২০০১ সালে বিশ্ব বাণিজ্যকেন্দ্র বা টুইন টাওয়ারে সেই বিমান হামলার পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আলকায়েদাকে তার নিরাপত্তার জন্য প্রধান হুমকি হিসেবে আখ্যায়িত করে। সেই সাথে গ্রহণ করে নতুন মার্কিন প্রতিরক্ষা নীতি। শুরু হয় স্নায়ু যুদ্ধের পরে আরেকটি ব্যাপক মাত্রার যুদ্ধ। পুরোনো যুদ্ধজোট ন্যাটোসহ পশ্চিমা শক্তির প্রায় সকলে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষে এই যুদ্ধের নীতিগত প্রশ্নে একমত হয়। শনাক্ত করা হয় নবতর এক প্রতিপক্ষকে। চরিত্রে ও চিত্রায়নে যে একবারেই আলাদা। রাষ্ট্রহীন এক অস্তিত্বের বিরুদ্ধে নানান দেশে 'সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের' সূচনা। এবং যা অন্তহীন। তারপর ইরাকে আগ্রাসনের সময়ও ঘুরেফিরে আলকায়েদার কথা এসেছে। সেখানে এখনো আলকায়েদা সক্রিয় আছে।
অন্যদিকে আফগানিস্তানে যুদ্ধের আট বছরেও উল্লেখযোগ্য কোনো সাফল্য অর্জিত হয়নি। বরং তা আরো জটিল আকার ধারণ করেছে। সহযোগীরা নিজ দেশের সৈন্য আর বাড়াতে রাজি তো হচ্চেই না উল্টো ফিরিয়ে নিতে চাচ্ছে। পাকিস্তানকে পুরোমাত্রায় জড়িয়ে ফেলা হয়েছে এই যুদ্ধে। যুদ্ধের ফলাফল এখন পাকিস্তানের আগামীদিনের মানচিত্রেরও নির্ণায়ক হয়ে উঠার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
অন্যদিকে আলকায়েদাকে তালেবানদের কাছ থেকে আলাদা করে একটা সমঝোতায় আসার মার্কিন যুদ্ধকৌশল এখনো সাড়াই তৈরি করতে পারেনি। বাস্তবায়িত হওয়া তো সদূরপরাহত। তাহলে এই অবস্থা থেকে নিস্তার পাবে কিভাবে আমেরিকা? কী তাদের নীতি ও পরিকল্পনা? সেই সম্পর্কে বোঝাপড়া গোছাতে একটা সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে সম্প্রতি আল-জাযিরাকে দেওয়া রবার্ট গেটস-এর সাক্ষাতকারটি। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে পাওয়া যাবে এই মুহূর্তে ওবামা প্রশাসনের আফগান পরিকল্পণা তথা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধের গতিপ্রক্রিয়া কোন দিকে মোড় নিচ্ছে সেই হদিস।
আগ্রহীরা নিচের সাক্ষাতকারটি পড়ে নিতে পারেন।
(Click This Link)
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ ভোর ৫:৩৮