দুইটা দলের মধ্যে যখন ঘোরতর বিরোধীতা তখন তৃতীয় কোনো দল সেই বিরোধীতার সুযোগ নিবেই। এবং নিচ্ছেও। কিন্তু সবগুলা দলের ই নিজের আদর্শ আছে। কিন্তু যারা সেখানে কাজ করছে তাদের কোনো নীতি নাই, আদর্শ নাই। থাকলে আর রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার জন্য কেউ কোনোদিন কোরান শরীফ এ আগুন দেওয়া কিংবা শহীদ মিনার ভাংচুর কিংবা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির জন্য মন্দির ভাংচুর এর মত জঘন্য ঘটনার জন্ম দিতো না। আল্লাহ নবীর বিরুদ্ধে যারা ব্লগে লিখতো তারা যেমন নাস্তিক, তেমনি কোরান শরীফ যারা যেনে শুনে আগুন দেয় তারাও নাস্তিক।
আর আমাদের মিডিয়া তারাও নিজের ইচ্ছামতো লিখে যাচ্ছে। আমরাও সেই অনুযায়ী নাচানাচি করি। যখন যার বিরুদ্ধে লিখে যাচ্ছে তাকেই ঘৃণা করছি। দুই তিন মাস পরে বুঝতে পারছি যে আমাদের বিশ্বাস ভুল ছিল। আমরা প্রতারিত হয়েছি। এছাড়া আর কি বা করার আছে? আমরা তো আর নিজ চোখে দেখতে পারি না যে কি হচ্ছে আসলে।
এতো জঘন্য ঘটনার পরেও আমরা ঐসব নীতিহীন মানুষদের ভোট দেই। যারা নিজেদের স্বার্থে সবকিছু ব্যবহার করে দেশকে চালায়। যাদের জন্য বিল্ডিং ধসে পড়ার মত,গার্ডার ধসে পড়ার মত লজ্জাজনক ঘটনা ঘটে। হাজার হাজার নিরীহ মানুষ মারা যায়। তাদেরকে সামনেও ভোট দিবো।
কিন্তু এইবার কাকে দিবো?এই প্রশ্নটা যখন নিজেকে করি তখনি দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে যাই। দেশের যখন এই অবস্থা সেইটারও তো সমাধান কিছু করতে পারছি না নিজে। করবটা কি? আমরা শুধু ব্লগ লিখব আমরা শুধু স্ট্যাটাস দিব।
বর্তমানে দেশের যেই অবস্থা সেইটাও কারো নিয়ন্ত্রনেই নাই। না আওয়ামি লীগের না বিএনপির না জামাতের। কিন্তু এরাই দায়ী সাম্প্রতিক অবস্থার জন্য। সমাধান টা আর কেউ করতে পারে না।
মাঝে মাঝে মনে হয়, সব খারাপের মাঝে যেটা ভালো, আবার সামনে সামরিক শাসন আসুক। আরেকটা ওয়ান ইলেভেন হোক। দেশে কিসের গণতন্ত্র চলে? যেটা চলে সেটা তো গণতন্ত্রের নামে পারিবারিক রাজতন্ত্র। অনেকে বলেন যে, সামরিক শাসন আসলে দেশে কোনো সাহায্য আসবে না। দেশ পাচ বছর পিছিয়ে যাবে।আমি বলি, রাজনৈতিক সরকার আসার পরেও যেই বৈদেশিক সাহায্য দেশের মানুষের কাজে আসে না সেই বৈদেশিক সাহায্য আসার চেয়ে না আসাই ভালো।
আর আমাদের ব্লগ লেখা আর স্ট্যাটাস লিখা তখনো চলবে।