somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফার্মের মুরগি গুলো সব বনমোরগ হয়ে গেছ!!!

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত ৫ই ফেব্রুয়ারী রাজাকার কাদের মোল্লার আদালতের রায়ের পর সারাদেশের মানুষ অসন্তুস্ট ও ক্ষুদ্ধ হয়ে পড়ে। কিন্তু কি করবে তারা, তাদের তো হাত-পা বাঁধা। ৭১ এ যুদ্ধ করে যে মানচিত্র এনে দিয়েছে, সে দেশে আদালতের রায়ের পর এক রাজাকার ভিক্টরি সাইন দেখায়, এ দুঃখ কই রাখে তারা।
তাদের ভাবনায় আজকের তরুণরাতো শুধু ফেইসবুক ও অনলাইন নিয়ে পড়ে থাকে। এদের দিয়ে কিছুই হবে না, এদের কাছ থেকে কিছুই আশা করা যায় না, আশা করা বোকামি। এই একটি মতবাদ, যা গত ২০ বছরে প্রবাদ হয়ে গেছে। আজকের তরুণ-যুবা সবাই ফার্মের মুরগি। না তাকায় ডানে, না তাকায় বামে। শুধু নিজেরটাই বুজে, আর প্রযুক্তি তাদেরকে আরও ঘরকুনো বানিয়েছে। কাজের সময় কাজ, আর নয়ত ফেইসবুক ও অনলাইন, মুভি দেখা এবং খুব বেশী হলে বন্ধুবান্ধব এই হচ্ছে এদের জগত।
কিন্তু মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে বদলে গেল সব। এই ফার্মের মুরগি তরুন-তরুণী গুলো (ব্লগার ও অনলাইন) ব্যবহারকারীরা কি করে ফেলল।বদলে গেল সময়, দিন আর রাত সমান হয়ে গেছে, বদলে গেছে দেশ, বাংলাদেশ একাকার হয়ে গেছে শাহাবাগের। মানুষ ফিরে পেয়েছে সাহস, গর্জে উঠল সারা দেশের মানুষ তাদের এই নতুন প্রজন্মের সন্তানদের সাথে। যে মা তার সন্তান বাসায় ফিরতে একটু দেরি হলে অস্তির হয়ে পড়তেন, তিনি আজ তার সন্তানের বাসায় ফিরতে দেরি হলে প্রশ্ন করেন, তুই কি শাহাবাগে, আমাকে নিয়ে যা। কিনবা সন্তান যাচ্ছে শাহাবাগে, মা বলছে আমাকেও নিয়ে যা। কি অদ্ভুত ভাবে বদলে গেল সব।
যারা নাকি দেশ নিয়ে ভাবে না, দেশ নিয়ে ভাবনার সময় নাকি যাদের নেই, যারা সময়ের বেগে সময়ের সাথে দৌড়ায় তাদের সময় কই দেশ নিয়ে ভাবনার। তারাই কি এক কাণ্ড করে ফেলল। অবাক পৃথিবী আবাক হয়ে তাকিয়ে রয়। হঠাৎ করে বদলাতে শুরু আমাদের চারিপাশ, বদলে যায় বাংলাদেশ, বদলে যায় সারাবিশ্ব যেখানেই বাংলা ভাষা, বাঙালী সংস্কৃতি এবং বাংলাদেশী আছে। সব কিছু এসে মিশে যায় শাহাবাগের সাথে।
সবার একটাই দাবি রাজাকার কাদের মোল্লার ফাঁসি। সাথে শুরু হয় সকল রাজাকারের বিচার ও ফাঁসির দাবি। দেশে এবং বিদেশে বাংলাদেশী ৩৩ লক্ষ থেকে ৩৫ লক্ষ ব্লগার ও অনলাইন ব্যবহারকারী আছে। এই ৩৩/৩৫ লক্ষ আনলাইন ব্যবহারকারীদের কয়েকজন ব্লগার প্রতিবাদ করার জন্য শাহাবাগ যায়, মুহুর্তেই ছড়িয়ে পড়ে খবর ফেইসবুক ও বিভিন্ন ব্লগে। তারা শাহাবাগে যেতে যেতে চলে আসে অন্য ব্লগার ও অনলাইন ব্যবহারকারীরা যারা মা, মাটি ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোন আপস করতে রাজি নয়, যারা একটিভ বিভিন্ন ব্লগে ও অনলাইনে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক অসঙ্গতি নিয়ে। এ আন্দলনের কাহিনী, চিএনাট্য, পরিচালনা, মিউজিক, আবহসঙ্গীত থেকে সব কিছু করেছেন “ব্লগার ও আনলাইন এক্টিভিষ্ট নেটওয়াক”, যারা কেউ নিজের লাভের জন্য রাস্তায় নামেনি, যে দেশ সকল মানুষ (গুটিকতকবাদে) এ গণজাগরণের আন্দলনে অংশ নিচ্ছে, এমনকি যারা বিদেশে আছে তারা। এ এক অদ্ভুত দেশ প্রেম, যা গত কয়েক দশকে সবাই ভাবছিল এরা দেশ নিয়ে ভাবে নাহ, তাদের সকল হিসাব নিকাশ পাল্টে দিয়েছে। এক দফা, এক দাবি, রাজাকারের ফাঁসি চাই, এই আন্দোলন চলছে, চলবে।
রাজনীতির হিসাব, সামাজিক হিসাব, রাষ্ট্রের হিসাব, ইতিহাসের হিসাব, বর্তমানের হিসাব, ভবিষ্যতের হিসাব, পাওয়া-না পাওয়ার হিসাব এগুলা না হয় আরও কিছু দিন পড়ে করি বা এগুলো করার জন্য সময় আছে। আপাতত মোদ্দা কথা ফার্মের মুরগি আজ সব বনমোরগ হয়ে । যারা দেশ নিয়ে ভাবে নাহ, তারা আজ দেশের জন্য জেগেছে। তারা অতীতের গ্লানি মুছে দিবে, জয়ী হয়ে ফিরবে ঘরে। এখনকার হিসাব এতটুকু শাহাবাগের প্রজন্ম চত্তর মুছে দিবে অতীতের গ্লানি, তৈরি করবে ভবিষ্যতের স্বপ্ন সোপান...
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?

যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

ছবি এআই জেনারেটেড

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই

আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×