somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রসংগ: আপনার ডান হাত যখন কাটা পড়েছে(রাইট কন্টেক্সট মেনু ডিজেবলড)

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেক দিন পর(আসলে, পড়ুন ১ দিন) আজ সন্ধায় সামুতে লগইন করেই দেখি এক ধুন্ধুমার কান্ড ঘটে গেছে। চারিদিকে কান্নার রোল, হায় সামু! হায় সামু! এইডা কি করলি, এইডা কি হইল, এইডা কি কিছু হইল জাতীয় অবস্থা। ঘটনা কি? কি এমন ঘটল যে এত কান্নাকাটি?

- সামু কর্তৃপক্ষ লেখাচুরি ঠেকাতে তাদের বিভিন্ন পেজ নেভিগেশান প্যানেল থেকে রাইট কন্টেক্সট মেনু (ডান হাত) উঠিয়ে দিয়েছেন বা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন



ব্লগ থেকে লেখাচুরি একটি নৈমত্তিক ঘটনা যা অহরহই ঘটছে এবং দীর্ঘদিন ধরে ব্লগারদের অনুযোগের প্রেক্ষিতেই নাকি এই সিদ্ধান্ত। ঘটনা হল - আপনার দুই হাত, চোরেরও দুই হাত। চোরের ডান হাত কাটতে গিয়ে কর্তৃপক্ষ আপনারটাও কেটে নিয়েছেন। কি আর করা, হাত যখন একটা(বাম হাত), তখন ডান হাতের কম্মও বাম হাত দিয়া আবার বাম হাতের কম্মও বাম হাত দিয়া-ই সারতে অইব, অহন থিকা আমরা সবাই লেফটিস্ট - খুশি? আন্নে খুশি ত মুইও খুশি।

কথা হল - আছে নাকি আদতেই কার্যকরী কোন পদক্ষেপ, লেখাচুরি বন্ধে?

একজন আইটি কামলা হিসেবে বলব - না, এমন কোন উপায়-ই নেই যা আপনাকে ১০০% নিশচয়তা দিবে চুরি বন্ধ করতে। আইটি প্রযুক্তি ফাইনালি ০ আর ১ নিয়ে কাজ করে যার একটা মিনিং এমন হতে পারে - খা/না, অর্থাত, গৃহস্তের বলবে সজাগ থাকতে আবার চোরকে বলবে চুরি করতে। এজন্যইতো, এন্টিভাইরাস কোম্পানীগুলো ধুমাইয়া ব্যবসা করে, বাঘা-বাঘা প্রোগ্রামাররা হ্যাকার হয়।

তবে কি, নেই কোন সমাধান একেবারেই?

এ প্রশ্নের উত্তর নির্ভর করতেছে আপনার চাওয়ার উপরে। আপনি যদি রিজিড থাকেন আপনার চাওয়া ১০০% - এর উপর যেটা সম্পূর্ণ বুলেটপ্রুফ, পিলফারেজ ফ্রী হোক, তাইলে নাই। আর, আপনি যদি কিছুটা নিচে নামেন(মানে, ছাড় দেন আরকি) সেক্ষেত্রে উন্নত কিছু প্রযুক্তি ব্যাবহার করে সেটা অর্জন করা অসম্ভব নয়।

অনেকেই সাজেস্ট করেছেন পিডিএফ আকারে দিতে কিন্তু, সেগুলোও কোন সমাধান নয়। কারণ, পিডিএফ ডাউনলোডেবল এন্ড রিডেবল। নিচে দেখুন:



এবিষয়ে অনেক আগেই আমি একটা সুন্দর সাজেশান দিয়েছিলাম ব্লগার সামু পাগলার এক পোস্টে - Click

এবং কাজী ফাতেমা ছবি-র এসংক্রান্ত আরেকটি লেখায় - Click

আমি বলেছিলাম, এক্ষেত্রে CGI বা SVG টেকনোলজি ব্যবহার করা বেস্ট হবে। সেক্ষেত্রে, এডিট মোডে শুধু টেক্সট আকারে থাকবে অন্যথায় ইমেজ হয়ে যাবে। চোরের তখন Screen-Shot (PrintScr button) ছাড়া আর বিকল্প পথ থাকবে না যেটা কিনা আবার ডেভেলপার মোড-এ ডিজেবল করে দিলে রানিং মোডে তাও বন্ধ হয়ে যাবে। তার মানে আপনার গুপ্তধন কর্পোরেট দুনিয়া থেকে ৯৮ ভাগ বিচ্ছিন্ন কিন্তু ভিউয়েবল।

কিভাবে এটা কাজ করে? (এই অংশটি সামুর টেকটিমের জন্য হেল্পফুল হলেও হতে পারে)

আপনি যখন কোন আর্টিকেল লেখা শেষ করে পোস্ট বাটন-এ ক্লিক মারেন তখন একই কন্টেন্টকে দুইটা ফাইল বা ডাটাবেজ ফিল্ডে সেভ করা হয় যার একটিতে আপনার নির্ভেজাল কন্টেক্সট(টেক্সট, ইমেজ, লিন্ক ইত্যাদি) থাকে যা পরবর্তীতে এডিট মোডে কল করা হয়(যদি লাগে বা যদি আপনি অর্থাৎ, আর্টিকেল ওনার ভুল করে থাকেন এবং কারেকশান প্রয়োজন হয়) আর অন্যটিতে ইমেজ আকারে পাঠানো হয় যা আমজনতা, বোলোগার, এ্যানোনিমাস ইউজার, চোর-ছেচ্চড়, বাটপাড় সহ সবাই শুধু পড়তেই পারেন(কারন, ইমেজ আকারেই তা পেজ-এ রেন্ডার হয়)। এভাবে আপনি আপনার মহা মূল্য গুপ্তধন মানিক রতনকে মোটামুটি ৯৮% নিরাপদ করতে পারবেন, ১০০ ভাগ নয়। কারন বুঝেনইতো, আইন স্ত্রীলিংগ - তার বিবিধ ফাক-ফোকর থেকেই থাকে।

এ বিষয়ে গুগল-এ অসংখ্য হেলপ পাওয়া যায়। যেমন, কন্টেক্সট(টেক্সট, ইমেজ) থেকে ইমেজ-এ কন্ভার্ট করার একটা ফাংশন দেখুন: (বি: দ্র: আমরা যারা ননটেক, তারা স্ল্যাশের পরে ইন-লাইন কমেণ্ট গুলা পড়ে দেখলেই বুঝতে পারব কাজটি কি এবং কিভাবে হচ্ছে)

function textToImage(String text, Font font, Color textColor, Color backColor) as image
{
//first, create a dummy bitmap just to get a image/graphics object
Image img = new Bitmap(1, 1);
Graphics drawing = Graphics.FromImage(img);

//measure the size of your text to see how big the image needs to be
SizeF textSize = drawing.MeasureString(text, font);

//set free the dummy image and old graphics object
img.Dispose();
drawing.Dispose();

//create a new image of the right size
img = new Bitmap((int) textSize.Width, (int)textSize.Height);

drawing = Graphics.FromImage(img);

//paint the background
drawing.Clear(backColor);

//create a brush for the text
Brush textBrush = new SolidBrush(textColor);

//put your content to the bitmap
drawing.DrawString(text, font, textBrush, 0, 0);
drawing.Save();

textBrush.Dispose();
drawing.Dispose();

//now, your image is ready to be served
return img;
}

এপদ্ধতিতে এমনকি ব্যাকগ্রাউন্ডে আপনার পছন্দের কালার বা ওয়াটার মার্কও ইমেজ-এ ইউজ করা যায়। উদাহরণ হিসেবে, নিচে আমাদের সবার প্রিয় মেবাই(বিলিয়ার ভাই) -এর রাইট ক্লিক ডিজাবল: অাহূত সমস্যা ও তার সমাধান(সাময়িক পোস্ট) থেকে কপি করে (উনার অনুমতি ছাড়াই অবশ্যি) ব্যাকগ্রাউন্ডে উনার প্রোপিক সংযুক্ত ওয়াটার মার্ক এ্যাড করে ওয়ার্ডে একটা স্যামপল করে মেবাইর পোস্টটিকে পেটেণ্ট করেছি; নমুনা দেখুন:



দেখলেনতো, কপি অপশন উঠায়ে দেয়ার পরেও কিভাবে মেবাইর পোস্ট কনটেন্ট চুরি করে স্ট্যাম্প বানালাম? মানে, সামুরে বোকা সাজালাম আরকি।

তবে, এপদ্ধতিটিও যে ১০০% পিলফার-প্রুফ তা কিন্তু নয়? কেন?

- থাক, এটা বলে চোরকে আর সহযোগিতা না করি। চোরের যদি দরকার পড়ে নিজে থেকে মোর লগে যুগাযুগ করুক। অন পেমেন্টে সমাধান দেয়াতে মনে হয় কেউই আপিত্ত করতনা। চোর যদি আয়ের একটা উৎস হয়, মন্দ কি (কানে কানে বলি - এ আয়ের একটা অংশ বোলোগ স্বত্তাধিকারী[পোস্টের মালিক] + প্লাটফরম ওনার হিসেবে সামুও পেতে পারে - তবে, *** গেরামিন শর্ত প্রযোজ্য)। আমরা নিশ্চয়ই ভুলে যায়নি গতবছ্ছরে কাভা ভাইয়ের বেলাংক ছেখ- এ পেমেণ্ট এর কথা? ইশ কি উৎসাহজনক আনন্দঘন মুহুর্ত মুহুর্তেই বেদনাদায়ক ফীড়ায় ফর্যবসিত হইছেল যহন ছেখটা বেংকে গিয়া অ-সম্মাণিত (dis-honor) অইল?

পরিশেষে বলব, ডান মেনু উঠিয়ে দিয়ে কর্তৃপক্ষ অর্বাচিনের মত কাজ করেছেন। মানুষ যেখানে এ্যাপসের ফিচার নিয়ে কম্পেয়ার করে, কারা কত শক্তিশালি ফিচার দেয় সেটা বিচার করে সেখানে, ফিচার এনহেন্সমেন্ট না করে একটা ফিচারকে মেরে ফেলা খুব-ই অপেশাদারীত্তের পরিচায়ক হয়েছে। আশা করছি, সামু কর্তৃপক্ষ এটা ভেবে দেখবেন এবং এটাকে ট্রায়াল এন এরর হিসেবে নিয়ে ভবিষ্যতে এটার আরো উন্নয়নে মনোযোগী হবেন।

উপসংহার:
১। কপি অপশান তুলে দেয়া চুরি বন্ধের কার্যকর কোন পদক্ষেপ নয়।
২। পিডিএফ ফরম্যাট চুরি ঠেকাতে অপারগ।
৩। CGI, SVG বা Text-to-image জাতীয় প্রযুক্তি প্রায় ৯৮ ভাগ আপনার মানিক-রতনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বিধান করতে পারে, তবে ১০০ ভাগ নয়।
৪। ১০০ ভাগ চুরি ঠেকানো একটা অলীক ধারণা মাত্র।
৫। বিধাতা দুইটা হাত দিয়েছেন বিভিন্ন কর্মের মধ্যে সমন্বয় সাধন ও ভারসাম্য রক্ষা করে চলার জন্য। যদ্যপি ১টা দিয়েই চলে, নিশ্চয় আরটা বাহুল্য দিতেন না। একজন পরামর্শ দিয়েছেন ctrl চেপে কাংখিত কাজটি সারতে। বাহুল্যকাজ কমানোর জন্য স্মার্টফোন গুলো থেকে বাটনের সংখ্যা দিন-দিন কমে যাচ্ছে?

আমি কে?

এই যে, এতক্ষণ বগর-বগর করলাম, এবার আমার সম্পর্কে কিছু বলার প্রয়োজন বোধ করতেছি (কারণ, ডাকতর না অইয়া প্রেসকিপশান লেকতাছি না তো আবার?)।

আমি শকুন দৃস্টি, ২০০৭ সাল থেকে সামুর সাথে আছি। প্রথমে আছিলাম ভিজিটর, পরে ২০০৮ এর মাঝা-মাঝির দিকে একবার এবং মাত্র একবারই রেজি: করি। সেই থেকে আমি সামুর একজন নিয়মিত কিন্তু, শুধুই পাঠক। কারন, প্রথমত: সময়ের নিস্ঠুরতা এবং ফাইনালি, লেখনী শক্তির অনুপস্থিতি। আমার বিগত ১০ বছরেরও অধিককাল সামুজীবনে, এই প্রথম লেখা। তবে, মাঝে-মধ্যে কমেণ্ট করি কিছু কিছু পোস্টে।

আর, কর্মজীবনে কমপুটার বিষয়ে পড়াশেষ করে বিগত ১৭ বছর বিবিধ দেশী-বিদেশী কম্পানিতে কামলা দিয়ে গত বছর থেকে নিজেই উদ্দ্যোক্তা সেজে আইটি ইন্ডাস্ট্রিতে ছোট আকারে ব্যবসা শুরু করেছি। আমি ASP.Net, C#, SQL/Oracle -এ কাজ করতাম এবং বিগত ১৭ বছর ধরে ১টা কাজের জিনিষ দাড় করাতে পেরেছি - ১টা ডেভেলপমেন্ট SDK যেটা খুব-্ই স্মা্র্ট, প্লাগ এন প্লে, কনফিগ. বেইজড প্লাটফরম যেখানে সহজেই যেকোন সলুশান, মোডিউল, ওয়েব বা স্ট্যান্ডএ্যালন এ্যাপ বানানো সম্ভব খুব দ্রুত ও স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই ভেরী ইফিশিয়েন্ট ওয়েতে।

এটির উপর আমি ইতোমধ্যে Enterprise Resource Planning (ERP)-র প্রায় ১৩টা module লাইভ করাতে পেরেছি এবং সুখের কথা হচ্ছে আমি লোকাল কর্পোরেট লেভেল-এ ২/৩ টা ক্লায়েন্টও ইতোমধ্যে পেয়ে গেছি এবং অস্ট্রেলিয়াতে বুয়েটের ১ টিচার আছেন যিনি মেলবোর্নে এক ই্উনিভারসিটির লেকচারার, তিনি টোটাল প্রজেক্টাই দেখেছেন এবং সেখানে এটার মার্কেট ধরা সম্ভব বলে মত দিয়েছেন এবং তিনিও আমাদের সাথে অস্ট্রেলিয়াপার্টে থাকবেন বলে সম্মতি দিয়েছেন।

আগামী ২৭-২৮ তারিখে একটা ইউএস কম্পানিও আমাদের সাথে একটা ব্যবসায়ীক মিটিং করবে। অর্থাৎ, সাড়া পেতে শুরু করেছি এটি নিয়ে। আপনি হয়ত ভাবছেন, আমার ব্যাক্তিগত বিষয়াদি কেন আমি ব্লগে পাবলিকলি ভিজুয়ালাইজ করছি? আসলে, এটা শুধুই ব্যাক্তিগত বিষয় নয়, এটা দেশের সম্পদ যেটা মাইক্রোসফট, ওরাকল কর্পোরেশান, স্যাপ সে জার্মানী বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে করেছে এবং বিশ্বব্যাপী ব্যবসা করছে। আমি সো-কলড সরকারী ব্যবস্থাপনায় উন্নয়নে হতাশ, যা করার আমাদের ব্যক্তিগত উদ্যগেই করতে হবে বলে মনে করি।

সরকারের দেশীয় আইটি বিষয়ে কার্যকর কোন নীতিমালা না থাকায় বাইরের কম্পানীগুলো কয়েকশ হাজারকোটি টাকার ব্যবসা করে নিয়ে গেছে যেটা দেশীয় কম্পানীগুলোও করতে পারত। ইনডিয়া গত মাত্র ১/২ দশকে আইটি খাতে জোর দিয়ে দেশের অর্থনীতি চাংগা করে নিয়েছে, পরমাণু অস্ত্রবাড়াতে বিশ্বের সাথে পাল্লা দিয়ে চলেছে, সমীহ করার মত বর্তমান অর্থনীতি তার সেখানে, বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী, এমপিরা অর্থনীতি বুঝিনা নিজের পকেট ভারী যারা করতে পেরেছে তাদেরকেই কাজ পাইয়ে দিয়েছে। আমি স্বপ্ন দেখছি, আগামী ৫ বৎসরে আমার কম্পানীতে টেক+ননটেক মিলিয়ে মিনিমাম ৪০০-৫০০ লোকবল কাজ করছে এবং আগামী ১০ বৎসরে সেটা ১০০০ ক্রস করেছে। আমি এ ব্যাপারে আপনাদের সকলের দোয়া ও সেই সাথে সুন্দর কিছু পরামর্শ প্রার্থী।

অফ টপিক: সামু একটা পরিবার

একটু অন্য প্রসংগে আলোকপাত করি। আমি সামু ছাড়াও ইস্টিশান ব্লগ, উইমেনচেপ্টারে মাঝে-মধ্যেই ঢু-মারি। সেখানে অনেক চটকদার নীতিকথা দেখি। আমার হাসি পায় যখন দেখি এত নীতিকথার সাথে ব্লগ ও ব্লগারদের নীতি, কথা ও কাজের মিল নাই। সেখানে ধর্ম-বিদ্বেষ একটা কমন কালচারে পরিণত হয়েছে বিশেষ করে একটা বিশেষ ধর্মকে উদ্দেশ্য করে। আমি বুঝিনা, একটা ধর্ম যার ২০০ কোটির উপরে ফলোয়ার তাকে বিশ্রী ভাষায় কটাক্ষ বা আক্রমণ করে এই ২০০ কোটি মানুষকে অপমান তারা কিভাবে করতে পারে। সেই হিসেবে সামুর বর্তমান অবস্থান অনেক সহনশীল, নিরপেক্ষ এবং উদার। একটা সময় সামুর উপর দিয়েও অনেক ঝড়-ঝাপটা গেছে। তবে, সামু সেসব অতিক্রম করে টিকে আছে এবং ভবিষ্যতেও হয়ত থাকবে তবে, সেটা অবশ্যই ডিপেন্ড করবে সামুর ভবিতব্য নীতিমালা, কর্মপন্থা, ব্লগবাড়ীর উন্নয়ন(যার একটা নিয়েই আজকের এ প্যাড়া) ও ব্লগারদের চিন্তাশক্তি ও লেখার মান(যা ইউজার টানতে সহায়ক) ও সহযোগীতামূলক মনোভাবের উপর।

এখানকার ব্লগারদের সহযোগীতামূলক মনোভাবের যে কমতি নেই তা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লেখনীতে প্রমাণ পাওয়া গেছে। আর, এখানে বর্তমানে যিনারা নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন তাদের অধিকাংশেরই লেখার মান অনেক উন্নত, সেটা সাহিত্যিক বিচারেই বলেন, আর গ্রামাটিক্যাল বা কন্টেন্টের বিচারেই বলেন। তবে, একটা সমস্যা প্রায়শই: দেখা যায় - বানান ভুল। বিশেষ করে "র" ও "ড়" ব্যবহারে। তাছাড়া, বাকীটা মারভেলাস বলা চলে। বিশেষ করে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করার অভিপ্রায় দমাতে পারছি না - যেমন:

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম: আমাদের সবার প্রিয় হেনা ভাই। উনার লেখায় সবসময় কিছুনাকিছু শিক্ষণীয় বিষয় থাকে - "জাত নেই", "বন্ধুর বাড়ি", "নরক থেকে ফেরা" - এগুলো থেকে শরৎ বাবুর একটা গন্ধ পাই; উনার কোন লেখা আমি মিস করি না।

ডঃ এম এ আলী: ইনি আমাদের আলী ভাই - এক জীবন্ত কিংবদন্তী তথ্যাধার(ডাটাবেজ)। "মিয়ানমারের হারানো রাজ্যের পুরাকির্তী রক্ষার স্বপ্ন এখন রোহিঙ্গা নির্মুলে রাস্ট্রিয় সহিংসতার চারণভুমি" - পড়ে থাকলে দ্বিমত করার কোন কারন নেই। আমার মনে হয় উনি ছোটখাট এক "গুগল"।

চাঁদগাজী: ব্লগে লগোন করেই যাকে অনলাইন পা্য় তিনি হলেন আমাদের চাঁদগাজী ভাই যিনি সকলের কাছে "চাঁদগাজী কাহু" নামেও পরিচিত। একজন মৌলিক চিন্তা-ধারার মানুষ। প্রথম-প্রথম উনার কিছু কমেণ্ট অসংলগ্ন মনে হলেও পরে যখন জানলাম উনি একজন মুক্তিযোদ্ধা - উনার প্রতি শ্রদ্ধা বেড়ে গেছে। তবে, আমি মনে করি "অস্ত্রযুদ্ধ শেষ হলেও একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার আসল যুদ্ধ শেষ হয়নি; বরং শুরু বলা যায়। এ যুদ্ধ অশিক্ষা, কুশিক্ষা আর দারিদ্রের বিরুদ্ধে। এ যুদ্ধ স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধ। তাই একজন বাংগালী ও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চাঁদগাজী ভাইয়ের কাছে আমাদের চাওয়া আরো অধিক।

এছাড়াও যাদের লেখনি চিন্তাশক্তিকে নাড়া দেয় তাদের মধ্যে:
মো: হাসানূর রহমান রিজভী, লোনার, ফয়েজ উল্লাহ রবি, মোস্তফা সোহেল, ব্লগ সার্চম্যান, জুয়েল তাজিম, বিলুনী, ফিল্ড মার্শালঃ, বাবু>বাবুয়া>বাবুই, আবু মুছা আল আজাদ, মোহাম্মাদ আব্দুলহাক, সাদা মনের মানুষ, ক্লে ডল, গিয়াস উদ্দিন লিটন, মাঈনউদ্দিন মইনুল, ত্রি-মাত্রিক চিন্তা, ঠ্যঠা মফিজ, দিব্যেন্দু দ্বীপ, কি করি আজ ভেবে না পাই, বিবর্ন সভ্যতা, দেশ প্রেমিক বাঙালী, জে আর সিকদার, তিতাসপুত্র, আসিফ ইকবাল তােরক, অ্যালেন সাইফুল, মঞ্জুর চৌধুরী, জাহিদ হাসান, সামাইশি, আহমাদ যায়নুদ্দিন সানী, আমিই মিসির আলী, রুপম হাছান, ঘুড্ডির পাইলট, বাবুরাম সাপুড়ে১, আহমেদ জী এস, গেম চেঞ্জার, হাসান মাহবুব, স্বতু সাঁই, রাজু সিদ্দিক - অগণিত, অসংখ্য - এ তালিকা যেন শেষ হবার নয়, কাকে ছেড়ে কাকে রাখব? যেন মেনশন করাটাই ভুল।

আবার, নারী ব্লগারদের মধ্যেও অনেকের লেখাই যথেস্ট ভাললাগে যদিও উনাদের মধ্যে আর্টিকেল লেখা কম আসে, বেশির ভাগই গল্প, কবিতা বা সাহিত্যের অন্যান্য শাখার। তবে, এগুলোও পড়ি ও ভাললাগে। তাদের মধ্যে ইনাদের নাম না বললেই নয়:

শায়মা: সামু ব্লগটাকে প্রাণবন্ত: করে জীবন্ত করে রেখেছেন যে কয়জন অল্পসংখ্যক ব্লগার, তাদের মধ্যে সবার আগে যে নামটা আসে আমার কাছে, তিনি আমাদের সবার প্রিয় "শায়মা" বা শায়মাপি। তার,অসংখ্য মজাদার রেসিপি এখনো মুখে লেগে রয়েছে যদিও একটাও এখন পর্যন্ত চেখে দেখার সৌভাগ্য হয়নি আমার (মনে হয় আপনাদেরও)। তবে, মনে হয় একদিন ঠিকই সে সৌভাগ্য হবে - সে আশায় আছি।

যাদের বাচ্চা আছে, তার "দ্যা আর্ট অব স্টোরি টেলিং - শিশুর শিক্ষনে গল্প বলা বা শোনার প্রয়োজনীয়তা" - তাদের অবশ্যই পড়া উচিৎ। উনার কটচহতপ, ধরফরহলরবয জাতীয় একটা লেখা পড়তে গিয়ে আমার সামনের পাটির ৩টা দন্ত শহীদ হয়েছে, সে্ই সাথে জ্বর ফ্রী। বাংলা একাডেমীর শব্দ-সমৃদ্ধ এক কিংবদন্তী ডিকশনারী বলা যায় তাকে।

জুন: আমাদের জুনাপু, কন্টেন্টসমৃদ্ধ আর্টিকেল আসে উনার থেকে - ভ্রমন বিষয়কও, তবে ফ্রীকোয়েন্সি খুব কম। আমরা আরোও লেখা চাই জুনাপু থেকে।

আলপনা তালুকদার: অনেক ভাল আর্টিকেল লেখেন - বিশেষ করে চলমান সমাজ সংকটের উপরে। আর, মাঝে-মাঝে কবিতাও পোস্ট করেন। তবে খুব কম। আরোও লেখা চাই আলপনা মেডাম আপনার থেকে।

সামু পাগলা০০৭: স্কুলে পড়া একটা মেয়ে তার "কানাডার স্কুলে একেকটি দিন" পর্বাকারে দিয়ে পাঠকদের মনে জায়গা করে নি্য়েছেন। অসম্ভব জনপ্রিয়তা পেয়েছিল এই সিরিজটি। তবে, অনেকদিন উনাকে দেখিনা। স্কুল কি খুলেছে? ছুটি নেই? নাকি বিয়ের পিড়িতে বসতে চলেছেন? হাজার হোক বাংগালী মেয়ে ত, এক সময় বাংগালী বধু। তবে, যেখানেই থাকুন, ভাল থাকুন আর ফীরে আসুন সামুতে। উই আর মিসিং ইউ।

এছাড়াও আরো আছেন যেমন -সেলিনা জাহান প্রিয়া, সোহানী, ইতি সামিয়া, ঈপ্সিতা চৌধুরী, কাজী ফাতেমা ছবি, নীলপরি, মনিরা সুলতানা সহ আরোও অনেকে যাদের সবার নাম এই মুহুর্তে মনে করতে পারছি না।

এটা শুধু আমার ভাললাগার তালিকা যাদেরকে আমার মনে হয় একেকজন সামুর সম্পদই নয় শুধু, সম্পত্তি ও রত্ন। এ রত্নদের যত্ন নেয়া (মানে লালন করা/দাবী-দাওয়ার প্রতি খেয়াল রাখা/লেখার পরিবেশ দেয়া) সামুর যেমন দায়িত্ব, তেমনি সামুও যাতে টিকে থেকে বাঁচতে পারে অথবা বেঁচে থেকে টিকতে পারে তজ্জন্য তাদেরও কিছু কর্তব্য আছে সামুর প্রতি। এভাবে একটা পারস্পরিক বুঝা-পড়া সম্পর্কের মধ্য দিয়েই এগিয়ে যেতে পারে সামু ব্লগ ও ব্লগিং।

তিনটা টপিক একসাথে দেয়াতে লেখাটা অনেক বড় ও কিছুটা এলোমেলো হয়ে গেল। আর লেখা হবে কিনা তাই একসাথেই দিয়ে দিলাম। টেকনিক্যাল বা লেখা বিষয়ে কোনো কোয়েরী থাকলে কমেণ্টে জানান বা ইমেলও করতে পারেন - [email protected] এই ঠিকানায়। ভাল থাকবেন সবাই; ধন্যবাদ -

হেব্বী বোলোগিং ...

সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৮
১৪টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৯

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???



আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে আছি,
আমাদেরও যার যার অবস্হান থেকে করণীয় ছিল অনেক ।
বলা হয়ে থাকে গাছ না কেটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×