সামাজিক মূল্যবোধ ও নৈতিক অবক্ষয়ের বর্তমানে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নিদর্শন হলো টিকটক। কি নেই এতে? বিশ্রি গান, উদ্ভট অভিনয়, লাইভের নামে পাগলামি, হাউকাউ, ম্যাওপ্যাও। টিকটকে ঢুকলে মনে হবে আপনি অদ্ভুত কোন স্থানে প্রবেশ করেছেন।
ধরুন, একটি ছেলে বা মেয়ে ক্যাটওয়াক পারেনা সে হুদাই ক্যাটওয়াকের ভিডিও আপলোড দিচ্ছে।কেমন লাগবে দেখতে? হয়তো অনেকের কাছে এগুলো শুধু ফান। অন্যদেশের লোকজন হয়তো সুন্দর ভাবে টিকটক ব্যাবহার করসে। কিন্তু বাংলাদেশের ছেলে/মেয়েরা টিকটক ব্যাবহার করার নামে যা করসে তা রীতিমতো পাগলামি।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় একজন টিকটকারের নাম অনামিকা ঐশী। শুধু তার টিকটক ভিডিও এর ভিউ আর সৌন্দর্যের কারণে এই ঈদে তাকে নিয়ে নাটক বানিয়ে ফেলা হইসে।অন্তর্জাল তারকা অনামিকা ঐশী অভিনীত নাটক এর নাম দিসে ‘ড্রেসআপ সেন্স নাই’। মাবরুর রশিদ বান্নাহ পরিচালিত এ নাটকে অভিনয় করছেন বিশিষ্ট অভিনয়শিল্পী ফজলুর রহমান বাবু। সামাজিক পাতায় তুমুল জনপ্রিয় ঐশী। শুধু এটাই যোগ্য্য।জীবনেও মঞ্চ নাটক করেনি। এমন কি অভিনয়ও শিখে নি।
এই নাটকটির ভিউ কোটি ছড়িয়ে যাবে। ঐশীর ভক্তরা দেখবে সে নাটক। এই টিকটক তারকাদেরর দিকে তাকিয়ে থাকছে বিভিন্ন কোম্পানি। শুধু জনপ্রিয়তা বিবেচনা করে এদের বানানো হচ্ছে ব্রান্ড আম্বাসেডর।
ফেসবুকও টিকটক হয়ে যাচ্ছে বলে আমরা দুঃখ করসি অথচ এই আমরাই জন্ম দিচ্ছি টিকটকার নামক প্রতিবন্ধীদের। (এখানে বডি শেমিং করা হয়ন। দেশের অধিকাংশ মানুষ তাদের প্রতিবন্ধী তাদের প্রতিবন্ধী বলসে)|
আমার এক মডেল ছোট বোন সামিরা খান মাহি একজন জাত মডেল। সে টিকটকে ভিডিও আপলোড দিলে তাকে মানাচ্ছে।দেখতে খুব উপভোগ্য। কারণ সে নাছ বা অভিনয় করতে জানসে। কিন্তু উদ্ভট যারা কিছু না পেরে যেসব গাধারা টিকটক করার নামে হাউ কাউ করসে তা সত্যি হিরু আলমকেও হার মানায়।
অবশ্য কোন বেকার মেয়ে বা ছেলে টিকটক করার মাধ্যমে রোজগার করলে তা আমি দোষের মনে করি না। আমাদের দেশে কর্মসংস্থান নেই। এতো গুলো তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ কি আমরা জানি না।
আমার বানানো এভ্রিলের টিকটক স্ট্যান্ডার্ড ৮ সেকেন্ডের ভিডিও টি দেখুন। আসলে যাকে যেটাতে মানায় না বা যে যেটা পারেনা তা করতে গেলে রেডিকুলাস লাগে।
ছবিতে অনামিকা ঐশী। ফেসবুক থেকে ছবিটি নেয়া হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৩৬