somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

তামিম ইরফান
অধ্যাপক গুলাবী

আমার বান্দরবেলা.............৪

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ ভোর ৬:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একবার খালার সাথে তার বান্ধবীর বাসায় বেড়াইতে গিয়া দেখলাম একটা মুরগী ডিমের উপর বইসা আছে,খালারে ডিমের উপর বসার কারন জানতে চাইলে বললো মুরগী ডিমে তাঁ দিতেছে বাচ্চা ফুটানের জন্য।বাসায় আসার পর আমারও ওমন কইরা ডিমে তা দিতে ইচ্ছা হইলো,রান্না ঘরে খুইজা কয়েকটা ডিম নিয়া উঠানের উপর রাইখা আমিও তাঁ দিতে বইসা গেলাম।বসার সাথে সাথে দেখি ডিম ভাইঙ্গা আমার প্যান্টের সাথে লেপটায় গেছে।আমার কান্ড দেইখা ছোট খালা চিৎকার দিয়া মা রে ডাক দিয়া কয় দেখেন আপনের পোলা কান্ড দিনদুপুরে তার বাচ্চা ফুটানের খায়েশ হইছ.খালারে কইলাম,বাচ্চা কি রাত দুপুরে ফুটামু নাকি?।এরই মধ্যে মা খুইজাপাইতা কই থেইকা জানি একটা লাঠি নিয়া আমারে দৌড়ানি দিলো।ঐ দিন দৌড়ানির সময় বারবার দূর্গাদেবীর কথা মনে পড়তেছিলো।দেবী যেমনে অসুররে মারার জন্য খড়গ হাতে দৌড়ানি দিছিলো আমারেও মা তেমনি কইরা দৌড়ানি দিয়া ঘরের ভিতর তাড়ায় নিয়া আসলো।মার হাতে দৌড়ানি খাবার পরও ডিমে তা দেওয়ার ইচ্ছা রয়া গেলো।এইবার ভাবলাম শক্ত কিছুতে তাঁ দিতে হবে যাতে না ভাঙ্গে।অনেক খুজাখুজির পর বড় খালুর চকচকা টাক টা পছন্দ হইলো।কিন্তু বড় খালু তো সেচ্ছায় তার মাথারে তাঁ দিতে দিবেনা।অনেক মাথা খাটায়া বাইর করলাম খালু ঘুমাইলে তাঁ দিতে হইবো।বড় খালুরে যদি তা দিয়া ফ্রি তে একটা বাচ্চা ফুটায়া দিতে পারি তাইলে আর আমার উপর রাগ করবে না।কয়েকদিন পর খালু দুপুরে নাক ডাইকা ঘুমাইতেছে এইফাঁকে আমি খালুর মাথার উপর তাঁ দিতে বইসা গেলাম,বসতে না বসতে পিছনদিক দিয়া বিষাক্তবায়ু ছাইড়া দিছিলাম,গন্ধ পাইয়া খালু ধড়মড় কইরা উইঠা কইলো,"তুমি আমার মাথার উপর কি কর?।আমি কইলাম, "আপনের মাথারে তা দিয়া বাচ্চা ফুটাইতেছি"।এ কথা শুইনা খালু আমারে চ্যাং দোলা কইরা মার কাছে দিয়া আসলো।তারে অনেক কইরা বুঝাইতে চাইলাম একটা বাচ্চা ফুটাইতে পারলে তারই লাভ,সে আরেকটা বাচ্চা ফ্রিতে পাবে।কিন্তু আমার গোয়াঁড় খালু কিছুতেই বুঝলো না যে আমি তার কতবড় উপকার করতে চাইছিলাম।ঐদিন নানা মার খাওয়ার হাত থেইকা বাঁচায় দিছিলো।

কয়েকদিন পরও ডিমে তাঁ দেওয়ার কথাটা মাথা থেইকা সরাইতে পারলাম না।একদিন মারে জিজ্ঞেস করলাম,আম্মু আমি কেমনে হইছি?" মা কইলো, "তুমি পেটের ভিতর থেইকা আসছো"।আমি কইলাম তাইলে পেট রে কে তাঁ দিছিলো?তুমি বাবার পেটে বইসা তাঁ দিছো নাকি বাবা তোমার পেটে বইসা তাঁ দিছে"।একথা শুইনা মা গালে একটা থাবড়া বসাইয়া বললো,'বেশী পাকনা হইছো"।
সেদিন মায়েরকাছে থাবড়া খাওয়ার কারন ক্লাশ ৯ এ উইঠা বুঝছি।

ছুডুবেলায় জ্বর হইলে মা মাথায় পানি ঢালতো।একদিন টেলিভিসন দেখতেছি হঠাৎ টিভির উপরে হাত দিয়া দেখি গরম হয়া গেছে।টিভির জ্বর হইছে মনে কইরা সাথে সাথে মগে কইরা পানি আইনা টিভির উপরের ফুটাগুলি দিয়া ঢাইলা দিলাম।একটু পর দেখি ফটাশ কইরা শব্দ কইরা টিভি বন্ধ হয়া গেছে।আমি মারে ডাইকা আইনা বললাম আম্মা টিভি মইরা গেছে।আম্মা টিভির অবস্থা দেইখা কইলো," টিভির উপর পানি ঢালছো কেন?"আমি কইলাম টিভির জ্বর হইছিলো তাই মাথায় পানি দিছি,কিন্তু জ্বর মনে হয় বেশী ছিলো তাই টিভি মইরা গেছে।

বড় খালুর মাথায় চুল আঁকার কারনে মাইর খাওয়ার ফলে কয়েকদিন ছবি আঁকা বন্ধ ছিলো।কিন্তু বড় বড় শিল্পীদের কেউ দমায় রাখতে পারেনা।আমি ছবি আকাঁর জন্য জায়গা খুজতে লাগলাম।একদিন দেখি বড়মামা তার ঘরে উবু হইয়া শুইয়া আছে।আর তার লুঙ্গী পা ঢাকা বাদ দিয়া মাথা ঢাকার তালে আছে।মামার ফর্সা পাছা দেইখা ভাবলাম শিল্প চর্চার জন্য এর চেয়ে সুন্দর ক্যানভাস হইতে পারে না।ব্রাশ আর রং নিয়া আইসা মামার দুই পাছায় সুন্দর কইরা দুইটা চোখ আইঁকা দিলাম আর কোমড়ে একগাছি চুল।পাছার মাঝখানে চেড়া ছিলো দেইখা নাক,ঠোট আঁকতে পারি নাই।

বাবারে শেভ করতে দেইখা আমারও খুব শেভ করতে ইচ্ছা করতো।একদিন বাবার রেজর নিয়া মাথার দুই পাশে দুইটা টান মারলাম একটু পর দেখি ধানক্ষেতের আঁইলের মতো আমার মাথার দুইপাশে দুইটা আঁইল তৈরী হইছে।শেভ কইরা বাইর হওয়ার পর আমার নতুন স্টাইল দেইখা সবাই পারলে ভিড়মী খায়।পরে সেলুনে গিয়া পুরা মাথা ন্যাড়া করতে হইছিলো।ঐদিন রাতে একটা বিয়ার দাওয়াত ছিলো ন্যাড়া মাথার কারনে যাইতে না চাইলে সবাই আমারে রাইখাই বিয়া খাইতে চইলা গেছিলো........................

চলবে...............
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৫:২৬
৬৮টি মন্তব্য ৬৩টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×