.
গোলাম মহিউদ্দিন নসু, নোয়াখালী থেকেঃ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের সর্বত্রই যানবাহনের সীমহীন অনিয়মের কারনে স্থানীয় এবং দুরের যাত্রীরা চরম দূর্ভোগে রয়েছে।এসব অনিয়ম রোধে ব্যর্থ হয়ে উপজেলা ও পৌর প্রশাসন হাত- পা ছেড়ে দিয়েছে।ফলে স্থানীয় ও দূরের যাত্রীরা অবর্ননীয় দূর্ভোগ সইতে সইতে নির্বাক হয়ে পড়েছে।
বিগত ৩০ বছর যাবত চৌমুহনী বাজারের যানঝট বেড়েই চলেছে।এক লেনের প্রধান সড়ক ডাবল লেন করা হয়েছে। কিন্ত সংলিষ্ট দায়িত্ব শীল প্রশাসন - ব্যবসায়ী ও সাধারন জনগন সহযাগীতা করেন না, এমন অজুহাত করে হাত গুটিয়ে বস আছে দায়িত্বশীলরা।মাঝে মধ্যে উপজেলা প্রশাসন নাম মাত্র মোবাইল কোর্ট করলেও পুলিশের রহস্য জনক ভূমিকায় ২/৪ ঘন্টা পরেই আবারো ফুটপাতসহ রাস্তা দখলে নেয় দখলবাজরা।
মাছ- তরকারীর জন্য চৌমুহনীতে রয়েছে নির্ধারিত বিরাট কাঁচা বাজার,অথচ প্রধান সড়কের পূর্ব বাজার এলাকা পুরোটাই দখল করে তারা রাস্তায় বসে।ইউএনও ও পৌর প্রশাসক এবিষয়ে বলেন' মানুষ এখান থেকে কিনে কেন'। রেল গেটের উত্তর পাশে ফল বাজার নির্ধারন করা।অথচ পুরা ডিবি রোডের যত্রতত্র ফল দোকান। স্থায়ী দোকানীদের আশ্রয়ে ফুটপাত দখল করে দোকান বসানোর কারনে পথচারীরা রাস্তার মাঝখানে দিয়ে হাঁটতে বাধ্য হয়।ফলে যানবাহন চলাচলে বাধাগ্রস্ত হয়।
চৌমুহনী পৌরসভা যানবাহনের জন্য ষ্টান্ড করার নামে ডেল্টা জুট মিল গেইটের পূর্ব পাশে বিশাল এলাকা সরকার থেকে লিজ নিয়ে দোকান ঘর করে ভাড়া দিয়েছে। অথচ চৌমুহনীর কোথাও বাস , সিএনজি অটোসহ কোন যানবাহনে কোন ষ্টান্ড বা ডাম্পিং ষ্টেশন নাই।শত শত লাইসেন্স বীহিন সিএনজি,বেটারী অটোরিকশা সড়ক বিভাগের রাস্তায় দাড়িয়েও পৌরসভাকে টোল দিতে বাধ্য করা হয়। রাস্তার শৃংখলায় পৌরসভার লোকসহ ট্রাপিকরা তেমন কোন দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় না।
এসব নিয়ে পৌর প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন,পৌরসভা পোড়া যাওয়ার কারনে এ সব বিষয়ে কোন তথ্য জানানো সম্ভব নয়।পুরো বাজারই যেন ষ্টান্ড এমন প্রশ্নে কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।
সিএনজির যাত্রী ভাড়া আদায়ে সরকারি নির্ধারণীর তোয়াক্কা না করে চৌরাস্তা থেকে চৌমুহনী এক কিলোর ভাড়া১০ টাকা আদায় করে।এ নিয়ে প্রায়ই যাত্রীর সাথে ঝগড়া বিবাদ হতে দেখা যায়।বেগমগঞ্জ থেকে জেলা শহরের অভিমূখীএলাকায় টাউন সার্ভিস বাস না থাকার সূযোগে ৫ টাকার ভাড়া ২০ টাকা আদায় করছে সিএনজিতে।
এসব নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলাপে তিনি বলেন,অনেকবার চেষ্টা করেছেন- সংশ্লিষ্টদের সহযোগীতার অভাবে এসব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়।
সম্প্রতি পৌরসভায় চৌমুহনী বাজার বিষয়ে আবারো সভস করা হলে চৌমুহনীর যানবাহন ষ্টান্ড নিয়ে কোন সিদ্ধান্ত আসেনি বলে জান গেছে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




