
নিদ ভাঙ্গত সূর্যের আলো
গায়ে গতরে লাগলে,
গভীর রাতে ঘুমাতে গিয়ে
সকাল বেলা জাগলে।
বদনা নিয়ে টয়লেটে যাওয়ায়
লেগে যেত লাইন,
নিম্নদেশে চাপের চোটে
ক্রিয়া হতো ফাইন।
ব্রাশ গামছা নিয়ে যেতাম
করতে পুকুরে স্নান,
কালো পানি দেখার পরে
হৃদয়টা হতো ম্লান।
গোসল সেরে রুমে ফিরে
খাবার খাওয়ার পালা,
মিলগুলো সব যত্ন করে
সাজিয়ে রাখত খালা।
আলু ভর্তা আর পাতলা ডালে
আহার হতো বেশ
হাফ মিলের ঐ খাবার গুলো
নিমিষে হতো শেষ।
মেসের কাছেই কলেজ ছিলো
যেতাম পায়ে হেটে,
ক্লাস মিস প্রায় হতো
পৌছাতাম অতি লেটে।
দুপুর বেলা ফিরতাম মেসে
খিদেও লাগত চরম,
দুপুরের খাবার বেশ লাগত
থাকত ও একটু গরম।
দুপুর বেলা খাওয়ার পর
বন্ধ হতো রুম,
বিকাল সাড়ে চারটার পর
ভাঙ্গত গভীর ঘুম।
বিকাল বেলা ঘোরাঘুরি
সন্ধ্যায় ফিরে আসা,
রুমের ভিতর মাঞ্জা মারা
আড্ডা ও হতো খাসা।
রাতের খাবার খাওয়ার পরে
ধুমচে শুরু গল্প,
গলাবাজিতে সময় পার
পড়াশোনা হতো অল্প।
রাতের বেলা কয়েক বন্ধু
খেলতাম বসে তাস,
অভাব অনটনের মাঝেও মোরা
করতাম সুখেই বাস।
এখন পড়াশোনা শেষ করে
যে যার মতো ব্যস্ত,
পরিবারের দায়িত্ব এখন
আমাদের উপর ন্যস্ত।
পুরাতনরা জায়গা ছাড়ে
নতুনরা করে দখল,
দোয়া করি মেস মেটরা
ভালো থাকেন সকল।
আসা যাওয়ার এই খেলাটা
প্রকৃতির অমোঘ রীতি,
মেস কাব্য লেখা আমি
টানলাম এখন ইতি।
তাং ০৭/১২/২০১৮ খ্রীঃ
ছবিঃ যথারীতি গুগুল থেকে নেয়া
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




