পোস্টের শুরুতে জানতে চাই, কেউ জানলে জানাবেন।- কামাল ৮০ একজন ভালো কমেন্টার। তাঁকে দেখা যাচ্ছেনা। উনাকে কি কমেন্ট ব্যান করা হয়েছে? নাকি এমনিতে ব্লগে ইনএকটিভ? ব্লগার সাসুম ভাইও নেই। ব্লগে কমেন্টারই যদি না থাকেন তবে ব্লগিং কি উপভোগ্য হয়? একটু মতের অমিল হলেই কাউকে কমেন্ট ব্যান করার দাবী তুলেন অনেকেই। সামুতে ২৫/২৬ জন এক্টিভ ব্লগার আছেন। দুইজন ইনএকটিভ হয়ে গেলেন। একই ব্যক্তি যদি ছেলে/মেয়ে সেজে ১৪/১৫ টা মাল্টি থেকে পোস্ট কমেন্ট করেন আর যখন আমরা তা ধরতে/বুঝতে পারি তখন হাসি পায়।
যাই হোক প্রসঙ্গে আসি-
নামাজ/প্রার্থনার চেয়ে উৎকৃষ্টতর মেডিটেশান আর কিছু আছে কিনা জানিনা। একজন প্রাকটিজিং মডারেট মুসলিম হিসেবে আমি ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার চেষ্টা করি। জামাতে না হলেও নিজে নিজে অফিসে/বাসায় পড়া হয়। মিস হয়না কখনো। সম্প্রতি অনেকে লক্ষ্য করে থাকবেন, দেশের প্রাই সব মসজিদে মুসল্লীর সংখ্যা বাড়ছে। সবাই নামাজ পড়ুক। যে যার যার ধর্ম স্বাধীন ভাবে পালন করুক।
কিন্তু আপত্তিকর বিষয় হইলো যখন যারা একদিকে নামাজ পড়ে তারা অন্যদিকে ইসলাম বিরোধী কাজ করলে। একজনকে আমি চিনি যে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, কিন্তু তুলনামূলক তার অধীনস্থদের সাথে কুকুরের মতো ব্যবহার করে। না আমি কুকুরের মতো বিশ্বস্ত প্রাণীকে অসম্মান করছিনা। আমি নিছক উদহারনের জন্য কুকুরের প্রসঙ্গ টেনেছি। সুদ ঘুষ খায়। মিথ্যা কথা বলে। জুলুম করে। লোক ঠকায়। গালি দেয়। অনলাইনে মতের অমিল হলে নোংরা ভাষায় ব্যক্তি আক্রমণ করে।
একদিকে অন্তরে সম্পদের/ক্ষমতার/অধিকার প্রতিষ্ঠার তীব্র লালসা। অন্যদিকে নামাজ পড়ছে। সবাই দেখে থাকবেন - ছোট ছোট ছেলেদের বাই সাইকেলের প্রলোভন দেখিয়ে ফজরের নামাজ ও ইশার নামাজ পড়ানো হচ্ছে।
নিয়ম হলো নামাজ পড়তে হবে আল্লাহর জন্য বা আল্লাহর ভয়ে।বাচ্চাদের সাইকেলের প্রলোভন দেখানো কি ঠিক হচ্ছে? কোরানে প্রলোভন দেখিয়ে নামাজ পড়ানোর কি কোন দিকনির্দেশনা আছে। কতগুলো বাচ্চা ছেলে সারারাত ঘুমাচ্ছেনা কখন ফজরের আজান দিবে, মসজিদে যাবে, নামাজ পড়বে, ৪১ দিন হলেই সাইকেল পাবে। এইডা কিছু হইলো? ৪১ দিন টানা ফজরের নামাজ পড়লেই একটা ছেলে নামাজের প্রতি এডিক্টেড হবে!
আমি যখন স্কুলে ছিলাম তখন আমাকে প্রলোভন দেখানো হয়েছিল, ক্লাস ফাইভে বৃত্তি পেলে সাইকেল কিনে দিবে। এইটে বৃত্তি পেলে কম্পুটার কিনে দিবে। এইচ এস সি তে ভালো করে ইউনিতে চান্স পেলে বাইক কিনে দিবে। এরপর অবশ্য কোন প্রলোভন দেখানো হয়নি। তাই আমি জানি ছোট ছেলে গুলো নামাজ পড়ছে সাইকেলের জন্য।
নামাজ পড়তে হবে আল্লাহর জন্য। নামাজে যে তেলোয়াত হয়, রুকুর দোয়া সেজদার দোয়া, বসে যে দোয়া গুলো পড়ে ঐগুলার অর্থ না বুঝলে নামাজ করোটুকু কবুল হয়। লোভ দেখিয়ে নামাজ পড়ানো কি ঠিক? সামুর পাঠকদের বক্তব্য কি?
পরিশেষঃ কেকটি সাবরিন ডিজাইন করেছে। আসন্ন ব্লগ ডে তে এই রকম একটি কেক আমি ব্লগারদের জন্য নিয়ে আসতে/যেতে না পারলে পাঠাতে চাই।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩৬