গোলাম মহিউদ্দিন নসু
নোয়াখালী থেকে
নোয়াখালী জেলার অনন্য তীর্থ স্থান হিসাবে কবির হাট উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের নরোত্তমপুরে ছনখোলা দরবেশ সাহেবের মাজার প্রতিষ্ঠিত।
মৌলভী আলীমুর রহমান চিশতি প্রকাশ ছনখোলার দরবেশ সাহেবকে এখানে সমাহিত করা হয়েছে।তিনি ঐ ইউনিয়নের করিমপুর গ্রামের মুন্সী মোহাম্মদ নকিব মিয়ার সন্তান।তাঁর মায়ের নাম আছমতের নেছা। নানা ছিলেন করিমপুরের তমিজ উদ্দিন ভূইয়া।
তাঁর জন্ম সাল না জানা গেলেও তাঁর ভাগনীর ঘরের নাতি, এলাকার একাধিক বারের মেম্বার সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নূরুল হক ও এতিম খানা পরিচালনা পরিষদ সদস্য মুক্তি যোদ্ধা মোঃ আবদুল কাদের এর সাথে আলাপ করে জান গেল- জনাব দরবেশ সাহেব জন্মের পরে প্রাথমিক পড়ালেখা শেষে ভারতে গিয়ে দেওবন মাদ্রাসায় পড়ালেখা শুরু করেন।সে সময়ে তিনি আধাত্বিক সাধক মাওলানা কেরামত আলী জৈনপুরী সাহেবের শিষ্যত্ব গ্রহন করে আধাত্মিক সাধনায় জড়িয়ে পড়েন।১৯১৫/১৬ সালের দিকে দেশে ফিরে নানার বাড়ীতে থাকতে শুরু করে।এক পর্যায়ে নরোত্তমপুরের ছনখোলা নামক এলাকায় আস্তানা করেন এবং জমিন খরিদ করে এবাদতখানা গড়ে তুলে ভক্ত মুরিদদের নিয়ে জলসা মজলিস করতেন এবং ছনখোলার দরবেশ হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেন।
সুদীর্ঘ ৪০ বছর সাধনজীবন শেষে ১৯৫৬ সালে পরলোকগমন করেন।
জনাব দরবেশ সাহেবের আত্বীয় মাওলানা নজির আহাং সাহেবের উদ্যোগে স্থানীয় মুরুব্বিদের নিয়ে দরবার শরীপ উন্নয়নের কাজে হাত দেন। শুরু করেন পুরোন মসজিদ সংস্কার, স্থাপন করেন এতিম খানা ও এবতেদায়ী ও দাখিল মাদ্রাসা। এতিমখানা পরিচালনা পরিষদ সদস্য মুক্তি যোদ্ধা আবদুল কাদের নিজেকে ঔ এতিমখানার প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী দাবী করে বলেন সেই থেকে স্থানীয় চেয়ারম্যান সহ গন্যমান্যদের নিয়ে পরিচালনা কমিটি করে উন্নয়ন মূলক কাজ শুরু করা হয়।
বর্তমানে এখানে গড়ে উঠেছে একটি এতিমখানা,যেখানে ৩শ এতিম প্রাথমিক শিক্ষা,হেফজ,নুরানী সহ নানা মূখী কারিগরি শিক্ষা গ্রহন করে নানা ধরনের কর্মস্থানের সূযোগ গ্রহন করছে। এখানে রয়েছে রয়েছে এবতেদায়ি,দাখিল, আলেম ওকামেল পর্যায়ের শিক্ষা ব্যবস্থা। যেখানের বর্তমান শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ১৮ শতাধিক।
দান অনুদানে প্রায় ১২ একর নিজস্ব মালিকানার এ বিশাল সেবামূখী কম্প্রেক্সটি ভিন্নভাবে ৩টি ভিন্ন ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হইতেছে।যার বার্ষিক ব্যয় কম- বেশী ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা।
এখানের পুরানো মসজিদে এখন আর মোসল্লিদের সংকুলান হয় না বিধায় নতু মসজিদ নির্মান কাজ শুরু করা হয়েছে।যার পৃরাক্কালিত ব্যয় ধরা হয়েছে প্রা ১৬ কোটি টাকা। ইতোমধ্যে ফাউন্ডেশান কাজ হয়েছে জানিয়ে কতৃপক্ষ সরকারী বেসরকারী সহযোগিতার জন্য সকলের প্রতি আহব্বান জানিয়েছেন।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




