somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

'আইনী বাহিনীর আত্মরক্ষার গুলিতে সন্ত্রাসী মরাই স্বাভাবিক'

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

'আইনী বাহিনীর আত্মরক্ষার গুলিতে সন্ত্রাসী মরাই স্বাভাবিক'

Gazi Nur Mohammad Hossain,
Ex-Student,
B.Sc in Textile Engineering and Technology,
City university,Dhaka.

Assistant Shift Incharge,
(Dyeing Production)
Unilon Textiles Limited,
Vogirathpur,Madhobdi,Norshingdi,


ঢাকা, জানুয়ারি ২৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)-

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে যে যাই বলুক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কাজ করে যাবে। আত্মরক্ষায় তাদের ছোড়া গুলিতে সন্ত্রাসীরা মরাই স্বাভাবিক।

বিচার-বহিভূর্ত হত্যাকাণ্ড বন্ধে সরকার প্রতিশ্র"তি রাখেনি- আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) এক প্রতিবেদনে এ মত প্রকাশের পরদিন এ কথা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন।

এইচআরডব্লিউ'র মানবাধিকার প্রতিবেদনের সমালোচনা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, বাংলাদেশে বিচার-বর্হিভূত হত্যাকাণ্ড হচ্ছে না।

মন্ত্রী বলেন, "বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে অনেকে অনেক কথাই বলবে, কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের কাজ করে যাবে।

"সন্ত্রাসীরা গুলি করলে আত্মপক্ষ সমর্থনে বা আত্মরক্ষার্থে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে গুলি করতেই হবে। এতে সন্ত্রাসীরা মারা যাবে, এটাই স্বাভাবিক।"

বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে 'আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির ৭ম সভা' শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সাহারা।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সোমবার প্রকাশ করা এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধে দেওয়া প্রতিশ্র"তি রাখেনি সরকার। অন্যদিকে এ ক্ষেত্রে এখন র‌্যাবের পথে হাঁটছে পুলিশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা ২০১০ সালে দেশে গুরুতর মানবাধিকার সমস্যা সমাধানে যে প্রতিশ্র"তি দিয়েছিলেন তা রক্ষা হয়নি। বন্ধ হয়নি বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, সেইসঙ্গে এসব ঘটনায় জড়িত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দণ্ড থেকে পার পেয়ে যাচ্ছেন।

গত বছর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী [সাহারা খাতুন] র‌্যাবের বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, "স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ভুল কিছু করছে না।"

২০১০ সালের বিশ্ব মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলেছে নিউ ইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।

এইচআরডব্লিউ'র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৪ সালে র‌্যাব গঠন হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৬২২ জনকে হত্যার কথা স্বীকার করে র‌্যাব বরাবরই দাবি করে আসছে যে তারা 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত হয়েছেন। তারা আত্মরক্ষার্থে গুলি চালান- এমন মনে করেন খোদ স্বরাষ্টমন্ত্রীও।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো কি শুধু সন্ত্রাসীদের পক্ষে?- এ প্রশ্ন তুলে বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সন্ত্রাসীরা মারা গেলে মানবাধিকার সংস্থাগুলো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে।

"কিন্তু সন্ত্রাসীদের হাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মারা গেলে বা সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত হলেও তারা কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।"

দেশে বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ড হয়নি দাবি করে মন্ত্রী জানান, এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বলেন, "বিভিন্ন ঘটনায় র‌্যাব-পুলিশকে জবাবদিহিতা করতে হচ্ছে। বিভিন্ন অভিযোগে ইতিমধ্যে অনেক সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।"

সন্ত্রাসীদের গুলি বন্ধ করার কোনো উপায় নেই উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, "আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আত্মরক্ষার্থে গুলি করলে সন্ত্রাসীরা মারা যাচ্ছে। তবে অযাচিত বা অযৌক্তিকভাবে কোনো ঘটনা ঘটালে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

স¤প্রতি ভারত-বাংলাদেশের স্বারষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠকের কথা উল্লেখ করে সাহারা খাতুন জানান, সীমান্ত এলাকায় ফেন্সিডিল কারাখানা বন্ধ করা হচ্ছে এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে ফেন্সিডিলের আসা কমেছে। এছাড়া সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের হত্যাকান্ড বন্ধে আশ্বাস পাওয়া গেছে।

তবে অন্যান্য মাদক দেশে প্রবেশ করছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এ ছাড়া সভায় টেন্ডারবাজি বন্ধে ইলেকট্রনিক প্রকিওরমেন্ট সিস্টেম চালু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে সাহারা বলেন, "শিগগিরই চারটি দপ্তরে এ পদ্ধতি চালু হবে।"

সভায় আইনমন্ত্রী, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×