কাঁতর সাইরেন
কবিতার থেকে ববিতারা প্রিয় আজীবন,
ববিতারও অধিক প্রিয় ছিলো ঘুড়ি।
কখনো ডাইনে কখনো বামে
কা'ন্নি খায় দমকা হাওয়ায়
পিছে আসে, দিগন্তের টানে পশ্চিমে হেলে পড়ে রোজ,
এই দেখে প্রেমিকেরা ভেবে নিলো রাজনীতি, পশ্চাদপদ প্রগতি।
ওটা কোন পদ?
পেন্ডুলামের মতো দোলে পাঠকের নিয়তি।
রতিময় যানগুলো বিরতিহীন আজ
অতঃএব ঢালো মদ,মদন কুমার শিউলি তলায় পাহাড় আঁকে
বাঁকে বাঁকে ভূমিকা লুন্ঠণ
কবিদের সাথে সঙ্গমের কোনও ষড়ঙ্গ নেই!
নাভি নীল নখের ডগায়
পদ্মের মতন ফুটে মাইনকা চিপায়,
রসে কষে চলে ভোজ, আলয়ের ভাঁজে ভাঁজে আলেয়ার গম্ভুজ।
কবিতার থেকে থোক থোক আঙ্গুরের অপেক্ষা ,
অত:পর তাকে টক হতে দেওয়া, নদ হতে কিছুটা সময়,
শতাব্দির কবিতারা অসহায়, অথবা কোমায় থেকে ফিরে আসা কোনো রুগি,
বইগুলো এম্বুলেন্স,
ফ্রিলেন্স প্রেমিকের ঠোটে কাঁতর সাইরেন!