
ইউটুবে এক মৌলানা ওয়াজ করছেন, একদা হযরত উমর রঃ রাতের বেলা তাঁর প্রজাদের পর্যবেক্ষণে বের হলেন। হঠ্যাৎ এক তাবুতে আলো জ্বলছে এবং সেখান থেকে একটি গানের সুর ভেসে আসলে উমর রেগে মেগে কটমট হয়ে তীব্র রাগে উক্ত তাবুর পেছনের দরজা ভেঙে তাবুর মধ্যে ঢুকে গেলেন। এবং চিৎকার করে বললেন, কে তুমি? জানোনা উমিরের শাষণাধীন এই রাজ্যে গান নিষিদ্ধ! তোমার বিরুদ্ধে উমরের দরবারে নালিশ হবে।মহিলা বললেন - কে আপনি হে যুবক! রাগান্বিত কণ্ঠে উমরের জবাব - আমি যেই হই গান করলা কেন? মেয়েটি বললেন - আপনি বিচার দিতে পারেন কারণ আমি কোরানের ১ টি আয়াত অমান্য করেছি, তবে যুবক আপনিও প্রস্তুতি নিন। কারণ আমি একহন হাফেজা। আপনি ৩ টি আয়াত অমান্য করে ৩ বার কোরানের হুকুম অমান্য করেছেন।১) আপনি অনুমতি নিয়ে ঘরে ঢুকেন নি ২) পেছনের দরজা দিয়ে ঘরে ঢুকেছেন ৩) ঢুকার সময় সালাম দেননি ও একটি মেয়ের রুমে বিনা অনুমতিতে ঢুকেছেন!
উমর চিন্তা করলেন আসলেই তো আমি অন্যায় করেছি। তবুও বললেন মানলাম আমি অন্যায় করেছি, কিন্তু আপনি বলুন গান গাইলেন কেন? মেয়েটি বললেন, আমার স্বামী আমাকে যেদিন বিয়ে করেছেন সেদিনই তাঁর জিহাদের ডাক আসে। ফলে বাসর হঈয়ার আগে তিনি চলে যান উমরের নির্দেশে এমনকি আমি তাঁর মুখ পর্যন্ত দেখিনি। আজ ৬ মাস হলো তিনি জিহাদে গেসেন। আজও ফিরেন নি তাই তার বিরহে ফান গাই।
উমর দ্রুত বের হয়ে গিয়ে দরবারে ফিরে তাঁর মেয়েকে জিজ্ঞেস করলেন - মা বলতো একটি মেয়ে কতো দিন হাজবেন্ড এর সাথে নাইট স্টে না করে থাকতে পারে? উমরের মেয়ে বললেন ৫ মাস হায়েস্ট ৬ মাস। এর মধ্যে হাজবেন্ড এর টাচ না পেলে যেকোন মেয়ে পাপাচারে ও জেনায় লিপ্ত হবে।
হাস্যকর লাগলো। কোটি কোটি মেয়ের হাসবেন্ড নেই, কিংবা এব্রডে থাকে বছরের পর বছর।তাদের সবাই কি পাপাচারে লিপ্ত হচ্ছে! আর ঢুল তবলা গিটার বা বাধ্যযন্ত্র হারাম এবং ঐগুলা বাজিয়ে ইসলামি গান গাওয়াও নাকি হারাম।কিন্তু মেয়েটি খালি গলায় বাদ্য-বাজনা না ইউজ করে গান গেয়েছেন। সেটা কেন হারাম হবে?
হুজুরদের এসব ভুলভাল ওয়াজ ইসলামের ঐতিহ্য ও সৌন্দর্য নষ্ট করছে। ইসলামকে হাস্যকর ও বিতর্কিত করসে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২ রাত ১:০১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



