গেল আট তারখি মা দিবস। সকালে ঘুম থেকে উঠেই আগে মাকে ফোন দিয়ে মাকে জানালাম ভালবাসার কথা । এই অধম তার প্রেমে পড়ে অছে শত সহস্র বছর ধরে ।
মা , আমার সত্যি কারের বন্ধু । তিনি একবারে সহজ সরল গ্রামের এক মহিলা। বোধ হবার পর থেকেই সাদামাটা এই মানুষটিকে সবেচয়ে পাশে পেয়েছি, সব বিপদে । আজও কেবল তিনিই অাছেন অার কেউ নেই আমার ।
যথন গ্রাম ছেড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য ঢাকায় আসি তার পর অনেক রাত ঘুসমাতে পারিনি শুধু মায়ের কথা মনে করে। আজ এত দিন পড়েও মাঝে মাঝেই আমার দম বন্ধ হয়ে আসে শুধু মা অামার পাশে নেই।
মা দিবসে আমি বলতে পারিনি , মা আজকের দিনটি শুধু তোমার । আমার মা , মা দিবস কি বোঝে না। যখন ফোন করেছি শুধু বলেছে নাস্তা করেছিস?
আমি কিছু বলতে পারি না। বলতে পারনিা এ মাসে এখনও টাকা হাতে পাইনি । পাছে অামার নিরবতায় বুঝে ফেলে আমি অন্য প্রসঙ্গে আসি।
ক্লাস , পরীক্ষা আর জীবন বাচানোর তাগিদে চাকুরীর জন্য মায়ের সাথে দেখা করা বা গ্রামে যাওয়া ঠিকমত হয়ে ওঠে না । কিন্তু মন পড়ে থাকে মায়ের কাছে।
কয়েক দিন ধরেই মনে হচ্ছিল মা দিবসে মাকে কি গিফট্ দেওয়া যায়। আমি অনেক ভেবে বের করলাম আমার সাথে মায়ের যোগাযোগের যে মোবা্ইল টা রয়েছে তা প্রায় অকেজো । ভাবতেই ঠিক করে ফেললাম োবাইলই হবে আমার মায়ের জন্য সেরা গিফট্।
কযেকদিদনের মধ্যেই টাকা যোগাড় করে একটি মাল্টিমিডিয়া ফোন কিনে পাঠিয়ে দিলাম সালাম ভাইয়ের ঠিকানায় ( প্রতিবেশী,) । আর পেনে বলে দিলাম আট তারিথে সকালে আমি আপনাকে ফোন করলে আপনি াামাদের বাড়িতে গিয়ে নতুন মোবাইলে মায়ের সিম ভরে দিবেন। যথারীতি কাজটি করা হল। মাকে যখন জানালাম এই মিাবাইলটি তোমার জন্য কিনেছি তখন আমার মায়ের প্রথম কথা ছিল , এত টাকা খরচ করেছি মাসের প্রথমেই বাকী দিনগুলো তোর কিভাবে চলবে?
শাপলা যখন আমাকে ছেড়ে গেল তখন মাকে কিছু বলিনি । মা ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন। আমার কষ্ট হচ্ছে ভেবে মায়ের চোখে যে পানি এসছিল তা দিয়েই আমি শাপলাকে ভুলেছি।.............................
....................................
এই হল আমার মা যিনি তার নিজের কথা কথনো ভাবেননি।
বাবা নেই এটি অনুভব করলেও আমাদের তিনি তা অনেকটাই ভুলিয়ৈ রেখেছেন তার ভালবাসা দিয়ে ।