একলাশপুর বাজারের বার্ষিক ইজাড়া মূল্য ২৭ লাখ,উন্নয়ন নাই ! নাই গনশোচাগার
গোলাম ম্িহ উদ্দিন নসু,বেগমগঞ্জ(নোয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর একলাশপুর বাজার এলাকায় ফোর লেন রাস্তায় সাইড লাইন বা বক্স রোডে নিয়মিত হাট বাজার বসে।যার ফলে গাড়ী/যান ও জন চলাচল অনিরাপদ।ঝুকিপূর্ন হয়ে পড়েছে জনজীবন।
বিগত বছর বাজার ইজাড়া ভ্যাট টেক্সসহ সরকারী খাতে ২৬ লাখ ৯০হাজার টাকা জমা হয়েছে।প্রতি বছর সরকারী তহবিলে যে পরিমান টাকা জমা হয় সে টাকা থেকে সরকারী তোয়া বাজার হিসাবে চিহিৃত ১৪ শতক জায়গায় কোন ধরনের উন্নয়ন কাজ করা হয় না। ফলে তোয়া বাজার ইজাড়াদার অস্থায়ী টং দোকান বা হাটবারের খুচরা ব্যবসায়ীদেরকে রাস্তায় বা ফুটপাতে বসিয়ে দেয়।এতে ফুটপাত,ফোরলেনের বক্স রোড এমনকি মূল রাস্তার কিছু অংশ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়।যা মারাত্বক ঝুকিপূর্ন। প্রায় ঘটে ছোট বড় দূর্ঘটনা। রাস্তাটি জেলা সদরের প্রধান সড়ক। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে থাকার পরেও দীর্ঘদিনের এ অনিয়ম বন্ধের জন্য বাজারের মূল জায়গার উন্নয়ন করা হইতেছে না।সংলিষ্ট অভিজ্ঞজনদের মতে,মূল জায়গা নিশ্চিত করে বহুতল ভবন নির্মান করে এ সমস্যার সমাধান করা যায়।
এ বাজারে অন্তত দেড়শতাধিক স্থায়ী দোকান ব্যবসায়ী আছে। প্রতি সাপ্তাহের শুক্রবার ও সোমবার হাট মিলে।প্রতি বছর কোরবানীর ঈদে ৫-৬ দিন ব্যাপী জেলার সব চেয়ে বড় পশুর হাট- এ বাজরে মিলে।সে হাটও পুরাই রাস্তায় এবং স্কুল মাঠে মিলানো হয়।যাতে যানঝট সৃষ্টি হয়ে জন ভোগান্তি বাড়ে।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ নষ্ট হয়। এই গুরুত্বপূর্ন বাজরে কোন গনশোচাগার নাই। বিপদে পড়ে আগতরা মসজিদের শোচাগার ব্যবহার করে থাকে।
এদিকে ইজাড়াদার কোন নির্দেশনা অনুসরন না করে, রিছিট প্রদান ছাড়াই নিজেদের ইচ্ছা মতো তোয়া বাজারের দোকানীদের থেকে টাকা আদায় করে। জেলা বা উপজেলা থেকে অনুমোদিত কোন টোলের রেইট লিষ্ট নাই বলে জানায়।
অজ্ঞাত কারনে প্রশাসন এ বাজারে প্রাসঙ্গিক উন্নয়নসহ আনুসাঙ্গিক কাজে নিরব ভূমিকা পালন করছে।
উল্লেখ্য যে , রাস্তার উপরে বাজার,ইউনিয়ন পরিষদ ,স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র,তহশিল অফিস,স্কুল- মাদ্রাসা,মসজিদসহ এটি গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল এলাকা।অথচ এখানে কোন গতিরোধক(স্পিড ব্রেকার)নাই্ । একটি ওভার ব্রিজ করা হয়েছে ,যা বাজারের বাহিরে।হাই স্কুলের পাশে। কাউকে ব্যবহার করতে দেখা যায় না।
বিগত মে মাসে এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুর রহমানের সাথে আলাপ হলে তিনি বাজার উন্নয়নের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহনের মত প্রকাশ করেন। উপজেলা সহকারী কমিশনার মুরাদুল ইসলামকে বাজারের জায়গা পরিমাপ করতঃ নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেন।সম্প্রতি মুরাদুল ইসলাম বদলি হওয়ায় এ সংক্রান্ত অগ্রগতি জানতে নাজির পলাশের সাথে আলাপ হলে তিনি এ বিষয়ে কোন অগ্রগতিহয়নি বলে জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসের অফিস সুপার আজাদুল ইসলাম জানান, একলাশপুর বাজারের উন্নয়ন বিষয়ক কোন নথি তাঁর কাছে আসেনি।
নতুন যোগদানকৃত উপজেলা সহকারী কমিশনার শাহাদাৎ হোসেনের সাথে আলাপ হলে ,তিনি বলেন এ বিষয়ে কোজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ার আশ্বাস দেন।
চলতি বছরের ইজাড়া গ্রহীতা একলাশপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক এডভোকেট আবদুর রহিম চুন্নু জানালেন,এবছরে বাজারের আয়ের লভ্যাংশ থেকে এক লাখ টাকা একলাশপুর বাজার জামে মসজিদকে অনুদান প্রদান করা হয়েছে। বাজারের নির্ধারিত জায়গা সম্পর্কে ভালো কোন ধারনা তাঁর নাই।আগামী বছরও যদি তিনি ইজাড়া গ্রহন করতে পারেন এবং দলীয় এ দায়িত্বে থাকেন, তবে বাজারে একটি গনশোচাগার করার উদ্যোগ নিবেন এবং বাজারের মূল জায়গার উন্নয়নে প্রশাসনের সহায়তায় সম্ভব পদক্ষেপ নিবেন ।#
মোবাইল-০১৭১৪ ৮৪০৮৯৪
তারিখঃÑ২৭/১০/২৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




