somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জাতের নামে বজ্জাতি সব, জাত জুয়ারী খেলছে জুয়া .....

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শেষ পযর্ন্ত আমাদের এই প্রিয় ব্লগ সাইট'টিতেও ধর্মের মত সুন্দর একটি অনুভূতি - বিশ্বাস নিয়ে অনেকেই মিথ্যা লুফোলুফি করছেন। বিভিন্ন ধর্মীয় অনুভূতির ব্যাখ্যা, অপব্যাখ্যা, যুক্তি-তর্ক নিয়ে প্রায়্শঃই রচে চলেছে কতোনা ফ্যাণ্টাসী।

'ধর্ম' একটি 'বিশ্বাস' - অতি পবিত্র একটি অনুভূতি, মূল্যবোধ। তা কখনোই যুক্তি তর্কের দাঁড়িপাল্লায় ওঠানো শোভন নয়। কারো আস্তিকতা নাস্তিকতা ব্যাপারটিও সাধারণ্যে আলোচ্য বিষয় নয়।এটিও যার যার 'একান্ত ব্যাক্তিগত লালিত বিশ্বাস' - কোন ভাবেই 'একে অন্যের ওপর' চাপিয়ে দেবার নয়।

সৃষ্টির রহস্য আজও অনুন্মোচিত। বিজ্ঞানের আলোকে আমরা যতটুকু জেনেছি তাও দ্বিধা-দ্বন্দে দোদুল্যমান ও আজো তর্কাতীত নয়। আর তাছাড়াও ধমর্কে বিজ্ঞানের কষ্টিপাথরে যাচাই করাও বাতুলতা মাত্র। ধর্ম সকল কিছুর উর্দ্ধে শুধুই একটি বিশ্বাস। কখনোই তা যুক্তি তর্কের বেড়াজালে আবদ্ধ করা উচিৎ নয়।

আমরা যদি সেই আদিম সমাজের (Primitive Society) দিকে তাকাই - যখন হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানসহ নানা মত ও পথের উদ্ভব হয়নি। সেই সমাজেও ধর্ম শুধুই একটি বিশ্বাস হয়ে আর্বিভূত হয়েছে।

অনিশ্চয়তা, অজানা বিষয়, বিশালত্ব (যা মানুষ পরাভূত করতে পারে নাই) এমন সব অবস্থা মানুষকে চিরকালই ভীত সন্ত্রস্ত করে তোলে। আদিম মানুষও মেঘের গজর্ন, বজ্রপাত, ভূমিকম্প, চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্র, মহাকাশ এমনকি বিশাল কোন বৃক্ষ দেখেও ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে মাথা নত করতো। এসবের কল্যাণ অকল্যাণকর শক্তি তাদের মোহিত করতো। তাই আদিম মানুষ এমন সব প্রাকৃতিক শক্তির তুষ্টি বিধানে নানা মন গড়া আচার - অনুষ্ঠান পালন করতো, এই বিশ্বাসে যে এরা মানুষের প্রতি রুষ্ট না হয়ে যেন কোন অনিষ্টের কারণ না হয়ে দাঁড়ায়। এভাবেই মানুষের ভেতর সৃষ্টিকর্তা , ঈশ্বর বা ধর্ম চিন্তার উদ্ভব ঘটে। আর কালের বিবর্তনে তা নানা রূপ পরিগ্রহ করে।

আত্মিক চিন্তায় ধর্ম একটা চমৎকার বিশ্বাস যা মানুষের মনকে পরিপূর্ণ -পরিশুদ্ধ করে। সাংস্কৃতিক বিচারে ধর্ম এক বর্ণিল মিলন মেলা। সামাজিক বিজ্ঞানের আলোকেও ধর্ম একটি অতি সুদৃঢ় সামাজিক নিয়ণ্ত্রণের বাহক (Strong Agent Of Social Control)। নানা মত, পথ, রং, বর্ণ, বিচিত্র অনুভূতির এক বিশাল জনগোষ্ঠীকে এই ধর্মই এক সুশৃঙ্খল নিয়মানুর্বতিতায় আবদ্ধ করেছে।

প্রচীন কাল থেকেই এক শ্রেনীর স্বার্থান্বেসী মানুষ এই পবিত্র বিশ্বাস কে তাদের হীন উদ্দেশ্য পূরণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের প্রয়াস চালিয়ে এসেছে - আজও নিরন্তর সেই প্রচেষ্টায় চলছে।

সেই সুপ্রাচীন ইতিহাসের আলোকে দেখলেও আমরা দেখতে পাবো, হিন্দু, মুসলিম, খ্রীষ্টান, ইহুদী সহ অনেক ধর্ম মতের পেছনেই লুকিয়ে রয়েছে কোন না কোন রাজনৈতিক ইতিহাস। ইহুদীরা যেমন এক সময় চরম নিগৃহিত হয়েছে, তেমনি ইহুদী দ্বারাও মুসলমানরাও হয়েছে লান্চিত ক্ষতিগ্রস্ত। একইভাবে হিন্দু-মুসলমান, মুসলমান- হিন্দু, মুসলমান - খ্রীষ্টান এমন অনেক ধর্ম অনুসারীরা একেক সময়ে একেক ভাবে একে অন্যের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে। আর এসব কিছুর পেছনেই ছিল কোন না কোন হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থের প্রয়াস।

আমরা কেহই হয়তো অস্বীকার করবো না যে সকল ধর্মের মূল মন্ত্র মানবতা - মানব কল্যাণ। অথচ এই আমাদেরই অনেকে নিজ নিজ ধর্ম অতি আড়ম্বরের সাথে পালনে সচেষ্ট হলেও অনেক সময়ই অকারণে আঘাত করে বসি অন্যের বিশ্বাস ধর্মানুভূতিতে - মানবতা মানব কল্যাণ যে ভূলুন্ঠিত হয়ে নিভৃতে কাঁদে তা যেন দেখেও দেখিনা।

ধর্ম শুধুই -
- শিব ঠাকুর-দূ্র্গা, যীশু, মহাবীর, বুদ্ধ, ঈসা-মূসা, মুহাম্মদ হয়ে নয়
- বেদ-পূরাণ, গীতা-রামায়ন, কোরান, বাইবেল, ত্রিপিকট হয়ে নয়
- মন্দির, মসজিদ, গীর্জা, গুরুদুয়ারা হয়ে নয় ....
বরং ধর্ম থাকুক আমাদের -
- শয়নে
- স্বপনে
- জাগরণে
- অন্তরে
- গভীর অনুভূতি বিশ্বাসে
- ব্যক্তি জীবন যাপনে
- সৃষ্টিকর্তার মহাত্ম অনুবোধনে
- বিশ্ব মানবতায় আর
- মানব কল্যাণে

সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:৫৯
৬টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×