ইলিয়াস কাঞ্চন, দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী এক ব্যক্তি। স্ত্রীর মৃত্যুর পর দীর্ঘ দিন ধরে নিরাপদ সড়কের জন্য মানুষকে সচেতন করছেন। তিনি তাঁর স্ত্রী জাহানারা কাঞ্চনের মৃত্যু দিবস ২২ অক্টোবরকে ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’ হিসেবে ঘোষণার দাবি করে আসছেন।
১৯ বছর হল তিনি সভা সমাবেশ করছেন। এতে তেমন কোন লাভ হয়েছে বলে মনে হয় না, আজকের সড়ক দুর্ঘটনার মহামারী তার প্রমান। কোন ফল না আসার কারন হল- সভা-সমাবেশ করা ছাড়া তার কাছে আর অস্ত্র ছিল না। এসব রোধ করার ক্ষমতা যে রাস্ট্রযন্তের কাছে ছিল সেই সরকার আর আমলাতন্ত্র কোন ভুমিকা নেয়নি।তারা ছিল ব্যবসা নিয়ে। খোজ নিলে দেখবেন সব পরিবহন ও যোগাগোগ মন্ত্রীর এ সংশ্লিস্ট ব্যবসা আছে। তাই ট্রেনের মত পরিবহনের কোন উন্নয়ন হয়নি । এর মধ্যে সমাজের কিছু আলোচিত মানুষ যেমন তারেক মাসুদ, ক্রিকেটার মান্জারুল রানা ও স্বর্নজয়ী শুটার জীবন দিয়েছেন। ফলে সড়ক দুর্ঘটনার বিষয় টা আলোচনায় এসেছে বেশ জোরেশোরে।
আমাদের আমলারা দুর্ঘটনা রোধে কি করছে জানি না, তবে "নিরাপদ সড়ক দিবস" কবে হবে তা নিয়ে বেশ কর্মব্যস্তদিন কাটাচ্ছেন! এমন কি যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের ওয়েবসাইটে জনগনের মতামত নিচ্ছে।
দিবস হিসাবে আলোচনায় আছে-১১ জুলাই, চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ২০১১ সালের ওই দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০ ছাত্র নিহত হয়। ১১ জুলাই ছাড়া বাকি তিনটি বিবেচ্য দিন হলো: ২২ অক্টোবর, ৩১ জুলাই (সচিব রাজিয়া বেগমসহ দুজন সরকারি কর্মকর্তা ২০১০ সালের ওই দিন নিহত হন) এবং ১৩ আগস্ট (চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মুনীর ২০১১ সালের এদিন নিহত হন)। দেখছেন, তারা কতটা গনতান্ত্রিক!
একজন মানুষ ১৯ বছর আগে যা অনুভব করল, মানুষকে জানাল, জীবনের অনেকগুলো কর্মঘন্টা নস্ট (!) করল তার কোন মুল্যায়ন না করে বলদ আমলাতন্ত্র আমাদের গনতন্ত্র শেখায়! :
চলুন দলে দলে ভোট দিয়ে আসি........
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৪৯