আর্জেন্টির ফ্যানরা বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২ জয় সেলিব্রেট করতেছে। গতকালকের পুরষ্কার বিররনী ও সমাপনি অনুষ্ঠানের আবেগময় মুহুর্ত গুলোর ছবি ভিডিও শেয়ার করছে সামাজিক যোগাযোগ এর মাধ্যমে। ভিডিও গুলোতে মেলোডিয়াস মিউজিক এড করতেছে। সবচেয়ে চমৎকার লাগতেসে এসব ছবি ও ভিডিও গুলোতে আর্জেন্টিনার ফ্ল্যাগ এর আগে বাংলাদেশের পতাকা লাগিয়ে দিচ্ছে।বাংলাদেশে এমন একটা পরিবেশ মনে হচ্ছে বাংলাদেশ বাংলাদেশ কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল ২০২২ জিতলো।
বাংলাদেশীরা আর্জেন্টিনার চেয়েও বেশী খুশী। গতকাল রাতে বড় পর্দায় খেলা দেখতে গিয়ে আমি দেখেছি বাঙালি কেঁদেছে। উল্লাস করেছে। বিজয় মিছিল করেছে। মিষ্টি বিতরণ করেছে। মহান বিজয় দিবসের ঠিক ২ দিন পরে যেনো আরও একটি বিজয়ের সেলিব্রেশন করছে। ফ্রান্স যখন আর্জেন্টিনার দুই গোল শোধ করে দিয়েছিল আর্জেন্টাইনদের চেয়ে বাংলাদেশীদের বেশী কষ্ট হয়েছে। অতিরিক্ত ১৫ মিনিটে মেসির গোলে উল্লাস করার পরে ফ্রান্স যখন ৩য় গোল শোধ করেছে তখন বাংলাদেশে আর্জেন্টাইনদের সমর্থকদের হৃদয় রক্তাক্ত হয়ে। ট্রাইবেকারের সময় টেনশনে একটার পর একটা সিগারেট ধরিয়েছে। হৃৎপিণ্ডের পৌনঃপুনিক ছন্দময় সংকোচনে বারেবারে ব্যাঘাত ঘটেছে।
নান্দনিক ছন্দময় ফুটবল খেলা উপভোগ করেছে। ৩০ দিন অপেক্ষা করেছে একটি মুহুর্তের জন্য। তাহলো আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতবে। আমার ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টের ৭০-৮০% ছেলে মেয়ে আর্জেন্টিনার জার্সি পড়ে ছবি তুলে আপলোড দিয়েছে। উল্লাস করেছে। একটি অসম্ভব সুন্দর মাস গেলো। মাসটি পুরাই ফুটবলময় ছিল। ব্লগের সম্মানিত মডারেটির ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন গতকাল উনার জীবনে একটি শ্রেষ্ট রাত। ২০০২ সাল থেকে আমি নিয়মিত বিশ্বকাপ ফুটবল দেখি।এই জনমে প্রিয় দলকে চ্যাম্পিয়ন হতে দেখেছি। কিংবদন্তী ম্যারাডোনা যখন বিশ্বকাপ জিতেছিলেন তখন আমি মাত্র ১ বছর। গতকাল আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয় দেখলাম। ব্লগার শূন্য শারমর্মকে বলেছিলাম ফ্রান্স - আর্জেন্টিনা ফাইনাল খেলবে, আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হবে।মেসি আমায় নিরাশ করেনি।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে মেসির মা তাঁকে যেভাবে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছেন দেখে মুগ্ধ হয়েছি। সন্তানের সাফল্যে মায়ের চেয়ে বেশী কেউ খুশী হয়না। স্ত্রী সন্তানদের সাথে মেসির সেলিব্রেশন, স্ত্রীকে হাগ দেয়া, বাচ্চাদের হাতে ট্রফি দেয়া, মার্টিনেজ এর পরিবারের সাথে গোল পোস্টের নিকটে গিয়ে ছবি তুলা আরেকবার প্রমাণ করে পরিবারের সাথে শ্রেষ্ট মুহুর্ত সেলিব্রেট করার মতো শ্রেষ্ঠত্ব পৃথিবীতে আর নেই। এতে একটু জনপ্রিয় বা টাকা হলেই নিজের স্ত্রীকে ও সন্তানকে ঠকিয়ে যারা ২য়/৩য়/৪র্থ বিয়ে করে তাদের গালে জুতা পড়েছে।
সব মিলিয়ে পুরা বাংলাদেশে মহান বিজয়ের মাসে যেন ঈদের আমেজ। অত্যাচারী শাষক, দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতী, চরম দারিদ্রতা, মারাত্নক ব্যাবসায়ীক মন্দা, ব্যাংক গুলো থেকে বিলিয়ব বিলিয়ন টাকা লোট হচ্ছে তখন বাংলাদেশ ১ মাস উল্লাসে মেতে ছিল। এজন্য আর্জেন্টিনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। বাংলাদেশী আআর্জেন্টাইন ভক্তদের কাছে আআর্জেন্টিনা যেন তাদে্র আরেকটি দেশ। লিওনেল মেসি যেন তাদের হিরো ।
ছবিতে লিনা, তাবরিদা ও নূরী
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৫৫