
ভারত-বাংলাদেশ যুদ্ধে পাকিস্তান ও চীনের লাভ আছে। যুদ্ধে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্থ্য হলে ভারত বিরোধীতায় তারা সহজে বাংলাদেশীদের তাদের পাশে পাবে। বাংলাদেশের নিরাপত্তার অযুহাতে এখানে তারা সামরিক ঘাটি স্থাপনের সুবিধার আশাও করতে পারে।সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনা সমূহ তাদের খুশী হওয়ার মতই। তাদের অতি বিরোধী শেখ হাসিনা এখন বাংলাদেশ ছাড়া। তাঁর দলটিও বেশ কোনঠাঁসা অবস্থায় আছে। যদি একান্ত ভারত-বাংলাদেশ যুদ্ধ বেঁধেই যায় তবে পাকিস্তান ও চীনের কাজ হবে এ যুদ্ধ যাতে কিছুতেই শেষ না হয় সে ব্যবস্থা করা। কারণ ভারত এদিকে ব্যস্ত থাকলে তাদের পাকিস্তান ও চীনের দিকে মনোযোগ দেওয়া কঠিন হবে। এরপর পাকিস্তান ও চীন ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথেও ভারতের যুদ্ধ বাধাতে চেষ্টা করবে। নতুন এ দেশ সমূহ গঠিত হলে পাকিস্তান ও চীন এসব দেশে তাদের বাজার সম্প্রসারণ করতে পারবে। তাতে বাংলাদেশের কি লাভ? তাতে বাংলাদেশের লাভ নিরাপত্তা ঝুঁকি কমানো। এসব বলে তারা যুদ্ধের জন্য বাংলাদেশকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু সমস্যা হলো যুদ্ধে বাংলাদেশ তামা তামা হয়ে যেতে পারে। ঘটনা এমন হলে বাংলাদেশ নিরাপত্তা ঝুঁকি দিয়ে কি করবে? সুতরাং পাকিস্তান ও চীনের পাতা ফাঁদে পা দেওয়া ভারত ও বাংলাদেশের সঠিক কাজ হবে না।
একবার যুদ্ধে আমরা চুয়াত্তর দেখেছি, আবার যুদ্ধে কোন সাল দেখব? যেখানে আমাদের যুদ্ধে অন্যের সবটাই লাভ এবং আমাদের পনের আনা লস, তবে এমন যুদ্ধে আমরা জড়াব কেন? আর ভারত বাংলাদেশকে পেটে ভরতে গিয়ে তাদের পেটের ভিতরের অনেক এলাকা বমি করে বের করে দিলে তাদের কি লাভ। তারপর তাদের পাশের দু’টি পাখি একটু একটু করে ঠুঁকরিয়ে তাদের এলাকা তাদের পেটে ভরবে। তারা বাংলাদেশের সাথে যুদ্ধ করতে আসলে তাতে পাকিস্তান ও চীন যুক্ত না হওয়ার কি গেরান্টি আছে? সুতরাং একজন শেখ হাসিনার জন্য দু’টি দেশ যুদ্ধে লিপ্ত হওয়া ঠিক না। কারণ বাংলাদেশ পুচকে হলেও পাকিস্তান ও চীন যুক্ত হলে যুদ্ধক্ষেত্র অনেক বড় হয়ে যাবে। সুতরাং এমন যুদ্ধ হওয়ার চেয়ে না হওয়াই অনেক ভালো।
আমেরিকা একাত্তরে বাংলাদেশ বিরোধী থাকলেও বাংলাদেশ-ভারত যুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে থাকার সম্ভাবনা আছে, অথবা তারা নিরপেক্ষ থাকবে। কে কোন পক্ষে থাকবে সেটা পরের কথা, কিন্তু যুদ্ধে বাংলাদেশ তামা তামা হওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর। সেজন্য যুদ্ধ নয় শান্তি চাই।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


