাদের এই কলঙ্কিত ইতিহাস মুছে দিতে চেষ্টা করেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সকল সুফল ভোগ করেছে এই নর পিশাচ বরাহ শাবকের বাচ্চারা। রাজাকারের তকমা মুছতে পারেনি নিজেদের অস্তিত্ব থেকে। তাই তারা রাজাকার শব্দটি মহিমান্বিত করতে চেয়েছে। নির্লজ্জের মতো শ্লোগান দিয়েছে তুমি কে ,আমি কে রাজাকার,রাজাকার। কারণ তাদের দাদা রাজাকার, বাবা রাজাকার চৌদ্দগুষ্টি রাজাকার।
বাংলাদেশের প্রতিটি দেশ প্রেমিক নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব ।এদেরকে পরাজিত করে ৭১ এর চেতনায় দেশ ফিরিয়ে আনার শপথ গ্রহণ করা। একই ভুল বারবার না করা। ৭১ আমাদের জন্মের ইতিহাস। সেই ইতিহাস ধ্বংস করে বাংলাদেশ কোন দিন এগিয়ে যাবে না। ৯০ আসবে,৯৬ আসবে , ২০০৮ আসবে অসংখ্য বার , বারবার। ২০২৪ হলো রাজাকারের চেতনার ঘৃণ্য ইতিহাস। আর যেনো ফিরে না আসতে পারে সেই লক্ষ্যে দরকার ইস্পাত কঠিন ঐক্য। ঠিক একাত্তরের মতো।
এই পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফিরিয়ে আনতে যারা শহীদ হয়েছে প্রত্যেকের প্রতি শ্রদ্ধা ও সালাম জানাচ্ছি। প্রতিটি শহীদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে হবে। তাদের পরিবারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে আমাদের সমবেদনা জানাই।আমরা আমাদের সামর্থ্য নিয়ে আপনাদের পাশে আছি ইংশাআল্লাহ।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু॥
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:৪৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



